সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

CC8 লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বিজ্ঞান বিপ্লব কি বৈপ্লবিক? | Was the Scientific Revolution Truly Revolutionary?

বিজ্ঞান বিপ্লব কি বৈপ্লবিক?  ইতিহাসের এমন কিছু পরিবর্তন ঘটে, যা মানব সভ্যতার গতিপথকে আমূল পরিবর্তন করে দেয়। ইউরোপে ১৬শ ও ১৭শ শতকে যে পরিবর্তন বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে ঘটেছিল, ইতিহাসে তা ‘বিজ্ঞান বিপ্লব’ (Scientific Revolution) নামে পরিচিত। বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি, পদ্ধতি ও জ্ঞানের উৎপাদনে এই সময় যেসব মৌলিক পরিবর্তন এসেছিল, তা শুধু ইউরোপ নয়, পরবর্তী সময়ের গোটা পৃথিবীর ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল।  বিজ্ঞান বিপ্লব মূলত ইউরোপে ১৫৪৩ খ্রিস্টাব্দে কোপার্নিকাসের গ্রন্থ De Revolutionibus Orbium Coelestium প্রকাশের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবং ১৬৮৭ সালে আইজ্যাক নিউটনের Principia Mathematica প্রকাশের মাধ্যমে এক গুরুত্বপূর্ণ পর্বে উপনীত হয়। এই সময়কালে গ্যালিলিও, কেপলার, হার্ভে, ডেকার্ত, বেকন প্রমুখ বিজ্ঞানী ও দার্শনিকরা প্রকৃতি বোঝার এক সম্পূর্ণ নতুন ধারা তৈরি করেন, যা পুরনো অ্যারিস্টটলীয় তত্ত্ব ও ধর্মীয় বিশ্বাসভিত্তিক ব্যাখ্যাকে চ্যালেঞ্জ জানায়। কোপার্নিকাসের পূর্বে বিশ্বাস ছিল পৃথিবী বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কেন্দ্র, যা নিশ্চল ও স্বর্গীয় জ্যোতির্মন্ডল থেকে আলাদা এক ‘মাটির জগৎ’। গ্রহ-নক্ষত্রদের স্বর্গীয় ইথ...

শিল্প বিপ্লব কেন প্রথম কেন ইংল্যান্ডেই হয়েছিল? | Why Did the Industrial Revolution Begin First in England?

শিল্প বিপ্লব কেন প্রথম কেন ইংল্যান্ডেই হয়েছিল?  ঐতিহাসিক আর্নল্ড টয়েনবি ১৮৮০-৮১ খ্রিস্টাব্দে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তৃতায় প্রথম 'শিল্প বিপ্লব' কথাটি ব্যবহার করেন। যদিও মার্কস এবং এঙ্গেলস তাদের দাস ক্যাপিটাল- এ শ্রমিক শ্রেণীর অবস্থা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শিল্প বিপ্লবের উল্লেখ করেছিলেন। যাইহোক আধুনিক অর্থনীতিচর্চা ও ইতিহাস চর্চায় তত্ত্বগত ও প্রয়োগগত দিক থেকে এটা এখন প্রায় প্রবাদের মত চির সত্যে পরিণত হয়েছে যে, যে কোন দেশে অর্থনৈতিক উন্নতির মূলে আছে এই শিল্প বিপ্লব। সংক্ষেপে বললে দাঁড়ায় যে উন্নত দেশ মানে যে দেশে শিল্প বিপ্লব ঘটে গেছে, অনুন্নত দেশ মানেই যে দেশে এখনো শিল্প বিপ্লব হয়নি এবং উন্নয়নশীল দেশ মানে যে দেশে শিল্প বিপ্লবের প্রক্রিয়া আরম্ভ হয়েছে তবে এখনো পরিপূর্ণতা পায়নি। একথা মনে করা ঠিক হবে না যে প্রতিটি দেশে বা প্রতিটি ক্ষেত্রে শিল্প বিপ্লবের প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি একই পথ ধরে এগিয়ে যাবে। তবে এ কথাও সত্য যে, একটি দেশের অর্থনৈতিক সংস্থা গুলিতে বৈশিষ্ট্যগত এবং পদ্ধতিগত একাধিক পরিবর্তন একত্রিত ভাবে শিল্প বিপ্লবের জন্ম দেয়। এইসব পরিবর্তন গুলি হল--  ১. আধুনিক বি...

সপ্তদশ শতকের ইউরোপীয় অর্থনীতি: সংকট ও পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণ | The European Economy in the Seventeenth Century: At the Crossroads of Crisis and Change

সপ্তদশ শতকের ইউরোপীয় অর্থনীতি: সংকট ও পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণ সপ্তদশ শতক ইউরোপের ইতিহাসে এক চরম টালমাটাল সময়। ষোড়শ শতকে ইউরোপে প্রাথমিকভাবে সমৃদ্ধি এসেছিল; কিন্তু সপ্তদশ শতাব্দী জুড়ে ইউরোপ সম্মুখীন হয়েছিল অর্থনৈতিক বিপর্যয়, সামাজিক সংকট এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার। জলবায়ু পরিবর্তন, যুদ্ধ, কৃষি ও বাণিজ্য কাঠামোর ভাঙন—সব মিলিয়ে এই সময়কালকে অনেক ইতিহাসবিদ “সাধারণ সংকটের যুগ” (General Crisis) বলে চিহ্নিত করেছেন। এই সংকট শুধু সাময়িক অবক্ষয়ই বয়ে আনেনি, বরং তা ইউরোপীয় সমাজ ও অর্থনীতিকে নতুন পথে চালিত করেছিল।  মূল্যবিপ্লব ও ক্ষণস্থায়ী সমৃদ্ধির অবসান  ষোড়শ শতকে আমেরিকা থেকে বিপুল পরিমাণ রৌপ্য আমদানির ফলে ইউরোপে সৃষ্ট হয়েছিল মুদ্রাস্ফীতি—যা ইতিহাসে “Price Revolution” নামে পরিচিত। যদিও কৃষিপণ্যের দাম বেড়েছিল, এর সুফল কৃষকরা পাননি। সম্পদ কেন্দ্রীভূত হয় জমিদার ও শাসকশ্রেণির হাতে। উৎপাদনশীলতা না বাড়লেও জনসংখ্যা বাড়তে থাকে, ফলে ষোড়শ শতকের শেষ নাগাদ এই ভিত্তিহীন সমৃদ্ধি ধসে পড়ে এবং ইউরোপ প্রবেশ করে অনিশ্চয়তার এক নতুন অধ্যায়ে। জলবায়ু ও কৃষি সংকট সপ্তদশ শতক ছিল “লিটল আইস এজ”-এর চূড়ান্ত পর্ব। অনিয়মিত আব...

মার্কেন্টাইলবাদ | Marcantile Theory of Economy

মার্কেন্টাইলবাদ মধ্যযুগ থেকে আধুনিক যুগে উত্তরণের সময় ইউরোপের যে নিরঙ্কুশ রাষ্ট্রব্যবস্থার উত্থান ঘটেছিল তার বিবিধ উপাদান গুলির মধ্যে মার্কেন্টেইলবাদ ছিল অন্যতম। মার্কেন্টেইলবাদ কথার সঠিক অর্থ বা সংজ্ঞা দিতে গেলে প্রথমে ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ, অবাধ বাণিজ্য নীতির প্রবক্তা  এডাম স্মিথ এর কথা বলতে হয়। কারণ তিনিই প্রথম মার্কেন্টেইলবাদ কথাটি অবজ্ঞা ভরে ব্যবহার করেছিলেন। বাংলায় এর আক্ষরিক অর্থ বাণিজ্যবাদ। মার্কসবাদী ভাবধারার সাথে সঙ্গতি রেখে এর ব্যাখ্যা দিতে গেলে বলতে হবে দেশের বাণিজ্য ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের একচেটিয়া অধিকার। মরিস ডব বলেছেন মার্কেন্টেইলবাদ হল বাণিজ্যের মাধ্যমে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত শোষণ।  খ্রিস্টীয় ১৭ শতকীয় ইউরোপের দেশগুলিতে যে নিরঙ্কুশ ও নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র গড়ে উঠেছিল তারা তাদের প্রয়োজনের তাগিদে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রন আনতে চেয়েছিল। এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলতে দেশের শুল্ক, মুদ্রা, শিল্প উৎপাদন, বাজার ব্যবস্থা, কর সংক্রান্ত আইন কানুন প্রণয়ন সবই ছিল। দেশের সম্পদকে রাজারা নিজেদের এবং রাষ্ট্রের স্বার্থে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যই এরূপ পদ্ধতি স...

অষ্টাদশ শতকীয় ইউরোপে জ্ঞানদীপ্ত স্বৈরাচার | Enlightened Despotism in 18th-Century Europe

অষ্টাদশ শতকীয় ইউরোপে জ্ঞানদীপ্ত স্বৈরাচার সপ্তদশ শতকে ইউরোপে বিজ্ঞানচিন্তার প্রসার, যুদ্ধ পরিস্থিতির অবসান, ধর্মনিরপেক্ষ চিন্তাভাবনার বিকাশ ইউরোপে যে নতুন পরিবেশ গড়ে উঠেছিল তার প্রধান দিক ছিল জ্ঞানদীপ্তি। জ্ঞানদীপ্তির মূল বিষয় ছিল জনজীবনে যুক্তি ও দর্শনের প্রয়োগ, যা কেবল সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে সীমাদ্ধ ছিল না, রাষ্ট্রতত্ত্ব ও রাজনীতিতেও এর প্রতিফলন ঘটেছিল। স্বৈরশাসন অবলুপ্ত হল না, কিন্তু স্বৈরাচারী শাসকগন তাঁদের স্বৈরশাসনকে একটা জ্ঞানদীপ্তির আবরন দিলেন অর্থাৎ প্রজাস্বার্থে বেশ কিছু সংস্কার সাধনে ব্রতী হলেন।  এঁদের মধ্যে অন্যতম হলে প্রাশিয়ার শাসক ফ্রেডেরিখ, রাশিয়ার দ্বীতিয় ক্যাথরিন এবং অস্টিয়ার দ্বিতীয় জোসেফ। এঁদের উদ্দেশ্য ছিল রাষ্ট্র ও প্রজার কল্যাণ এবং একই সাথে শাসনতন্ত্রে আধুনিকতার স্পর্শ এনে রাজতন্ত্রকে শক্তিশালী করা। ঐতিহাসিক লর্ড অ্যাক্টন এই প্রচেষ্টাকে 'রাজতন্ত্রের অনুশোচনা' (Repentance Monarchy) বলে উল্লেখ করেছেন।   প্রাশিয়ার রাজা দ্বিতীয় ফেডরিখ ৪৬ বছর (১৭৪০-১৭৮৬) খ্রিঃ  ধরে প্রাশিয়া শাসন করেছিলেন এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সাধন করেছিলে...

১৮ শতকীয় ইউরোপের জ্ঞানদীপ্তি | The Enlightenment in 18th Century Europe

১৮ শতকীয় ইউরোপের জ্ঞানদীপ্তি ইউরোপের ইতিহাসে ১৮ শতক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্ব। এই শতাব্দীতে ইউরোপ একটি নতুন যুগে প্রবেশ করে। ইতিমধ্যেই ইউরোপে সামন্ততন্ত্রের ভগ্নস্তুপের ওপর পুঁজিবাদ আত্মপ্রকাশ করে, পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের ধারণা ভেঙে ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলিতে জাতি রাজতন্ত্র গড়ে ওঠে, ধর্মীয় কুসংস্কার ও ভন্ডামির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে ইউরোপীয়রা যুক্তিবাদ ও মানবতাবাদের পথ ধরে। সপ্তদশ শতকে যাবতীয় ধর্মীয় লড়াইয়ের অবসান ঘটে, ইউরোপে একটা স্বস্তির বাতাবরণ গড়ে ওঠে, যা বৌদ্ধিক বিকাশে সহায়ক হয়েছিল। ১৭ শতকের একের পর এক বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার এবং বিজ্ঞান চেতনার বিস্তার ১৮ শতকে এক নতুন বৌদ্ধিক আন্দোলনের জন্ম দেয়। ১৮ শতকে চৈতন্যের জগতে যে আলোর দীপ্তি লক্ষ্য করা গেছিল তাকেই জ্ঞানদীপ্তি বলা হয়। ১৮ শতকের জ্ঞানদীপ্তির প্রভাব যে যে ক্ষেত্র গুলির ওপর পড়েছিল তার মধ্যে সর্বাগ্রে উল্লেখ করা যায় বিজ্ঞান চর্চার কথা। ১৭ শতকের বিজ্ঞানচর্চা ছিল মানুষের জ্ঞান ও উপলব্ধি জগতে। কিন্তু ১৮ শতকের বিজ্ঞান বিপ্লব ছিল ব্যবহারিক জগতে। এই পর্বে কয়লা নির্ভর ভারী শিল্পের বিস্তার এবং লৌহ ইস্পাত শিল্পে নতুন পদ্ধতির...

ওয়েস্টফেলিয়ার শান্তিচুক্তি | Westphalia Peace Treaty of 1648

ওয়েস্টফেলিয়ার শান্তিচুক্তি  সপ্তদশ শতক ছিল ইউরোপে নিরন্তর যুদ্ধের সময় কাল। যুদ্ধ ছিল ধর্মকে সামনে রেখে। সবচেয়ে ভয়ংকর ধর্মীয় যুদ্ধ ছিল ৩০ বছর ব্যাপী যুদ্ধ (১৬১৮ থেকে ১৬৪৮)। ওয়েস্টফেলিয়ার শান্তি চুক্তি শুধু এই ৩০ বছরব্যাপী যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায়নি, ইউরোপের সমগ্র ধর্মীয় বিবাদের একটা মীমাংসা করার চেষ্টা করেছিল। এই চুক্তির দুটো দিক ছিল, প্রথমত, জার্মানি সমেত পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত করা; দ্বিতীয়ত, যুদ্ধে যোগদানকারী অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলির স্বার্থরক্ষা করা। সাম্রাজ্যের ভিতরে প্রধান সমস্যা ছিল রাজ্যগুলির ধর্মীয় অবস্থান। স্থির হয় যে ১৬২৪ এর আগে যে অঞ্চলে যে ধর্মের প্রভুত্ব ছিল সেই স্থানে সেই ধর্মীয় অবস্থানই স্থায়ী হবে। শাসকের ধর্মীয় অবস্থান বদলালেও রাজ্যের ধর্মীয় চরিত্র বদলাবে না। সাম্রাজ্যের ভিতরে ক্যাথলিক ও প্রোটেস্ট্যান্ট মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠিত হবে। কেলভিনবাদকে আলাদা স্বীকৃতি না দেওয়া হলেও প্রটেস্টান্ট ধর্মের একটি রূপ হিসাবে স্বীকার করে নেওয়া হল। কেন্দ্রীয় সংসদে ধর্মীয় কোন বিষয় আলোচনা হলে দুই প্রধান ধর্মমতের অনুগামীরা দুটি পৃথক ভাগে আলোচনা করবে এবং ...

সামরিক বিপ্লব | The Revolution in War Techniques

সামরিক বিপ্লব  ১৫ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ইউরোপে যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে এক ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। পরবর্তী  দুই দশকে নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগ, কৌশলগত পরিবর্তন এবং বন্দুক ও কামানের ব্যবহার একটি বিপ্লব নিয়ে আসে। নতুন সামরিক সংগঠন ও যুদ্ধ কৌশল সমকালীন রাজনীতি ও সামাজিক জীবনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। এই পরিবর্তনের মূলে ছিল বারুদের ব্যবহার। এতদিন পর্যন্ত যুদ্ধের প্রধান অস্ত্র গুলি ছিল তীর-ধনুক, বর্শা, তলোয়ার, ছোরা এবং তার সঙ্গে আপাদমস্তক লোহার বর্ম পরা নাইট বাহিনী। নাইটরা যুদ্ধকে কিছুটা ব্যক্তিগত বীরত্ব প্রদর্শনের ক্ষেত্রে বলে মনে করত। এই সময় ইউরোপে তাই নাইটদের নিয়ে একাধিক বীরগাথাও রচিত হয়েছিল। জেফ্রি পার্কার মনে করেন, নবম শতক নাগাদ সোরা, কাঠ-কয়লা ও গন্ধক দিয়ে তৈরি বারুদ চীনেই প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল। এই প্রযুক্তি আরবদের হাত ধরে ইউরোপে চলে আসে খ্রিস্টীয় ১৪ শতকের গোড়ায়। এই সময় বিভিন্ন আরব ও ইউরোপীয় সূত্রে বারুদের উল্লেখ রয়েছে। ১৩২৬ খ্রিস্টাব্দে ফ্লোরেন্সের একটি নথিতে আগ্নেয়াস্ত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়। রাজার বেকন পটাকা সম্পর্কে যে বিবরণ দিয়েছেন তাতেই মনে হয় তিনি বারুদের ব্যব...