সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তৃতীয় পানিপথের যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা কর।

 মারাঠা জাতি তথা ভারতের ইতিহাসে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ একটি নির্ণয় কারী ঘটনা। পেশোয়া বালাজি বাজিরাও পাঞ্জাব দখল করলে আফগান বীর আহমদ শাহ আবদালির সঙ্গে মারাঠাদের সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। আবদালি ১৭৫৮ তে পাঞ্জাব পুনঃ দখল করে দিল্লির দিকে এগিয়ে যান পথে বালাজি বাজিরাও তার পুত্র বিশ্বাস‌ রাও ও ভাই সদাশিব রাও এর নেতৃত্বে বিরাট বাহিনী আহমদ শাহ আবদালিকে বাধা দেওয়ার জন্য প্রেরণ করেন। মারাঠা সেনাপতি উত্তর ভারতের হিন্দু রাজাদের সাহায্য চেয়েছিলেন কিন্তু সাড়া পাননি। মারাঠারা দিল্লি দখল করলে আবদালি ও দিল্লির দিকে অগ্রসর হয় ১৭৬১ খ্রিস্টাব্দে বিখ্যাত পানিপথের যুদ্ধে নিঃসঙ্গ মারাটা বাহিনী পরাজিত হয়। যুদ্ধে বিপাণ চন্দ্রের মতে ২৪ হাজার মারাঠা সেনা ও ২২ জন প্রধান সেনাপতি মারা যায়। বিশ্বাস রাও ও সদাশিব রাও এর মৃত্যু ঘটে পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে বালাজি বাজিরাও ওই বছরেই মারা যান। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের গুরুত্ব নিরুপমে ঐতিহাসিকরা তীব্র বিতর্কে জড়িয়েছেন। মারাঠা ঐতিহাসিকরা এই যুদ্ধকে গুরুত্বহীন ঘটনা হিসেবে প্রতিপন্ন করতে চেয়েছেন। তাদের মতে কয়েকজন প্রথম সারির মারাঠা সামরিক নেতা ছাড়া মারাঠা শক্তি...

খানুয়ার যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা কর।

 ইব্রাহিম লোদী পরাজিত হলেও আফগানরা নিশ্চিহ্ন হয়নি। ভ্রাতা মামুদ লোদী আফগানদের সঙ্ঘবদ্ধ করার প্রয়াস চালিয়েছিলেন। পানিপথের যুদ্ধের পর রাজপুত নেতা রানা সঙ্গ দিল্লি দখলের পরিকল্পনা করেন। তিনি ভেবেছিলেন বাবর, তৈমুরের মতো লুণ্ঠন করে ফিরে যাবে ।কিন্তু যখন তিনি দেখলেন বাবর সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে তখন তিনি আফগানদের সঙ্গে আঁতাত করে বাবরকে ভারত ছেড়ে বিতাড়িত করার পরিকল্পনা করেন। আবার অন্যদিকে বাবরও ভেবেছিলেন যে রাজপুতদের পরাস্ত করতে পারলে তার ভারতে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে না তাই উভয়পক্ষই যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকে।  ১৫২৭ খ্রিস্টাব্দে ১৭ ই মার্চ উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ বাধে আগ্রার অদূরে খানুয়ার প্রান্তরে প্রাথমিক পর্বে নির্ভীক দুঃসাহসী রাজপুতরা মুঘল বাহিনীকে চাপে ফেলে দেয় কিন্তু বাবর এই প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয় ও তার কেন্দ্রীয় ও সংরক্ষিত বাহিনীর দ্বারা রাজপুতদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।  খানুয়ার যুদ্ধের ফলাফল নিয়ে ঈশ্বরী প্রসাদ বলেছেন খানুয়ারের যুদ্ধ ভারতের ইতিহাসে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। দিল্লিতে সুলতানি অবক্ষয়ের পর যে রাজপুত নেতৃত্ব হিন্...

পানিপথের দুই যুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে উত্তর ভারতের প্রাধান্য বিস্তারের ক্ষেত্রে মুঘল আফগান সংঘর্ষ সম্পর্কে আলোচনা কর। মুঘল সাফল্যের কারণ দর্শাও।

  ষোড়শ শতক ভারতের রাজনৈতিক পালাবদল এর কাল। গতানুগতিক ইতিহাস চর্চায় যে দীর্ঘ সময়কালকে ইসলামিক যুগ বলে আখ্যা দেওয়া হয় তারই অন্তর্গত এই পর্ব। আধ্যাত্মিক দিক থেকে মুঘল ও আফগানরা ইসলাম ধর্মালম্বী ছিলেন কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উভয় গোষ্ঠী যথেষ্ট শত্রু ভাবাপণ্য কারণ এখানে ধর্ম নয় ক্ষমতার দ্বন্দই বড়। ১৫ শতকের শেষ দিক থেকে দিল্লির সুলতানি সাম্রাজ্য ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে। লোদী সম্রাট ইব্রাহিম লোদীর সময়ে কেন্দ্রীয় শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। আফগান সদ্দার রা ইব্রাহিম লোদীর প্রতি রুষ্ট হয়ে তাকে ক্ষমতা চ্যুত করার ষড়যন্ত্র করতে থাকে। রাজপুত রাও পিছিয়ে ছিল না এই পরিস্থিতিতে মধ্য এশিয়া থেকে তাড়া খাওয়া বাবরের কাছে ভাগ্যের সন্ধানে নতুন দরজা খুলে দেয়।  মঙ্গল ও তৈমুর বংশের মিশ্র বংশজাত বাবার নাবালক অবস্থায় তারই আত্মীয় শত্রুদের দ্বারা পিতৃ রাজ্য ফারঘানা রাজ্য থেকে বিতাড়িত হন। তার পক্ষে মধ্য এশিয়ার অটোমান, সাফাবিদ ও উজবেগ দের সাথে পেরে ওঠা সম্ভব হয়নি। সামার খন্দ দখলের আরো দুটি প্রচেষ্টা আরচিয়ান ও গজ দাওয়ানের যুদ্ধ ব্যার্থ হয় তবে কাবুলের রাজনৈতিক গৃহ বিপদের সুযোগে বাবর ১৫০৪ খ্র...