সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

The Political Idea of Balban | বলবনের রাজতান্ত্রিক আদর্শ

বলবনের রাজতান্ত্রিক আদর্শ গিয়াসউদ্দিন বলবনের 22 বছরের শাসনকাল সুলতানি সাম্রাজ্যের ইতিহাস অন্যতম স্থান অধিকার করে আছে। ১২৬৫ খ্রিস্টাব্দে নাসির উদ্দিন মোহাম্মদ নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যান, মৃত্যুর পূর্বেই তিনি বলবন কে সিংহাসনে উত্তরাধিকারী মনোনীত করেছিলেন। বলবনের রাজতন্ত্রের মর্যাদা ও শক্তি বৃদ্ধির জন্য সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। ইলতুৎমিশের মৃত্যুর পর প্রায় 30 বছর ধরে দিল্লি সুলতানির বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছিল। বলবন প্রথমেই রাজতন্ত্রের মর্যাদা ও শক্তি বৃদ্ধির কাজে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় বুঝেছিলেন তুর্কি আমিরদের ক্ষমতা বিনষ্ট না করা পর্যন্ত রাজকীয় মর্যাদা ও ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তিনি এও বুঝেছিলেন রাজশক্তিকে দৃঢ়রূপে প্রতিষ্ঠা করতে গেলে সুগঠিত সেনাবাহিনী আবশ্যক। তিনি প্রথমেই রাজদরবারের মর্যাদা ও গাম্ভীর্য রক্ষার দিকে নজর দেন। পারস্যের রাজদরবারের অনুকরনে তিনি কতগুলি নতুন নীতি প্রণয়ন করেন। তিনি নিজেকে তুর্কি বীর আফ্রাসিয়রের বংশধর বলে দাবি করেন। পারসিক আদব কায়দায় তিনি রাজদরবারে সিজদা ও পায়বক্স রীতি প্রবর্তন করেন, যার অর্থ নতজানু হয

Kutubuddin Aibak | কুতুবুদ্দিন আইবক

কুতুবুদ্দিন আইবক- দিল্লি সুলতানির প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ঘুরীর ভারতে তুর্কি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যিনি বিশেষভাবে তাকে সাহায্য করেছিলেন তিনি হলেন তার অন্যতম দক্ষ সেনাপতি কুতুবউদ্দিন আইবক। মুহাম্মদ ঘুরীর মৃত্যুর পর কুতুবউদ্দিন দিল্লির অধিপতি হন। যদিও ভারতীয় সাম্রাজ্যঃ কুতুবউদ্দিন আইবক এর কাছে খুব একটা সুখকর হয়নি। ১২০৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে স্বল্পকাল শাসনে তার শাসন প্রতিভার তেমন পরিচয় না পেলেও, বিভিন্ন কারনে মধ্যযুগের ভারতীয় ইতিহাসে তার স্থান অক্ষয় হয়ে থাকবে। ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে কুতুবউদ্দিন আইবক এর দিল্লীর সিংহাসন আরোহন এর মাধ্যমে দিল্লি সুলতানি সাম্রাজ্যের সূচনা হয়েছিল। এই সময় তাজউদ্দীন গজনীর সিংহাসন আরোহন করে গজনী সাম্রাজ্যের সার্বভৌম অধিপতি হিসেবে ভারতবর্ষের উপর অধিকার দাবি করলে কুতুবউদ্দিন আইবক গজনীর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে নিজেকে ভারতের স্বাধীন সার্বভৌম নরপতি হিসেবে ঘোষণা করেন। এর ফলে একদিকে যেমন দিল্লিতে সুলতানি সাম্রাজ্যের স্বাধীনভাবে পথ চলা শুরু হয়, অন্যদিকে তেমনি দিল্লির সুলতানি সাম্রাজ্য বৈদেশিক হস্তক্ষেপ থেকেও রক্ষা পায়। মাত্র চার বছরের শাসনকালে কুতুবুদ্দিনের একম

Economic Crisis in Pre-Revolutionary France | ফরাসী বিপ্লবের প্রাক্কালে অর্থনৈতিক সংকট

ফরাসী বিপ্লবের প্রাক্কালে অর্থনৈতিক সংকট ফরাসি বিপ্লবের কারণ নিয়ে সমকালীন ও আধুনিক ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ আছে। ফরাসি বিপ্লব সম্পর্কে আধুনিককালের ঐতিহাসিকরা প্রাক বিপ্লব যুগের ফরাসি অর্থনৈতিক সংকটের উপর জোর দিয়েছেন। যদিও সমকালীন ঐতিহাসিকরা অর্থনৈতিক কারণকে তেমনভাবে গুরুত্ব দেননি। অনেকেই আবার মনে করেন বিপ্লবের প্রাক্কালে ফরাসি অর্থনীতিতে কোনো সংকটের অস্তিত্বই ছিল না। তবে একথা বলা যায় যে, বিপ্লবের প্রাক্কালে ফ্রান্সের রাজকোষে প্রবল অর্থসংকট দেখা দিয়েছিল। এর প্রথম কারণটি যদি হয় রাজা চতুর্দশ লুইয়ের ঋণ নিয়ে যুদ্ধবিগ্রহের জড়িয়ে পড়া; অন্য কারণটি তেমনই ছিল রাজপরিবারের বিলাসবহুল জীবনযাপন। বুঁরবো রাজাদের আয় এর চেয়ে ব্যয় ছিল বেশি। চতুর্দশ লুই এর সময় থেকে রাজারা ঋণ নিয়ে যুদ্ধ করতেন এতে রাজার ঋণের পরিমাণ বেড়ে ছিল। আয়ের 50% ব্যাংকারদের সুদ দিতে হত। ষোড়শ লুই এর সময় এই ঋণ বেড়েছিল তিনগুণ। বুঁরবো রাজারা সৈন্যবাহিনী ও রাজপ্রাসাদের কর্মচারীদের জন্য বাজেটের 50 শতাংশ ব্যয় করত। যে কারণে রাজার অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্তির জন্য দরকার ছিল হয় ব্যয় কমানো অথবা আয় বাড়ানো। এই অর্থনৈতিক সংকট থেক

Periodization in Indian History

Topic: Periodization in Indian History Objectives: To get basic idea of Periodization and its importance in Historiography To  understand the various existing ideas regarding the periodization of Indian History To find out the most updated and most logical periodization of Indian History Discussion: Periodizing Indian history is not an easy task. It is controversial and sensitive also. If you go through logic it will refuse the old tradition of Puranic periodization. If you follow the European concept of periodization it will not suit properly in Indian context. Ancient traditions exist in circular chronology. But in the European concept time is linear. In modern historiography, however, this linear chronology is adopted and in that way the epoch of Indian history is divided. Before we go our main discussion we need to ruminate on what is History and what is periodization. History refers to a subject that seeks to give a consistent account of human evolution. And Periodization is the

Farman of 1717 | ফারুখশিয়রের ফরমান

Farman of 1717 | ফারুখশিয়রের ফরমান ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির যাত্রা শুরু হয় ১৬০০ সালে ৩১শে ডিসেম্বর একটি রাজকীয় সনদের মাধ্যমে। ভারতে ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে পর্তুগিজরা প্রথম এ দেশে এসেছিলেন। ১৬১৩ সাল থেকে ইংরেজ কোম্পানি এদেশের রীতিমতো ব্যবসাপত্র শুরু করে দেয়। মুঘল বাদশাহ জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে কোম্পানি যে ফরমান পায় তাতে তারা ভারতে বাণিজ্যকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন পায়। সুরাটে ছিল তাদের প্রথম কারখানা। ইংরেজদের প্রতিনিধি ও দৃত হিসেবে স্যার টমাস রো রাজ দরবারে অভ্যর্থনা পান। ক্রমে কোম্পানির ব্যবসা বাড়তে থাকে। কলকাতা, বোম্বে ও মাদ্রাজ- এই তিনটি বানিজ্যঘাটিঁর মধ্যে কলকাতা ছিল তাদের প্রধান কর্মকেন্দ্র। পরবর্তীকালে তারা যে ক্রমাগত রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেছিল তার সূচনা হয়েছিল বাংলা থেকে। বণিকের মানদণ্ড রাজদণ্ডে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস ছিল ১৭১৭ সালে মুঘল সম্রাট ফারুকশিয়ারের ফরমান। বাংলা, বিহার, ওড়িশা কে নিয়ে গঠিত বাংলা সুবা ছিল আইনত  দিল্লির বাদশাহের অধীনে। ১৬৯০ সালে ঔরঙ্গজেব এক আদেশনামায় কোম্পানিকে বছরে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশে বিনামূল্যে বাণিজ্য করা

1770 Bengal Famine | ছিয়াত্তরের মন্বন্তর

1770 Bengal Famine | ছিয়াত্তরের মন্বন্তর 18 শতকের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলা তথা ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনা হল ছিয়াত্তরের মন্বন্তর। ইতিপূর্বে যতগুলি দুর্ভিক্ষ হয়েছিল তা এক ব্যাপক ও দীর্ঘস্থায়ী হয় নি। বাংলা সাল ১১৭৬ বঙ্গাব্দে এই ঘটনা ঘটেছিল বলে একে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর বলা হয়। মন্বন্তরের প্রধান কারণ হলো খাদ্যভাব। খাদ্যভাবের ব্যাপারটি ছিল এরকম যে, চালের অস্বাভাবিক দামের জন্য তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যায়। মাঝে মাঝে বাজার থেকে খাদ্যদ্রব্য একেবারে উধাও হয়ে যেত। দুর্ভিক্ষের করাল গ্রাস গ্রাম ও শহর উভয়কেই আক্রান্ত করেছিল। বঙ্কিমের আনন্দেমঠে দুর্ভিক্ষ কবলিত গ্রামের ছবি আমরা পাই। এক ব্রিটিশ রেসিডেন্টের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায় যে, জীবন্ত মানুষ মৃত মানুষের মাংস খেতে বাধ্য হয়েছিল। খাদ্যভাবে সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল মুদ্রাভাব। বাংলার বাজার থেকে রুপার মুদ্রা সিক্কা কমে যাওয়ায় লেনদেন প্রায় অচল হয়ে গিয়েছিল। এই খাদ্যভাব ও অর্থনৈতিক সংকটের পশ্চাতে কে দায়ী ছিল তা অনুসন্ধানের জন্য কোম্পানির নির্দেশকরা চেষ্টা দেখিয়েছিলেন। দুর্নীতি ও খাজনার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে রেজা খাঁকে তার নায়ে

১৭৬৫ এর দেওয়ানী লাভ / 1765 Diwani of Bengal

১৭৬৫ এর দেওয়ানী লাভ / 1765 Diwani of Bengal দেওয়ানী ব্যবস্থা ভারতে মোগল শাসন পদ্ধতি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিটি প্রদেশের সরকারি ক্ষমতা দুটি ভাগে বিভক্ত ছিলঃ দেওয়ানী ও নিজামত। প্রথমটির অধীনে ছিল রাজস্ব আদায় ও ভূমি সংক্রান্ত মামলা এবং দ্বিতীয়টির অধীনে ছিল শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা ও ফৌজদারি মামলা। তবে মুঘল শাসনের শেষের দিকে এই দুই ক্ষমতা একই ব্যক্তির হাতে চলে আসে। নবাব আলীবর্দী খাঁ ছিলেন একাই ছিল বাংলার দেওয়ান ও সুবাদার। ১৭৬৪ সালে বক্সারের যুদ্ধে জয়লাভ করে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি একই সাথে বাংলা, অযোধ্যা ও দিল্লি কে পরাস্ত করেছিল। কোম্পানী পরাজিত অযোধ্যার রাজা সুজা-উদ্দৌলার সাথে এলাহাবাদের প্রথম চুক্তি (১৭৬৫) স্বাক্ষর করে। এলাহাবাদ ও কারা এবং ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে। কোম্পানীর এর পরবর্তী পদক্ষেপ ছিল মুঘল বাদশাহ-র কাছ থেকে বাংলা বিহার ও উড়িশার দেওয়ানীর অধিকার আদায় করা। কোম্পানী এলাহাবাদ ও কারা  বাদশাহের হাতে অর্পণ করলে উৎফুল্ল বাদশাহ কোম্পানিকে বছরে ২৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বাংলা, বিহার ও উড়িশার দেওয়ানির অধিকার অর্পণ করল। ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লা

বাংলায় দ্বৈত শাসন | Diarchy in Bengal

বাংলায় দ্বৈত শাসন| Diarchy in Bengal ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় দেওয়ানীর অধিকার লাভ করার ফলে যে ধরনের শাসন ব্যবস্থার সূচনা হয় তাকে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা বলা হয়। বক্সারের যুদ্ধে মুঘল বাদশাহ শাহআলম পরাজিত হন। তাই বাস্তবিক বাধ্যবাধকতা থেকে তিনি ১৭৬৪ সালে এলাহাবাদের দ্বিতীয় সন্ধির মাধ্যমে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কে বছরে ২৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বাংলা, বিহার ,উড়িষ্যায় দেওয়ানীর অধিকার দেন। ইতিপূর্বে নবাব আলীবর্দী খাঁ পর্যন্ত বাংলার নবাবেরা একই সঙ্গে দেওয়ানী অর্থাৎ রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত অধিকার এবং সুবাদারি অর্থাৎ আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধিকার ভোগ করতেন। কোম্পানির দেওয়ানি লাভ এর ফলে দেওয়ানী অধিকার নবাবের হাতছাড়া হল। অর্থসংক্রান্ত অধিকার নবাবের হাতে না থাকায় নবাব ক্ষমতাহীন দায়িত্বধারীতে পরিণত হলেন। অন্যদিকে কোম্পানি দায়িত্বহীন, কিন্তু চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী হল। কোম্পানি তার কাজের জন্য রেজা খাঁ ও সিতার রায় কে নিযুক্ত করল। দৈত্য শাসন মুঘল যুগের নতুন নয়। শক্তিশালী মুঘল শাসকের প্রাদেশিক  শাসননীতিরই অঙ্গ ছিল  দেওয়ান ও সুবাদর হিসেবে আলাদা লোক নিযুক্ত করা। তবে ইতিপূর্বে কোন

বাংলায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত / Permanent Settlement in Bengal

বাংলায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও জমিদার দের সাথে জমিস্বত্ব ও রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত একটি চুক্তি, যার মাধ্যমে জমিদাররা শর্তসাপেক্ষে জমির উপর চিরকালীন স্বত্ব লাভ করেছিল। প্রথমে বাংলা, বিহার ও উড়িশার উপর এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হয় এবং পরবর্তীকালে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সীর উত্তর অংশে প্রযুক্ত হয়। চিরস্থায়ী ব্যবস্থা গ্রামবাংলার সমকালীন সমাজ ও অর্থনীতিকে দারুনভাবে প্রভাবিত করে।  প্রেক্ষাপট মুঘল আমল থেকে বঙ্গদেশে জমিদাররা রাজস্ব আদায়ের কাজে যুক্ত থাকত। মুঘল দেওয়ান ও তার অধীনস্ত জাগিরদাররা রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে জমিদারদের উপর নির্ভরশীল ছিল। ১৭৬৫ সালে বক্সারের যুদ্ধে জয়লাভের পর মুঘল বাদশাহ দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বাংলা বিহার ও উড়িশার দেওয়ানীর অধিকার পায়। কোম্পানির অন্যতম উদ্দেশ্যই ছিল পর্যাপ্ত পরিমানে রাজস্ব বাবদ আয় বৃদ্ধি। কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছিল না, যার অন্যতম কারণ দ্বৈতশাসন অর্থাৎ পৃথক ফৌজদারের উপস্থিতি। তাই ১৭৭০ এর ভয়ানক দুর্ভিক্ষের দায় রেজা খা ও সিতাব রায়ের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়। কোম্পানীর কলকাতা প্রেসিডেন্সির গভর্নর

Rise and Fall of Razia Sultan

Rise and Fall of Razia Sultan | রাজিয়ার উত্থান ও ব্যর্থতা ইলতুৎমিস তার পুত্রদের রাজ্য শাসনের ক্ষেত্রে অযোগ্যতার দরুন, তার কন্যা রাজিয়া কে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী মনোনীত করে যান। যদিও ইলতুৎমিস এর মৃত্যুর পর অভিজাতগন রাজিয়ার পরিবর্তে ইলতুৎমিশের জ্যেষ্ঠ পুত্র রুকনুদ্দিন ফিরোজ কে সিংহাসনে বসান। তবে রাজ্যশাসনের ব্যাপারে রুকনুদ্দিন সম্পূর্ণ অযোগ্য হওয়ার কারণে অভিজাত গন শেষ পর্যন্ত রাজিয়া কে সিংহাসনে বসান, যদিও রাজিয়ার সিংহাসন আরোহন সুখকর হয়নি। রাজিয়ার সিংহাসন আরোহন মধ্যযুগের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তার সিংহাসন আরোহন ইসলামের মূল দর্শন বিরোধী ছিল  না। তবে তাঁর সময় থেকেই রাজতন্ত্র ও তুর্কি অভিজাতদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই এর সূচনা হয়েছিল। রাজ্যের উজির মহম্মদ জুনায়েদ ও প্রাদেশিক শাসকগণ রাজিয়ার শাসন মেনে নিতে চাননি। তাঁরা রাজিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজিয়া বিদ্রোহ দমনে সফল হয়েছিলেন। রাজিয়া সরকারের সব দপ্তরের পদ গুলি নতুন করে বন্টন করেছিলেন, নারী হলেও রাজিয়ার শাসকোচিত গুণাবলীর অভাব ছিল না। সিংহাসনে বসার অল্পদিনের মধ্যেই তিনি শাসনকার্য ও সামরিক ক্ষে

পিটের ভারত শাসন আইন | Pitt's India Act

পিটের ভারত শাসন আইন | Pitt's India Act  রেগুলেটিং আইনের নানান ত্রুটি ছিল। এই আইনের দ্বারা ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভারতে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ওপর যথার্থ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।  কাউন্সিলের ওপর গভর্নর জেনারেলের ক্ষমতা কতটা, মাদ্রাজ ও বোম্বে প্রেসিডেন্সির গভর্নরদের ওপর বাংলার গভর্নর জেনারেলের ক্ষমতা কতটা-- সবকিছুই ধোঁয়াশার মধ্যে থেকে গেছিল। তাই একটি নতুন আইন পাশ করার প্রয়োজন অনুভূত হয়। এই উদ্দেশ্যেই ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী উয়িলিয়াম পিট এর নেতৃত্বে একটি নতুন নিয়ন্ত্রনী আইন (১৭৮৪ খ্রীঃ) পাশ হয়, যা পিটের ভারত শাসন আইন নামে পরিচিত। পিটের ভারত শাসন আইনে বলা হল:  ব্রিটিশ সরকারের অর্থসচিব, সেক্রেটারি অফ স্টেট এবং রাজা কর্তৃক মনোনীত চারজন ব্রিটিশ কাউন্সিলের সদস্য কে নিয়ে বোর্ড অফ কন্ট্রোল গড়ে উঠবে। বোর্ড অফ কন্ট্রোল এর হাতে ভারত শাসন তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব থাকবে। কোম্পানির সামরিক ও বেসামরিক শাসন কার্য পরিচালনা, রাজস্ব ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করার এবং কোম্পানির কাগজপত্র দেখাশোনা করার অধিকার দেওয়া হয়। ডিরেক্টর সভা বোর্ড অফ কন্ট্রোল এর হাতে সমস্ত কাগজপত্র প্রদান করতে বাধ্

রেগুলেটিং আইন | Regulating Act

রেগুলেটিং আইন | Regulating Act  ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সাম্রাজ্যের উপর  ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু হয় 1773 খ্রিস্টাব্দে রেগুলেটিং অ্যাক্ট এর মাধ্যমে। রেগুলেটিং আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য ছিল তিনটি। যথা:  1) কোম্পানির অংশীদার ও পরিচালকদের মধ্যে সম্পর্ক নির্দিষ্ট করা।  2) কোম্পানির উপর ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করা।  3) বম্বে মাদ্রাজ কুঠির সঙ্গে কলকাতা কুঠির সম্পর্ক নির্ধারণ করা। রেগুলেটিং আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বলা হয় 'Court of Directors' ব্রিটিশ সরকারের কাছে কোম্পানির শাসন ও অর্থনৈতিক সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পেশ করতে বাধ্য। মাদ্রাজ ও বোম্বে কুঠির উপরে কলকাতা কুঠির প্রাধান্য স্থাপিত হবে। পূর্ববর্তী 'বাংলার গভর্নর' পদ বদলে হবে "বাংলার গভর্নর জেনারেল"। গভর্নর জেনারেলের চারজন কাউন্সিল থাকবে এবং এরা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন। কমপক্ষে 1000 পাউন্ড শেয়ারধারীরা একটি করে ভোট দেবে 3000, 6000 ও 10000 পাউন্ড শেয়ারধারীরা যথাক্রমে 2, 3 ও 4 টি করে ভোট দেবে। গভর্নরকে সংখ্যাগরিষ্ঠের মত নিয়ে চলতে হবে। প্রথম গভর্নর জেনা