সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

GE3 লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মুঘলদের পতন সংক্রান্ত ব্যখ্যা | Historical Debate on the Fall of Mughal Empire

মুঘলদের পতন  ১৫২৬ খ্রিঃ পানিপথের যুদ্ধে বাবরের জয়লাভের মাধ্যমে ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের যাত্রা শুরু হয় এবং মহান আকবরের শাসনকালে মুঘল সাম্রাজ্য তার ভিত মজবুত করতে সক্ষম হয়। সপ্তদশ শতকে মুঘল সাম্রাজ্যের কেন্দ্রীয় শহর দিল্লি সমগ্র পূর্ব গোলার্ধের ক্ষমতার অন্যতম কেন্দ্র হিসাবে বিবেচিত হত। কিন্তু ১৭০৭ খ্রিঃ মহান ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর এই সাম্রাজ্যের ক্রমিক অবক্ষয়ের সূচনা হয় এবং আগামী ৫০ বছরের মধ্যে এর পড়ন্ত অবস্থার লক্ষনগুলি সুস্পষ্ট হয়ে যায়। উপযুক্ত সংস্কারের অভাবে সাম্রাজ্যের সামরিক ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। মারাঠারা সাম্রাজ্যের অভ্যন্তরে লুঠপাঠ চালাতে থাকে। পরপর দুটি বিদেশি অক্রমণ প্রতিরোধে ব্যর্থতা, পারস্যের নাদির শাহের আক্রমণ (১৭৩৮-৩৯) এবং আহম্মদ শাহ আবদালির নেতৃত্ব আফগান আক্রমণ (১৭৫৬-৫৭) মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতাপ ও মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করে।   মুঘলদের পতনের কারন অনুসন্ধান করতে গিয়ে একসময় ব্যক্তিবিশেষের ভূমিকাকে বড় করে দেখা হত। মনে করা হত দুর্বল উত্তরাধিকারী, যোগ্য নেতৃত্বের অভাব, ঔরঙ্গজেবের ভ্রান্ত নীতি ইত্যাদি কারনে সাম্রাজ্যের অবনতি ঘটে। কিন্তু সাম্প্রতিক কালের ইতিহাস চর্চায় স...

আদি মধ্যযুগের ইতিহাস চর্চায় সাহিত্যিক উপাদান | Literary Sources in the Study of Early Medieval History

আদি মধ্যযুগের ইতিহাস চর্চায় সাহিত্যিক উপাদান সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতক পর্যন্ত ভারতবর্ষে  আদি মধ্যযুগ। এই যুগে রচিত ইতিহাস গ্রন্থ বলতে একমাত্র রাজতরঙ্গিনী ।  তবে ইতিহাস গ্রন্থের অভাব থাকলেও ইতিহাস চর্চা অসাধ্য হয় নি। সাহিত্যিক উপাদানের বহুল উপস্থিতি এবং বহু লিপি ও মুদ্রা এই পর্বের ইতিহাস চর্চায় কাজে আসে। আদি মধ্যযুগের সবচেয়ে বড় উপাদান হল জীবনী সাহিত্য । এই পর্বে রাজার গুণকীর্তন করে প্রচুর জীবনচরিত লেখা হয়। চালুক্য রাজ ষষ্ঠ বিক্রমাদিত্যের  জীবন নিয়ে  বিক্রমাঙ্কদেবচরিত   রচনা করেছেন বিলহন। সন্ধ্যাকর নন্দী রচনা করেছিলেন রামচরিত । এটি দ্ব্যর্থক ভাষায় লেখা। এখানে পাল রাজা রামপাল এবং ভগবান রামচন্দ্রের কাহিনী দ্ব্যর্থক ভঙ্গিতে বর্ণিত হয়েছে। জৈন গুরু জয়সিংহ দ্বাদশ শতকের চালুক্য বংশীয় শাসক কুমার পালের জীবনী কুমারপালচরিত রচনা করেছিলেন। সিন্ধু রাজা নবশশাঙ্কের জীবনী নবশশাঙ্কচরিত রচনা করেছেন পদ্মগুপ্ত। এছাড়াও আছে চাঁদ বরদৈ রচিত পৃথ্বীরাজ রাসো । এই জীবন রচিত গুলির নিরপক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কারন এ ক্ষেত্রে প্রভুর প্রতি পক্ষপাতিত্ব থেকে যায়। তাই জীবনচরিতের তথ্...

শশাঙ্ক | Shashanka

 শশাঙ্ক  সপ্তম শতকের প্রথমার্ধ বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য পর্ব। এই সময় বাংলায় শশাঙ্ক নামে এক রাজনৈতিক নেতার আবির্ভাব হয়, যার নেতৃত্বে গৌড়কে কেন্দ্র করে বাংলা উত্তর ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হয়। শশাঙ্ক ও তাঁর রাজত্বকাল সম্পর্কে তথ্য প্রদানকারী প্রধান দুটি উপাদান হল হিউয়েন সাং এর বিবরনী এবং বাণভট্টের হর্ষচরিত । এঁরা দুজনেই কনৌজ ও থানেশ্বরের রাজা হর্ষবর্ধনের অনুগ্রহভাজন ছিলেন। তাই এই দুটি উপাদান শশাঙ্ক সম্পর্কে অনেক ক্ষেত্রে পক্ষপাতদুষ্ট মন্তব্য করেছে। এছড়া রয়েছে বৌদ্ধ গ্রন্থ আরযমঞ্জুশ্রীমূলকল্প এবং শশাঙ্কের গঞ্জাম লেখ, মেদিনীপুর লেখ এবং কিছু মুদ্রা।  পরবর্তী গুপ্ত শাসনে পূর্ববঙ্গ স্বাধীন হয়ে গেছিল। কেবল উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গ তাঁদের অধীনে ছিল। কিন্তু নিয়ন্ত্রন শিথিল হয়ে পড়েছিল। এই সময়েই শশাঙ্কের আবির্ভাব হয়। বেশিরভাগ ঐতিহাসিকের ধারণা শশাঙ্ক পরবর্তী গুপ্ত শাসকদের অধীনস্ত বাংলার শাসনকর্তা ছিলেন। পরবর্তী গুপ্ত শাসকদের দুর্বলতার ফলে সাম্রাজ্যে ভাঙ্গন দেখা দিলে শশাঙ্ক গৌড় দেশে নিজেকে স্বাধীন নরপতি রূপে প্রতিষ্ঠা করেন। পন্ডিত রাখালদাস বন্দ...

মুঘল স্থাপত্যকলায় শাহ জাহানের অবদান | Mughal Architecture under Shah Jahan

মুঘল স্থাপত্যকলায় শাহ জাহানের অবদান | Mughal Architecture under Shah Jahan ভারতবর্ষের স্থাপত্যকলার ইতিহাসে শাহ জাহানের রাজত্বকাল স্বর্ণযুগ। মুঘল আমলে জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে যেমন চিত্রকলার চরম বিকাশ ঘটেছিল তেমন শাহাজাহানের রাজত্বকালে মুঘল স্থাপত্য শিল্প উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছেছিল। তাঁর পূর্বপুরুষ মহান আকবরের সময় থেকে মুঘল স্থাপত্যের জয় যাত্রা শুরু হয়েছিল, কিন্তু জাহাঙ্গীর চিত্রশিল্পে অত্যধিক নজর দেওয়ায় স্থাপত্য নির্মাণ অবহেলিত হয়েছিল। শাহ জাহান আবার নতুন উদ্যমে স্থাপত্য নির্মাণ শুরু করেন। পূর্বসূরিদের অনুসৃত নির্মাণশৈলী থেকে সরে এসে এক নতুন আঙ্গিকে নির্মাণকার্য শুরু হয়। শাহ জাহানের প্রথম জীবনের নির্মাণগুলি সবই আগ্রা দুর্গের অভ্যন্তরে অবস্থিত। আগ্রা দুর্গের ভিতরে তিনি দেওয়ান-ই-আম, দেওয়ান-ই-খাস, মতি মসজিদ, শিসমহল, মুসম্মান বারজ নির্মাণ করেন। ১৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি দিল্লির কাছে শাহজাহানাবাদ নামে প্রাসাদ-দূর্গ সহ শহর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই নির্মাণ কাজ চলে। আগ্রা দুর্গের অনুকরণে এখানে লাল বেলেপাথর দিয়ে নির্মিত হয় লালকেল্লা। এই দুর্গের দুটি প্রবেশ পথ-- পশ্চিম দিক...

ফ্রাঁসোয়া বার্নিয়ের রচনা | François Bernier

ফ্রাঁসোয়া বার্নিয়ের রচনা | François Bernier আকবরের রাজত্বকাল থেকেই মুঘল দরবারের সঙ্গে ইউরোপীয়দের যোগাযোগের সূচনা হয়। শাহজাহানের দরবারে কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ইউরোপীয় পর্যটকের আগমন হয়েছিল। এরা হলেন ট্যাভার্নিয়ে, পিটার মান্ড্‌ মানুচি এবং বার্নিয়ে। বার্নিয়ে ছিলেন একজন ফরাসি চিকিৎসক। শাহজাহানের রাজত্বকালের শেষ দিকে, ১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দে উত্তরাধিকারী দ্বন্দ্বের সময় তিনি ভারতবর্ষে এসেছিলেন এবং ১৬৬৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি এদেশে ছিলেন। তার লেখা বিতর্কিত গ্রন্থটি হল The War of Succession of 1658 . এই গ্রন্থটি একসময় নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে বিবেচিত হলেও আধুনিক ঐতিহাসিকরা এই গ্রন্থের ঐতিহাসিক নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অন্যান্য ইউরোপীয় পর্যটকদের মত বার্নিয়েও তাঁর স্বদেশের সাথে ভারতের তুলনা করতে গিয়ে ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির অবমুল্যায়ন করেছেন। তিনি লিখেছেন ভারতে কোনো রাষ্ট্র নেই। এখানে সিংহাসনের উত্তরাধিকার নিয়ে প্রবল দ্বন্দ্ব চলে। জ্যেষ্ঠ পুত্রের উত্তরাধিকার স্বীকৃত থাকলে এমন হত না। আসলে বার্নিয়ে যখন ভারতে এসেছিলেন তখন শাহাজাহানের পুত্রদের মধ্যে উত্তরাধিকার দ্বন্দ্ব চলছিল...

মুঘল চিত্রকলায় জাহাঙ্গিরের অবদান | Mughal Miniature Paintings in Jahangir's Time

মুঘল চিত্রকলায় জাহাঙ্গিরের অবদান মুঘল চিত্রকলাকে বলা হয় ইন্দো-পারসিক চিত্রকলা। হুমায়নের হাত ধরে প্রথম এই ইন্দো-পারসিক চিত্রকলার সূচনা হয় এবং আকবরের রাজত্বকালে তা বিকশিত হয়। কিন্তু জাহাঙ্গিরের রাজত্বকাল ছিল মুঘল চিত্রকলার স্বর্ণযুগ। জাহাঙ্গির ছিলেন অসম্ভব প্রকৃতিপ্রেমিক। নিসর্গ প্রকৃতির টানে তিনি ১৯ বার কাশ্মীর গিয়েছিলেন। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় অঙ্কিত চিত্রকলায় তাই প্রাকৃতিক দৃশ্য সবথেকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। তবে পশুপাখির চিত্র, বিশিষ্ঠ ব্যক্তির অবয়ব বা রাজনৈতিক ঘটনাবলী একেবারে বাদ যায় নি।  জাহাঙ্গিরের দরবারের প্রধান শিল্পী ছিলেন হিরাটের আগা রিজা। ইনি প্রখ্যাত চিত্রকর আবু-ই-হাসানের পুত্র। তাঁর দরবারের অন্যান্য চিত্রকরদের মধ্যে ছিলেন ফারুক বেগ, আব্দুস সামাদ, মহম্মদ নাদির, মহম্মদ মুরাদ, উস্তাদ মনসুর, মনোহর, বিষণ দাস, গোবর্ধন, আবুল হাসান, বিচিত্র প্রমুখ। এদের মধ্যে উস্তাদ মনসুরের কথা উল্লেখ করতেই হয়। ইনি পশুপাখির একেবারে জীবন্ত চিত্র এঁকে দিতে পারতেন। তাঁর আঁকা সাইবেরিয়ান সারস একটি বিস্ময়কর সৃষ্টি। কলকাতা মিউজিয়ামে এটি সংরক্ষিত আছে। রঙের ব্যবহারে সিদ্ধহস্ত ছিলেন আবুল হাসান। প্রতিকৃতি অঙ্কনে...

ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিনাত্য নীতি | Decan Policy of Aurangazeb

ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিনাত্য নীতি ঔরঙ্গজেব তাঁর শাসনের প্রথম দিকে বেশিরভাগ সময় উত্তর ভারতীয় রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্য দক্ষিণ ভারতের দিকে বিশেষ নজর দিতে পারেননি। এই অবসরে দক্ষিণ ভারতে একটি জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। দক্ষিণ ভারতের দুটি স্বাধীন রাজ্য বিজাপুর ও গোলকুণ্ডা ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছিল। এই সুযোগে মারাঠা জাতি শিবাজীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল এবং মুঘল বিরোধিতার নজির স্থাপন করেছিল। ইতিমধ্যে শাহজাদা আকবর বিদ্রোহ করেছিলেন এবং শিবাজীর পুত্র শম্ভূজীর দরবারে গিয়ে আশ্রয় নেন। এই পরিস্থিতিতে আওরঙ্গজেব মূলত দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে; প্রথমত বিজাপুর ও গোলকুণ্ডাকে সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা এবং নবউত্থিত মরাঠা শক্তির বিলোপসাধনের জন্য দাক্ষিণাত্য অভিযানের সিদ্ধান্ত নেন। ১৬৮১ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট স্বয়ং দাক্ষিণাত্য আসেন।আহম্মদনগর থেকে অভিযান পরিচালনা করার ব্যবস্থা হয়। ইতিমধ্যে শিবাজীর মৃত্যু ঘটে। কিন্তু শম্ভূজীর নেতৃত্বে মারাঠারা তখনও বেশ শক্তিশালী। পরপর চারটি অভিযানে আওরঙ্গজেব মারাঠাদের কতগুলি দুর্গ দখল ছাড়া কিছুই করতে পারিনি বা শাহজাদা আকবরকেও ধরা যায়নি। ১৬৮৩ খ্রিস্টাব্দে শম্ভূজী ঔরঙ্গজেব...

মুঘল- শিখ সম্পর্ক | Mughal-Sikh Relation

মুঘল- শিখ সম্পর্ক শিখ ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন গুরু নানক। পঞ্চদশ শতকে তারই হাত ধরে একটি পৃথক ধর্মীয় সম্প্রদায় হিসেবে শিখদের আবির্ভাব ঘটে। এই ধর্মের উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল কুসংস্কার ও জাতিভেদের বিরোধিতা করা এবং ধর্মের দরজা হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের জন্য উন্মুক্ত করা।        শিখদের প্রথম গুরু ছিলেন নানক। নানকের মৃত্যুর পর গুরু পদে অধিষ্ঠিত হন গুরু অঙ্গদ। গুরু অঙ্গদ থেকে গুরু অর্জুন পর্যন্ত মুঘলদের সঙ্গে শিখদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় ছিল। গুরু রামদাসের সময় মুঘল সম্রাট আকবর পাঁচ বিঘা জমি দান করেছিলেন, সেখানে অমৃতসর নামে একটি পুকুর খনন করে পুকুর সংলগ্ন এলাকায় হরিমন্দির নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। ক্রমশ এই মন্দির এবং অমৃতসর হয়ে ওঠেছিল শিখ সম্প্রদায়ের আধ্যাত্মিক উপাসনার কেন্দ্র। গুরু রামদাসের অনুরোধে আকবর পাঞ্জাবে এক বছরের রাজস্বও মুকুব করে দিয়েছিলেন। জাহাঙ্গীরের পারিবারিক দ্বন্দ্বে গুরু অর্জুনের নাক গলানোর ফলে মুঘলদের সঙ্গে শিখদের  এতদিন যে শ্রদ্ধা ও আস্থার সম্পর্ক ছিল তাতে ফাটল ধরে। জাহাঙ্গীরের পুত্র খসরু বিদ্রোহ করলে গুরু অর্জুন তাকে সহযোগিতা ও আশ্রয় প্রদান ...

মুঘল যুগে কৃষি প্রযুক্তি | Technology in Mughal Agriculture

মুঘল যুগে কৃষি প্রযুক্তি বর্তমানের মতো মুঘল আমলেও ভারত ছিল কৃষিনির্ভর দেশ। ৭৫ শতাংশের বেশি মানুষের কৃষির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক ছিল। মুঘল যুগে কৃষির সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সেচব্যবস্থা ও  প্রযুক্তি বিজ্ঞানের অবদান অনস্বীকার্য।  আবুল ফজল , মানুচি,  সুজন রাই ভান্ডারী প্রমুখের রচনা থেকে সেই যুগে প্রচলিত কৃষি প্রযুক্তি সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়। ভারতীয় লাঙ্গল ইউরোপীয়দের কাছে অজানা ছিল। ফ্রায়ার লিখেছেন অধিকাংশ ক্ষেত্রে লাঙলে লোহার বদলে কাঠের ফলা ব্যবহার করা হত, কারণ লোহা ছিল দুর্লভ এবং মাটি ছিল নরম। তবে ইরফান হাবিবের মতে তা একমাত্র উপকূলবর্তী অঞ্চলেই সম্ভব ছিল, কারণ দেশের অভ্যন্তরে শক্ত মাটিতে লোহা অপরিহার্য ছিল।তিনি আরও দেখিয়েছেন, সে সময়ে ভারতে লোহার দর ১৯৯৪ এর দরের তিন গুণের বেশি ছিল না। বীজ রুয়ে চাষ ভারতের পুরনো রীতি। তুহফাত- ই- পাঞ্জাব গ্রন্থে বলা হয়েছে, মাটি ৮ মাস ধরে চষে ইক্ষু চাষের উপযোগী করতে হত। একে আথমাস বলা হত। নোল টেনে মাটি সমান করতে সোহাগা প্রযুক্তির ব্যবহার হত। দুটি বলদের কাঁধের জোয়াল থেকে দুটি দড়ি এসে একটি তক্তার দু'পাশে যুক্ত হত। হালিক এই তক্তায় দাঁড়িয়ে বলদ...

B.A. SYLLABUS, CC3/GE3,CU

 UG General course CC3/GE3 Syllabus(CU) History of India from 1206-1707 I. Foundation, Expansion &consolidation of the Delhi Sultanate; Nobility &Iqta system.  II.Miltary, administrative &economic reforms under the Khiljis &the Tughlaqs.  III. Bhakti &Sufi Movements. IV.Provincialkingdoms: Mewar, Bengal, Vijaynagara &Bahamanis.  V. Second Afghan State.  VI. Emergence and consolidation of Mughal State, C.16th century to mid 17th century.  VII. Akbar to Aurangzeb: administrative structure-Mansab & Jagirs, State &Religion, Socio-Religious Movements.  VIII. Economy, Society &Culture under the Mughals.  IX. Emergence of Maratha Power. click here to buy suggested book 1. A Comprehensive History of Medieval India from Twelfth to the Mid Eighteenth Century  by   Salma Farooqui   (Author) 2.   ভারতের ইতিহাসঃ ১২০৬-১৭০৭ ১. দিল্লিতে সুলতানি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা, সম্প্রসারণ এবং সুদৃঢ়করণ  কুতুবুদ্...

শের শাহের শাসন সংস্কার

শের শাহের শাসন সংস্কার সাম্রাজ্য স্থাপনের পাশাপাশি শের শাহ তার পাঁচ বছরের রাজত্বকালে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। ভারতবর্ষে তিনি শাসনব্যবস্থার ক্ষেত্রে যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলি এনেছিলেন সেগুলি দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিল এবং মোঘলরাও তাকে অনুসরণ করেছিল। কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থায় শের শাহ নিজে হাতে গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোর ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতেন। তাঁর অধীনে চারজন মন্ত্রী কাজ করতেন – দেওয়ান-ই-উজিরৎ (রাজস্ব ও অর্থ মন্ত্রী), দেওয়ান-ই-আরজ (সামরিক বিষয়ক মন্ত্রী), দেওয়ান-ই-রিয়াসৎ (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) এবং দেওয়ান-ই-ইনসা (রাজকীয় ইশতেহার তৈরি ও প্রেরণ বিষয়ক মন্ত্রী)। মন্ত্রীরা ছিলেন কেবল সচিব মাত্র, নীতি নির্ধারণ বা মৌলিক পরিবর্তনের কোনো ক্ষমতা তাদের দেওয়া হয়নি। শেরশাহের শাসন ব্যবস্থার সর্বনিম্ন একক ছিল পরগনা। কতগুলি গ্রাম নিয়ে পরগনা গড়ে উঠত। গ্রামের শাসন ছিল মুকুদ্দম বা গ্রামপ্রধান এবং পাটোয়ারী হাতে। মুকুদ্দম আইন ও শাসন বিভাগ দেখাশোনা করতেন, পাটোয়ারী ছিল হিসাব রক্ষক। এরা সরকারী কর্মচারী ছিলেন না। এরা রাজস্বের একাংশ ভোগের শর্তে নিয...

বক্সারের যুদ্ধ: প্রেক্ষাপট, কারণ ও গুরুত্ব | Battle of Buxar: Background & Importance

বক্সারের যুদ্ধ: প্রেক্ষাপট, কারন ও গুরুত্ব  পলাশীর যুদ্ধে সিরাজকে ক্ষমতাচ্যুত করে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মীরজাফরকে বাংলা নবাব করেছিল। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই মীরজাফর এর সঙ্গে ইংরেজদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তখন তারা মীর জাফরের জামাতা মীর কাসিমের সাথে গোপন চুক্তি করে তাকে বাংলার মসনদে বসান(১৭৫৯)। বিনা যুদ্ধে এহেন রাজা বদল এর ঘটনা বাংলার ইতিহাসে রক্তপাতহীন বিপ্লব নামে পরিচিত। মসনদে অধিষ্ঠিত হয়ে মীর কাসেম চুক্তিমতো ইংরেজদের সমস্ত পাওনা মিটিয়ে দেন। মেদিনীপুর, বর্ধমান ও চট্টগ্রামের জমিদারি, নগদ দশ লক্ষ টাকা এবং উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের 29 লক্ষ টাকা উপঢৌকন দিয়ে দেন। এরপর তিনি রাজ্যের শক্তি বৃদ্ধির দিকে নজর দেন। অবাধ্য কর্মচারী বিহারের দেওয়ান রাম নারায়নকে পদচ্যুত করে হত্যা করেন। রাজধানী মুর্শিদাবাদ থেকে বিহারের মুঙ্গেরে স্থানান্তর করেন। সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য সেনাবাহিনীকে ইউরোপীয় প্রথায় শিক্ষিত করার উদ্যোগ নেন। সমরু, মার্কার ও জেন্টিল নামে তিন ইউরোপীয় সেনাপতি কে নিয়ে আসা হয়। মুঙ্গেরে একটি কামান ও বন্দুকের কারখানাও খোলেন। জগত সেঠ ও তার মতো অসৎ ব্যাংকারদের নতুন ব্যবস্...

Akbar's Rajput Policy | আকবরের রাজপুত নীতি

আকবরের রাজপুত নীতি আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় ভারতের আঞ্চলিক রাজ্যগুলির মধ্যে রাজপুতদের শক্তি ছিল সবচেয়ে বেশি। আবুল ফজলের বিবরণীতে তাদের সামরিক শক্তির বিবরন আছে। আকবর সহজেই উপলব্ধি করেন যে এই শক্তিশালী জনগোষ্ঠীকে শত্রু না বানিয়ে রাষ্ট্রপরিচালনায় এদের সহযোগী করে তোলাই সাম্রাজ্যের পক্ষে মঙ্গলজনক। তাই এক্ষেত্রে তিনি কূটনীতির আশ্রয় নিলেন। আকবরের রাজপুত নীতির তিনটি পর্ব লক্ষ্য করা যায়ঃ ১৫৭২ খ্রিস্টাব্দে গুজরাট অভিযান পর্যন্ত প্রথম পর্ব,  ১৫৭৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্ব এবং ১৫৭৮ এর পরে অবশিষ্ট বছরগুলি হলো তৃতীয় পর্ব। সুলতানি শাসনে একমাত্র আলাউদ্দিন খলজি ছাড়া কেউই রাজপুতদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেননি। হুমায়ুন অবশ্য বুঝেছিলেন যে স্থানীয় রাজন্যবর্গের সঙ্গে একটি স্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তোলা দরকার। এই উদ্দেশ্যে তিনি রাজপুতদের আফগান মিত্রতা থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। বৈরাম খাঁ নিজ আধিপত্য নিরঙ্কুশ করার জন্য চুগতাই অভিজাতদের দমন করে রাজপুতদের ক্ষমতার ভাগ দিয়েছিলেন। ১৫৬১-৬২ খ্রিস্টাব্দে আকবর রাজপুতনায় বিবাহ-কূটনীতি চালু করেছিলেন। সে সময় অম্বর-এর রাজা ভর...

Khalji Revolution | খলজি বিপ্লব

খলজি বিপ্লব জালাল উদ্দিন খলজি নেতৃত্বে খলজীগন ইলবারি তুর্কিদের বিরুদ্ধে জয় লাভ করলে ইলবারি তুর্কিদের হাত থেকে দিল্লির ক্ষমতা খলজি বংশের হাতে হস্তান্তরিত হয় ( ১২৯০ খৃঃ )। বলবনের পুত্র কায়কোবাদকে পরাস্ত করে খলজীরা ক্ষমতা দখল করেছিল। দিল্লিতে খলজীদের এই ক্ষমতা দখলকে আর. পি. ত্রিপাঠী ও এস কে লাল প্রমূখ ঐতিহাসিক 'খলজি বিপ্লব' নামে অভিহিত করেছেন। খলজি গণ তুর্কি বংশোদ্ভূত ছিল কিনা তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিতর্ক আছে। জিয়াউদ্দিন বারানী খলজি গনকে তুর্কি জাতি থেকে সম্পূর্ণ পৃথক ও স্বতন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন।ঐতিহাসিক নিজামুদ্দিন মনে করেন খলজীরা চেঙ্গিস খানের জামাতা কুলিজ খানের বংশধর। তবে অধিকাংশ ঐতিহাসিক মনে করেন খলজীরা তুর্কিদের একটি শাখা। আফগানিস্তানের হেলমন্দ নদীর উভয় তীর খলজ নামে পরিচিত ছিল। এখানে যেসব খলজীরা বসবাস করত তারা খলজী নামে পরিচিত হয়। দীর্ঘদিন আফগানিস্তানে থাকার ফলে এদের ভিতর আফগানি বৈশিষ্ট লক্ষ্য করা গেছিল।    তাবকত-ই-নাসিরি থেকে জানা যায়, খলজীগন সুলতান মাহমুদ ও মোহাম্মদ ঘরির সময় থেকেই ভারতে এসেছিলেন। তারা ধীরে ধীরে তুর্কি সুলতানদের অধীনে চাকরি গ্রহণ করেন, জালাল উদ্দ...

Babur's Success | বাবরের সাফল্যের কারন

Please visit our Homepage and Subscribe us. Babur's Success | বাবরের সাফল্যের কারন  ভারতের মুঘল সম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জহিরউদ্দিন মোহাম্মদ বাবর। বাবর মধ্য এশিয়ায় সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠাতায় ব্যার্থ হয়েছিলেন। পিতৃ রাজ্য ফারঘানা থেকে  বিতাড়িত হয়ে পূর্ব দিকে ভাগ্যণ্বেষনের সন্ধানে রত ছিলেন। মধ্য এশিয়ায় সাম্রাজ্য বিস্তারের ধারাবাহিক ব্যর্থতা সত্ত্বেও তিনি, ভারতবর্ষে এক বিশাল অঞ্চল অধিকার করে মোগল সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেন। ভারতবর্ষে তার সাফল্যের পশ্চাতে নানা কারণ ছিল- 1) সুলতানি রাষ্ট্রের শেষের দিকে রাজনৈতিক সংহতি একেবারেই ভেঙে পড়েছিল। বহুলুল লোদীর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। ইব্রাহিম লোদীর শাসনকালে এই অনৈক্য চরম পর্যায়ে পৌঁছে ছিল। ইব্রাহিম লোদীর আচার-আচরণ আফগান সর্দারদের একেবারেই পছন্দের ছিল না। তাই তারা লোদীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল। 2) ভারতের সামরিক ব্যবস্থা বা শক্তি সেইসময় বিশ্বের নিরিখে ছিল একেবারেই পিছিয়ে। তীর-ধনুক, হস্তী বাহিনী, পদাতিক বাহিনী সম্বলিত আফগান ও রাজপুতরা বাবরের তুলনায় ছিল দুর্বল। তাছাড়া বিভিন্ন জাতিকে নিয়ে গড়ে তোলা সেনাবাহিনীতে কোন জাতীয...

Abd'al Quadir Badayuni | আব্দুল কাদের বদাউনি

Please visit our Homepage and Subscribe us. Abd'al Qadir Badayuni |  আব্দুল কাদের বদাউনি আকবরের রাজত্বকালে একজন বিখ্যাত লেখক হলেন আব্দুর কাদের বদাউনী। ফৌজবাদের বদায়ুন শহর থেকে এসেছিলেন তিনি। তাঁর লেখা বিখ্যাত গ্রন্থটি হল মুন্তাখাব উৎ তাওয়ারিখ। এই গ্রন্থে তিনটি খন্ড আছে, প্রথম খন্ডে বাবর ও হুমায়নের এর বিবরণ। দ্বিতীয় খন্ডে আকবর এর শাসনকালে বিবরণ। এবং তৃতীয় খন্ডে ইসলামের শাসক ও পণ্ডিতদের বিবরণ দিয়েছেন। আকবরের রাজত্বকাল সম্পর্কে চর্চা করার জন্য আবুল ফজলের পাশাপাশি বদাউনের এই গ্রন্থটি বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। বদাউনি ছিলেন মুঘল যুগের একজন শ্রেষ্ঠ পন্ডিত ব্যক্তি। তিনি সন্ত বাচ্চু, কবি ফৈজি এবং শেখ মুবারক এর কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। সঙ্গীত, ইতিহাস ও জ্যোতিষ শাস্ত্রে তার গভীর জ্ঞান ছিল তবে ইতিহাস ছিল তার পছন্দের বিষয়। বদায়ুনির পান্ডিত্যে  মুগ্ধ হয়ে আকবর তাকে দরবারের ইমাম পদে নিযুক্ত করেন । আকবর এর পৃষ্ঠপোষকতায় বাদায়ুনি বহু আরবি ও সংস্কৃত গ্রন্থ  ফার্সি ভাষায় অনুবাদ করেন, মহাভারতও তিনি পারসিক ভাষায় অনুবাদ করেন। আকবরের রাজত্বকাল এর বিবরণ দিতে গিয়ে বদাউনি অনেক ক্ষেত্র...

Abul Fazl | আবুল ফজল

Please visit our Homepage and Subscribe us.  Abul Fazl | আবুল ফজল মুঘল যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ লেখক এবং ঐতিহাসিক হলেন আবুল ফজল ।আবুল ফজল বিখ্যাত পারসিক পন্ডিত শেখ মুবারকের পুত্র। সম্রাট আকবরের অন্তরঙ্গ বন্ধু এবং মুঘল প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মচারী। ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনে তিনি ছিলেন উদার মানসিকতার অধিকারী এবং শান্তির নীতিতে বিশ্বাসী ।আকবরের নির্দেশেই তিনি ইতিহাস রচনার কাজ শুরু করেন। আবুল ফজলের রচিত দুটি বিখ্যাত গ্রন্থটি হল আকবরনামা ও আইন ই আকবরী। আকবরনামা তিনটি খন্ডে রচিত। প্রথম খন্ডে বর্ণিত হয়েছে তৈমুরের সময়কাল থেকে হুমায়ুনের সময়কাল পর্যন্ত রাজপরিবারের সাধারণ ইতিহাস। দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ডে রচিত হয়েছে আকবরের রাজত্বকাল এর ঘটনাবলী। আবুল ফজলের দ্বিতীয় গ্রন্থ আইন-ই-আকবরী ফার্সি ভাষায় লেখা। ব্ল্যাক ম্যান ও গারেট এটি কে ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন। গ্রন্থটি কার্যত একটি পরিসংখ্যানগত বিবরণ ।এখানে সাম্রাজ্যের আয়তন, জনসংখ্যা, শিল্প, কৃষি প্রভৃতি বিষয়ে বিশদভাবে বিবরণ লিপিবদ্ধ হয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ছবি এই গ্রন্থে স্থান পেয়েছে। তিনি ইতিহাস লিখবার ক্ষেত্রে তথ্য  সম্পর্কে যথেষ্ট...

Iltutmish | ইলতুতমিশ

ইলতুতমিশঃ দিল্লি সুলতানির প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা  1206 খ্রিস্টাব্দে মোহাম্মদ ঘরির মৃত্যুর পর তাঁর বিজিত রাজ্য তার 3 বিশ্বস্ত ক্রীতদাস তথা সেনাপতির মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। গজনী এলাকার দায়িত্ব পান তাহাজ উদ্দিন ইলদুজ, মুলতান ও উচ এর অধিকার পান  নাসিরুদ্দিন কুবাচা এবং দিল্লি সাম্রাজ্যের দায়িত্ব পান কুতুবউদ্দিন আইবক। আইবক তার সংক্ষিপ্ত চার বছরের শাসনে দিল্লি সুলতানির সুদৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত করতে পারেননি। কেবল মধ্য এশিয়ার পঙ্কিল রাজনীতি থেকে দিল্লি সাম্রাজ্যকে দূরে সরিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাই পরবর্তী শাসক ইলতুৎমিস কে নানান সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়, যেগুলি তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সমাধান করে দিল্লি সুলতানির দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। তাই অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিব বলেছেন যে, আইবক দিল্লি সুলতানির  রূপরেখা নির্মাণ করেছিলেন কিন্তু ইলতুৎমিশ ছিলেন দিল্লি সুলতানির প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা। ইলতুতমিশের সমস্যা Iltutmis সিংহাসন আরোহন কালে ইলতুৎমিশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আরাম শাহ। তরাইনের একটি যুদ্ধে ইলতুৎমিস তাকে পরাজিত করে লাহোরের আমিরদের সমর্থন নিয়ে দিল্লীর সিংহাসন আরোহন করেন। সিংহাসন আরো...