সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

CC9 লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মুঘল চিত্রকলায় জাহাঙ্গিরের অবদান | Mughal Miniature Paintings in Jahangir's Time

মুঘল চিত্রকলায় জাহাঙ্গিরের অবদান মুঘল চিত্রকলাকে বলা হয় ইন্দো-পারসিক চিত্রকলা। হুমায়নের হাত ধরে প্রথম এই ইন্দো-পারসিক চিত্রকলার সূচনা হয় এবং আকবরের রাজত্বকালে তা বিকশিত হয়। কিন্তু জাহাঙ্গিরের রাজত্বকাল ছিল মুঘল চিত্রকলার স্বর্ণযুগ। জাহাঙ্গির ছিলেন অসম্ভব প্রকৃতিপ্রেমিক। নিসর্গ প্রকৃতির টানে তিনি ১৯ বার কাশ্মীর গিয়েছিলেন। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় অঙ্কিত চিত্রকলায় তাই প্রাকৃতিক দৃশ্য সবথেকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। তবে পশুপাখির চিত্র, বিশিষ্ঠ ব্যক্তির অবয়ব বা রাজনৈতিক ঘটনাবলী একেবারে বাদ যায় নি।  জাহাঙ্গিরের দরবারের প্রধান শিল্পী ছিলেন হিরাটের আগা রিজা। ইনি প্রখ্যাত চিত্রকর আবু-ই-হাসানের পুত্র। তাঁর দরবারের অন্যান্য চিত্রকরদের মধ্যে ছিলেন ফারুক বেগ, আব্দুস সামাদ, মহম্মদ নাদির, মহম্মদ মুরাদ, উস্তাদ মনসুর, মনোহর, বিষণ দাস, গোবর্ধন, আবুল হাসান, বিচিত্র প্রমুখ। এদের মধ্যে উস্তাদ মনসুরের কথা উল্লেখ করতেই হয়। ইনি পশুপাখির একেবারে জীবন্ত চিত্র এঁকে দিতে পারতেন। তাঁর আঁকা সাইবেরিয়ান সারস একটি বিস্ময়কর সৃষ্টি। কলকাতা মিউজিয়ামে এটি সংরক্ষিত আছে। রঙের ব্যবহারে সিদ্ধহস্ত ছিলেন আবুল হাসান। প্রতিকৃতি অঙ্কনে...

মুঘল চিত্রকলায় আকবরের অবদান | Mughal Miniature Paintings in Akbar's Time

মুঘল চিত্রকলায় আকবরের অবদান  ভারতীয় শিল্পকলায় মুঘল শাসকদের অবদান অনস্বীকার্য। তারা তরবারির পাশাপাশি কালি, কলম ও ছবিকে যথেষ্ট মর্যাদা দিয়েছিলেন। তাদের কালজয়ী সৃষ্টিগুলি কেবল স্থাপত্য নির্মাণে সীমাবদ্ধ ছিল না। চিত্রশিল্পেও ভারত মুঘল আমলে অভাবনীয় সাফল্য লাভ করেছিল। মুঘল চিত্রকলার জয়যাত্রা শুরু হয়েছিল আকবরের রাজত্বকালে এবং সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়কালে তা বিকাশের শীর্ষে পৌঁছে গেছিলো। আকবরের পূর্বপুরুষ বাবর ও হুমায়ূন চিত্রশিল্পে স্থায়ী ছাপ রেখে যেতে পারেননি। তবে তাঁরা যথেষ্ট সৌন্দর্য পিপাসু ছিলেন এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। মুঘলদের সৌন্দর্য পিপাসা আকবরের মধ্যেও বহমান ছিল। হুমায়ুন পারস্য থেকে মীর সৈয়দ আলী ও আবদুস সামাদকে কাবুলে আমন্ত্রণ করে নিয়ে এসেছিলেন। আকবর এই আবদুস সামাদের নেতৃত্বে একটি কলাভবন নির্মান করেছিলেন। তাঁর সময়ে আঁকা ছবিগুলির বিষবস্তু যেমন ছিল প্রাকৃতিক দৃশ্যের প্রতিকৃতি, তেমনি বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের প্রতিকৃতি আঁকার চলনও ছিল। তাঁর দরবারে চিত্রকরদের মধ্যে বসাওয়ান ছিলেন প্রতিকৃতি অঙ্কনে সিদ্ধহস্ত। আবুল ফজলের লেখা থেকে জানা যায় পটভূমি চিত্রণ ও মুখাবয়বের রেখাঙ্কন, রঙে...

দ্বিতীয় পানিপথের যুদ্ধ ও তার গুরুত্ব | Second Battle of Panipath: 1556

 দ্বিতীয় পানিপথের যুদ্ধ ও তার গুরুত্ব ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে হুমায়ুনের মৃত্যুর পর আকবর যখন সিংহাসনে বসেন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। তিনি পঞ্জাবের সামান্য অংশের নাম মাত্র শাসক ছিলেন। সিংহাসন আরোহনের পর যাদের হাতে তার উৎপাটিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম এবং সবচেয়ে শক্তি শালী হলেন আদিল শাহের সেনাপতি হিমু। হিমু অসামান্য সামরিক যোগ্যতা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আগ্রা ও দিল্লি দখল করে বিক্রমাদিত্য উপাধি গ্রহণ করে দিল্লির সিংহাসন দখল করেন। এই প্রেক্ষিতে আকবর তার উপদেষ্টাদের কাবুলে ফিরবার পরামর্শ অগ্রাহ্য করে হিমুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে আকবরের অভিভাবক বৈরাম খাঁ- র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। বৈরাম খাঁ- র যোগ্য সেনাপতিত্বে তুলনামূলক ভাবে কম সৈন্য সম্পন্ন মুঘল বাহিনী হিমুর বিরাট বাহিনীকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়। হিমুর বহু যুদ্ধউপকরন এবং হাতি মুঘলদের হস্তগত হয়। বৈরাম খাঁ বন্দী হিমুর মাথা কেটে ( শিরচ্ছেদ ) করে হত্যা করে। পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ ভারতের ইতিহাসে সুদূর প্রসারী প্রভাব বিস্তার করেছিল। এই যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে আফগানদের ভারতে সার্বভৌম ক্ষমতা প্রতিষ্ট...

আকবরের গুজরাট অভিযান | Akbar Gujrat Conquest

 আকবরের গুজরাট অভিযান  বৈরাম খাঁর অভিভাবত্বকালেই আকবরের রাজ্য বিস্তারের সূচনা হয়েছিল। বৈরাম খাঁ- র ১৫৬০ খ্রিস্টাব্দে পদচ্যুতির পর আকবরের প্রথম সামরিক অভিযান পরিচালিত হয় মালব রাজ্যের বিরুদ্ধে । মালব ও রাজস্থান অধিকার করার পর আকবর পশ্চিম সমুদ্র উপকূলে তার আধিপত্য সম্প্রসারণে উৎসাহিত হন। তিনি ১৫৭২ খ্রিস্টাব্দে গুজরাট অভিযান করেন। গুজরাট ছিল শষ্য ও সম্পদে সমৃদ্ধ শালী প্রদেশ। সুলতানী যুগ থেকেই বস্ত্র শিল্পে গুজরাটের সুনাম ছিল। গুজরাটের উপকূল ভাগে কয়েকটি গুরুতবপূর্ণ বন্দর ছিল। তাই গুজরাটের প্রতি মুঘলদের দৃষ্টি অনেক আগে থেকেই ছিল। হুমায়ুনও গুজরাট অভিযান করে ছিলেন। আকবরের গুজরাট অভিযানের পশ্চাতে নিম্ন লিখিত কারণ গুলি উল্লেখ করা যায়ঃ i) বিদ্রোহী মির্জারা গুজরাটে আশ্রয় নিয়েছিল। ii) গুজরাট ছিল সমুদ্রপথে বহিঃ দেশের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান কেন্দ্র। iii) পর্তুগিজদের কার্যকলাপের উপর নজর রাখার জন্য গুজরাট অধিকার করার দরকার ছিল। iv) সর্বোপরি গুজরাটের আর্থিক সমৃদ্ধি ও বাণিজ্যঘাঁটিগুলি আকবরকে গুজরাট দখলে উৎসাহিত করে ছিল। সুলতান মুজাফফর শাহের শাসনকালে গুজরাটে অভ্যন্তরীণ গোলমাল চলছিল। এমনকি ...

আকবর ও অভিজাতদের মধ্যে সম্পর্ক | Akbar and the Mughal Nobility

 আকবর ও অভিজাতদের মধ্যে সম্পর্ক   মুঘল শাসনের প্রধান স্তম্ভ ছিল অভিজাত সম্প্রদায়। বাবর বা হুমায়ূনের সময়ে অভিজাত সম্প্রদায়ের কোনো সঠিক সংগঠন ছিল না। আকবরই ছিলেন প্রথম মুঘল শাসক যিনি অভিজাতদের সংগঠিত করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। উত্তরাধিকার সূত্রে আকবর যে অভিজাত সমাজকে পেয়েছিলেন তা প্রধানত ইরানি ও তুরানি এই দুই জাতি গোষ্ঠীর আমীরদের নিয়ে গঠিত। এদের মধ্যে তুরানীদের আধিপত্য বেশি ছিল বলে মুঘল অভিজাত সম্প্রদায় ছিল মূলত তুরানী বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। বৈরাম খাঁ, মির্জা নিজাত ও মির্জা হাসান ছাড়া অন্যান্য ইরানি আমিরগণ ছিলেন প্রভাব প্রতিপত্তিহীন। রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণে তাদের বিশেষ ভূমিকা থাকত না । বৈরাম খাঁ- র মৃত্যুর পর থেকে আকবরের শাসনতান্ত্রিক সংস্কারগুলি অধিকতর কার্যকর হতে শুরু হয়। ১৫৬০-৭৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দুটি স্থানীয় গোষ্ঠী রাজপুত ও ভারতীয় মুসলমানরা মুঘল অভিজাত সম্প্রদায়ের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে। এর ফলে অভিজাত গোষ্ঠীর মধ্যে একটা ভারসাম্য সৃষ্টি হয় এবং মুঘল প্রশাসনে তুরানি চরিত্র  ও চুগতাই পরম্পরার অবনমন ঘটে। ১৫৭৫-৯৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে অভিজাত সংগঠনের উপর করা সাম্প্রতিক ...

আকবরের স্থাপত্য কীর্তি | Mughal Architecture under Akbar

আকবরের স্থাপত্য কীর্তি মুঘল সম্রাটরা ছিলেন একান্তভাবে শিল্পমনস্ক। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতবর্ষে এক অভূতপূর্ব শিল্প সমন্বয় সাধনের সূচনা হয়েছিল। মুঘল স্থাপত্য শিল্পের গৌরবময় যুগের সূত্রপাত হয়েছিল আকবরের হাত ধরে। আকবরের পূর্বে বাবর ও হুমায়ুন যে শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক ছিলেন না এমনটা নয়। তবে তাদের সময় নানান রাজনৈতিক সংকটের জন্য সম্ভবত তারা এ বিষয়ে বিশেষ অগ্রগতি করতে পারেননি। যাইহোক আকবর স্থাপত্য নির্মাণে চরম অনুরাগ দেখিয়েছিলেন। পারস্য ও বাগদাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য গজনী হয়ে তুর্কি শাসকরা ভারতের মাটিতে যে ধারা বহন করে এনেছিলেন সেই ধারা আকবরের প্রচেষ্টাতেই প্রথম ভারতীয় জাতীয় ধারায় রূপান্তরিত হয়ে উৎকর্ষ লাভ করে। দেশীয় ও বিদেশী ধারার সংমিশ্রণে যে অভিনব শিল্পরীতির বিকাশ ঘটে তাকে ইন্দো-পারসিক শিল্পরীতি বলে অভিহিত করাই শ্রেয়। আকবর আগ্রা, লাহোর ও এলাহবাদে তিনটি বিরাট দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। আগ্রা দুর্গের ভিতর প্রায় ৫০০ টি লাল বেলেপাথরের অট্টালিকা নির্মিত হয়েছিল। এই অট্টালিকা গুলির মধ্যে বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। আজও পর্যন্ত যেগুলি ঠিকই আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো আকবরীমহল ও জাহাঙ্গীর...

আকবরের দাক্ষিণাত্য অভিযান | Deccan Policy of Akbar

আকবরের দাক্ষিণাত্য অভিযান  পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের পর থেকে মুঘলদের আত্মরক্ষার যুদ্ধ আর করতে হয়নি। এবার থেকে মুঘলরা সম্রাজ্য সম্প্রসারনের দিকে নজর দেয়। মুঘল সম্রাট আকবরের সময়ে সাম্রাজ্যের সর্বাধিক সম্প্রসারণ ঘটেছিল। প্রথমে উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকা দখলের পর দক্ষিণ ভারতের দিকে তিনি দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন। সাম্রাজ্য বিস্তারের পাশাপাশি পর্তুগীজদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ন্ত্রণ করাও তাঁর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল। দক্ষিণ ভারতে চারটি স্বাধীন রাজ্যের উপস্থিতি ছিল- আহম্মদনগর, বিজাপুর, খান্দেশ ও গোলকুণ্ডা। বাহমনী রাজ্যের পতনের পর তার বুকের উপর এই চারটি রাজ্যের উৎপত্তি হয়েছিল। এই চারটি রাজ্যের সম্মিলিত বাহিনী বিজয়নগর রাজ্যকে তালিকোটার যুদ্ধে (১৫৬৫ খৃ:) ধ্বংস করেছিল। এই চারটি রাজ্যকে আকবর তার অধীনতা স্বীকার করে নেওয়ার জন্য দূত প্রেরণ করেছিলেন। কিন্তু খান্দেশ ছাড়া কোন রাজ্যেই মুঘলদের অধীনে আসতে রাজী হয় নি। তাই আকবর দাক্ষিণাত্য অভিযানের জন্য মনস্থির করেন। আহাম্মদনগরের নাবালক সুলতান বাহাদুরকে বন্দি করে আমির গোষ্ঠীর চক্রান্তে আহম্মদ নামক এক যুবক নিজেকে সুলতান বলে ঘোষণা করে। কিন্তু প্রাক্তন সুলতান হুসেন শ...

হুমায়ুন এর রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ব্যর্থতা | Humayun

শাসক হিসেবে হুমায়ূনের কর্তৃত্বের আলোচনা কর?  শাসক হিসেবে হুমায়ূন কি কি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল? সেগুলি সমাধানে তিনি কতটা সফল হয়ে ছিলেন? ১৫৩০ খ্রিস্টাব্দে ২৬ শে ডিসেম্বর বাবরের মৃত্যুর ৪ দিন পর ৩০ শে ডিসেম্বর তার পুত্র হুমায়ূন ২৩ বছর বয়সে সিংহাসনে বসেন। সিংহাসন আরোহনের ৪ দিন বিলম্ব হওয়ায় পশ্চাতে কী কারন ছিল তা অনুসন্ধান করতে গিয়ে ঐতিহাসিকগণ দেখিয়েছেন যে, বাবরের ভগ্নিপতি মেহদি খাজা সিংহাসনের অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠেছিলেন। এই বিবাদের মিটমাট হতে সম্ভবত ৪ দিন বিলম্ব হয়েছিল। যাই হোক সিংহাসন আরোহনের পর হুমায়ূনকে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল এবং এই সমস্যাগুলির যথার্থ সমাধান করতে তিনি ব্যার্থ হয়েছিলেন। আফগান নেতা শের খাঁ - র সঙ্গে শক্তির পরীক্ষায় পরাস্ত হয়ে তাঁকে ১৫ বছর (পারস্যে) নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়। যদিও শের খাঁ- র উত্তরাধিকারিদের পরাজিত করে তিনি পুনর্বার সিংহাসন দখল করতে সক্ষম হন। হুমায়ুনের সমস্যাসমূহ বাবর হুমায়ূনের জন্য যে সাম্রাজ্য রেখে যান তা মধ্য এশিয়ার কিছু অংশ থেকে বর্তমান ভারতের পাঞ্জাব, মুলতান, উত্তর প্রদেশ, গোয়ালিয়র, ডোলপুর, বায়ানা এবং চান্দেরি পর্য...

CC9 HISTORY HONOURS SYLLABUS CU

 CC-9   History  of  India (c  1526  –  1605)  I.  Sources  and  Historiography:   (ইতিহাসের উপাদান ও ইতিহাসচর্চা) a)  Persian  literary  culture;  translations;  Vernacular  literary  traditions (  পারসিক সাহিত্য, অনুবাদ সাহিত্য এবং দেশীয় সাহিত্য) b)Modern  Interpretations ( আধুনিক ব্যাখ্যা) II.  Establishment  of  Mughal  rule:   ( মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা) a)  India  on  the  eve  of  Babur’s  Invasion (বাবরের অভিযান ও সে সময়কার ভারত) b)  Fire  arms,  military  technology  and  warfare ( কামান ও নতুন যুদ্ধ প্রযুক্তি) c)  Humayun’s  struggle  for  empire ( হুমায়ুনের লড়াই) d)  Sher  Shah  and  his  administrative  and  revenue  reforms ( শেরশাহ এবং তার শাসনতান্ত্রিক ও রাজস্ব সংস্কার) III.  Consolidation  of...

মনসবদারি ব্যবস্থা

 মনসবদারি ব্যবস্থা মনসব কথার আক্ষরিক অর্থ কোনো একটা জায়গা যেখানে কিছু লাগানো বা সাটানো আছে। মুঘল শাসন ব্যবস্থায় মনসব বলতে পদমর্যাদা বোঝাত। মনসবদারি ব্যবস্থা মুঘল সামরিক প্রশাসনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল, যেখানে একজন মনসবদার কে বেতন বা জাগিরের বিনিময় সম্রাটের জন্য সেনাবাহিনী পোষণ করতে হত। যেহেতু মুঘলদের নিরবচ্ছিন্নভাবে সামরিক অভিযানে লিপ্ত থাকতে হতো, তাই মনসবদারি ব্যবস্থা হয়ে উঠেছিল মুঘল সাম্রাজ্যের স্থায়িত্বের প্রধান ভিত্তি। ভারতে মনসবদারি ব্যবস্থার প্রবর্তক হলেন মুঘল সম্রাট আকবর। যদিও এই ব্যবস্থার শিকড় ছিল পারস্যে। বাবর তার সামরিক অফিসারদের মধ্যে জমি বন্টন করে দিতেন। কিন্তু তা মনসবদারি ব্যবস্থা ছিল না, তা ছিল অনেকটাই ওয়াঝ ব্যবস্থার সঙ্গে তুলনীয়। শিরিন মুসাভীর গবেষণায় দেখা গেছে আকবরের রাজত্বকালে চারটি পর্বে বিবর্তনের মধ্য দিয়ে মনসবদারি ব্যবস্থা তার পরিপূর্ণতা পেয়েছিল। প্রথমত, আকবরের রাজত্বকালের প্রথম দশ বছর পর্যন্ত সামরিক অফিসারদের মাইনে ইচ্ছামত ঠিক করা হতো এবং তাদের হাতে কত সংখ্যক ঘোরসওয়ার থাকবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম ছিল না। দ্বিতীয়তঃ 1566-67 খ্রিস্টাব্দ নাগাদ প্রতিটি মনসব...

শের শাহের শাসন সংস্কার

শের শাহের শাসন সংস্কার সাম্রাজ্য স্থাপনের পাশাপাশি শের শাহ তার পাঁচ বছরের রাজত্বকালে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। ভারতবর্ষে তিনি শাসনব্যবস্থার ক্ষেত্রে যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলি এনেছিলেন সেগুলি দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিল এবং মোঘলরাও তাকে অনুসরণ করেছিল। কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থায় শের শাহ নিজে হাতে গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোর ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতেন। তাঁর অধীনে চারজন মন্ত্রী কাজ করতেন – দেওয়ান-ই-উজিরৎ (রাজস্ব ও অর্থ মন্ত্রী), দেওয়ান-ই-আরজ (সামরিক বিষয়ক মন্ত্রী), দেওয়ান-ই-রিয়াসৎ (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) এবং দেওয়ান-ই-ইনসা (রাজকীয় ইশতেহার তৈরি ও প্রেরণ বিষয়ক মন্ত্রী)। মন্ত্রীরা ছিলেন কেবল সচিব মাত্র, নীতি নির্ধারণ বা মৌলিক পরিবর্তনের কোনো ক্ষমতা তাদের দেওয়া হয়নি। শেরশাহের শাসন ব্যবস্থার সর্বনিম্ন একক ছিল পরগনা। কতগুলি গ্রাম নিয়ে পরগনা গড়ে উঠত। গ্রামের শাসন ছিল মুকুদ্দম বা গ্রামপ্রধান এবং পাটোয়ারী হাতে। মুকুদ্দম আইন ও শাসন বিভাগ দেখাশোনা করতেন, পাটোয়ারী ছিল হিসাব রক্ষক। এরা সরকারী কর্মচারী ছিলেন না। এরা রাজস্বের একাংশ ভোগের শর্তে নিয...

Akbar's Rajput Policy | আকবরের রাজপুত নীতি

আকবরের রাজপুত নীতি আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় ভারতের আঞ্চলিক রাজ্যগুলির মধ্যে রাজপুতদের শক্তি ছিল সবচেয়ে বেশি। আবুল ফজলের বিবরণীতে তাদের সামরিক শক্তির বিবরন আছে। আকবর সহজেই উপলব্ধি করেন যে এই শক্তিশালী জনগোষ্ঠীকে শত্রু না বানিয়ে রাষ্ট্রপরিচালনায় এদের সহযোগী করে তোলাই সাম্রাজ্যের পক্ষে মঙ্গলজনক। তাই এক্ষেত্রে তিনি কূটনীতির আশ্রয় নিলেন। আকবরের রাজপুত নীতির তিনটি পর্ব লক্ষ্য করা যায়ঃ ১৫৭২ খ্রিস্টাব্দে গুজরাট অভিযান পর্যন্ত প্রথম পর্ব,  ১৫৭৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্ব এবং ১৫৭৮ এর পরে অবশিষ্ট বছরগুলি হলো তৃতীয় পর্ব। সুলতানি শাসনে একমাত্র আলাউদ্দিন খলজি ছাড়া কেউই রাজপুতদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেননি। হুমায়ুন অবশ্য বুঝেছিলেন যে স্থানীয় রাজন্যবর্গের সঙ্গে একটি স্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তোলা দরকার। এই উদ্দেশ্যে তিনি রাজপুতদের আফগান মিত্রতা থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। বৈরাম খাঁ নিজ আধিপত্য নিরঙ্কুশ করার জন্য চুগতাই অভিজাতদের দমন করে রাজপুতদের ক্ষমতার ভাগ দিয়েছিলেন। ১৫৬১-৬২ খ্রিস্টাব্দে আকবর রাজপুতনায় বিবাহ-কূটনীতি চালু করেছিলেন। সে সময় অম্বর-এর রাজা ভর...

Babur's Success | বাবরের সাফল্যের কারন

Please visit our Homepage and Subscribe us. Babur's Success | বাবরের সাফল্যের কারন  ভারতের মুঘল সম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জহিরউদ্দিন মোহাম্মদ বাবর। বাবর মধ্য এশিয়ায় সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠাতায় ব্যার্থ হয়েছিলেন। পিতৃ রাজ্য ফারঘানা থেকে  বিতাড়িত হয়ে পূর্ব দিকে ভাগ্যণ্বেষনের সন্ধানে রত ছিলেন। মধ্য এশিয়ায় সাম্রাজ্য বিস্তারের ধারাবাহিক ব্যর্থতা সত্ত্বেও তিনি, ভারতবর্ষে এক বিশাল অঞ্চল অধিকার করে মোগল সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেন। ভারতবর্ষে তার সাফল্যের পশ্চাতে নানা কারণ ছিল- 1) সুলতানি রাষ্ট্রের শেষের দিকে রাজনৈতিক সংহতি একেবারেই ভেঙে পড়েছিল। বহুলুল লোদীর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। ইব্রাহিম লোদীর শাসনকালে এই অনৈক্য চরম পর্যায়ে পৌঁছে ছিল। ইব্রাহিম লোদীর আচার-আচরণ আফগান সর্দারদের একেবারেই পছন্দের ছিল না। তাই তারা লোদীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল। 2) ভারতের সামরিক ব্যবস্থা বা শক্তি সেইসময় বিশ্বের নিরিখে ছিল একেবারেই পিছিয়ে। তীর-ধনুক, হস্তী বাহিনী, পদাতিক বাহিনী সম্বলিত আফগান ও রাজপুতরা বাবরের তুলনায় ছিল দুর্বল। তাছাড়া বিভিন্ন জাতিকে নিয়ে গড়ে তোলা সেনাবাহিনীতে কোন জাতীয...

Abd'al Quadir Badayuni | আব্দুল কাদের বদাউনি

Please visit our Homepage and Subscribe us. Abd'al Qadir Badayuni |  আব্দুল কাদের বদাউনি আকবরের রাজত্বকালে একজন বিখ্যাত লেখক হলেন আব্দুর কাদের বদাউনী। ফৌজবাদের বদায়ুন শহর থেকে এসেছিলেন তিনি। তাঁর লেখা বিখ্যাত গ্রন্থটি হল মুন্তাখাব উৎ তাওয়ারিখ। এই গ্রন্থে তিনটি খন্ড আছে, প্রথম খন্ডে বাবর ও হুমায়নের এর বিবরণ। দ্বিতীয় খন্ডে আকবর এর শাসনকালে বিবরণ। এবং তৃতীয় খন্ডে ইসলামের শাসক ও পণ্ডিতদের বিবরণ দিয়েছেন। আকবরের রাজত্বকাল সম্পর্কে চর্চা করার জন্য আবুল ফজলের পাশাপাশি বদাউনের এই গ্রন্থটি বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। বদাউনি ছিলেন মুঘল যুগের একজন শ্রেষ্ঠ পন্ডিত ব্যক্তি। তিনি সন্ত বাচ্চু, কবি ফৈজি এবং শেখ মুবারক এর কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। সঙ্গীত, ইতিহাস ও জ্যোতিষ শাস্ত্রে তার গভীর জ্ঞান ছিল তবে ইতিহাস ছিল তার পছন্দের বিষয়। বদায়ুনির পান্ডিত্যে  মুগ্ধ হয়ে আকবর তাকে দরবারের ইমাম পদে নিযুক্ত করেন । আকবর এর পৃষ্ঠপোষকতায় বাদায়ুনি বহু আরবি ও সংস্কৃত গ্রন্থ  ফার্সি ভাষায় অনুবাদ করেন, মহাভারতও তিনি পারসিক ভাষায় অনুবাদ করেন। আকবরের রাজত্বকাল এর বিবরণ দিতে গিয়ে বদাউনি অনেক ক্ষেত্র...

Abul Fazl | আবুল ফজল

Please visit our Homepage and Subscribe us.  Abul Fazl | আবুল ফজল মুঘল যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ লেখক এবং ঐতিহাসিক হলেন আবুল ফজল ।আবুল ফজল বিখ্যাত পারসিক পন্ডিত শেখ মুবারকের পুত্র। সম্রাট আকবরের অন্তরঙ্গ বন্ধু এবং মুঘল প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মচারী। ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনে তিনি ছিলেন উদার মানসিকতার অধিকারী এবং শান্তির নীতিতে বিশ্বাসী ।আকবরের নির্দেশেই তিনি ইতিহাস রচনার কাজ শুরু করেন। আবুল ফজলের রচিত দুটি বিখ্যাত গ্রন্থটি হল আকবরনামা ও আইন ই আকবরী। আকবরনামা তিনটি খন্ডে রচিত। প্রথম খন্ডে বর্ণিত হয়েছে তৈমুরের সময়কাল থেকে হুমায়ুনের সময়কাল পর্যন্ত রাজপরিবারের সাধারণ ইতিহাস। দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ডে রচিত হয়েছে আকবরের রাজত্বকাল এর ঘটনাবলী। আবুল ফজলের দ্বিতীয় গ্রন্থ আইন-ই-আকবরী ফার্সি ভাষায় লেখা। ব্ল্যাক ম্যান ও গারেট এটি কে ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন। গ্রন্থটি কার্যত একটি পরিসংখ্যানগত বিবরণ ।এখানে সাম্রাজ্যের আয়তন, জনসংখ্যা, শিল্প, কৃষি প্রভৃতি বিষয়ে বিশদভাবে বিবরণ লিপিবদ্ধ হয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ছবি এই গ্রন্থে স্থান পেয়েছে। তিনি ইতিহাস লিখবার ক্ষেত্রে তথ্য  সম্পর্কে যথেষ্ট...

আকবরের ধর্মনীতি

Please visit our  Homepage and Subscribe us. আকবরের ধর্মনীতি মুঘল শাসকদের মধ্যে ধর্ম বিষয়ে সবচেয়ে উদার মানসিকতার অধিকারী ছিলেন আকবর। রাষ্ট্রপরিচালনায় আকবরের পরধর্মসহিষ্ণুতার নীতি সুল-ই-কুল নামে পরিচিত। সুলতানি যুগ থেকে ভক্তি ও সুফিবাদী সাধকেরা যে সমন্বয়বাদী চিন্তাধারার প্রচলন  করেছিলেন আকবরের ধর্মনীতি ছিল তারই ফলশ্রুতি। আকবর উপলব্ধি করেছিলেন যে, বিশাল ভারতবর্ষ এর সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ হল হিন্দু। তাদের সহযোগিতা ছাড়া ভারতবর্ষে শক্তিশালী শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তাই তার পক্ষে সহিষ্ণুতার নীতি গ্রহণ না করে কোন উপায়ও ছিল না। Related posts   মহজরনামা  ||  ইবাদতখানা  ||  উলেমা ও আকবর  ||  সম্রাট আকবর আকবর তার প্রথম জীবনে ধর্মভীরু মুসলমান ছিলেন। নিয়মিত রোজা নামাজ পালন করতেন। ১৫৬২ খ্রিস্টাব্দে আজমীর থেকে ফেরার পথে  তিনি অম্বরের রাজা ভরমলের কন্যাকে বিবাহ করেন। এরপর থেকেই তিনি  এমন কিছু পদক্ষেপ নেন যার মাধ্যমে হিন্দু জনতার মন জয় করতে তিনি সক্ষম হয়েছিলেন। এই উদ্দেশ্যেই তিনি 1563 খ্রিস্টাব্দে তীর্থযাত্রা  কর রদ করেন। পরে...

মহজরনামা

Please visit our  Homepage and Subscribe us. মহজরনামা ইবাদতখানায় আলোচনা চলাকালীন 1579 খ্রিস্টাব্দে মে মাসে মহজর ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে বদাউনি নিজে উপস্থিত ছিলেন বলে এ প্রসঙ্গে তার বিবরণ যথেষ্ট প্রামাণ্য। ঘোষণাপত্রটির রচয়িতা ছিলেন আবুল ফজলের পিতা শেখ মোবারক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শেখ আব্দুন নবী এবং আব্দুল্লাহ সুলতানপুরী সহ মোট 7 জন বিখ্যাত আলেম। Akbar মহজরনামার বক্তব্য ছিল, সম্রাট এবার থেকে আমীর-আল-মুমিনীন বা মুমিনদের প্রধান, মানুষের আশ্রয়স্থল, বিশ্বাসীদের সেনাপতি ও পৃথিবীতে ভগবানের ছায়া। এগুলি ওই সময়ে খলিফাদের গুন। আবার এমনও বলা হল যে, ইসলামের বিভিন্ন ধারার মত ও তাদের প্রয়োগ নিয়ে মুজতাহিদ অর্থাৎ কোরানের বিধির ব্যাখ্যাকর্তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে, মানবজাতির কল্যাণ এবং সাম্রাজ্য শাসনের উদ্দেশ্যে সম্রাট যে কোনো একটি মত গ্রহণ করতে পারবেন এবং তা জারি করতে পারবেন। অবশ্য সেই বিধি কোরআন এবং হাদিসের ব্যাখ্যার পরিপন্থী হতে পারবে না। সেই বিধি সকলকেই মেনে চলতে হবে। তার বিরোধিতা করার অর্থ ঈশ্বরের বিরাগভাজন হওয়া। মহজর ঘোষণা প্রসঙ্গে ঐতিহাসিক ভিনসে...

আকবরের ইবাদতখানা

Please visit our Homepage and Subscribe us. আকবরের ইবাদতখানা আকবরের ধর্মনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল ইবাদতখানা স্থাপন। 1575 খ্রিস্টাব্দে আকবর ফতেপুর সিক্রিতে ইবাদতখানা স্থাপন করেন। শেখ আব্দুল্লাহ নিয়াজি নামে এক গুজরাটি সুফি সন্তের উপাসনাস্থলকে কেন্দ্র করে আকবর ধর্ম আলোচনার জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। এই বাড়িই ইবাদৎখানা নামে পরিচিত হয়। সম্রাটের প্রাসাদ থেকে এটা খুব বেশী দুরে ছিল না, যাতে আকবর সহজেই যাতায়াত করতে পারতেন। ইবাদতখানায় জেসুইটসরা 1573 সালের পর থেকে আকবরের ধর্মনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়।  তিনি সকল ধর্মের সার আহরণের কথা ভাবতে থাকেন। বদাউনীর মতে, উজবেক অভিজাতদের পরাজিত করার পর এবং মালব রাজস্থান গুজরাট জয়ের পর সাম্রাজ্যের বিশাল বিস্তার হয়েছিল এবং আকবরের বিরুদ্ধাচরণ করার মত কেউ ছিলেন না। সম্রাটের হাতে সময় ছিল। তাই বিভিন্ন মতাবলম্বী লোকেদের সঙ্গে আলোচনা করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ইবাদত খানায় ধর্মীয় আলোচনা করার ধারণা নতুন নয়। উমাইয়া এবং আব্বাসীয় খলিফাদের সময় এই ধরনের আলোচনার রেয়াজ ছিল। এমনকি ইসলাম ধর্মে আসার পর মোঙ্গলরাও এই ধরনের আলোচনা কর...

ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় বাবরের অবদান

Please comment and share. ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় বাবরের অবদান Babur ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জাহির উদ্দিন মহম্মদ বাবর। পিতৃরাজ্য ফারঘানা থেকে বিতাড়িত হয়ে ভাগ্যের অনুসন্ধানে ছিলেন। আফগানিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের সুযোগে 1504 খ্রিস্টাব্দে বাবর কাবুল অধিকার করেন। কাবুল জয়ের মাধ্যমে বাবরের দীর্ঘদিনের ভবঘুরে জীবনের অবসান ঘটে। বাবর ক্রমশ পূর্বদিকে ভাগ্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় রত হন। 1526 খ্রিস্টাব্দে পানিপথের প্রথম যুদ্ধে লোদী শাসককে পরাজিত করে ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেন । মাত্র চার বছরের শাসনকালে তিনি আফগান ও রাজপুতদের পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন, কিন্তু বিরোধী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করে সাম্রাজ্যের যথাযথ নিরাপত্তা বিধান করতে পারেনি।     লোদী সাম্রাজ্য অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে হয়ে দুর্বল পড়েছিল। ইব্রাহিম লোদীর প্রাদেশিক শাসকগণ , আফগান সর্দার এবং তার আত্মীয়রা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আরম্ভ করেছিল। রানা সঙ্গর নেতৃত্বে ইব্রাহিম লোদির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয় রাজপুতরা। এই রানা সঙ্গই  ভারত আক্রমণের জন্য  বাবর কে...

মুঘল কারখানা | Mughal Karkhana

Friends, if you like this post please comment and share it. মুঘল কারখানা | Mughal Karkhana মুঘল যুগে আজকের মত বৃহদায়তন শিল্পের অস্তিত্ব ছিল না। তবে গ্রামীণ কুটির শিল্প ছাড়াও সরকারি তত্ত্বাবধানে বা কোন অভিজাতের ব্যক্তিগত উদ্যোগে যে অতি উন্নত মানের উৎপাদন ব্যবস্থা সে যুগে চালু ছিল তাকে সমসাময়িক বিবরণীতে 'কারখানা' নামে অভিহিত করা হয়েছে। 'আইন-ই-আকবরী' ও 'আকবরনামা' গ্রন্থে 'কারখানা'র উল্লেখ রয়েছে। ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্যে এই ধরনের রাষ্ট্রীয় কারখানার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। মৌর্যদের শাসনে এবং সুলতানি শাসনে এরকম কারখানা গড়ে তোলা হত। অভিজাত তথা শাসক শ্রেণীর বিলাসবহুল জীবন যাত্রায় অজস্র পণ্যের প্রয়োজন হত। বৃহৎ আয়তন উৎপাদন ব্যবস্থার অভাবে রাষ্ট্রই সর্ববৃহৎ উৎপাদকে পরিণত হয়েছিল।           প্রস্তাবিত টপিকগুলি  Suggested Topics || মুঘল হারেম || Mughal Harem || ,  || ঝরোকা দর্শন || Jharoka || ,  || মুঘল জমিদার || Mughal Jamindar || ,  || মুঘল কৃষক || Mughal Cultivators || ,  ||Bell of Justice|| বিচারের ঘণ্টা||   সপ...