সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কোপার্নিকান বিপ্লব

Please visit our Homepage and Subscribe us. কোপার্নিকান বিপ্লব আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের অগ্রগতির ইতিহাস পর্যালোচনা করলে যার নাম প্রথমেই উচ্চারিত হবে তিনি হলেন একজন পোলিশ যাজক নিকোলাস কোপার্নিকাস (1473-1543)। রক্ষণশীল যাজক সম্প্রদায়ের অংশ হয়েও তিনি তার গবেষণার মধ্য দিয়ে চিরাচরিত পৃথিবীকেন্দ্রিক মহাবিশ্বের ধারণাকে বাতিল করে  আধুনিক কসমোলজির সূচনা করেন। এই ঘটনাই কোপার্নিকান বিপ্লব নামে পরিচিত। নিকোলাস কোপার্নিকাস কোপার্নিকাসের আগে,  খ্রিস্টীয় ধ্যান-ধারণার সঙ্গে সমন্বয়িত অ্যারিস্টটল ও টলেমির সৃষ্টিতত্ত্বই মান্যতা পেত। মনে করা হত যে, পৃথিবী অন্তরীক্ষের জ্যোতির্মন্ডলীর বাইরে অবস্থানরত এক মাটির জগৎ। বিপুল বিশ্বকে দ্যুলোক ও ভুলোকে বিভক্ত করে রাখা হত।  দ্যুলোকে  অবস্থানরত গ্রহ নক্ষত্র রাজি স্বর্গীয় ইথার দ্বারা নির্মিত। এগুলি অপরিবর্তনীয় অক্ষয় এবং এর গতি সংক্রান্ত নিয়মাবলী পৃথিবীতে অজ্ঞাত ও অপ্রাসঙ্গিক। আর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ মনে করত যে, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কেন্দ্রে অবস্থিত নিশ্চল পৃথিবী এবং সূর্য পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। কোপার্নিকাস তার গবেষণায়...

কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সিবিসিএস সেমিস্টার 2 ইতিহাস জেনারেল পাঠ্যক্রম: CC2/GE2

Please visit our Homepage and Subscribe us. ভারতবর্ষের ইতিহাস: 300 খ্রি: থেকে 1206 খ্রি : মডিউল:১. গুপ্তদের উত্থান ও বিকাশ 1. গুপ্ত সাম্রাজ্যের উত্থান এবং বিস্তার: সমুদ্রগুপ্ত, দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত এবং স্কন্দগুপ্ত 2. গুপ্ত শাসন ব্যবস্থা 3. গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন 4. গুপ্ত অর্থনীতি এবং গুপ্তদের ভূমিদান ব্যবস্থা 5. গুপ্ত যুগে ধর্ম 6. গুপ্ত যুগের স্থাপত্য ভাস্কর্য ও চিত্রকলা 7. গুপ্ত যুগে সাহিত্যের বিকাশ 8. গুপ্ত যুগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 9. গুপ্ত যুগ কি স্বর্ণযুগ: একটি ঐতিহাসিক বিতর্ক মডিউল: ২. হর্ষবর্ধন ও তার সমসাময়িক ইতিহাস 1. হর্ষবর্ধনের সাম্রাজ্য 2. হর্ষবর্ধনের শাসন ব্যবস্থা 3. বৌদ্ধ ধর্মের বিস্তার 4. নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় মডিউল: ৩. দক্ষিণ ভারত 300 থেকে 600 খ্রি: 1. বাকাটক রাজবংশ 2. বাকাটক দের শাসন ব্যবস্থা ও ভূমি বন্দোবস্ত 3. কদম্ব রাজবংশ 4. বন ও আলুপ 5. দক্ষিণ ভারতের গ্রামীণ ও নাগরিক অর্থনীতি 6. দক্ষিণ ভারতের সমাজ ও সংস্কৃতি মডিউল: ৪.  আদি মধ্যযুগের দিকে 1. যুগ বিভাজন সমস্যা ও আদি মধ্যযুগের বৈশিষ্ট্য 2. রাজনীতি: পল্লব চালুক্য ও বর্ধন 3. রাষ্ট...

রাজকীয় ভূমিদান বা অগ্রাহার | Royal Land Grant

রাজকীয় ভূমিদান বা অগ্রাহার খ্রিষ্টীয় চতুর্থ থেকে সপ্তম শতক এবং তার পরবর্তীকালে সমগ্র আদিমধ্য যুগ জুড়ে ভারতীয় অর্থনীতি, সমাজ ও রাজনীতির মূল চালিকাশক্তি ছিল অগ্রাহার তথা রাজকীয় ভুমিদান ব্যবস্থা। মন্দির, দেবালয় বা বৌদ্ধ মঠ এর উদ্দেশ্যে এবং ব্রাহ্মণ পুরোহিতের উদ্দেশ্যে নিষ্কর সম্পত্তি দানের ব্যবস্থা অগ্রাহার নামে পরিচিত। সংখ্যায় কম হলেও ধর্মনিরপেক্ষ ভুমিদানও ছিল। অবশ্য ব্রাহ্মনকে ভুমিদান করার নজির সবচেয়ে বেশি। ভূমিদান  দুই প্রকার: কখনো  সরাসরি  রাজকীয় দান হিসেবে ভূমি হস্তান্তরিত হত।  কখনও ব্যক্তিবিশেষ পূণ্য অর্জনের জন্য রাজার থেকে জমি ক্রয় করে দান করতেন। সাধারণত রাজকীয় 'শাসন' হিসেবে ভূসম্পদ হস্তান্তরের ঘটনা উৎকীর্ণ করা হত। ব্রাহ্মণ এর উদ্দেশ্যে দান করা হলে তাকে ব্রহ্মদেও এবং মন্দিরে উদ্দেশ্যে দান করা হলে তাকে দেবদান বলা হত। রাজকীয় জমি দানের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় পরবর্তী বৈদিক সাহিত্যে। মহাভারতে দানধর্ম পর্বে তিন প্রকার দানের কথা বলা হয়েছেঃ হিরণ্যদান, গোদান, এবং পৃথিবীদান অর্থাৎ ভূমিদান। তবে ভূমিদানকেই সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বলা হয়েছে। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে র...

আকবরের ধর্মনীতি

Please visit our  Homepage and Subscribe us. আকবরের ধর্মনীতি মুঘল শাসকদের মধ্যে ধর্ম বিষয়ে সবচেয়ে উদার মানসিকতার অধিকারী ছিলেন আকবর। রাষ্ট্রপরিচালনায় আকবরের পরধর্মসহিষ্ণুতার নীতি সুল-ই-কুল নামে পরিচিত। সুলতানি যুগ থেকে ভক্তি ও সুফিবাদী সাধকেরা যে সমন্বয়বাদী চিন্তাধারার প্রচলন  করেছিলেন আকবরের ধর্মনীতি ছিল তারই ফলশ্রুতি। আকবর উপলব্ধি করেছিলেন যে, বিশাল ভারতবর্ষ এর সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ হল হিন্দু। তাদের সহযোগিতা ছাড়া ভারতবর্ষে শক্তিশালী শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তাই তার পক্ষে সহিষ্ণুতার নীতি গ্রহণ না করে কোন উপায়ও ছিল না। Related posts   মহজরনামা  ||  ইবাদতখানা  ||  উলেমা ও আকবর  ||  সম্রাট আকবর আকবর তার প্রথম জীবনে ধর্মভীরু মুসলমান ছিলেন। নিয়মিত রোজা নামাজ পালন করতেন। ১৫৬২ খ্রিস্টাব্দে আজমীর থেকে ফেরার পথে  তিনি অম্বরের রাজা ভরমলের কন্যাকে বিবাহ করেন। এরপর থেকেই তিনি  এমন কিছু পদক্ষেপ নেন যার মাধ্যমে হিন্দু জনতার মন জয় করতে তিনি সক্ষম হয়েছিলেন। এই উদ্দেশ্যেই তিনি 1563 খ্রিস্টাব্দে তীর্থযাত্রা  কর রদ করেন। পরে...

গুপ্ত যুগে মুদ্রা

Please visit our  Homepage and Subscribe us. গুপ্ত যুগে মুদ্রা বাণিজ্য অর্থনীতির অপরিহার্য অঙ্গ হল মুদ্রা। প্রাচীন ভারতে মুদ্রার প্রচলন শুরু হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে। কুষানদের রাজত্বকালে ভারতবর্ষে ব্যবসা-বাণিজ্যের অগ্রগতির ফলে মুদ্রার ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং গুপ্তযুগে তা অব্যাহত ছিল।  সমুদ্রগুপ্তের মুদ্রা Related Post    প্রাচীন ভারতে মুদ্রাঃ 300 BC-300 CE বিভিন্ন অঞ্চলে গুপ্ত রাজাদের মুদ্রা ভান্ডার বা হোর্ড পাওয়া গেছে। গুপ্ত রাজাদের স্বর্ণমুদ্রার মান যথেষ্ট উচ্চ ছিল। তবে স্কন্দগুপ্তের আমল থেকে গুপ্ত স্বর্ণমুদ্রা ওজন 124 গ্রেন থেকে 144 গ্রেন করা হয়। কিন্তু মুদ্রায় খাদ্যের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ানো হয়, যার ফলে সাম্রাজ্যের শেষকালের স্বর্ণমুদ্রা গুলির স্বর্ণ মোট ওজনের অর্ধেক হয়ে যায়। গুপ্ত রাজা দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত রৌপ্য মুদ্রা চালু করেছিলেন পশ্চিম ভারতের শক-ক্ষত্রপদের আদলে। মূলত গুজরাট উপকূলে এগুলির ব্যবহার ছিল।  তবে গুপ্ত রাজারা তাম্রমুদ্রা নির্মাণে সেভাবে গুরুত্ব দেন নি। বৈদেশিক বাণিজ্যে স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা ব্যবহৃত হল...

প্রাচীন ভারতে মুদ্রাঃ 300 BC-300 CE

Please visit our  Homepage and Subscribe us. প্রাচীন ভারতে মুদ্রাঃ 300 BC-300 CE বাণিজ্যিক ক্রিয়া-কলাপের অন্যতম শর্ত হল মুদ্রা অর্থনীতি। প্রাচীন ভারতে মুদ্রার প্রথম ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে নাগাদ। এই মুদ্রা গুলিতে কোন রাজার নাম থাকত না। একদিক ছাপ দেওয়া এই তাম্রমুদ্রাগুলি 'অঙ্ক চিহ্নিত মুদ্রা' নামে পরিচিত ছিল। Suggested Post     গুপ্ত যুগে মুদ্রা বাণিজ্যের অগ্রগতির সাথে সাথে মুদ্রার ব্যবহার ক্রমশ বাড়তে থাকে। মৌর্য আমলে অঙ্ক চিহ্নিত মুদ্রা ব্যবহারের পাশাপাশি ছাঁচে ঢালা (কাস্ট) মুদ্রার ব্যবহার শুরু হয়। 'তোরণের উপর বসা ময়ূর'-এর নকশা কাটা মুদ্রাকে সাধারনত মৌর্য মুদ্রা বলা হয়। মৌর্য মুদ্রায়ও শাসকের নাম বা পরিচয় অনুপস্থিত। কিন্তু অর্থশাস্ত্রে মুদ্রা প্রস্তুতির উপর রাষ্ট্রীয় অধিকার বলবৎ করার কথা বলা হয়েছে। যে রাজকর্মচারী মুদ্রা তৈরির তদারকি করতেন তাকে রূপদর্শক বলা হত। মৌর্য পরবর্তী ভারতে ব্যবসা-বাণিজ্যের অভূতপূর্ব বিস্তার ঘটে। ফলে মুদ্রার ব্যবহার ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। ইন্দোগ্রীকরা সোনা ও রুপার মুদ্রা নিয়মিত ভাবে চালু করেছিলেন। উত্তর ভা...

মহজরনামা

Please visit our  Homepage and Subscribe us. মহজরনামা ইবাদতখানায় আলোচনা চলাকালীন 1579 খ্রিস্টাব্দে মে মাসে মহজর ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে বদাউনি নিজে উপস্থিত ছিলেন বলে এ প্রসঙ্গে তার বিবরণ যথেষ্ট প্রামাণ্য। ঘোষণাপত্রটির রচয়িতা ছিলেন আবুল ফজলের পিতা শেখ মোবারক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শেখ আব্দুন নবী এবং আব্দুল্লাহ সুলতানপুরী সহ মোট 7 জন বিখ্যাত আলেম। Akbar মহজরনামার বক্তব্য ছিল, সম্রাট এবার থেকে আমীর-আল-মুমিনীন বা মুমিনদের প্রধান, মানুষের আশ্রয়স্থল, বিশ্বাসীদের সেনাপতি ও পৃথিবীতে ভগবানের ছায়া। এগুলি ওই সময়ে খলিফাদের গুন। আবার এমনও বলা হল যে, ইসলামের বিভিন্ন ধারার মত ও তাদের প্রয়োগ নিয়ে মুজতাহিদ অর্থাৎ কোরানের বিধির ব্যাখ্যাকর্তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে, মানবজাতির কল্যাণ এবং সাম্রাজ্য শাসনের উদ্দেশ্যে সম্রাট যে কোনো একটি মত গ্রহণ করতে পারবেন এবং তা জারি করতে পারবেন। অবশ্য সেই বিধি কোরআন এবং হাদিসের ব্যাখ্যার পরিপন্থী হতে পারবে না। সেই বিধি সকলকেই মেনে চলতে হবে। তার বিরোধিতা করার অর্থ ঈশ্বরের বিরাগভাজন হওয়া। মহজর ঘোষণা প্রসঙ্গে ঐতিহাসিক ভিনসে...

আকবরের ইবাদতখানা

Please visit our Homepage and Subscribe us. আকবরের ইবাদতখানা আকবরের ধর্মনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল ইবাদতখানা স্থাপন। 1575 খ্রিস্টাব্দে আকবর ফতেপুর সিক্রিতে ইবাদতখানা স্থাপন করেন। শেখ আব্দুল্লাহ নিয়াজি নামে এক গুজরাটি সুফি সন্তের উপাসনাস্থলকে কেন্দ্র করে আকবর ধর্ম আলোচনার জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। এই বাড়িই ইবাদৎখানা নামে পরিচিত হয়। সম্রাটের প্রাসাদ থেকে এটা খুব বেশী দুরে ছিল না, যাতে আকবর সহজেই যাতায়াত করতে পারতেন। ইবাদতখানায় জেসুইটসরা 1573 সালের পর থেকে আকবরের ধর্মনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়।  তিনি সকল ধর্মের সার আহরণের কথা ভাবতে থাকেন। বদাউনীর মতে, উজবেক অভিজাতদের পরাজিত করার পর এবং মালব রাজস্থান গুজরাট জয়ের পর সাম্রাজ্যের বিশাল বিস্তার হয়েছিল এবং আকবরের বিরুদ্ধাচরণ করার মত কেউ ছিলেন না। সম্রাটের হাতে সময় ছিল। তাই বিভিন্ন মতাবলম্বী লোকেদের সঙ্গে আলোচনা করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ইবাদত খানায় ধর্মীয় আলোচনা করার ধারণা নতুন নয়। উমাইয়া এবং আব্বাসীয় খলিফাদের সময় এই ধরনের আলোচনার রেয়াজ ছিল। এমনকি ইসলাম ধর্মে আসার পর মোঙ্গলরাও এই ধরনের আলোচনা কর...

বর্ণাশ্রম

Please visit our  Homepage and Subscribe us. বর্ণাশ্রম প্রাচীন ভারতে বৈদিক সমাজ ব্যবস্থার অন্যতম অঙ্গ হল বর্ণাশ্রম ব্যবস্থা। তত্ত্বগতভাবে বৈদিক সমাজ কাঠামো বর্ণাশ্রম ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করেই গড়ে ওঠে। বর্ণাশ্রম হল চতুর্বর্ণ ব্যবস্থা ও চতুরাশ্রম প্রথার সমন্বয়। বিভিন্ন বর্ণের জন্য তার পালনীয় আশ্রম নির্দিষ্ট। বর্ণাশ্রম ব্যবস্থার সঠিক অনুসরণ এর মাধ্যমে জীবনের চারটি প্রধান অভীষ্ট ধর্ম, কাম, অর্থ ও মোক্ষ লাভ সম্ভব। আক্ষরিক অর্থে বর্ণ শব্দের অর্থ রঙ। ঋকবৈদিক যুগের প্রথম দিকে বর্ণ বলতে আর্য বর্ণ ও দস্যু বর্ণকে  বোঝাত, যা সম্ভবত গাত্রবর্ণের ভিত্তিতে নির্ধারিত হত। আর্যরা অনার্যদের দস্যু বা দাস বলত। ঋকবেদের দশম মন্ডলে প্রথমবার চতুর্বর্ণের উল্লেখ লক্ষ্য করা যায়। এখানে পেশার ভিত্তিতে সমগ্র বৈদিক সমাজকে চার ভাগে বিভক্ত করা হয়-- ব্রাহ্মন, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র। ব্রাহ্মণের কাজ হল শাস্ত্রচর্চা করা, ক্ষত্রিয়ের কাজ শাসন করা, বৈশ্যের কাজ উৎপাদন করা এবং শূদ্রের কাজ উপরের তিন বর্ণের সেবামূলক কাজে শ্রমদানে লিপ্ত থাকা। প্রাথমিক ভাবে এই বিভাজন পেশাভিত্তিক হলেও পরবর্তীকালে তা জাতিভিত্তিক স...

মুঘল সাম্রাজ্যের পতনে কৃষক বিদ্রোহ গুলির ভূমিকা

মুঘল সাম্রাজ্যের পতনে কৃষক বিদ্রোহ গুলির ভূমিকা সপ্তদশ শতকের শেষ ভাগ থেকে অষ্টাদশ শতকের গোড়ার দিকে ঘটে যাওয়া একাধিক কৃষক বিদ্রোহকে মুঘল সাম্রাজ্যের অবনতির বড় কারণ বলে মনে করা হয়। ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক চাপ সমকালীন গ্রামীণ সমাজ সহজভাবে মেনে নেয়নি। কাজেই মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাসে কৃষক বিদ্রোহের ব্যাপারটি মাঝে মাঝেই দেখা দিত। কিন্তু শক্তিশালী শাসকদের সময় বিদ্রোহ সেইভাবে বৃহৎ আকার ধারণ করতে পারেনিন। কিন্তু সপ্তদশ শতকের শেষ ভাগে এবং অষ্টাদশ শতকের সূচনালগ্ন থেকেই মুঘল শক্তির দুর্বলতা প্রকট হয়ে উঠলে কৃষক বিদ্রোহ গুলি ব্যাপক আকার নিতে থাকে। আর এইসব ক্ষেত্রে সাধারণত স্থানীয় জমিদাররা নেতৃত্ব দিতে থাকে। ঔরঙ্গজেবের সময় জাঠ বিদ্রোহ ছিল উল্লেখযোগ্য। এদের নেতা ছিলেন গোকুল জাঠ। সরকারি সেনাদের হাতে তার মৃত্যু হলেও জাঠ বিদ্রোহ থেমে যায়নি, বরং কৃষকেরা রাজস্ব দেয়া বন্ধ করে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। 1681 খ্রিস্টাব্দে ফৌজদার মুলতফৎ খান এমনই একটি বিদ্রোহ দমন করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন। জাঠদের মতই উত্তর ভারতে আরো একটি সম্প্রদায় কৃষক বিদ্রোহের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল, তারা হল সৎনামী। 167...

ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় বাবরের অবদান

Please comment and share. ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় বাবরের অবদান Babur ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জাহির উদ্দিন মহম্মদ বাবর। পিতৃরাজ্য ফারঘানা থেকে বিতাড়িত হয়ে ভাগ্যের অনুসন্ধানে ছিলেন। আফগানিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের সুযোগে 1504 খ্রিস্টাব্দে বাবর কাবুল অধিকার করেন। কাবুল জয়ের মাধ্যমে বাবরের দীর্ঘদিনের ভবঘুরে জীবনের অবসান ঘটে। বাবর ক্রমশ পূর্বদিকে ভাগ্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় রত হন। 1526 খ্রিস্টাব্দে পানিপথের প্রথম যুদ্ধে লোদী শাসককে পরাজিত করে ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেন । মাত্র চার বছরের শাসনকালে তিনি আফগান ও রাজপুতদের পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন, কিন্তু বিরোধী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করে সাম্রাজ্যের যথাযথ নিরাপত্তা বিধান করতে পারেনি।     লোদী সাম্রাজ্য অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে হয়ে দুর্বল পড়েছিল। ইব্রাহিম লোদীর প্রাদেশিক শাসকগণ , আফগান সর্দার এবং তার আত্মীয়রা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আরম্ভ করেছিল। রানা সঙ্গর নেতৃত্বে ইব্রাহিম লোদির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয় রাজপুতরা। এই রানা সঙ্গই  ভারত আক্রমণের জন্য  বাবর কে...

|| ভারতীয় রাজনীতিতে গান্ধীর উত্থান || Rise of Gandhi

ভারতীয় রাজনীতিতে গান্ধীর উত্থান ভারতীয় রাজনীতিতে গান্ধীর আগমন এক বৈপ্লবিক ঘটনা। ১৯১৫ খিস্টাব্দে গান্ধীর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফেরত আসার আগের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে জুথিড  ব্রাউন 'উদ্দেশ্য মূলক সীমাবদ্ধতার রাজনীতি' বলে উল্লেখ করেছেন, যার মোদ্দা কথা এই যে, সীমিত সংখ্যক পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত লোকজন রাজনীতিতে অংশ নিতেন এবং এরা ব্রিটিশ রাজ যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা এদেশীয়দের দিত সেগুলির পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে চাইতেন। ভারতবর্ষের সুদূরপ্রসারী সামাজিক বা অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটানোর ব্যাপারে এরা ছিলেন উদাসীন। এই সীমিত রাজনীতির ব্যর্থতার পেক্ষাপটে সুরাট বিচ্ছেদের মত ঘটনা ঘটে। যদিও সাধারণ মানুষের চোখে এই চরমপন্থী ও নরমপন্থী দের মধ্যে কোন পার্থক্য ছিল না। চরমপন্থীরা তাদের আঁতুড়ঘর বাংলা, মহারাষ্ট্রে ও পাঞ্জাবে, বিপ্লবী সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ফলে সরকার যে ব্যাপক দমননীতি শুরু করে, তাতে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। নরমপন্থীদের নিষ্ক্রিয় কার্যকলাপ তার গুরুত্ব পরিদর্শনে ব্যর্থ হয়। ভারতীয় রাজনীতিতে এই অচলাবস্থার প্রেক্ষাপটে গান্ধীর উত্থান ঘটে। প্রকৃতপক্ষে গান্ধীর যখন উত্থান ঘটে তখন তার প্রত...