সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দ্বিতীয় পানিপথের যুদ্ধ ও তার গুরুত্ব | Second Battle of Panipath: 1556

 দ্বিতীয় পানিপথের যুদ্ধ ও তার গুরুত্ব ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে হুমায়ুনের মৃত্যুর পর আকবর যখন সিংহাসনে বসেন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। তিনি পঞ্জাবের সামান্য অংশের নাম মাত্র শাসক ছিলেন। সিংহাসন আরোহনের পর যাদের হাতে তার উৎপাটিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম এবং সবচেয়ে শক্তি শালী হলেন আদিল শাহের সেনাপতি হিমু। হিমু অসামান্য সামরিক যোগ্যতা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আগ্রা ও দিল্লি দখল করে বিক্রমাদিত্য উপাধি গ্রহণ করে দিল্লির সিংহাসন দখল করেন। এই প্রেক্ষিতে আকবর তার উপদেষ্টাদের কাবুলে ফিরবার পরামর্শ অগ্রাহ্য করে হিমুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে আকবরের অভিভাবক বৈরাম খাঁ- র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। বৈরাম খাঁ- র যোগ্য সেনাপতিত্বে তুলনামূলক ভাবে কম সৈন্য সম্পন্ন মুঘল বাহিনী হিমুর বিরাট বাহিনীকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়। হিমুর বহু যুদ্ধউপকরন এবং হাতি মুঘলদের হস্তগত হয়। বৈরাম খাঁ বন্দী হিমুর মাথা কেটে ( শিরচ্ছেদ ) করে হত্যা করে। পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ ভারতের ইতিহাসে সুদূর প্রসারী প্রভাব বিস্তার করেছিল। এই যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে আফগানদের ভারতে সার্বভৌম ক্ষমতা প্রতিষ্ট...

আকবরের গুজরাট অভিযান | Akbar Gujrat Conquest

 আকবরের গুজরাট অভিযান  বৈরাম খাঁর অভিভাবত্বকালেই আকবরের রাজ্য বিস্তারের সূচনা হয়েছিল। বৈরাম খাঁ- র ১৫৬০ খ্রিস্টাব্দে পদচ্যুতির পর আকবরের প্রথম সামরিক অভিযান পরিচালিত হয় মালব রাজ্যের বিরুদ্ধে । মালব ও রাজস্থান অধিকার করার পর আকবর পশ্চিম সমুদ্র উপকূলে তার আধিপত্য সম্প্রসারণে উৎসাহিত হন। তিনি ১৫৭২ খ্রিস্টাব্দে গুজরাট অভিযান করেন। গুজরাট ছিল শষ্য ও সম্পদে সমৃদ্ধ শালী প্রদেশ। সুলতানী যুগ থেকেই বস্ত্র শিল্পে গুজরাটের সুনাম ছিল। গুজরাটের উপকূল ভাগে কয়েকটি গুরুতবপূর্ণ বন্দর ছিল। তাই গুজরাটের প্রতি মুঘলদের দৃষ্টি অনেক আগে থেকেই ছিল। হুমায়ুনও গুজরাট অভিযান করে ছিলেন। আকবরের গুজরাট অভিযানের পশ্চাতে নিম্ন লিখিত কারণ গুলি উল্লেখ করা যায়ঃ i) বিদ্রোহী মির্জারা গুজরাটে আশ্রয় নিয়েছিল। ii) গুজরাট ছিল সমুদ্রপথে বহিঃ দেশের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান কেন্দ্র। iii) পর্তুগিজদের কার্যকলাপের উপর নজর রাখার জন্য গুজরাট অধিকার করার দরকার ছিল। iv) সর্বোপরি গুজরাটের আর্থিক সমৃদ্ধি ও বাণিজ্যঘাঁটিগুলি আকবরকে গুজরাট দখলে উৎসাহিত করে ছিল। সুলতান মুজাফফর শাহের শাসনকালে গুজরাটে অভ্যন্তরীণ গোলমাল চলছিল। এমনকি ...

আকবর ও অভিজাতদের মধ্যে সম্পর্ক | Akbar and the Mughal Nobility

 আকবর ও অভিজাতদের মধ্যে সম্পর্ক   মুঘল শাসনের প্রধান স্তম্ভ ছিল অভিজাত সম্প্রদায়। বাবর বা হুমায়ূনের সময়ে অভিজাত সম্প্রদায়ের কোনো সঠিক সংগঠন ছিল না। আকবরই ছিলেন প্রথম মুঘল শাসক যিনি অভিজাতদের সংগঠিত করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। উত্তরাধিকার সূত্রে আকবর যে অভিজাত সমাজকে পেয়েছিলেন তা প্রধানত ইরানি ও তুরানি এই দুই জাতি গোষ্ঠীর আমীরদের নিয়ে গঠিত। এদের মধ্যে তুরানীদের আধিপত্য বেশি ছিল বলে মুঘল অভিজাত সম্প্রদায় ছিল মূলত তুরানী বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। বৈরাম খাঁ, মির্জা নিজাত ও মির্জা হাসান ছাড়া অন্যান্য ইরানি আমিরগণ ছিলেন প্রভাব প্রতিপত্তিহীন। রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণে তাদের বিশেষ ভূমিকা থাকত না । বৈরাম খাঁ- র মৃত্যুর পর থেকে আকবরের শাসনতান্ত্রিক সংস্কারগুলি অধিকতর কার্যকর হতে শুরু হয়। ১৫৬০-৭৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দুটি স্থানীয় গোষ্ঠী রাজপুত ও ভারতীয় মুসলমানরা মুঘল অভিজাত সম্প্রদায়ের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে। এর ফলে অভিজাত গোষ্ঠীর মধ্যে একটা ভারসাম্য সৃষ্টি হয় এবং মুঘল প্রশাসনে তুরানি চরিত্র  ও চুগতাই পরম্পরার অবনমন ঘটে। ১৫৭৫-৯৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে অভিজাত সংগঠনের উপর করা সাম্প্রতিক ...

মেইজি কৃষি সংস্কার | Meiji Reforms: Agriculture

মেইজি জাপানের সামন্ত প্রথার বিলোপ সাধনে কোন কোন প্রধান সামাজিক এবং অর্থনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল? এই পরিবর্তনের প্রভাব গুলি কি কি ছিল / ডাইমিও, সামুরাই এবং কৃষকদের উপর এর কি প্রভাব পড়েছিল? অথবা মেইজি জাপানের নতুন ভূমি ব্যবস্থা প্রচলিত সামন্ততান্ত্রিক সমাজ কাঠামোকে কতটা পরিবর্তিত করেছিল? মেইজি পুনঃপ্রতিষ্ঠার নায়কগন উপলব্ধি করেছিলেন যে পশ্চিমি আগ্রাসন থেকে দেশককে বাঁচাতে হলে কেবলমাত্র শোগুনতন্ত্র ধ্বংস করলেই চলবে না, জাপানকে উপরন্তু আধুনিক হতে হবে। দেশকে আধুনিক করতে হলে প্রথমে প্রয়োজন ছিল মধ্যযুগীয় সামন্ত প্রথার বিলুপ্তি। এই কঠিন কাজটি প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত বিনা রক্তপাতে সম্পন্ন হয় নি। তবে সামন্ত কৃষি অর্থনীতির পরিবর্তে আধুনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে মেইজি নেতৃবর্গ সফল হয়েছিলেন। তবে এই পরিবর্তনের প্রভাব বিভিন্ন শ্রেনীকে নানা ভাবে প্রভাবিত করেছিল।   সামন্ত প্রথার বিলোপ সাধন করে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য জাপানের নবগঠিত সাত-চো-হি- তো সরকার সামন্ত প্রথা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সামন্ত প্রথা বিলুপ্তির জন্য ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে প্রত্যেক জমিদারিতে একজন করে স...

ওয়াশিংটন সম্মেলন:১৯২১-২২। Washington Conference: 1921-22

ওয়াশিংটন সম্মেলনের পটভূমি আলোচনা কর। এই সম্মেলন পূর্ব এশিয়ায় জাপানের আগ্রাসন প্রতিরোধ করতে কতটা সক্ষম হয়েছিল?          এশিয়ার উদীয়মান শক্তির জাপানের ক্ষমতা সীমায়িত করণ এবং পশ্চিমী উপনিবেশবাদী শক্তিগুলির সঙ্গে জাপানের সমঝোতা স্থাপনের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন সম্মেলন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে নভেম্বর থেকে ১৯২২ এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন শহরে সমকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের আহ্বানে আমেরিকা, ব্রিটেন ও জাপান সহ মোট নয়টি দেশ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিল। যেখানে বিভিন্ন দেশের মধ্যে মোট সাতটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সম্মেলনের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জাপানের সম্প্রসারণ রোধ করা। কিন্তু তা কতটা সম্ভব হয়েছিল তাতে সন্দেহ আছে। পটভূমি ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে জাপান প্রায় সমগ্র পূর্ব এশিয়াতে একছত্র আধিপত্য স্থাপন করে ফেলেছিল। উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত যাবতীয় সমুদ্র মুখগুলি জাপানের নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। শাখালিন এর অর্ধেক এবং কুরাইল দ্বীপপুঞ্জ নিজের অধিকারে এনে জাপান ওখোট‌‌স্ক সাগরে অনুপ্রবেশের রাস্তা নিয়ন্ত্রণে আনতে ...

মৌর্য সাম্রাজ্যের পতনের কারণ| Fall of Mauryan Empire

মৌর্য সাম্রাজ্যের পতনের কারণ ২৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে অশোকের মৃত্যুর পর থেকে মৌর্য সাম্রাজ্যের ক্রমিক অবক্ষয়ের সূচনা হয়। গ্রীকরা হিন্দুকুশ পর্বত অতিক্রম করে ভারতবর্ষে অনুপ্রবেশ করে। ১৮৫ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে পুষ্যমিত্র শুঙ্গ মৌর্য রাজবংশের শেষ শাসক বৃহদ্রথ কে হত্যা করে মৌর্য শাসনের অবসান ঘটান। মগধে এরপর শুরু হয় শুঙ্গ বংশের শাসন। মৌর্য সাম্রাজ্যের পতনের কারণ নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে।  পন্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মৌর্য সাম্রাজ্যের পতনের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে ব্রাহ্মণ্যবাদী প্রতিক্রিয়ার তত্ত্ব তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে অশোক শূদ্র বংশজাত ছিলেন বলে ব্রাহ্মণরা তার শাসন মেনে নিতে পারেননি। তিনি আরও দেখিয়েছেন, অশোকের একাধিক সংস্কার ব্রাহ্মণদের স্বার্থের প্রতিকুল ছিল। তাঁর পশুবলি বিরোধী বিধান এর ফলে ব্রাহ্মণদের যাগ-যজ্ঞ ও অন্যান্য আচার-অনুষ্ঠানে পশু বলির সূত্র ধরে যে আয় হতো তা বন্ধ হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত, অশোক তার প্রথম ক্ষুদ্র গিরিশাসন যে কথাটি বলেছিলেন শাস্ত্রী তার অনুবাদ করেছেন এভাবে-- এতোকাল যাদের ভূদেব মনে করা হতো অশোক তাদের 'অমিসা দেবা' বা মিথ্যা দেবতা প্রতিপন্ন করেছেন। ...

অশোকের সাম্রাজ্য সীমা | Territory of Ashokan Empire

অশোকের সাম্রাজ্য সীমা অশোকের সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি পরিমাপ করতে হলে অশোকের অনুশাসন গুলির অবস্থান অনুধাবন করতে হবে। অশোকের শিলালিপি গুলিতে মৌর্য সাম্রাজ্যের সমার্থক শব্দ হিসেবে 'জম্বুদ্বীপ' শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। জম্বুদ্বীপ কথার অর্থ জাম ফলের দ্বীপ। নিটটুরের  এর গৌণ গিরিশাসনে বলা হয়েছে যে তার সম্রাজ্য সর্বত্র তার অনুশাসন প্রেরিত হয়েছে। সুতরাং তার লিপি গুলির ভৌগোলিক অবস্থান তার সাম্রাজ্যের আয়তন নির্দেশ করে। লিপি গুলির প্রাপ্তিস্থান অনুধাবন করে বলা যায় উত্তরে আফগানিস্তান থেকে দক্ষিনে কর্ণাটক পর্যন্ত এবং পশ্চিমে কাথিয়াবাড় থেকে পূর্বে কলিঙ্গ পর্যন্ত তার সম্রাজ্য বিস্তৃত ছিল। মহাস্থান লেখাটি যদি মৌর্য কালিং দলিল হয় তাহলে অশোকের সাম্রাজ্যের পূর্ব সীমানা উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত প্রসারিত ছিল- এমন বলা যায়। কলিঙ্গ ছাড়া বাকি সমস্ত এলাকাই তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হয়েছিলেন। অশোকের অনুশাসন এই তার সাম্রাজ্যে এর বাইরের এলাকা গুলিকে সীমান্তবর্তী এলাকা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন -- ১. চোড় অর্থাৎ চোল ২. পাড় অর্থাৎ মাদুরাই এর পান্ড  ৩. কেরলপুত অর্থাৎ কেরল ৪. সত্যপুত অর্থাৎ ক...

কলিঙ্গ যুদ্ধের তাৎপর্য | Ashoka: Importance of Kalinga War

কলিঙ্গ যুদ্ধের তাৎপর্য অশোক তার চল্লিশ বছরের শাসনকালের মাত্র একটি যুদ্ধ করেছিল। সেটি হল কলিঙ্গ যুদ্ধ। এই যুদ্ধের বিবরণ পাওয়া যায় তার ত্রয়োদশ গিরি অনুশাসনে। অশোকের পূর্বেও মৌর্য সম্রাট রা কলিঙ্গ আক্রমণ করেছিলেন ৩২১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত কলিঙ্গ ছিল নন্দ রাজাদের অধীনে। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য কলিঙ্গ জয় চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু সফল হননি। অশোক তার রাজ্জাকের অষ্টম তম বর্ষ অতিক্রান্ত হলে অর্থাৎ তার ত্রয়োদশ রাজ্যবর্ষে কলিঙ্গ জয় করেন।  কলিঙ্গ আক্রমণের পশ্চাতে অশোকের সাম্রাজ্যবাদী আকাঙ্ক্ষা ছিল তা অস্বীকার করার উপায় নেই কিন্তু এই অভিযানের পশ্চাতে যথেষ্ট পরিমাণে অর্থনৈতিক স্বার্থও ছিল। বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত স্বাধীন, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ রাজ্য কলিঙ্গ। কলিঙ্গের সমৃদ্ধির পথে এখানকার দক্ষ কারিগর এবং উন্নত সমুদ্র বাণিজ্য। সমুদ্র বাণিজ্যের জন্যই কলিঙ্গের বন্দর গুলি যথেষ্ট গুরুত্ব অর্জন করেছিল এবং এখানকার নৌবাহিনী ছিল উল্লেখযোগ্য। এই সমৃদ্ধিকে হস্তগত করার জন্য অশোক কলিঙ্গ জয়ে উৎসাহী হয়েছিলেন। কলিঙ্গ যুদ্ধ লক্ষাধিক প্রাণহানি ঘটেছিল এবং অসংখ্য মানুষকে যুদ্ধবন্দী করা হয়েছিল। যুদ্ধে পরাজয়ের পর ...

ইউরোপে দ্বাদশ শতকীয় নবজাগরণ | Twelfth Century Renaissance

ইউরোপে দ্বাদশ শতকীয় নবজাগরণের স্বরূপ আলোচনা করো। দ্বাদশ শতকের শুরুতে লাতিন ইউরোপের রাজনীতিতে নৈরাশ্যর উপস্থিতি সত্ত্বেও শিক্ষা-সংস্কৃতির ব্যাপক অগ্রগতি ঘটেছিল। পরবর্তী ১০০ বছর ধরে সমাজ চলেছিল মুক্তমনের ও মানব মহিমার বিজয়ী ঘোষণা। দ্বাদশ শতকের মনীষার এই আত্মপ্রকাশ পূর্ণ হয়েছিল ধ্রুপদী ভাবধারার সঙ্গে আরব ও ইহুদি প্রভাব এবং প্রাচ্য দেশগুলির সমৃদ্ধ সভ্যতার ভাব মিলনের ফলে, এই নতুন চিন্তা সম্ভব হয়েছিল ইউরোপের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদার ও মুক্ত আবহাওয়ার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেও বেশ কিছু পন্ডিতের সহায়তায় এই কাজ ত্বরান্বিত হয়েছিল। কোন কোন রাজসভায় বিদ্যোৎসাহী শাসকের পৃষ্ঠপোষকতায় বহু খ্যাতিমান কবি নির্বিঘ্নে সৃজনশীল রচনার সুযোগ পেয়েছিলেন। নবম-দশম শতকে ক্যারোলিঞ্জীয় রেনেসাঁর মতই দ্বাদশ শতকের নবজাগরণের মূল বৈশিষ্ঠ্য ছিল কাব্য রচনার প্রেরণা। তবে এতদিন লাতিন ভাষা ছিল গম্ভীর পাণ্ডিত্যের অবলম্বন। এখন তা ক্রমশ প্রাণবন্ত ও নমনীয় হয়ে উঠল। ১৩ শতকের রক্ষণশীল স্কুলমেন গোষ্ঠী লাতিনের এই প্রয়োগকে অবৈজ্ঞানিক বলে নিন্দা করলেও দ্বাদশ শতকের পন্ডিতরা  ভাষা ব্যবহারের নমনীয়তাকে স্বীকার করেছি...

C.U. SEM 2 Hons CC3 Syllabus

 CC-3:  History  of  India (C  300  BCE  to  C  750  CE) I.  Economy  and  Society  (circa  300  BCE  to  circa  CE  300)    a)Expansion  of  agrarian  economy:  production  relations          কৃষি অর্থনীতির বিস্তার ও কৃষি সম্পর্ক  b)Urban  growth:  north  India,  central  India  and  the  Deccan;  craft  Production,  trade  and  trade routes;  coinage      নাগরিক বিকাশঃ উত্তর ভারত, মধ্য ভারত এবং দাক্ষিনাত্য; কারিগরি উতপাদন, বাণিজ্য ও বানিজ্য           পথ, মুদ্রা অর্থনীতি  c)Social stratification:  class,  Varna,  Jati,  untouchability;  gender;  marriage and property relations.     সামাজিক স্তরবিভাজনঃ জাতি, বর্ণ, অশপৃশ্যতা, লিঙ্গ, বিবাহ ও সম্পত্তির উত্তরাধিকার ...