সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ফরাসি বিপ্লবের প্রাক্কালে ফ্রান্সের আর্থসামাজিক স্তর বিন্যাস ও সমস্যা আলোচনা কর।

 অষ্টাদশ শতকের শেষভাগের ফরাসি বিপ্লব ছিল আধুনিক সভ্যতার বৃহত্তম পথের বাক। এই বিপ্লবে জন্ম নিয়েছিল ইউরোপে জাতীয়তাবাদী এবং সর্বভৌম রাষ্ট্র গঠনের ধারা, জাতিগুলির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার, ব্যক্তি স্বাধীনতার আদর্শ আর স্বৈরাচারী প্রশাসনকে সংবিধানের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি। অধ্যাপক লেফেভর বলেছেন ফরাসি বিপ্লবের প্রকৃত কারণ ফ্রান্সের এবং পশ্চিম ইউরোপের ইতিহাসের অনেক গভীরে নিহিত আছে। প্রাক বিপ্লব ফ্রান্সের সামাজিক স্তরবিন্যাস অসাম্য এবং সামন্ততান্ত্রিক কাঠামো দীর্ঘদিন ধরে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে অসন্তোষ পুঞ্জিভূত করেছিল। যার অন্যতম ফলশ্রুতি ছিল ১৭৮৯ এর বিপ্লব।  ঐতিহাসিকরা মোটামুটি ভাবে একমত যে পুরাতন তন্ত্রের ফ্রান্সে তিনটি এস্টেট বা গোষ্ঠী ছিল যাজক, সম্ভ্রান্ত এবং সাধারণ মানুষ।  প্রথম এস্টেট বা যাজকগণ ছিলেন বিশেষ সম্মানিত এবং সুবিধাভোগী শ্রেণী, যাজকগণ ছিলেন চার্চের প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত। তারা প্রশাসনকে কর দিতেন না উপরন্ত জনগণের কাছ থেকে ধর্ম কর আদায় করত এবং রাজাকে দিতেন স্বেচ্ছা অনুদান। এদের জন্য পৃথক বিচার ব্যবস্থা ছিল। শিক্ষা ব্যবস্থা, দারিদ্রদের সাহায্য ব্যবস্থা ...

ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীতি ব্যাখ্যা করে, তার মুঘল সাম্রাজ্যের পতন কে কতখানি ত্বরান্বিত করেছিল তা দেখাও।

 ঔরঙ্গজেব তার পূর্বসূরীদের অনুসরণ করেই দাক্ষিণাত্যের উপর কেন্দ্রীয় শক্তির কব্জা কায়েম করতে সচেষ্ট হন। জীবনের শেষ ২৫ টা বছর তিনি এজন্য দাক্ষিণাত্যে কাটান এবং বহু সম্পদ ব্যয় করেন। অবশেষে দাক্ষিণাত্যে মুঘল কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু তা পরবর্তী মুঘল সাম্রাজ্যের পক্ষে লাভবান হয়নি।  ঔরঙ্গজেব শাসনকালের প্রথমার্ধে উত্তর ভারতের রাজনীতি নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে দাক্ষিণাত্যে দৃষ্টি নিক্ষেপ করার সময় পাননি। দাক্ষিণাত্যে প্রধান দুটি রাজ্য বিজাপুর ও গোলকুন্ডা কার্যত স্বাধীন ছিল। তবে এদের ক্রমশ ক্ষীয়মান শক্তি হ্রাসের সুযোগে শিবাজীর নেতৃত্বে মারাঠা জাতির ক্ষমতা বৃদ্ধিতে দাক্ষিণাত্যে নতুন এক রাজনৈতিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শাহজাদা আকবর বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন এবং শিবাজীর পুত্র শম্ভুজীর দরবারে আশ্রয় নিলে পরিস্থিতি আরোও জটিল হয়ে ওঠে। এমত অবস্থায় ঔরঙ্গজেব 1681 খ্রিস্টাব্দে রাজপুতদের সাথে শান্তি চুক্তি স্থাপন করে দ্রুত দাক্ষিণাত্যের দিকে যাত্রা করে। ১৬৮১ থেকে ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে তার মৃত্যু পর্যন্ত তিনি সাম্রাজ্যের শক্তি নিয়োগ করেছিলেন দাক্ষিণাত্যে। উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীন রাজ্য বিজাপুর ও গো...