অষ্টাদশ শতকের শেষভাগের ফরাসি বিপ্লব ছিল আধুনিক সভ্যতার বৃহত্তম পথের বাক। এই বিপ্লবে জন্ম নিয়েছিল ইউরোপে জাতীয়তাবাদী এবং সর্বভৌম রাষ্ট্র গঠনের ধারা, জাতিগুলির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার, ব্যক্তি স্বাধীনতার আদর্শ আর স্বৈরাচারী প্রশাসনকে সংবিধানের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি। অধ্যাপক লেফেভর বলেছেন ফরাসি বিপ্লবের প্রকৃত কারণ ফ্রান্সের এবং পশ্চিম ইউরোপের ইতিহাসের অনেক গভীরে নিহিত আছে। প্রাক বিপ্লব ফ্রান্সের সামাজিক স্তরবিন্যাস অসাম্য এবং সামন্ততান্ত্রিক কাঠামো দীর্ঘদিন ধরে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে অসন্তোষ পুঞ্জিভূত করেছিল। যার অন্যতম ফলশ্রুতি ছিল ১৭৮৯ এর বিপ্লব। ঐতিহাসিকরা মোটামুটি ভাবে একমত যে পুরাতন তন্ত্রের ফ্রান্সে তিনটি এস্টেট বা গোষ্ঠী ছিল যাজক, সম্ভ্রান্ত এবং সাধারণ মানুষ। প্রথম এস্টেট বা যাজকগণ ছিলেন বিশেষ সম্মানিত এবং সুবিধাভোগী শ্রেণী, যাজকগণ ছিলেন চার্চের প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত। তারা প্রশাসনকে কর দিতেন না উপরন্ত জনগণের কাছ থেকে ধর্ম কর আদায় করত এবং রাজাকে দিতেন স্বেচ্ছা অনুদান। এদের জন্য পৃথক বিচার ব্যবস্থা ছিল। শিক্ষা ব্যবস্থা, দারিদ্রদের সাহায্য ব্যবস্থা ...