সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

DSE-A-3 লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Great Calcutta Killing | Jinnah's Direct Action Day | প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস |

Great Calcutta Killing | Jinnah's Direct Action Day | গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং | জিন্নাহ্'র প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস  (English Virsion) The Direct Action Day, also known as the Great Calcutta Killing, was an extremely violent incident in the history of Bengal, specifically in Calcutta (now Kolkata), during the pre-independence era of India. It was a consequence of the divide-and-rule policy introduced throughout India after the suppression of the 1857 Rebellion by the British rulers. The development of communal politics in India, fueled by the Muslim League, Arya Samaj, Hindu Mahasabha, and the R.S.S. led to the intensification of the struggle for India's independence along communal lines. Under the leadership of the Muslim League, the demand for the creation of a separate state, Pakistan, gained momentum. Mohammad Ali Jinnah, the leader of the Muslim League, advocated for the formation of Pakistan, which included Bengal also. However, only 48.3% of the population in Bengal was ...

বাংলায় মুসলীম লীগ গঠনের পটভূমি। Muslim Leage in Bengal

বাংলায় মুসলীম লীগ গঠন ব্রিটিশের বিভেদ ও শাসন নীতি, ১৯ শতকীয় হিন্দু জাতীয়তাবাদ এবং সৈয়দ আহমেদ খানের দ্বিজাতি তত্ত্বের অন্যতম ফলশ্রুতি ছিল মুসলিম সাম্প্রদায়িক রাজনীতি তথা মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা (১৯০৬)। সমগ্র মুঘল শাসন জুড়ে এমনকি ব্রিটিশ শাসনের প্রারম্ভিক পর্বে তথা কৃষক বিদ্রোহ চলাকালীন বাংলায় সাম্প্রদায়িক হিংসার কোন খবর ছিল না। ওয়াহাবি বা ফরাজী বিদ্রোহ কতটা সাম্প্রদায়িক বিদ্রোহ ছিল তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়। কারন হিন্দু ও মুসলমান উভয় কৃষকই অত্যাচারী জমিদারের কাছারি আক্রমণ করেছিল। কিন্তু উনিশ শতকের দ্বিতীয় লগ্ন থেকে পরিস্থিতি ক্রমশ পালটাতে শুরু করে।  ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হলেও তা কার্যত সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ভদ্রলোকেদের সংগঠনে পরিণত হয়েছিল। মুসলমানদের অন্তর্ভুক্তিকরণ ছিল যৎসামান্যই। তাছাড়া চরমপন্থী নেতারা তাঁদের প্রচার ও কার্যকলাপে  মুসলমান বিদ্বেষের পরিচয় দিয়েছিলেন। পাঞ্জাব বা মহারাষ্ট্রের মত বাংলায় অতটা ব্যপক রূপ না পেলেও একথা সত্য যে, চরমপন্থীরা ব্রিটিশের পাশাপাশি গৌরবময় মুঘল বা সুলতানি শাসনকেও ভারতমাতার পরাধীনতা বলে অভিহিত করেছিলেন, যা মুস...

বঙ্গভঙ্গের উদ্দেশ্য |

  বঙ্গভঙ্গের উদ্দেশ্য  জনবিরোধী শাসক হিসেবে লর্ড কার্জনের এমনিতেই কুখ্যাতি ছিল। কিন্তু তাঁর যে পদক্ষেপটি জনসাধারণের সবচেয়ে বেশি অপ্রিয় হয়েছিল সেটি হল বঙ্গভঙ্গের পরিকল্পনা। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। বাংলা প্রেসিডেন্সির আয়তন বিভিন্ন সময়ে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই উনিশ শতকের প্রথম দশক থেকেই বাংলা প্রেসিডেন্সির আয়তন কমানো সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রস্তাব তোলা হচ্ছিল। একবার আসাম ও সিলেটকে বাংলা থেকে আলাদা করার কথা উঠে। ১৮৯৬-৯৭ সালে আসামের মুখ্য কমিশনার উইলিয়াম ওয়ার্ড প্রস্তাব দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগ, ঢাকা ও ময়মনসিংহকে অন্তর্ভুক্ত করে আসামকে সমর্থবান করা হোক। ১৯০৩ সালের মার্চ মাসে বাংলার ছোটলাট এন্ড্রু ফ্রেজার বাংলার আঞ্চলিক পুনর্বিন্যাস' সংক্রান্ত একটি মিনিটে ওয়ার্ডের প্রস্তাবকে উত্থাপন করেন এবং বড়লাট কার্জন প্রস্তাবের সামান্য কাটছাঁট করে বঙ্গভঙ্গ-এ সম্মত হন। স্বরাষ্ট্র সচিব রিজলির একটি চিঠিতে সর্বপ্রথম ১৯০৩ সালে ৩রা ডিসেম্বর বঙ্গভঙ্গের কথা ঘোষণা করা হয়। অ্যান্ড্রু ফেজার, রিজলি এবং কার্জনের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গভঙ্গের পরিকল্পনা বাস্...

সুভাষচন্দ্র বসু ও আজাদ হিন্দ বাহিনী | Subhas Chandra Basu and Indian National Army (INA)

সুভাষচন্দ্র বসু ও আজাদ হিন্দ বাহিনী বাংলা তথা ভারতবর্ষের রাজনীতিতে সুভাষচন্দ্র বসু ও আজাদ হিন্দ বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। স্বাধীনতা সংগ্রামের শেষ দশকের বঙ্গীয় রাজনীতি অসম্ভব ঘটনাবহুল। একদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অক্ষশক্তিপক্ষীয় জাপানের দ্রুত পূর্ব দিক থেকে অগ্রসর হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। জাপানি আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য ভারতের ব্রিটিশ সরকার পোড়ামাটির নীতি অনুসরণ করে বাংলার শস্য ও সম্পদ নষ্ট করে দেয়। এই অবস্থায় কংগ্রেস ব্রিটিশের পক্ষে না বিপক্ষে অবস্থান করবে তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে, এই প্রেক্ষাপটে সুভাষচন্দ্র বসু উপলব্ধি করেন ব্রিটিশ বিতারণের সুবর্ণ সুযোগ এসে গেছে। কংগ্রেসের মধ্যে বাম মনোভাবাপন্ন হিসাবে পরিচিত সুভাষের বিরোধী শক্তির অভাব ছিল না। আবার তিনি ও নেহেরুই ছিলেন তরুণ কংগ্রেসীদের আইকন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ যখন আন্তর্জাতিক পরিসরে কোণঠাসা তখন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির উপর আঘাত এনে ভারতবর্ষকে স্বাধীন করার প্রচেষ্টা কতটা সঠিক তা নিয়ে গান্ধীর সঙ্গে সুভাষের মতবিরোধ হয়। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দক্ষিণপন্থীদের চাপে সুভাষকে কংগ্রেস ত্যাগ করতে বাধ্য করা ...

স্বরাজ দল ও বাংলার রাজনীতি | Swaraj Party in Bengal Politics

 স্বরাজ দল ও বঙ্গ রাজনীতি বারদৌলি সিদ্ধান্ত (১৯২২) ও অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহারের পর কংগ্রেসের ভিতরে গান্ধিপন্থী কৌশলের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। চিত্তরঞ্জন দাস, মতিলাল নেহেরু প্রমূখ নেতৃবৃন্দ প্রস্তাব দিতে থাকেন যে, ব্যবস্থাপক সভাগুলিতে কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করা উচিত। ১৯২২ সালের নভেম্বর মাসে কলকাতায় কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির সভায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরবর্তী নীতি নির্ধারণ করার উদ্দেশ্যে ডিসেম্বর মাসে কংগ্রেস সদস্যরা গয়া অধিবেশনে মিলিত হন। মতিলাল নেহরু ও চিত্তরঞ্জন দাস প্রস্তাব দেন যে, ব্যবস্থাপক সভা বয়কট না করে বরং সেখানে প্রতিনিধিত্ব করে কংগ্রেস সদস্যরা সাম্রাজ্যবাদী চরিত্রের প্রকৃত রূপ উদঘাটিত করুক। ব্যবস্থাপক সভারগুলির কার্যাবলিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ভিন্ন পন্থায় সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতা করার কথাই চিত্তরঞ্জন দাস এবং মতিলাল নেহেরু বলেছিলেন। কিন্তু এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বল্লভ ভাই প্যাটেল রাজেন্দ্রপ্রসাদ রাজাগোপালাচারী প্রমূখরা পুরানো নীতির পক্ষেই ছিলেন। গয়া অধিবেশনে পরিবর্তনপন্থীরা ভোটে পরাজিত হন। চিত্তরঞ্জন দাশ ও মতিলাল নেহেরু কংগ্রে...

এ. কে. ফজলুল হক ও কৃষক প্রজা পার্টি | A. K. Fazlul Haque and K.P.P.

 এ. কে. ফজলুল হক ও কৃষক প্রজা পার্টি দেশভাগ ও স্বাধীনতার সমসাময়িককালে এবং তার কিছু আগে ও পরে বাংলার রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন এ কে ফজলুল হক। 'শেরে বাংলা' নামে পরিচিত ফজলুল হক তার প্রাথমিক জীবনী পেশায় একজন আইন ব্যবসায়ী ছিলেন। পরবর্তীকালে সালিমুল্লাহ ও নবাব আলী চৌধুরীর সান্নিধ্যে এসে তিনি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মুসলমানদের শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতিতে তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টার জন্য তিনি ক্রমশ মুসলমান শিক্ষিত সমাজের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। নিখিল বঙ্গ প্রজা সমিতি নামে একটি আধা রাজনৈতিক সংগঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। কিন্তু অল্পকালের মধ্যেই মতানৈক্যজনিত কারণে তিনি দলবল নিয়ে ১৯৩৫ সালে কৃষক প্রজা পার্টি গঠন করেন। এই দল হকের নেতৃত্বে কৃষকদের অধিকার পুনরুদ্ধার ও জমিদারদের অত্যাচার থেকে কৃষকদের মুক্তিদান এবং জমিদারি ব্যবস্থা উচ্ছেদ করে তাদের জমির মালিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে আন্দোলন শুরু করেছিল। এর ফলে কৃষক প্রজা পার্টি কৃষিজীবী নিম্নবৃত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের সভাপতি মহম্মদ আল...

স্বদেশী আন্দোলন | Swadeshi Movement

 স্বদেশী আন্দোলন কার্জনের বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত বাঙালি তথা ভারতবাসী মেনে নেয়নি। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের বাঙালি প্রতিবাদে মুখর হয়েছিল। এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন রাজপথ থেকে হেঁসেল পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। আন্দোলন কেবলমাত্র রাজনীতিতে সীমাবদ্ধ থাকেনি। সাহিত্য,শিল্পকলা, সঙ্গীত, বিজ্ঞান-- সর্বত্র এই আন্দোলন বিস্তৃত হয়েছিল। ১৯০৩ সালে ডিসেম্বর মাসে বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাব ওঠা থেকে শুরু করে ১৯০৫ সালে জুলাই মাসে বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত ঘোষণা পর্যন্ত আন্দোলন নরমপন্থী কার্যকলাপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে একাধিক প্রতিবাদ সভা সংগঠিত হয়েছিল। সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি, কৃষ্ণ কুমার মিত্র প্রমুখরা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ( বেঙ্গলি, সঞ্জীবনী প্রভৃতি) প্রবন্ধ লিখেছিলেন। ভারত সচিবের কাছে বঙ্গভঙ্গ রদ করার দাবি নিয়ে অসংখ্য স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এই সমস্ত প্রচেষ্টাই ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছিল। যখন বঙ্গভঙ্গ ঘোষিত হল, ১৯০৫ সালের ৭ ই আগষ্ট, টাউনহলের এক সভায় সুরেন্দ্রনাথের প্রাথমিক আপত্তি সত্ত্বেও আন্দোলনের পরবর্তী পন্থা হিসেবে ব্রিটিশ পণ্য বয়কটের  সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এইভাবে...