গুপ্ত যুগের মন্দির স্থাপত্য স্থাপত্যের ইতিহাসে গুপ্তযুগ বিশেষ স্থানের অধিকারী। এই সময় মন্দির স্থাপত্য রীতির সূচনা হয়। চৈত্য ও স্তুপ-এর পাশাপাশি পাথর বা ইটের দেবায়তন গড়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এই প্রকার স্থাপত্যের কেন্দ্রীয় লক্ষণ হল বর্গাকৃতি প্রকোষ্ঠ নির্মাণ। একে গর্ভগৃহ বলে। সাঁচি বা টিগাওয়ার প্রাচীন মন্দির গুলিতে এরকম গর্ভগৃহ দেখা যায়। স্তম্ভযুক্ত আয়তাকার অলিন্দ সদৃশ একটি অংশ থাকে। এখানে মনে হয় দর্শনার্থীরা এসে দাঁড়াত। মন্দিরের উপরিকাঠামো শিখর বিহীন এবং বাইরের চার দেওয়ালে কোন অলংকরণ নেই। উত্তর ভারতীয় মন্দির স্থাপত্য শৈলীর প্রধান বৈশিষ্ট্য সুউচ্চ শিখর, যা মন্দিরের উপরিকাঠামো হিসাবে নির্মিত। আলোচ্য পর্বে এই প্রবণতারও সূচনা হয়। দেওগড়ের বিষ্ণু মন্দিরের গর্ভগৃহটি বর্গাকার এবং এর চারিদিকেই আয়তাকার সংলগ্ন এলাকা এবং প্রতিটিতেই চারটি করে স্তম্ভ আছে। এর ভিত্তি-নকশা অনেকটা পাশা খেলার ছকের মত দেখায়। সমগ্র মন্দিরটা পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। পাঁচিলের চারিদিকে সিঁড়ি মন্দির চত্বরে ওঠার জন্য। সমগ্র পরিকল্পনাটি ক্রুশ আকারের দেখায়। দেওগড়ের দশাবতার মন্দিরটি বাইরে প্রজেকশনের ম...