সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী ভাবাদর্শ: হিতবাদী আদর্শ

ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী ভাবাদর্শ: হিতবাদী আদর্শ আঠারো শতকের শেষদিকে ইংরেজদের মধ্যে সাম্রাজ্য বিস্তারের বিষয়টি বেশি করে প্রাধান্য পেতে থাকে এবং এই পর্বে তারা এশিয়া ও আফ্রিকাতে তারা সাম্রাজ্য বিস্তার ঘটিয়েছিল। একই সঙ্গে এই সময়ে ব্রিটিশদের দেশানুরাগ ক্রমশ জেগে ওঠে, যা তাদের ভিতর সাম্রাজ্যিক অধিকারের গর্ব এবং শ্রেষ্ঠত্বের ধারণা গড়ে তুলেছিল। গোঁড়ামির অন্ধকার থেকে মুক্ত হওয়ার পর মননশীল পরিবেশে প্রাচ্যের লোকেদের সামনা সামনি ব্রিটিশরা নিজেদের আধুনিক সভ্য হিসাবে দাবী করতে থাকে। এই প্রচেষ্টা উনিশ শতকে ব্রিটিশের সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনাকে যথার্থতা দান করেছিল। এজন্যই তারা ভারতে একাধিক সমাজ সংস্কারমূলক কাজে হাত দিয়েছিল। সুতরাং রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার সঙ্গে বিচার শক্তির মেলবন্ধন ঘটিয়ে ভারতবর্ষের জন্য সৃষ্টি হয়েছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী ভাবাদর্শ। সাম্রাজ্যবাদী ভাবাদর্শের বিভিন্ন ধারার ভিতরে উপযোগবাদী ভাবাদর্শ বেশ প্রভাবশালী ছিল। উপযোগবাদের প্রবক্তা জেরেমি বেন্থাম। তিনি প্রচার করেন যে মানব সভ্যতার আদর্শই হল মানুষের মঙ্গল সাধন করা। তিনি বলতেন যে, যথোচিত আইন ও জ্ঞানদীপ্ত শাসনই পরিবর্তন ঘটার সব

1857 এর বিদ্রোহের চরিত্র

1857 এর বিদ্রোহের চরিত্র 1857-র বিদ্রোহ ভারতের ঔপনিবেশিক শাসনের ইতিহাসে এক জলবিভাজিকা স্বরূপ। পূর্ববর্তী বিদ্রোহ গুলির তুলনায় আকার আয়তনে এই বিদ্রোহ ছিল ব্যাপকতর। বিদ্রোহের ব্যাপকতা ও গুরুত্ব নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে সন্দেহ নেই কিন্তু এর প্রকৃত চরিত্র উদঘাটন করতে গিয়ে প্রায় বিদ্রোহের সমসাময়িক কাল থেকেই বিতর্কের সূচনা হয়েছে। বিতর্কের তিনটি দিক 1. এই বিদ্রোহ কেবল সিপাহী বিদ্রোহ না গণবিদ্রোহ? 2. এই বিদ্রোহ কি সামন্ত শ্রেণীর প্রতিক্রিয়া? 3. এই বিদ্রোহকে জাতীয় সংগ্রাম বলা যায় কিনা? সমসাময়িক ইংরেজ চার্লস রেইকস তাঁর Notes on the Revolt in North Western Province of India গ্রন্থে 1857 এর বিদ্রোহকে সিপাহী বিদ্রোহ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সমসাময়িক বেশ কিছু ভারতীয় একই রকম মত পোষণ করেছেন। কিশোরী চাঁদ মিত্র এই বিদ্রোহ গণবিদ্রোহের ছিটেফোটাও লক্ষ্য করতে পারেননি শম্ভুচন্দ্র মুখোপাধ্যায় এবং হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় লেখাতেও একই রকম কথা উঠে এসেছে। একথা ঠিক যে বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল ভারতে ব্রিটিশ আর্মির ভারতীয় সৈনিকদের দ্বারা। তবে পরবর্তীকালে কৃষক কারিগর এবং সাধারণ মানুষ এই বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করেছ

বাংলায় অর্থনৈতিক নিষ্ক্রমণ (1757-1857)

বাংলায় অর্থনৈতিক নিষ্ক্রমণ (1757-1857) বাংলায় ঔপনিবেশিক শাসনের অনিবার্য পরিণতি ছিল সম্পদ নিষ্কাশন। 1757 খ্রিস্টাব্দে পলাশীর যুদ্ধে বাংলার স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করে মিরোজাফরকে নবাব করার মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার মসনদের উপর পরোক্ষ কর্তৃত্ব কায়েম করেছিল। রাজনৈতিক প্রভাবের সুবিধা নিয়ে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও তার কর্মচারীরা নানা অসৎ উপায় প্রচুর সম্পদ অর্জন করেছিল এবং সেগুলি স্বদেশে চালান করেছিল। বাংলা থেকে এইভাবে একমুখী সম্পদ নিষ্কাশনের ঘটনাকে ঐতিহাসিকরা 'পলাশীর লুণ্ঠন' বলেও উল্লেখ করেছেন। সম্পদ লুণ্ঠন মূলত দুটি ধারায় চলেছিল: 1. কোম্পানি অনুসৃত আর্থিক ও বাণিজ্যিক নীতি এবং 2. কোম্পানির কর্মচারীদের ব্যক্তিগত বাণিজ্য। ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পলাশীর আগে এদেশ থেকে পণ্য ক্রয় করার জন্য ইংল্যান্ড থেকে বুলিয়ন নিয়ে আসত। কিন্তু পলাশী ও বক্সারের যুদ্ধে জয়লাভের পর 1765 খ্রিস্টাব্দে দেওয়ানির অধিকার হাতে আসার ফলে এদেশ থেকে পণ্য কেনার জন্য আর বুলিয়ন আনার প্রয়োজন হত না। বাংলার রাজস্বের টাকায় পণ্য কেনা শুরু হয়। এমনকি চীনে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত

CU-HISG-CC -1/GE-1 SYLLABUS

CC -1/GE-1 : History of India from Earliest Times up to 300 CE I. Sources & Interpretation: Litarery sources and Archeological sources II. A broad survey of Palaeolithic, Mesolithic and Neolithic Cultures.  III. Harappan Civilization : Origin, Extent, dominant features &decline, Chalcolithic age.  IV. The Vedic Period: Polity, Society, Economy and Religion, Iron Age with reference to PGW &Megaliths.  V. Territorial States and the rise of Magadha, Conditions for the rise of Mahajanpadas and the Causes of Magadha’s success  VI. Iranian and Macedonian Invasions, Alexander’s Invasion and impact  VII. Jainism and Buddhism: Causes, Doctrines, Spread, Decline and Contributions  VIII. Emergence and Growth of Mauryan Empire; State Administration, Economy, Ashoka’s Dhamma, Art &Architecture  IX. The Satvahana Phase: Aspects of Political History, Administration, Material Culture, & Religion  X. The Sangam Age: Sangam Literature, The three Early Kingdoms, Society & the Tami

হরপ্পার পতনের ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা | Decline of Harappan Civilization

হরপ্পার পতনের ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা আনুমানিক 1750 খ্রিস্টপূর্বাব্দের পরে বিশাল আয়তন হরপ্পা সভ্যতার আর অস্তিত্ব ছিল না। দীর্ঘ সময় ধরে বিরাজমান হরপ্পা সভ্যতার পতনের পিছনে কি কারণ ছিল তা নিয়ে ঐতিহাসিক এর মধ্যে বিতর্কের শেষ নেই। ঐতিহাসিক ডেলস এবং রাইক মনে করেন, সিন্ধু নদের বাৎসরিক বন্যায় হরপ্পা সভ্যতা ব্যাপক ভাবে বিপর্যস্ত হত। মহেঞ্জোদারোর নগর প্রাকার বেশ কয়েকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং তার মেরামতও করা হয়েছিল-- এমন প্রমান পাওয়া গেছে। পাঁচিলের ভগ্নস্তূপে কাদার সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে মহেঞ্জোদারো ছাড়া অন্য কোন নগরে এরকম বন্যার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া এত উন্নত একটি সভ্যতা বন্যাজনিত ক্ষয়ক্ষতি রুখে দেওয়ার ব্যবস্থা করেনি; তাই সভ্যতা ধ্বংস হয়ে গেল-- এই যুক্তি অতি সরল যুক্তি। গুরুদীপ সিং দেখিয়েছেন একসময় সিন্ধু নদের উপত্যকার জলবায়ু ছিল আর্দ্র এবং কৃষির জন্য উপযোগী। কিন্তু 2200 খ্রিস্টপূর্ব নাগাদ নিকট প্রাচ্য, মধ্য প্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার বিস্তৃত অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস পায়। জলবায়ু শুষ্ক হয়ে ওঠে। ফলে কৃষি ব্যবস্থা সংকটের মধ্যে পড়ে। জলবায়ুর পরিবর্তনের জন্য মানুষ সৃষ্ট কা

তাইপিং বিদ্রোহের কারন ও পটভূমি | Background of Taiping Rebellion

তাইপিং বিদ্রোহের কারন ও পটভূমি উনিশ শতকের মধ্যভাগে মাঞ্চু সরকার যে কেবল বিদেশী সুযোগসন্ধানী ও আমন্ত্রণকারী হাতে বিপন্ন হয়েছিল তা নয়, দেশের অভ্যন্তরে নানা বিদ্রোহের ফলে গুরুতর সংকটের মুখে পড়েছিল ।এসব অভ্যন্তরীন বিদ্রোহের প্রকৃত কারণ ছিল দুর্ভিক্ষ এবং সামন্ততান্ত্রিক ও ঔপনিবেশিক শাসনের ফলে জনগণের চরম দুর্দশা। চল্লিশের দশক থেকে চিনে একাধিক ছোট খাটো বিদ্রোহ হলেও  ১৮৫০ থেকে বড় মাপের বিদ্রোহ দেখা দিতে থাকে। এগুলির মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক বিদ্রোহ ছিল তাইপিং বিদ্রোহ (1850-64)। মাঞ্চু শাসনে চীনের জনসংখ্যা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল, কিন্তু সেই অনুপাতে চাষযোগ্য জমির পরিমান বাড়েনি। ফলত  সাধারণভাবেই মাথাপিছু জমির পরিমাণ কমে যায়।  একে ছোট জমি, তার ওপর ছিল সুদখোর মহাজন, জমিদার ও অসৎ ব্যবসায়ীদের কার্যকলাপ। এই প্রেক্ষিতে জমির মালিকানা ক্রমশ অল্প সংখ্যক ধনী মানুষের হাতে সীমিত হচ্ছিল এবং বাড়ছিল ভূমিহীন কৃষকের সংখ্যা। এদিকে শিল্প না হওয়ার কারণে গ্রাম ছেড়ে রোজগারের আশায় শহরে আগত ভূমিহীন কৃষকদের কর্মসংস্থান হয়নি। দু'চারটে কুলি মজুর ছাড়া বেশির ভাগ মানুষই বেকার অথবা সমাজ বিরোধী তে  পরিণত হয়ে

Failure of Taipings | তাইপিং বিদ্রোহের ব্যর্থতা

তাইপিং বিদ্রোহের ব্যর্থতা তাইপিং বিদ্রোহের প্রথম পর্যায়ে যে ধরনের সাফল্য লাভ করেছিল তা যদি দীর্ঘস্থায়ী হতো তাহলে মাঞ্চু বংশের পতন রোধ করা অসম্ভব হত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাঞ্চু বংশ টিকে যায় এবং তাইপিংরা ব্যর্থ হয়।তাইপিং বিদ্রোহের ব্যর্থতার পশ্চাতে কী কারণ ছিল তা আলোচনা করা  দরকার।  ব্যর্থতার অন্যতম কারণ ছিল তাদের ভ্রান্ত রণনীতি। তারা বিদ্যুৎগতিতে বিভিন্ন স্থানে আক্রমণ করে কাগজপত্র ও কোষাগার লুণ্ঠন করে এগিয়ে যাওয়ার নীতি গ্রহণ করে। এর ফলে যুদ্ধে জয়ী হয়েও সুষ্ঠু ও অসামরিক শাসন বা সামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হয়নি এবং সেই সব অঞ্চলে মাঞ্চু বাহিনী দখল করে নেয়। বিদ্রোহীদের মতাদর্শের কতগুলি বৈশিষ্ট্য অনেকেই ভালোভাবে নেয়নি। বিদ্রোহীরা খ্রিস্ট ধর্মের প্রভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। নেতা হাং-শিউ-চুয়ান নিজেকে যিশুখ্রিস্টের ভাই বলে দাবি করেছিল। বিদ্রোহীদের খ্রিস্ট ধর্মের প্রতি এতটা টান জনগণের একটা অংশকে তাদের থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিল। তাছাড়া বিদ্রোহীদের মন্দির ধ্বংস করা এবং প্রাচীন রীতি নীতি গুলিকে আক্রমণ করা অনেকের কাছে অপ্রিয় ছিল। বিদ্রোহীদের নিজস্ব মতবাদের গোঁড়ামি ছিল বলে মাঞ্চু বিরোধী গুপ

হরপ্পার অর্থনীতি | Harapan Economy

হরপ্পার অর্থনীতি যেকোনো নগর সভ্যতা গড়ে ওঠার প্রারম্ভিক শর্তই হলো কৃষির উদবৃত্ত এবং সেই উদবৃত্তকে কাজে লাগিয়ে কারিগরি উৎপাদন ও বাণিজ্যের বিকাশ। নগররাশ্রয়ী হরপ্পা সভ্যতার ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছিল। হরপ্পা সভ্যতার উন্নত কৃষি ব্যবস্থার উপস্থিতি লক্ষ্য করার মতো। উৎখনন থেকে বিভিন্ন শস্যের দানার যেমন- গম, যব, মুগ, মসুর, সরষে প্রভৃতি রবি শস্য এবং জোয়ার, বাজরা, তুলো, তিল, ধান প্রভৃতি খারিফ শস্যের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ধানের অবশেষ কেবল রংপুর ও লোথাল এ পাওয়া গেছে। চাষবাসে এরা যে লাঙ্গলের ব্যবহার করত তার প্রমাণ আমরা পাই কালিবঙ্গান এর কর্ষণ ক্ষেত্র থেকে। কৃষির সমৃদ্ধির শ্রেষ্ঠ প্রমাণ হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোর বিরাট শস্যাগার, যেখানে শস্য ঝাড়াই মাড়াই থেকে শুরু করে সংরক্ষণের ব্যবস্থাও ছিল। এ এল বাসাম একে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কৃষির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত ছিল পশু পালন উৎখননের ফলে বিভিন্ন প্রকার গবাদিপশুর অস্থির প্রমাণ পাওয়া গেছে। সিলমোহরে বৃষ ও মহিষের নিয়মিত উপস্থিতি লক্ষ্য করার মতো। ভেড়া ও ছাগল পালনের প্রমাণ রয়েছে। তবে তারা ঘোড়ার সঙ্গে পরিচিত ছিল না। নগররাশ্রয়ী অর্থনীতির প্রধান

আর্য সমস্যা | আর্যদের আদি বাসস্থান | Aryan Problem | Homeland of Aryan's People

আর্য সমস্যা | আর্যদের আদি বাসস্থান আর্য বলতে কোনো জাতিকে বোঝায়না। আর্য একটি ভাষা গোষ্ঠীর নাম। সংস্কৃত, গ্রিক, ল্যাটিন, গথিক, কেলটিক, জার্মান প্রভৃতি ভাষাগুলি কোনো একটি ভাষা থেকে উদ্ভূত হয়েছে। ভাষাতাত্ত্বিকরা এদের জননী ভাষাকে ইন্দো ইউরোপীয় ভাষা বলে অভিহিত করেছেন এবং তার রূপ ও কাঠামো পুনর্গঠন করার চেষ্টা করেছেন। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত যে কোনো মানুষই আর্য নামে পরিচিত। উনিশ শতকে  বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদের যুগে প্রতিটি সাম্রাজ্যবাদী শক্তি নিজেকে শ্রেষ্ঠ এবং অপরকে নিকৃষ্ট জাতি বলে প্রচার করতে থাকে।  সভ্য জাতি অসভ্য জাতির উপর প্রভুত্ব করবে এটাই ছিল উপনিবেশ স্থাপনের পেছনে যুক্তি। যেহেতু আর্যরা সভ্যতার স্রষ্টা বলে মনে করা হত তাই বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী শক্তি নিজের দেশকে আর্যদের আদি বাসস্থান বলে দাবি করতে থাকে। সভ্যতার স্রষ্টার দাবি নিয়ে এই কড়াকড়ি আর্য সমস্যা নামে পরিচিত। অধ্যাপক জাইলস ইন্দো-ইউরোপীয়দের আদিভূমির সন্ধানে তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বের সন্ধানে বার্চ গাছ ও তার সমতুল্য শব্দের আলোচনা করেছেন। তিনি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার উৎস হিসেবে অনুমান করেছেন এমন একটি জায়গা যেখানে নিয়মিত বার্

উপমহাদেশে মধ্যপ্রস্তর যুগ | Mesolithic Age in Indian Subcontinent

উপমহাদেশে মধ্যপ্রস্তর যুগ প্রাচীন প্রস্তর যুগ ও নব্য প্রস্তর যুগের মধ্যবর্তী পর্বকে মধ্য প্রস্তর যুগ বা মেসোলিথিক যুগ বলা হয়।আনুমানিক 10,000 খ্রি:পূ: থেকে এই যুগের সূচনা। ভূতাত্ত্বিক যুগ প্লাইস্টোসিন পর্বের শেষ দিকে উত্তর গোলার্ধে তুষার যুগ চলেছিল। রেমন্ড অলিচিন ও ব্রিজিত অলিচিন মনে করেন এ সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশে চলেছিল বর্ষণ যুগ। তুষার যুগ ও বর্ষণ যুগের সমাপ্তির পর পৃথিবী ভূতাত্ত্বিক আধুনিক হলোসিন যুগে পৌঁছায়। মধ্য প্রস্তর যুগ এই হলোসিন যুগের অন্তর্ভুক্ত যা আগের যুগের তুলনায় উষ্ণতর। ভারতীয় উপমহাদেশে মধ্য প্রস্তর যুগের সন্ধান পাওয়া গেছে উত্তরপ্রদেশের মধ্যভাগে অবস্থিত সরাই নহর রাই, মহাদহা, চোপানিমান্ডো, মধ্যপ্রদেশের আদমগড়, রাজস্থানের বাগোর প্রভৃতি এলাকায়। মধ্য প্রস্তর যুগে  ক্ষুদ্রাশ্মীয় আয়ুধের ব্যাপক প্রচলন ঘটল। একই সাথে মিশ্র আয়ুধ বা কম্পোজিট টুল চালু হল। অর্থাৎ হাতিয়ারগুলি এত ক্ষুদ্র হল যে তার সাথে হাতল লাগানো হলো। সরাই নহর রাইতে দুপাশ ধারওয়ালা ছুরি এবং হাড়ের তৈরি তীরের ফলা পাওয়া গেছে। মধ্য প্রস্তর যুগে মানুষ তখনও শিকারি। তবে পশুর মাংস ঝলসে নেওয়ার জন্য আগুনের ব্যবহার তাদে

হরপ্পা বহির্ভূত তাম্রাশ্মীয় সংস্কৃতি | Chalcolithic Culture

হরপ্পা বহির্ভূত তাম্রাশ্মীয় সংস্কৃতি  কায়থা সংস্কৃতি ভারতীয় উপমহাদেশের তাম্র প্রস্তর যুগের সংস্কৃতির সর্বাধিক অগ্রগতি ঘটেছিল সিন্ধু উপত্যকা এবং তার আশেপাশের অঞ্চলে। তবে হরপ্পা সভ্যতার বৃত্তের বাইরে ভারতবর্ষের অন্যান্য কয়েকটি অঞ্চলে সমকালীন  যুগেই স্বতন্ত্র তাম্র প্রস্তর যুগীয় সংস্কৃতির উদ্ভব ঘটেছিল। যদিও নগরায়নের ধারা এই অঞ্চল গুলিকে স্পর্শ করেনি। এ রকমই একটি সংস্কৃতি হল মালবের কায়থা সংস্কৃতি। দক্ষিণ-পূর্ব রাজস্থানের বৃহত্তর এলাকা জুড়ে অবস্থিত উপত্যকা। প্রত্নতাত্ত্বিক উৎখননের ফলে এখানে একশোরও বেশি প্রাগৈতিহাসিক গ্রামীণ কেন্দ্রে পাওয়া গেছে। এগুলোর মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য হল কায়থা ও নভদাতলি। কায়থাকে কেন্দ্র করে এই সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল বলে একে কায়থা সংস্কৃতিও বলা হয়। কায়থা সংস্কৃতির সময়কাল 2400থেকে1800 খ্রিঃপূঃ।  কায়থা সংস্কৃতির প্রধান অঙ্গ মৃৎপাত্র। হাতে তৈরি মৃৎপাত্র যেমন আছে তেমনি আছে কুমোরের চাকায় তৈরি পাত্র। এগুলির মধ্যে বেশিরভাগই রঙিন ও নকশা কাটা। হালকা লাল বেগুনি রংয়ের মৃৎপাত্র পাওয়া গেছে। বহুল পরিমাণে তামার পণ্য সামগ্রীও প্রত্নক্ষেত্রগুলি থেকে পাওয়া গেছে; যেমন- ত

নারীর অবস্থানঃ ঋক বেদ থেকে পরবর্তী বেদ | Women's Status in the Society: From Rigveda to Later Vedas

নারীর অবস্থানঃ ঋক বেদ থেকে পরবর্তী বেদ যেকোনো সমাজের উৎকর্ষতা অনেকটাই নির্ভর করে সেই সমাজের নারীর অবস্থার ওপর। এক সময় মনে করা হত প্রাচীন ভারতে নারীর অবস্থান ছিল অতি উচ্চ। তুর্কিদের আগমনের পর থেকে নারীর অবস্থান নিম্নগামী হয় ক্রমশ। অবশ্য আধুনিক গবেষণায় এই মত বাতিল হয়েছে । ঋক বৈদিক যুগে নারীর মর্যাদা ছিল যতটা উপরে পরবর্তী বৈদিক যুগে কৃষিনির্ভর জটিল সমাজব্যবস্থা চালু হবার সাথে সাথে নারীর অবস্থান ক্রমশ নিম্নগামী হয়।  ঋকবেদে নারী ঋক বৈদিক সমাজ ছিল পিতৃতান্ত্রিক। তাই পুত্র সন্তান ছিল অধিক কাম্য। তবে কন্যা সন্তান একেবারে অবহেলিত ছিল না। মেয়েরা শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পেত। অপালা, ঘোষা, সূর্য্যা, বিশ্ববারা প্রমুখ নারী বেদের সূত্র রচনা করেছিলেন। এরা পরিচিতা ছিলেন ব্রহ্মবাদীনী নামে। নারীরা বিদথ- এর অধিবেশনে যোগ দিতে পারতেন, যুদ্ধে অংশ নিতে পারতেন। সুকুমারী ভট্টাচার্য দেখিয়েছেন যে, যেসব নারী অবিবাহিতা থেকে যেতেন তারা জরৎকুমারী নামে পরিচিত হতেন। ঋকবেদে বলা হয়েছে নারীর বিবাহ হত তারা বিবাহ যোগ্যা হলে এবং অভিভাবকের নিয়ন্ত্রণ ছিল না তেমন। একটি মেলার কথা জানা যায় যেখানে বিবাহযোগ্য নরনারী মিলিত হতেন এবং এক

প্রতিবাদী ধর্ম হিসাবে জৈন ধর্ম | Jainism as Protestant Religion

প্রতিবাদী ধর্ম হিসাবে জৈন ধর্ম  খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে নাগাদ বৈদিক ব্রাহ্মণ্য আধিপত্যের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদী আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম প্রতিবাদী ধর্ম হল জৈন ধর্ম। জৈন মতে মোট 23 জন তীর্থঙ্কর। প্রথম তীর্থঙ্কর হলেন ঋষভনাথ। প্রথম 22 জন তীর্থঙ্করের ঐতিহাসিক অস্তিত্ব পাওয়া যায়না। তবে শেষ 2 জন তীর্থঙ্করের  ঐতিহাসিক অস্তিত্ব নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এরা হলেন পার্শ্বনাথ ও মহাবীর। পার্শ্বনাথ ও মহাবীরের দর্শনই জৈন ধর্মের মূল ভিত্তি।  জৈন ধর্মের অবশ্যপালনীয় চারটি কর্তব্য নির্দিষ্ট করে যান 23 তম তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথ। এই চারটি কর্তব্য হল ১. অহিংসা অর্থাৎ কাউকে হত্যা না করা, ২. মিথ্যা ভাষণ বা মিথ্যাচার না করা, ৩.  চুরি বা অপরের দ্রব্য অপহরণ না করা এবং ৪. অপরিগ্রহ অর্থাৎ ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকারী না হওয়া। এই চারটি কর্তব্য চতুরযাম নামে পরিচিত। মহাবীর এই চারটি কর্তব্যের সঙ্গে আরও একটি কর্তব্য যুক্ত করেন। এটি হলো ব্রহ্মচর্য কর্তব্য। এর ফলে চতুরযাম পঞ্চমহাব্রত-এ পরিণত হয়। জৈন ধর্মে আপেক্ষিকতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের মতে সত্য ও জ্ঞান আপেক্ষিক। কোন প্রতিজ্ঞাই ধ্রুব নয়। সমস্ত

প্রতিবাদী ধর্ম হিসাবে বৌদ্ধ ধর্ম | Buddhism as Protestant Religion

প্রতিবাদী ধর্ম হিসাবে বৌদ্ধ ধর্ম খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের প্রতিবাদী ধর্মান্দোলনের সময় সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী প্রতিবাদী ধর্ম হিসাবে বৌদ্ধ ধর্মের আবির্ভাব ঘটেছিল। বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন গৌতম বুদ্ধ। তবে তিনি দাবি করেছিলেন যে তার আগেও অনেক বুদ্ধ এসেছিলেন এবং তার পরেও অনেক বুদ্ধ আসবেন। হীনযান মতে মোট 24 জন বুদ্ধ জগতে আবির্ভূত হয়েছেন এবং মহাযান মতে এই সংখ্যা 32। বৌদ্ধ ধর্ম দর্শনের কেন্দ্রে রয়েছে দুঃখবাদ। বুদ্ধের মতে জগতে সবকিছুই অনিত্য, অলীক ও অশাশ্বত ।অথচ মানুষের তৃষ্ণা অসীম এবং অশেষ। মানুষের কামনা বাসনা চরিতার্থ হয় না বলেই জন্ম-মৃত্যু-পুনর্জন্ম-- এই চক্র অবিরাম চলতে থাকে এবং এর ফলে দুঃখ কেবল বেড়েই যায়। বুদ্ধের এই তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত হয় চতুরার্য সত্য। এই চারটি সত্য হল- ১. জগত দুঃখময়, ২. দুঃখের কারণ আছে, ৩. দুঃখের কারণ নির্ধারণ করা গেলে দুঃখ নিবারণ সম্ভব এবং ৪. দুঃখ নিবারণের উপযুক্ত পন্থা আছে। বৌদ্ধ ধর্ম চিন্তার অপর স্তম্ভ হল প্রতীত্যসমুৎপাদবাদ। কার্যকারণ সম্পর্কে উপর আশ্রয় করেই প্রতীত্যসমুৎপাদবাদ তত্ত্ব গড়ে উঠেছে। দুঃখবাদ ও প্রতীত্যসমুৎপাদবাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ক্ষণি

ঋক বৈদিক যুগের আর্যদের রাজনৈতিক পরিস্থিতি | Political Condition in Rigvedic Period

ঋক বৈদিক যুগের  আর্যদের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বৈদিক সাহিত্য প্রধানত ধর্মীয় সাহিত্য। তাই রাজনৈতিক জীবন সংক্রান্ত তথ্য এখানে খুবই কম। তবু এমন কিছু কথা , যেমন যুদ্ধে জয়লাভের বাসনা , যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সম্পদ লুন্ঠনের আকাঙ্ক্ষা , দেবতার নিকট যুদ্ধ সংক্রান্ত প্রার্থনা প্রভৃতি থেকে রাজনৈতিক পরিস্থিতির একটা আভাস পাওয়া যায়। ঋকবেদে জন, গণ, বিশ  এই তিনটি শব্দ বহুবার উল্লিখিত হয়েছে। এগুলি একটি জনগোষ্ঠীকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। ঋকবেদের গ্রাম কেবল একটি গ্রামীণ জনবসতি নয়, একটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীও। রামশরণ শর্মা বলেছেন পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কহীন কয়েকটি পরিবারকে নিয়ে এক একটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠী গড়ে উঠত। নৃতাত্ত্বিক পরিভাষায় এগুলিকে ব্যান্ড বলা হয়। গ্রামের চেয়ে বড়ো জনগোষ্ঠীকে জন, গণ বা বিশ শব্দ দিয়ে বোঝানো হয়েছে। আর.এস. শর্মা ও মাইকেল হিৎজেল ট্রাইব বা ক্ল্যান জাতীয় বা কৌম জাতীয় শব্দ সক্রিয় উপস্থিতি লক্ষ্য করেছেন। পাঁচটি কৌম নিয়ে গড়ে উঠেছিল পঞ্চজনা। ভরত নামক কৌমটি একাধিক যুদ্ধে জয়লাভের জন্য গুরুত্ব পেয়েছিল। ঋকবেদে 'রাজা ' শব্দটি উপস্থিত থাকলেও সে যুগে রাজতন্ত্র গড়ে ওঠেনি। কারণ রাজার উপাধি ছিল বিশপতি বা গোপতি

আর্যদের বসতি বিস্তার । Aryan Settlement

  আর্যদের বসতি বিস্তার  উপমহাদেশের ইতিহাসে আর্য সংস্কৃতি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়। আর্যরা মোটামুটি 1500 BC থেকে ভারতে বসতি গড়তে শুরু করে। ভাষাতাত্ত্বিক গবেষণায় এটা নিশ্চিত যে আর্যরা বহিরাগত। অধ্যাপক ব্রান্ডেস্টাইন দেখিয়েছেন যে আর্যদের আদি বাসস্থান কিরঘিজস্তান তৃণভূমি এলাকায়। সেখান থেকে একটি শাখা ইরানে এবং ইরান থেকে ভারতে চলে আসে। আর্যরা ভারতে এসেছিল মাইগ্রেসান এর মধ্য দিয়ে, কোনো সামরিক অভিযানের মাধ্যমে নয়। প্রাথমিক স্তরে আর্যরা পশুপালক জীবনে অভ্যস্ত ছিল।  আর্যদের প্রথম 500 বছর সময়কাল ঋক বৈদিক যুগ নামে পরিচিত। ঐ সময় ঋকবেদ রচিত হয়েছিল। ঋকবেদ কেবল ভারতের নয়, সমগ্র ইন্দো ইউরোপীয় ভাষার প্রথম সাহিত্য। ঋকবেদ থেকে জানা যায় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম দিকে আর্যরা প্রথম বসতি স্থাপন করেছিল। ঋকবেদে বারবার সিন্ধুনদকে  'নদীশ্রেষ্ঠ' এবং ' মাতাশ্রেষ্ঠ' বলা হয়েছে।  বিস্ময়ের কথা গঙ্গা ও যমুনার নাম মাত্র একবার উল্লেখিত হয়েছে, তাও একেবারে শেষ্‌ দশম মন্ডলের নদীস্তুতিতে।  সিন্ধুর উপনদীগুলির বারবার উল্লেখ করা হয়ে ছে। কিন্তু অক্ষু ও আমুদরিয়ার উল্লেখ নেই। সিন্ধুর পূর্ববর্তী উপনদীগুলির নাম বিতস্তা,

দ্বিতীয় নগরায়ন | Second Urbanization

দ্বিতীয় নগরায়ন  ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম নগরায়ন হয়েছিল হরপ্পা সভ্যতায়। হরপ্পার পতনের পর উপমহাদেশে বৈদিক আর্যরা গ্রামীণ সভ্যতার বিকাশ ঘটিয়েছিল। দ্বিতীয়বার নগরজীবনের আবির্ভাব হলো খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে। আলোচ্য পর্বে কৃষি শিল্প ও বাণিজ্যের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি উপমহাদেশের অর্থনীতিতে যে জোয়ার নিয়ে এসেছিল তার অন্যতম ফলশ্রুতি ছিল উপত্যকায় নগরায়নের আবির্ভাব।  সমসাময়িক লিখিত বিবরণ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ফলে প্রাপ্ত উপাদানগুলি থেকে আমরা আলোচ্য পর্বে নগরায়নের নিয়মিত উপস্থিতি লক্ষ্য করি। পূর্ব পঞ্চম শতকে বৈয়াকরণিক পাণিনির রচনায় গ্রাম ও শহরের স্পষ্ট পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। মহাপরিনির্বাণ সূত্র থেকে জানা যায় বুদ্ধের সময় 60 টি নগর ছিল। এরমধ্যে 6 টি ছিল প্রধান। এগুলি হল বারানসী, কৌশাম্বী, চম্পা, শ্রাবস্তী রাজগৃহ ও কুশিনগর। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য কুশিনগর ছাড়া বাকি পাঁচটি কোনো-না-কোনো মহাজনপদের রাজধানীর ছিল। বৌদ্ধ সাহিত্য নগর গুলির অভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্যের বিবরণ আছে ছোট-বড়-মাঝারি নির্বিশেষে প্রত্যেক নগরের চারিদিকে বিশাল প্রাকার পরিখা থাকত। প্রতি নগরে প্রাসাদ, প্রশস্ত রাস্তা ঘাট, ব্যস্ত

সংগ্রহশালার শ্রেণীবিভাগ | Types of Museum

 সংগ্রহশালার শ্রেণীবিভাগ                 বর্তমানে সারা পৃথিবীতে মোটামুটি 55 হাজার মিউজিয়াম আছে এবং ভারতবর্ষের প্রায় কয়েকশো। এমনও বহু মিউজিয়াম আছে যেগুলি নথিভুক্ত নয়। বস্তুর সংগ্রহ, অবস্থান, প্রশাসনিক পরিকাঠামো, দর্শনার্থী প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে মিউজিয়াম গুলিকে বিভিন্ন ভাবে শ্রেণীবিভাজন করা হয়েছে।    Indian Museum  সংগৃহীত বস্তুর ওপর ভিত্তি করে   মিউজিয়ামের  শ্রেণীবিভাগ  (1)আর্ট মিউজিয়াম:- বিভিন্ন ধরনের দৃশ্যকলা, চিত্র এই   মিউজিয়ামের প্রধার সংগ্রহ। যেমন নিউ দিল্লির ন্যাশনাল   গ্যালারি অফ মর্ডান আর্ট (National gallery of modern art).  (2) আর্ট এন্ড ক্রাফট মিউজিয়াম:- এই মিউজিয়ামের চিত্রের সাথে সাথে ভাস্কর্যও স্থান পায়। যেমন, শান্তিনিকেতনের প্রকৃতি মিউজিয়াম। (3) প্রত্নতাত্ত্বিক মিউজিয়াম:- এখানে প্রধানত প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তুগুলো সংরক্ষিত হয়। যেমন, সাঁচি মিউজিয়াম।  (4) ঐতিহাসিক মিউজিয়াম:- বিভিন্ন ঐতিহাসিক বস্তু, নথি সংরক্ষিত হয়। যেমন, মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজী মিউজিয়াম (5) বায়োগ্রাফিক্যাল মিউজিয়াম:- যে মিউজিয়ামে কোনো ব্যক্তি বা ব্যাক্তি সমষ্টির জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত