সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মনসবদারি ব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো। আকবর থেকে ঔরঙ্গজেব পর্যন্ত মনসবদারী প্রথার বিবর্তন গুলি চিহ্নিত কর।

মুঘল সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক ও সামরিক কাঠামোর একটি মূল উপাদান ছিল অধীনস্থ অশ্বারোহী সংখ্যার ভিত্তিতে অভিজাত্যের স্তরবিন্যাস যাকে মনসব ব্যবস্থা বলা হয়। আইন- ই- আকবরী ও ১৭ শতকের কিছু দলিল দস্তাভেজ ও অন্যান্য গ্রন্থ থেকে এই ব্যবস্থার একটি রূপরেখা তৈরি করা যায়। মোরল্যান্ড ও আব্দুল আজিজ যখন মনসবদারী ব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য গুলি চিহ্নিত করছিলেন। পরবর্তীকালে সেগুলি সংশোধন ও পরিমার্জিত করেছিল আতাহার আলী ও ইরফান হাবিব।


মনসব বলতে দু ধরনের ব্যবস্থা বোঝায় প্রথমটি জাট যা অভিজাতদের পদাধিকারীর ব্যক্তিগত মাইনে ও ক্রমন্নত স্তর ব্যবস্থায় আর মর্যাদা নির্ধারণ করত। দ্বিতীয়টি হল সওয়ার যা ছিল অধীনস্থ ঘোড়সওরের সংখ্যার ও তার বেতন বাবদ কি পরিমান অর্থ মঞ্জুর হয়েছে তার সূচক। 


মনসব ব্যবস্থা তার ধ্রুপদী রূপ লাভ করেছিল ১৬০৫ সালে। এর আগে মনসব ব্যবস্থা কিভাবে বিবর্তিত হয়েছিল তার উত্তরে মোরল্যান্ড ও আব্দুল আজিজ বলেছেন আকবরের আগে একটি মাত্র সংখ্যা ভিত্তিক পদানুক্রম চালু ছিল যার দ্বারা বোঝানো হতো পদাধিকারীর অধীনে কত ঘোড়সওয়ার থাকার সম্ভাবনা। তারপর প্রকৃত ঘোড়সওয়ার সংখ্যার সঙ্গে অসঙ্গতির জন্য পরিসংখ্যাটি অর্থহীন হয়ে পড়ায় আকবর তার শাসনকালের একাদশ বর্ষে‌ সওয়ার প্রথার প্রবর্তন করেন আগের পদানুক্রমটি জাট এ পরিণত হলো। 


এ.জন.ক্যায়সার বলেছেন আকবরের শাসনকালের আগে সংখ্যা ভিত্তিক পদানুক্রমের অস্তিত্ব ছিল না। আকবরের রাজত্বকালের ১৪ তম বর্ষে একই সাথে জাট ও সওয়ার পদানুক্রম চালু হয়। ইরফান হাবিব ও শিরিন মুসভি, ক্যায়সার এর মত কে সঠিক বলেই মনে করেন। আবুল ফজল বলেছেন আকবরের ১৪ তম বর্ষে রাজ্যে নতুন পদানুক্রম চালু করেন। বদাউনির লেখা থেকে জানা যায় এই পদানুক্রম টি সংখ্যা ভিত্তিক। সংখ্যা ভিত্তিক পদানুক্রম অনুসরণ করে মনসব প্রদানে সবচেয়ে পুরাতন নথি যে পাওয়া যায় তা আকবরের রাজত্বের একুশতম বছরে। হুমায়ুন কবি জাট এর বিভিন্ন মর্যাদার স্তরে বিভক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। ওই মর্যাদার ভিত্তিতে বেতন স্থির হয়েছিল কিন্তু সামরিক দায়-দায়িত্বের কোন উল্লেখ নেই। এর কারণ সম্ভবত হুমায়ুন খুব অল্পই পদমর্যদাই সৃষ্টি করেছিলেন। আকবরের ষোড়শ তম রাজ্য বর্ষে একটি চিঠি থেকে বোঝা যায় সম্রাট তার ইচ্ছা মতো আমিরদের বেতন হার স্থির করতেন। আকবরনামা ও তাবাকাৎ- ই- আকবরী তে বহু উদাহরণ প্রমাণ করে বেতনের সঙ্গে সামরিক দায়-দায়িত্বের স্পষ্ট কোন নির্দেশ থাকত না। আকবর রাজত্বকালের একাদশ বর্ষে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেটি নির্দিষ্ট সংখ্যক সৈন্যের ভরণপোষণের দায়-দায়িত্ব আরোপের সর্বপ্রথম প্রমাণ। আবুল ফজলের লেখা থেকে জানা যায় পদাধিকারীদের কত সংখ্যক অনুচার রাখতে হবে সেটা স্থির করা হলো। কিন্তু সম্রাটের সেবার জন্য কতজন প্রস্তুত থাকবে তার কোন স্পষ্ট নির্দেশ নেই। তবে সৈনিকদের তিনটি গ্রেডে ভাগ করা হয়েছিল। বস্তুত মনসব ব্যবস্থার সঙ্গে এই নির্দেশের মৌলিক পার্থক্য রয়েছে কারণ, এখানে আগে জায়গীর বণ্ঠিত হয়েছে। এবং তারপর এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে স‌ওয়ার সংখ্যা নির্দিষ্ট হয়েছে। মনসব ব্যবস্থা ঠিক এর উল্টো। 


আইন-ই আকবরী তে আবুল ফজল ৪০ তম শাসনকাল পর্যন্ত জীবিত অথবা মৃত সব অভিজাতদের একটি তালিকা তৈরি করেছিলেন। তাতে ১৮ তম বর্ষের আগে মারা গেছেন তাদেরও পদমর্যাদা ভূষিত করেছেন। এর থেকে যে ধারণা জন্মায় তা উপরের বক্তব্যের বিরুদ্ধ। কিন্তু তবাকাৎ- ই- আকবরীর তালিকায় সেই সব মনসব নথিভুক্ত হয়েছিল যেগুলি প্রকৃতই প্রদত্ত হয়েছিল। সম্ভবত আবুল ফজল ওদের মরণোত্তর পদমর্যাদায় ভূষিত করেছিল।


আবুল ফজল বলেছেন ১৮ তম বর্ষে দাগ ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। এবং 19 তম বর্ষে কার্যকর হয়েছিল এই প্রথম মনসব শব্দটির ব্যবহার দেখা যায় এবং তা পদমর্যাদা বোঝাতে। সৈনিকদের তিন ভাগে ভাগ করা হলো ইয়াক আস্পা,দো আস্পা,সিহ আস্পা। দশ, পাঁচ হাজারি মনসব দেওয়া চালু ছিল। অধীনস্থ সৈনিকদের বেতন ঠিক হত আলাদাভাবে তবে এরা কেউই জাট ও সওয়ারের কথা বলেননি। 


মুঘল আমলে ব্যবহৃত বরাওয়ার্দী শব্দটি ব্যবহারিত হতো। ইরফান হাবিবের মতে এই শব্দটির দ্বারা 'দাগ' হওয়ার আগে 'সওয়ার' প্রতি সমহারে প্রদত্ত ভাতা বুঝাত। 'দাগ' এর পরে যার পরিমাণ চূড়ান্তভাবে স্থির হত। বদায়নি ও ইকবালনামা থেকে মনসব ব্যবস্থার আরো একটি বৈশিষ্ট্য জানা যায়। ঘোড়স‌ওয়ার বাহিনী ছাড়াও মনসবদারদের হাতি, উট ও ঘোড়া পালন করতে হতো। এবং দাগের জন্য ওগুলিকে নিয়ে যেতে হতো। এজন্য ওরা সরকারি তালিকা থেকে বাড়তি টাকা পেত। 


মনসব ব্যবস্থা ক্রমবিকাশের চূড়ান্ত পর্যায় আকবরের ৪০ তম শাসন বর্ষে একটি নতুন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছিল। আবুল ফজল বলেছেন ওই সময় মনসবদারদের তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হলো। যাদের পোষ্য সওয়ার সংখ্যা মনসব পদাঙ্কের সমান তারা প্রথমটি শ্রেণীভুক্ত। যাদের অর্ধেক বা তার বেশি তিনি দ্বিতীয় শ্রেণীর। অপর যাদের অর্ধেকের কম তারা তৃতীয় শ্রেণীর ভুক্ত। এরপর থেকেই সওয়ার সংখ্যা ও মনসব সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়।


সাধারণভাবে ১০,০৫ হাজারী মনসব দেওয়া হতো এবং এর মধ্যে ৬৬ টি বিভাগ ছিল। যেগুলি ১০০ পর্যন্ত ১০ এর গুণিতক এবং তারপর ৫০ ও ১০০ এর গুণিতক, তবে পাঁচ হাজারের উপরে ও দেওয়া হতো। যেগুলি রাজকুমার রা অথবা খুব কাছের লোকেরা পেতো। আকবরের সময় রাজা মানসিংহ ও মির্জা আজিজ কোকা, সাত হাজারী মনসব পেয়েছিলেন। সাধারণভাবে প্রথমদিকে ৫০০ পদাঙ্ক পর্যন্ত মনসবদার বলা হত। ৫০০ থেকে আড়াই হাজার পদাঙ্কের পদাধিকারীদের আমির বলা হত। অপার আড়াই হাজারের উপরে হলে তাকে আমির-ই-উমরা বলা হত। 


মনসবদারী ব্যবস্থায় নিয়োগ, পদোন্নতি, পদাবনতি সবই সম্রাট এর ইচ্ছায় হত। বদায়নি লিখেছেন পদোন্নতির শর্ত ছিল মনসব অনুযায়ী ধার্য বাহিনী হাজির করতে পারা। মনসব ব্যবস্থার গায়ে ধর্মের রঙ লাগেনি। আকবরের সময় থেকে যতদিন গেছে মনসবদারদের সংখ্যা তত বৃদ্ধি পেয়েছে। মনসবদারদের বেতন ছিল দুই ভাগে। নগদে যারা বেতন পেতো তারা মনসবদার- ই- নগদী। অপর যারা জমির জায়গীর পেতো তারা জায়গিরদার নামে পরিচিত হতো। জায়গির গুলিতে যাতে কায়েমি স্বার্থ গড়ে না উঠে তার জন্য মুঘল সম্রাটরা সদা সচেতন ছিল। বংশানুক্রমিকতাকে আটকানো হত। একজন মনসবদারের মৃত্যু হলে তার পুত্ররা সামান্য সৈনিকে পরিণত হতো। জায়গীরদারদের বারবার বদলি করা হতো। যদিও এই প্রবণতা শেষ দিকে কমতে থাকে। 

ঐতিহাসিক আরভিন মনসবদারি ব্যবস্থায় একাধিক ত্রুটির কথা উল্লেখ করেছেন। মনসবদাররা শর্ত অনুসারে সংখ্যায় ও যোগ্য সেনা রাখত না। তাছাড়া সৈন্যদের আনুগত্য মনসবদারদের প্রতি ছিল সম্রাট বা রাষ্ট্রের প্রতি নয়। তাই মুঘল বাহিনী কখন‌ও একটি অখণ্ড জাতীয় বাহিনীতে পরিণত হতে পারিনি। শিরিন মুসভি বলেছেন আকবরের মত ব্যক্তিত্বের প্রভাবে এই ব্যবস্থা সাম্রাজ্যের মুঘল অভিজাদের ও সামরিক যন্ত্রের কার্যাবলীতে একটি উচ্চ স্তরের ঐক্য ও শৃঙ্খলা এনেছিল এবং মুঘল সাম্রাজ্যের শক্তি ও স্থায়িত্বের মূলে এর অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আকবরের পরবর্তীকালে এই ব্যবস্থা কোন কোন বিষয়ের জটিল হয়েছে তবে মূলনীতিটি অপরিবর্তিত ছিল।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আরবদের সিন্ধু অভিযানঃ প্রত্যক্ষ কারণ ও তাৎপর্য | Arab Conquest of Sindh: Immediate Causes and Significance

আরবদের সিন্ধু অভিযানঃ প্রত্যক্ষ কারণ ও তাৎপর্য সপ্তম শতকের প্রথমার্ধে আরবদেশে ইসলামের আবির্ভাব ঘটে। ইসলাম আরবদের নতুন করে জীবনীশক্তির সঞ্চার করে । ইসলাম ক্রমশ: একটি ধর্ম থেকে রাজনৈতিক শক্তি রূপে আত্মপ্রকাশ করে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তারা আরবীয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। ভারতবর্ষের সঙ্গে আরবদের যোগাযোগ দীর্ঘদিনের। বাণিজ্যিক সূত্রে তারা নিয়মিত ভারতের উপকূল গুলিতে, বিশেষ করে মালাবার উপকূলে আসত। ভারতীয় ও চীনা পণ্য 'ধাও' নামক বিশেষ জাহাজে করে নিয়ে তারা ইউরোপের বাজারে বিক্রি করত। 712 খ্রিস্টাব্দে ইরাকের গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এর সেনাপতি ও জামাতা মোহাম্মদ বিন কাসেম সিন্ধু দেশে একটি সফল অভিযান করেন এবং সিন্ধুদেশ আরবীয় মুসলমানদের অধীনে চলে যায়। অভিযানের(প্রত্যক্ষ) কারণ ভারতবর্ষের প্রতি আরবদের দীর্ঘদিনের নজর ছিল। এর আগেও বহুবার ভারতের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পাঠানো হয়েছিল। তবে এই(712 খৃ:) অভিযানের একটি প্রত্যক্ষ কারণ ছিল। জানা যায় যে সিংহলের রাজা ইরাকের গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ কে কয়েকটি জাহাজে করে উপঢৌকন পাঠাচ্ছিলেন কিন্তু পথে সিন্ধু দেশের জলদস্যুরা দেবল বন্দরে এ...

মহাফেজখানার শ্রেণীবিভাগ | Category of Archives

মহাফেজখানার শ্রেণীবিভাগ মহাফেজখানা বা লেখ্যাগারগুলি সাধারণ জনতার জন্য নয় মূলত গবেষক, ঐতিহাসিক, আইনবিদ, চিত্র পরিচালক প্রভৃতি পেশার লোকজন তাদের গবেষণার কাজে লেখ্যাগারে নথি পত্র দেখতে পারেন।  লেখ্যাগার পরিচালনা ও সংরক্ষিত নথির ভিত্তিতে লেখ্যাগগুলিকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।   1. সরকারি লেখ্যাগার:- কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে যে লেখ্যাগারগুলি গড়ে ওঠে। সেগুলিকে সরকারি লেখ্যাগার বলা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এরকম সরকার পরিচালিত এক বা একাধিক লেখ্যাগার থাকে। যেমন, আমেরিকার Natonal Archive And records Administration (NARA)। ভারতবর্ষে র কেন্দ্রীয় লেখ্যাগার National Archive of India নামে পরিচিত। বিভিন্ন ঐতিহাসিক, প্রশাসনিক ও আইনগত নথি, মানচিত্র, নক্সা,  পাণ্ডুলিপি প্রভৃতি সংরক্ষিত থাকে। 2. বানিজ্যিক লেখ্যাগার:-  এটি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের লেখ্যাগার বিভিন্ন বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান   মূলত তাদের সংস্থার ঐতিহাসিক এবং বানিজ্যিক নথি সংরক্ষিত রাখে। যেমন, ভারতের প্রথম বানিজ্যিক লেখ্যাগার হলো পুনার Tata Centrel Archive। 3. অলাভজনক লেখ্যাগ...

ষোড়শ শতকীয় ইউরোপে মূল্যবিপ্লব | Price Revolution

 ষোড়শ শতকের ইউরোপে মূল্য বিপ্লব   16 শতাব্দীতে ইউরোপীয় অর্থনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো মূল্য বিপ্লব। নিত্যব্যবহার্য পণ্যের মূল্য প্রায় 150 বছর সুস্থির থাকার পর ঊর্ধ্বমুখী হতে আরম্ভ করে, এবং 16 শতাব্দীর শেষে খাদ্যপণ্যের মূল্যের প্রায় সাড়ে পাঁচ গুণ বেড়ে যায়। পশ্চিম ইউরোপের অর্থনীতিতে এমন অভাবনীয় এবং সুদুরপ্রসারী ফলাফলসম্পন্ন ঘটনা মূল্য বিপ্লব নামে পরিচিত। মূল্য বিপ্লবের কতগুলি সাধারণ বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। যথা--    (১) কৃষিজ পণ্যের তুলনায় শিল্পজাত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ছিল কম, এবং খাদ্যশস্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। (২) ভূমি রাজস্ব সহ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক, তোলা ইত্যাদির হার বৃদ্ধি এবং ফটকাবাজির আবির্ভাব। (৩) মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় মজুরির হার খুবই কম ছিল বলে প্রকৃত আয় হ্রাস পেয়েছিল। (৪) ভূমি বিক্রয়যোগ্য পণ্যে পরিণত হওয়া। (৫) গ্রামীণ বুর্জোয়াজি শ্রেণীর আবির্ভাব। ষোড়শ শতকের আগেও প্রাকৃতিক কারণে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল, তবে তা ছিল 2, 3 শতাংশের মতো, যা অস্বাভাবিক মনে হতো না। কিন্তু ষোল শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে যে নিরবিচ্ছিন্ন মূল্যবৃদ্ধি হ...