সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

Ancient World লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রাচীন গ্রিসের স্থাপত্য ভাস্কর্য ও চিত্রকলা | Architecture Sculpture and Painting in Ancient Greece

প্রাচীন গ্রিসের স্থাপত্য ভাস্কর্য ও চিত্রকলা ধ্রুপদী  গ্রীস স্থাপত্য ভাস্কর্য ও চিত্রকলার আঙিনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল। যেহেতু প্রতিটি পলিশ তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক স্বতন্ত্র বজায় রাখতো তাই শিল্পচর্চার ক্ষেত্রেও এই নিজস্বতা ও স্বতন্ত্রতার প্রকাশ লক্ষ্য করা গেছে।  প্রথমে আমরা স্থাপত্য শিল্পের ব্যাপারে আলোচনা করতে পারি। প্রথমদিকে স্থপতিরা মূলত বৃহৎ মন্দির ও ছোট ছোট সৌধ নির্মাণ করত। ছোট ছোট সৌদ গুলিকে বলা হত ট্রেজারি । মন্দির ও সৌধ নির্মাণে  গ্রীকরা মিশরীয়দের কাছ থেকে পাথর ও মার্বেলের ব্যবহার শিখেছিল। সাধারণত পলিশ গুলির প্রধান সভা স্থল বা অ্যাগোরার সন্নিকটে এই সৌধ ও প্রাসাদ গুলি নির্মিত হত। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকের প্রথমার্ধ থেকে গ্রিসের বিভিন্ন প্রকার স্থাপত্য রীতির মধ্যে একটি ঐক্য সূত্র গড়ে তোলার প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়। এই প্রচেষ্টার অন্যতম উদাহরণ হল এথেন্সের পার্থেনন মন্দির। দেবী অ্যাথেনার উদ্দেশ্যে নির্মিত এই মন্দির ছিল এথেনীয় গণতন্ত্রকে গৌরবান্বিত করার একটি সচেতন প্রয়াস। এর প্রধান স্থপতি ছিলেন ইকটিনস ও ক্যালিক্র্যটিস। প্রায় একই সময়ে নির্মিত হয়েছিল প্রপিলিয়া...

লোহা আবিস্কার বিতর্ক | Debate on Iron Invention

লোহা আবিষ্কার বিতর্ক লোহার আবিষ্কার ঠিক কবে, কোথায়, কাদের হাত ধরে হয়েছিল এই নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিতর্ক বিদ্যমান। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পণ্ডিতদের অনুমান ছিল যে, হিটাইটদের রাজ্য আনাতোলিয়া ছিল লৌহপ্রযুক্তির উদ্ভাবন কেন্দ্র। হিটাইটদের সামরিক সাফল্যের পিছনেও এই লৌহপ্রযুক্তির অবদানকে বৃহৎ আকারে দেখা হতো। এও মনে করা হত যে পশ্চিম এশিয়া ও পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে বিভিন্ন গোষ্ঠীর অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে হিতাইট সাম্রাজ্যের অবসানের পর এই প্রযুক্তি বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছিল। সাম্প্রতিক গবেষণায় অবশ্য লৌহপ্রযুক্তির আবিষ্কারের উপর হিটাইটদের কৃতিত্বের এই দাবি বাতিল হয়ে গেছে। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় সহস্রাবদে এবং দ্বিতীয় সহস্রাবদের প্রথমার্ধে পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন জায়গায় ৫০০ রকম লৌহ নির্মিত শিল্পকলার নিদর্শন পাওয়া গেছে, যা হিটটাইটদের উত্থানের বহু আগেকার। এর থেকেই অনুমান করা যায় যে  হিটটাইট রা লোহার আবিস্কারক নয়। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে জানা গেছে যে ওই সময়কার লোহার জিনিসগুলি উল্কাপিণ্ড থেকে নিষ্কাশিত লোহা দিয়ে তৈরি হত। সুতরাং দ্বিতীয় সহস্রাবদের প্রথমার্ধ পর্যন্ত বিশুদ...

নব্য প্রস্তর যুগীয় বিপ্লব | Neolithic Revolution

 নব্য প্রস্তর যুগীয় বিপ্লব আজ থেকে প্রায় ১০,৫০০ বছর আগে পশ্চিম এশিয়ায় প্রথম নব্য প্রস্তর যুগীয় সংস্কৃতির সন্ধান পাওয়া যায়। নিয়মিত কৃষিকাজ এবং পশুপালন তথা খাদ্য উৎপাদক অর্থনীতি দিয়ে আমরা নব্য প্রস্তর যুগকে চিহ্নিত করা যায়। তবে পৃথিবীর সর্বত্র একই সাথে খাদ্য উৎপাদন তথা নব্য প্রস্তর যুগের সূচনা হয়েছিল এমন নয়। পশ্চিম এশিয়া থেকে শুরু হয়ে কৃষিকাজ ক্রমশ দক্ষিণ ইউরোপ এবং উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে (আজ থেকে ৬০০০-৭০০০ বছর আগে)।  কৃষির আবির্ভাব এবং স্থায়ী বসতি মানব সমাজে যে ব্যপক পরিবর্তন এনেছিল তাকেই গর্ডন চাইল্ড 'বিপ্লব' বলে অভিহিত করেছেন।  নব্য প্রস্তর যুগ তথা খাদ্য উৎপাদনের সবথেকে প্রাচীনতম নজির পাওয়া গেছে প্যালেস্টাইনের জেরিকো'তে (১০,৫০০ বছর পুরানো)। উত্তর ইরাকের জাওয়াই জাওয়াই শেমি শনিদার (১১০০০ বছর পুরানো), যেখানে পশুপালক আধা-স্থায়ি জীবনের প্রমান পাওয়া গেছে। এছাড়া রয়েছে উত্তর ইরাকের জারমো (৭০০০ বছর পুরানো) এবং আনাতোলিয়ার ক্যাটাল হুউইক (৮০০০ বছর পুরানো), যেখানে নিয়মিত কৃষির প্রমান পাওয়া গেছে। এই প্রত্নক্ষেত্রগুলি থেকে প্রাপ্ত তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে আমরা নব্যপ্রস্তর...

পশ্চিম এশিয়ায় নব্যপ্রস্তর যুগীয় সংস্কৃতির বিস্তার | Neolithic Culture in West Asia

পশ্চিম এশিয়ায় নব্যপ্রস্তর যুগীয় সংস্কৃতির বিস্তার  নব্য প্রস্তর যুগীয় সংস্কৃতিকে চিহ্নিত করা যায় মানুষের খাদ্য উৎপাদক হয়ে ওঠার মধ্য দিয়ে। কোথায় প্রথম মানুষ কৃষিকাজ করতে শুরু করেছিল তা নিয়ে ১৯৪০ এর দশক পর্যন্ত পণ্ডিত মহলে একটি ভ্রান্ত ধারণা ছিল। অনুমান করা হত যে প্রাচীন নদীমাতৃক সভ্যতা গুলি যেখানে অবস্থিত ছিল (যেমন মিশরীয়, মেসোপটেমিয়া ইত্যাদি) সেখানেই প্রথম চাষাবাদ শুরু হয়েছিল। কিন্তু ১৯৫০ এর দশকে এই ধারনার আপাদমস্তক বদল ঘটে উইলিয়ার্ড লিবির Radio Carbon Dating আবিষ্কারের ফলে। Radio Carbon Dating প্রযুক্তি প্রয়োগ করে আজ এটা প্রমানিত যে চাষাবাদ কোনো নদী তীরবর্তী আদ্র এলাকায় সূচনা হয় নি, হয়েছিল পাহাড়ের পাদদেশে বা তৃনভূমি এলাকায়।  পশ্চিম এশিয়ায় চাষাবাদের সূচনা হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ১০,৫০০ বছর আগে। যে সমস্ত প্রত্নক্ষেত্রগুলি আবিস্কৃত হয়েছে সেগুলির অবস্থান মোটামুটি ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের মরুসাগর উপকূল বরাবর এলাকা, জর্ডন উপত্যকা, সিরিয়া, ইরাক, জাগ্রোস পর্বতমালা এবং উত্তর-পশ্চিম ইরানে। পশ্চিমে প্রায় তুরস্ক পর্যন্ত এলাকায় চাষাবাদের সূচনা হয়েছিল। তবে সবথকে প্রাচীনতম প্রত্নক্ষেত্রগুলি হল...

আদিম মানুষের বিবর্তনঃ হোমিনিড থেকে হোমো স্যাপিয়েন্স স্যাপিয়েন্স | Human Evalution: From Hominid to Homo Sapience Sapience

আদিম মানুষের বিবর্তনঃ হোমিনিড থেকে হোমো স্যাপিয়েন্স স্যাপিয়েন্স  আজ থেকে প্রায় ৩৫০০ মিলিয়ান বছর আগে পৃথিবীতে একপ্রকার জীবের আবির্ভাব হয়েছিল। এরা ছিল দ্বিপদী (Bipedal) এবং এদের মাথার খুলির আয়তন ছিল অন্যান্য জীবের তুলনায় বড়। সময়টা ছিল সোনোজোয়িক যুগ।*  Cenozoic era-র সূচনা প্রায় ৬৬ মিলিয়ান বছর আগে। এই যুগের দ্বিপদ বিশিষ্ট স্তন্যপায়ী প্রানী প্রাইমেট নামে পরিচিত ছিল। Cenozoic era-র দুটি ভাগ-- টারশিয়ারি ও কোয়ার্টারনারি period. কোয়ার্টারনারি period এর মধ্যে আছে দুটি এপখ- প্লিস্টোসিন এবং হলোসিন। এই প্লিস্টোসিন পর্বেই মানুষের বিবর্তনের প্রক্রিয়ায় গতি সঞ্চারিত হয়েছিল। প্রায় ৮ লক্ষ বছর ধরে ছলেছিল প্লিস্টোসিন পর্ব। এই পর্ব ছিল বরফের যুগ এবং আনুমানিক ১০০০০ হাজার বছর আগের প্লিস্টোসিন পর্বের সমাপ্তি ঘটেছিল এবং আধুনিক হলোসিন যুগের আবির্ভাব হয়েছিল।  প্রাইমেটদের উন্নত শারিরিক গঠনের জন্য গাছে গাছে বিচরন করতে পারত। প্রাইমেটদের দুটি ভাগ- প্রসিমি ও এন্থ্রোপয়েড। প্রসিমিদের মধ্যে ছিল লেমুর, টারসিয়ের, লোরিস এবং অন্যান্য গাছে চড়া প্রানী। এরা অপেক্ষাকৃত অনুন্নত। এদের থেকে উন্নত ছিল এন্থ্রোপয়েডরা। এ...

প্রাচীন এথেন্সের দর্শন চর্চা

প্রাচীন এথেন্সের দর্শন চর্চা                প্রাচীন গ্রিক সংস্কৃতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপাদান ছিল দর্শন। ধ্রুপদী গ্রিসের দর্শনের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তীকালে পাশ্চাত্য দর্শনের বিকাশ ঘটেছিল। সেই যুগের তিনজন শ্রেষ্ঠ দার্শনিক হলেন সক্রেটিস, প্লেটো ও অ্যারিস্টটল।                  প্রাচীন গ্রিক দর্শনে সোফিষ্ট মতবাদের ব্যাপক প্রভাব ছিল। সোফিষ্ট কথাটির দ্বারা দক্ষ ও জ্ঞানী মানুষকে বোঝায়। সোফিস্টদের উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন বিষয়ে মানুষকে শিক্ষিত করে তোলে। ইতিহাস, ভূগোল, নৃতত্ত্ব, গণিত, আয়োনীয় বিজ্ঞান, ভাষাতত্ত্ব ইত্যাদি বিষয় তারা শিক্ষা দিতেন। এরা ধনী পরিবারের তরুণ প্রজন্মকে সফল করে গড়ে তোলার চেষ্টা করতেন। এদিক থেকে তাদের প্রয়াস সার্বিক ছিল না। সোফিষ্ট দর্শন ও শিক্ষার মূল ভিত্তি ছিল Nomos Physis বৈপরীত্য। Nomos হলো রাষ্ট্রীয় আইন, যা মানুষেরই তৈরি এবং যা আপেক্ষিক ও পরিবর্তনশীল। Physis হল চিরন্তন বা স্বাশত। সোফিষ্ট দার্শনিকগণ এই দুইয়ের মধ্যে স্পষ্ট বিভাজন রেখা টেনে দিয়েছিলেন। তারা বোঝাতে চেয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় আইন কৃত...

প্রাচীন গ্রিসে দাসপ্রথা | Slavery in Classical Greece

প্রাচীন গ্রিসে দাসপ্রথা সমাজ বিকাশের ধারা প্রসঙ্গে কাল মার্কস এর বক্তব্য ছিল এই যে আদিম সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থার অবসান ঘটে কৃষি ব্যবস্থার সূচনা এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তির আবির্ভাবের ফলে এবং এর ফলেই দাস ব্যবস্থার সূচনা হয়। ব্রোঞ্জ যুগীয় সভ্যতাগুলিতে আমরা দাস ব্যবস্থার অস্তিত্ব লক্ষ্য করি। ধ্রুপদী গ্রিসের সমাজ ও অর্থনীতির অন্যতম অঙ্গ ছিল দাস ব্যবস্থা। মার্কসীয় সমাজতাত্ত্বিকগণ গ্রিক সভ্যতাকে দাস শ্রমের উপর নির্ভরশীল সভ্যতা হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন কিন্তু এই মতের বিপক্ষে বহু ঐতিহাসিক প্রশ্ন তুলেছেন। কেমব্রিজ ঐতিহাসিক এন্ড্রু জোন্স মন্তব্য করেছেন যে যেহেতু এথেন্স এবং অন্যান্য গ্রীক পলিসে দাসদের সংখ্যা ও নাগরিকদের সংখ্যার সঠিক অনুপাত পাওয়া যায় না তাই গ্রিক সমাজকে দাস সমাজ হিসেবে চিহ্নিত করা যুক্তিসঙ্গত নয়। যাইহোক, ধ্রুপদী গ্রীসে দাস ব্যবস্থার উপস্থিতি ছিল এই নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। জন ফাইন সাহিত্যিক উপাদান থেকে দাসদের সংখ্যার একটি আনুমানিক হিসাব করে বলেছেন যে, ধ্রুপদী মোটামুটি এক লক্ষ দাসের অবস্থান ছিল। কোন প্রেক্ষাপটে কেন প্রাচীন গ্রিসে দাস ব্যবস্থার সূচনা হয়েছিল তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে ...

মধ্য পুরাপ্রস্তর যুগ | Middle Paleolithic Age | Mousterian Culture

মধ্য পুরাপ্রস্তর যুগ নিম্নপুরা প্রস্তর যুগের পরবর্তী স্তর মধ্য পুরা প্রস্তর যুগ নামে পরিচিত। মধ্য পুরা প্রস্তর যুগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃতির নাম হল মৌস্টেরিয়ান সংস্কৃতি। ফ্রান্সের লা মুস্তের এলাকায় প্রথম মধ্য পুরাপ্রস্তর যুগের সাক্ষ্য পাওয়া গেছে বলে এই সংস্কৃতি মৌস্টেরিয়ান সংস্কৃতি নামে পরিচিত। মৌস্টেরিয়ান সংস্কৃতির সূচনা আজ থেকে প্রায় এক লক্ষ আটাশ হাজার বছর আগে। ভূতাত্বিক প্লেইস্টোসিন পর্বে পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ কমতে থাকে এবং একের পর এক তুষার যুগের আবির্ভাব হয়। দুটি তুষার যুগের মাঝে অপেক্ষাকৃত উষ্ণতর একটি পর্ব থাকে। এরকম শেষ তুষার যুগের আগের যে উষ্ণতর পর্ব সেই পর্বেই মৌস্টেরিয়ান সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছিল। Remain of Neanderthal Skull মৌস্টেরিয়ান সংস্কৃতির শ্রষ্ঠা হল নিয়েন্ডার্থাল মানব। নিয়েন্ডার্থাল মানব পশু শিকারে পারদর্শী ছিল। তাদের স্বীকার করা পশুগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল বাইসন, ঘোড়া, লাল হরিণ এবং বলগা হরিণ। মাছ এবং সামুদ্রিক প্রাণীই তাদের খাদ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। অপেক্ষাকৃত উষ্ণতর আবহাওয়ার জন্য বহু সমুদ্র উপকূল জলস্রোত এবং নদী তৈরি হয়েছিল এবং সেখান থেকে...

নিম্ন পুরা প্রস্তর যুগের জীবন চিত্র | Lower Paleolithic Age

নিম্ন পুরাপ্রস্তর যুগ মানব সভ্যতার একেবারে প্রাচীনতম পর্ব প্রস্তর যুগ নামে পরিচিত। এই পর্বে মানুষ প্রথম আয়ুধ নির্মাণ ও তার ব্যবহার আয়ত্ব করে এবং এই আয়ুধগুলির অধিকাংশ ছিল প্রস্তর নির্মিত। তাই এই পর্ব প্রস্তর যুগ নামে পরিচিত। আয়ুধ নির্মাণ সংস্কৃতি ও আর্থ সামাজিক বিকাশের উপর ভিত্তি করে প্রস্তর যুগকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে- পুরা প্রস্তর, মধ্য প্রস্তর এবং নব্য প্রস্তর যুগ। ওই একই ভাবে আবার পুরাপ্রস্তর যুগকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে- নিম্ন পুরাপ্রস্তর, মধ্য পুরা প্রস্তর ও উচ্চ পুরা প্রস্তর যুগ। প্রস্তর তথা নিম্ন পুরা প্রস্তর যুগের সূচনা আজ থেকে আনুমানিক ২.৫ মিলিয়ান বছর আগে।  Australopithecus Robustus -রা প্রথম হাতিয়ার ব্যবহার করলেও হাতিয়ার নির্মাণের ধারাবাহিকতা দেখা যায় অপেক্ষাকৃত উন্নত প্রজাতি হোমো হ্যাবিলিসের হাত ধরে। নিকোলাস টথ দেখিয়েছেন আয়ুধ নির্মাণের জন্য কেবল দুই হাতের ব্যবহার নয়, গভীর মানসিক সংযোগ এবং কল্পনাশক্তির প্রয়োজন হয়, যা সম্ভব হয়েছিল Homo Habilis দের অপেক্ষাকৃত বৃহৎ মগজের (৮০০ সি. সি.) জন্য। প্রথম দিকের হাতিয়ার গুলি ছিল প্রযুক্তির একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের। ধিরে ধিরে...

হেরোডোটাস ও থুকিডিডিস | Herodotus & Thukidydes

  ধ্রুপদী গ্রীসের ইতিহাসচর্চাঃ হেরোডোটাস ও থুকিডিডিস  মানব বিদ্যায় সাহিত্যের পরেই ইতিহাসের স্থান। ইতিহাসচর্চার সূচনা হয়েছিল ক্লাসিক্যাল গ্রীসে। হেরোডোটাস ও থুকিডিডিস ছিলেন এর সূচনাকারী। ইতিপূর্বে গ্রীসে গীতিকাব্য, মহাকাব্য, রাজবংশাবলী এবং ধর্মীয় গাঁথা রচনার চল ছিল, যেগুলিকে ঐতিহাসিক ট্রেভেলিয়ান "Quasi-historical রচনা" বলে উল্লেখ করেছেন। হেরোডোটাস ও থুকিডিডিসের রচনার সুত্র ধরেই রোম্যান্টিক ও ধর্মীয় গাঁথা থেকে ইতিহাসের মুক্তি ঘটল এবং জ্ঞানের একটি নতুন ধারা হিসাবে ইতিহাসের জয়যাত্রা সূচিত হল। হেরোডোটাস কেবল প্রাচীন গ্রিসেই নয় সার্বিকভাবে ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে এবং ঐতিহাসিক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে পুরোধা ব্যাক্তি ছিলেন হেরোডোটাস। পেরিক্লিসের শাসনকালে সাহিত্য ও দর্শন চর্চার মত ইতিহাসচর্চাও এথেন্সের বৌদ্ধিক জীবনকে গভীর ভাবে প্রভাবিত করেছিল। এথেন্সের ইতিহাসচর্চার প্রথম এবং প্রধান ঐতিহাসিক ছিলেন হেরোডোটাস। হেরোডোটাস রচিত গ্রন্থের নাম 'Histories'. এই গ্রন্থের আলোচ্য বিষয় হল গ্রিক ও পার্সিয়ানদের মধ্যে যুদ্ধের ইতিহাস। তার ইতিহাসের সময়কাল মোটামুটি ৭০ বছর। হেরোডোটাসের ইতিহাস ৩ টি ভ...