সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

প্রাচীন গ্রিসের স্থাপত্য ভাস্কর্য ও চিত্রকলা | Architecture Sculpture and Painting in Ancient Greece

প্রাচীন গ্রিসের স্থাপত্য ভাস্কর্য ও চিত্রকলা

ধ্রুপদী  গ্রীস স্থাপত্য ভাস্কর্য ও চিত্রকলার আঙিনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল। যেহেতু প্রতিটি পলিশ তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক স্বতন্ত্র বজায় রাখতো তাই শিল্পচর্চার ক্ষেত্রেও এই নিজস্বতা ও স্বতন্ত্রতার প্রকাশ লক্ষ্য করা গেছে। 

প্রথমে আমরা স্থাপত্য শিল্পের ব্যাপারে আলোচনা করতে পারি। প্রথমদিকে স্থপতিরা মূলত বৃহৎ মন্দির ও ছোট ছোট সৌধ নির্মাণ করত। ছোট ছোট সৌদ গুলিকে বলা হত ট্রেজারি। মন্দির ও সৌধ নির্মাণে  গ্রীকরা মিশরীয়দের কাছ থেকে পাথর ও মার্বেলের ব্যবহার শিখেছিল। সাধারণত পলিশ গুলির প্রধান সভা স্থল বা অ্যাগোরার সন্নিকটে এই সৌধ ও প্রাসাদ গুলি নির্মিত হত। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকের প্রথমার্ধ থেকে গ্রিসের বিভিন্ন প্রকার স্থাপত্য রীতির মধ্যে একটি ঐক্য সূত্র গড়ে তোলার প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়। এই প্রচেষ্টার অন্যতম উদাহরণ হল এথেন্সের পার্থেনন মন্দির। দেবী অ্যাথেনার উদ্দেশ্যে নির্মিত এই মন্দির ছিল এথেনীয় গণতন্ত্রকে গৌরবান্বিত করার একটি সচেতন প্রয়াস। এর প্রধান স্থপতি ছিলেন ইকটিনস ও ক্যালিক্র্যটিস। প্রায় একই সময়ে নির্মিত হয়েছিল প্রপিলিয়ার মন্দির। এর স্থপতি ছিলেন নেশিক্লিস। এই দুই মন্দিরের নির্মাণ রীতিতে ডোরিয়ান ও আইয়োনিয়া ঘরানার মিশ্র প্রয়োগ লক্ষণীয়। মার্বেল স্থাপত্যের ক্ষেত্রে স্থপতিরা যে নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় দিয়েছিলেন তার দৃষ্টান্ত হল প্রপিলিয়ার মন্দিরের ছাদের নিম্নাংশে লোহার কাঠামোর ব্যবহার বা পার্থেনন মন্দিরের সামনের উপরের দিকে ত্রিকোণ অংশে লোহার ব্যবহার।

কেবল মন্দির নয় অন্যান্য প্রাসাদ ও সৌধ নির্মাণে তারা অসামান্য দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন এথেন্সের দায়োনিসাসের নাট্য ভবন প্রাচীন গ্রিক শিল্পীদের শৈল্পিক প্রতিভার সাক্ষ্য বহন করে। এথেন্সের নাগরিক পরিষদ কক্ষ, প্রশাসনিক কক্ষ ও আদালত গুলির সৌন্দর্য যথেষ্ট প্রশংসনীয় ছিল প্রশাসনিক ভবনের গায়ে ট্রেযান যুদ্ধ, পারসিয়ান যুদ্ধ, নানা পৌরাণিক কাহিনী, প্রখ্যাত রাষ্ট্রনায়ক বা সামরিক নেতাদের ছবি খোদাই করা থাকত বা আঁকা থাকত। এমনকি অলিম্পিকে বিজয়ীর মূর্তির অস্তিত্বও ছিল। এই ধরনের ছবি বা মূর্তির অস্তিত্ব এথেনিয় গণতন্ত্র তথা সংবিধানের সাফল্য ও বিজয়ের সদম্ভ ঘোষণা। 

ভাস্কর্য নির্মাণে ও প্রাচীন গ্রিস পিছিয়ে ছিল না আদি যুগে ভাস্কররা ব্রোঞ্জ ও পাথরের বিশাল আয়তনের মনুষ্যমূর্তি নির্মাণ করত। এই ধরনের ভাস্কর্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল দণ্ডায়মান নগ্ন পুরুষ এবং বস্ত্রাবৃত সুসজ্জিত নারী। ধ্রুপদী যুগে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এখন থেকে মনুষ্য মূর্তিগুলি অনারম্বর ও তাতে কৃচ্ছতার ছাপ রয়েছে। পণ্ডিতদের অনুমান রাজনৈতিক ঘটনাবিন্যাস ভাস্কর্য জগতের এই পরিবর্তনকে প্রভাবিত করেছিল। খ্রিঃ পূঃ পঞ্চম শতকের একেবারে প্রথম দিকে গ্রিকরা পার্সিয়ানদের পরাজিত করেছিল। এই ঘটনার পর বিজয়ীর দম্ভ থেকে ভাস্কররা পার্সিয়ান ও মধ্য প্রাচ্যের সাংস্কৃতিক প্রভাব থেকে নিজেদের মুক্ত করতে ছেয়েছিল। 

ধ্রুপদী গ্রিসে ভাস্কর্যের প্রধান বিষয় ছিল মানব শরীর। যুদ্ধক্ষেত্রে বীরত্বব্যঞ্জক পুরুষের মূর্তি তারা তৈরি করত। এথেনীয় ভাস্কর মাইরন ডিসকাস ছুঁড়ছে এমন পুরুষ মূর্তি নির্মাণ করে অনেকের প্রশংসা অর্জন করেছেন। কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রেও ভাস্কর্যের উৎকর্ষ ছিল দৃষ্টান্তমূলক। এথেনীয় অ্যাক্রোপলিসে অবস্থিত পার্থেননের মন্দিরগাত্রে ও দেওয়ালে এথেনীয় ভাস্কররা অসামান্য শিল্পশৈলী ও উৎকর্ষের পরিচয় রেখেছিল। 

ধ্রুপদী গ্রিসের চিত্রকলাও যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে। গ্রিকরা যে মৃৎপাত্র নির্মাণ করত তাঁর গায়ে অসাধারন সব ছবি আঁকত। ছবির বিষয়বস্তু ছিল বাস্তবিক, যেমন- খেলাধুলা, অশ্বারোহণ, পানশালার দৃশ্য, সমকামী ও বিপরীতকামী যৌনদৃশ্য প্রভৃতি। তাছাড়াও বিভিন্ন পৌরাণিক দৃশ্য, হোমার রচিত মহাকাব্যের দৃশ্যাবলীও শিল্পীরা আঁকতেন। অনেক চিত্রশিল্পী তাঁদের অঙ্কিত চিত্রে নিজের নাম লিখে দিতেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন পলিগনোটাস, অ্যাপিলিস, অ্যামাসিস, ইরপোটিসস প্রমুখ। প্যানেল চিত্রকরদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন অ্যাপোলোডোরাস, যিনি প্রথম সুশৃঙ্খলভাবে আলোছায়ার ব্যবহারের সূচনা করেন। এই শৈলীকে আরও পরিণত রূপ দেন জিউক্সিস ও প্যারাসিয়াস। 

পরিশেষে গ্রিক মৃৎশিল্পের কথা না বললে নয়। আরকাইক যুগে করিন্থের শিল্পীরা ছিল এক্ষেত্রে সবথেকে নামকরা শিল্পী। এদের নির্মিত ফুলদানি ও অন্যান্য পাত্রগুলি, যেগুলি ব্ল্যাক ফিগার নামেও পরিচিত, অনেকেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ৫৩০ খ্রিঃ পূঃ নাগাদ এথেন্সের শিল্পীরা নতুন কৌশল উদ্ভাবন করেছিল যা রেড ফিগার নামে পরিচিত। এই পাত্রগুলির আকার ছিল অপেক্ষাকৃত বড় এবং এর গায়ে বিভিন্ন চিত্র অঙ্কিত থাকত যা আগেই উল্লিখিত হয়েছে। 

সামগ্রিক আলোচোনা থেকে একটা বিষয় উঠে আসে যে ধ্রুপদী গ্রিস স্থাপত্য, ভাস্কর্য এবং চিত্রকলায় অতিন্দ্রিয়তা, অতিভৌতিক চিন্তাভাবনাকে একেবারে প্রশ্রয় দেয় নি। তারা বাস্তবকে গুরুত্ব দিয়েছিল এবং পারসিয়ান বিজয়ের পর যে আত্মবিশ্বাস জন্মেছিল তাঁদের মধ্যে তারই  বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল শিল্পকলায়।  

Architecture Sculpture and Painting in Ancient Greece

Classical Greece made significant contributions to the fields of architecture, sculpture, and painting. Since each polis (city-state) maintained its own distinct political identity, this individuality was also reflected in its artistic expressions.

Let us begin with architecture. In the early stages, architects mainly built large temples and small treasury buildings, known as treasuries. The Greeks learned the use of stone and marble in construction from the Egyptians. Typically, these temples and buildings were constructed near the main public square or agora of a polis. From the first half of the 5th century BCE, efforts were made to bring about a unifying style in Greek architecture. One notable example of this effort is the Parthenon temple in Athens, built in honor of the goddess Athena. It was also a conscious attempt to glorify Athenian democracy. Its principal architects were Ictinus and Callicrates. Around the same time, the Propylaea was constructed, designed by the architect Mnesicles. These two temples showcased a blend of the Doric and Ionic architectural styles. A notable innovation in marble architecture was the use of iron structures in the lower parts of the roof of the Propylaea and the triangular front of the Parthenon.

Apart from temples, the Greeks also showed great skill in constructing palaces and monuments. The Theater of Dionysus in Athens reflects the artistic excellence of ancient Greek artists. The council chamber, administrative offices, and court buildings in Athens were also admired for their architectural beauty. Reliefs or paintings of the Trojan War, Persian Wars, mythological tales, and portraits of famous statesmen and military leaders adorned the walls of these buildings. Even statues of Olympic victors existed. These artistic creations symbolized the success and triumph of Athenian democracy and constitution.

Ancient Greece was also advanced in sculpture. In the early period, sculptors made large-scale human figures out of bronze and stone. Among the notable figures were standing nude male statues and well-dressed female statues. In the Classical period, some changes were observed—statues became more austere and minimalist. Scholars believe that political events influenced these stylistic changes. In the early 5th century BCE, the Greeks defeated the Persians. Following this victory, Greek sculptors sought to free themselves from Persian and Middle Eastern cultural influences.

The primary theme of Classical Greek sculpture was the human body. Heroic male figures from battle scenes were often depicted. The Athenian sculptor Myron earned acclaim for his statue of a man throwing a discus. Yet, Greek sculpture excelled in many other areas as well. The friezes and walls of the Parthenon on the Athenian Acropolis display exceptional artistic mastery by Athenian sculptors.

Classical Greek painting also deserves high praise. Greek pottery was decorated with exquisite images. These paintings were often realistic, portraying scenes of sports, horse riding, tavern life, and both homosexual and heterosexual love. Mythological scenes and depictions from Homeric epics were also common. Many painters signed their work. Notable artists include Polygnotus, Apelles, Amasis, and Euphronios. Among panel painters, Apollodorus stands out—he was the first to systematically use light and shadow. This style was further refined by Zeuxis and Parrhasius.

Greek ceramic art also deserves mention. In the Archaic period, Corinthian potters were the most renowned. Their vases and vessels, known as “black-figure” pottery, drew wide attention. Around 530 BCE, Athenian potters developed a new technique known as the “red-figure” style. These vessels were generally larger and bore the types of paintings mentioned above.

In conclusion, it becomes evident that Classical Greek architecture, sculpture, and painting did not indulge in transcendental or supernatural themes. Instead, they celebrated reality. Their art reflected the self-confidence that emerged after the Persian victory and gave it lasting expression.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আরবদের সিন্ধু অভিযানঃ প্রত্যক্ষ কারণ ও তাৎপর্য | Arab Conquest of Sindh: Immediate Causes and Significance

আরবদের সিন্ধু অভিযানঃ প্রত্যক্ষ কারণ ও তাৎপর্য সপ্তম শতকের প্রথমার্ধে আরবদেশে ইসলামের আবির্ভাব ঘটে। ইসলাম আরবদের নতুন করে জীবনীশক্তির সঞ্চার করে । ইসলাম ক্রমশ: একটি ধর্ম থেকে রাজনৈতিক শক্তি রূপে আত্মপ্রকাশ করে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তারা আরবীয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। ভারতবর্ষের সঙ্গে আরবদের যোগাযোগ দীর্ঘদিনের। বাণিজ্যিক সূত্রে তারা নিয়মিত ভারতের উপকূল গুলিতে, বিশেষ করে মালাবার উপকূলে আসত। ভারতীয় ও চীনা পণ্য 'ধাও' নামক বিশেষ জাহাজে করে নিয়ে তারা ইউরোপের বাজারে বিক্রি করত। 712 খ্রিস্টাব্দে ইরাকের গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এর সেনাপতি ও জামাতা মোহাম্মদ বিন কাসেম সিন্ধু দেশে একটি সফল অভিযান করেন এবং সিন্ধুদেশ আরবীয় মুসলমানদের অধীনে চলে যায়। অভিযানের(প্রত্যক্ষ) কারণ ভারতবর্ষের প্রতি আরবদের দীর্ঘদিনের নজর ছিল। এর আগেও বহুবার ভারতের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পাঠানো হয়েছিল। তবে এই(712 খৃ:) অভিযানের একটি প্রত্যক্ষ কারণ ছিল। জানা যায় যে সিংহলের রাজা ইরাকের গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ কে কয়েকটি জাহাজে করে উপঢৌকন পাঠাচ্ছিলেন কিন্তু পথে সিন্ধু দেশের জলদস্যুরা দেবল বন্দরে এ...

মহাফেজখানার শ্রেণীবিভাগ | Category of Archives

মহাফেজখানার শ্রেণীবিভাগ মহাফেজখানা বা লেখ্যাগারগুলি সাধারণ জনতার জন্য নয় মূলত গবেষক, ঐতিহাসিক, আইনবিদ, চিত্র পরিচালক প্রভৃতি পেশার লোকজন তাদের গবেষণার কাজে লেখ্যাগারে নথি পত্র দেখতে পারেন।  লেখ্যাগার পরিচালনা ও সংরক্ষিত নথির ভিত্তিতে লেখ্যাগগুলিকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।   1. সরকারি লেখ্যাগার:- কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে যে লেখ্যাগারগুলি গড়ে ওঠে। সেগুলিকে সরকারি লেখ্যাগার বলা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এরকম সরকার পরিচালিত এক বা একাধিক লেখ্যাগার থাকে। যেমন, আমেরিকার Natonal Archive And records Administration (NARA)। ভারতবর্ষে র কেন্দ্রীয় লেখ্যাগার National Archive of India নামে পরিচিত। বিভিন্ন ঐতিহাসিক, প্রশাসনিক ও আইনগত নথি, মানচিত্র, নক্সা,  পাণ্ডুলিপি প্রভৃতি সংরক্ষিত থাকে। 2. বানিজ্যিক লেখ্যাগার:-  এটি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের লেখ্যাগার বিভিন্ন বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান   মূলত তাদের সংস্থার ঐতিহাসিক এবং বানিজ্যিক নথি সংরক্ষিত রাখে। যেমন, ভারতের প্রথম বানিজ্যিক লেখ্যাগার হলো পুনার Tata Centrel Archive। 3. অলাভজনক লেখ্যাগ...

ষোড়শ শতকীয় ইউরোপে মূল্যবিপ্লব | Price Revolution

 ষোড়শ শতকের ইউরোপে মূল্য বিপ্লব   16 শতাব্দীতে ইউরোপীয় অর্থনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো মূল্য বিপ্লব। নিত্যব্যবহার্য পণ্যের মূল্য প্রায় 150 বছর সুস্থির থাকার পর ঊর্ধ্বমুখী হতে আরম্ভ করে, এবং 16 শতাব্দীর শেষে খাদ্যপণ্যের মূল্যের প্রায় সাড়ে পাঁচ গুণ বেড়ে যায়। পশ্চিম ইউরোপের অর্থনীতিতে এমন অভাবনীয় এবং সুদুরপ্রসারী ফলাফলসম্পন্ন ঘটনা মূল্য বিপ্লব নামে পরিচিত। মূল্য বিপ্লবের কতগুলি সাধারণ বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। যথা--    (১) কৃষিজ পণ্যের তুলনায় শিল্পজাত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ছিল কম, এবং খাদ্যশস্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। (২) ভূমি রাজস্ব সহ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক, তোলা ইত্যাদির হার বৃদ্ধি এবং ফটকাবাজির আবির্ভাব। (৩) মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় মজুরির হার খুবই কম ছিল বলে প্রকৃত আয় হ্রাস পেয়েছিল। (৪) ভূমি বিক্রয়যোগ্য পণ্যে পরিণত হওয়া। (৫) গ্রামীণ বুর্জোয়াজি শ্রেণীর আবির্ভাব। ষোড়শ শতকের আগেও প্রাকৃতিক কারণে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল, তবে তা ছিল 2, 3 শতাংশের মতো, যা অস্বাভাবিক মনে হতো না। কিন্তু ষোল শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে যে নিরবিচ্ছিন্ন মূল্যবৃদ্ধি হ...