রুশ বিপ্লবের পটভূমি ও লেনিনের ভূমিকা
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ও তার পরবর্তী বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘটনা হলো রুশ বিপ্লব (১৯১৭)। রুশ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে লেনিনের নেতৃত্বে রাশিয়ার বলসেভিকরা সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিল। শিল্প বিপ্লবের ফলশ্রুতি হিসেব রাশিয়ায় শ্রমিক শ্রেণির আবির্ভাব হয়েছিল, মার্কসীয় দর্শনে যাকে প্রলেতারিয়েত বা সর্বহারা শ্রেনি বলা হয়। ১৯০৫ সালে জারতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক ব্যপক বিদ্রোহ হয়েছিল, যদিও সেই বিদ্রোহ দমন করা হয়েছিল। এর পর ১৯১৭ সালে জারতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যপক লড়াই শুরু হয় যাকে আর দমন করা যায়নি। ১৯১৭ এর বিপ্লবের পটভূমি আলোচনা করতে গেলে আমাদের ১৯০৫ সালের গণ আন্দোলন থেকে শুরু করতে হবে। ১৯১৭ বিপ্লবের নায়ক লেনিন নিজেই ১৯০৫ এর বিপ্লবকে রুশ বিপ্লবের মহড়া বলেছেন।
৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়াতে শিল্প বিপ্লব এসেছিল এবং দ্রুত গতিতে তা সম্প্রসারিত হয়েছিল। ফ্যাক্টরি সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছিল, যেগুলি অধিকাংশ ছিল বিদেশি মালিকানাধীন (ব্রিটেন ও ফ্রান্সের)। ফলে শ্রমিক শ্রেণীর আয়তন বৃদ্ধি পেয়েছিল, সর্বহারা শ্রেণীর আবির্ভাব ঘটেছিল। শহরের প্রান্তীয় অঞ্চলগুলিতে কারখানা গুলি গড়ে উঠত। এখানেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অধিকারহীন অবস্থায় শ্রমিকেরা ঘন সন্নিবদ্ধ হয়ে জীবন কাটাতো। এই পরিস্থিতি অবশ্য তাদেরকে সঙ্ঘবদ্ধ হতে সাহায্য করেছিল। ১৮৬১ সালে মুক্তির আইন জারি করে যার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার ভূমিদাসদের মুক্তি দিয়েছিলেন। কিন্তু সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার মধ্যে নানান ত্রুটি ছিল এবং এর জন্য মুক্ত ভুমিদাসের অর্থাৎ কৃষকদের জীবন দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছিল। উভয় গোষ্ঠী কাছাকাছি আসতে পেরেছিল কারখানাগুলি শহরের প্রান্তদেশে গ্রামীন বসতির কাছাকাছি গড়ে ওঠার জন্য।
সত্তর-আশির দশকে পপুলিস্ট আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর রুশ বিপ্লবী সংগঠনগুলি সংকটের মধ্যে পড়েছিল। জারতন্ত্রের গুপ্তচররা বিপ্লবী সংগঠনগুলিতে প্রবেশ করে সংগঠনগুলিকে ধ্বংস করে ফেলছিল। বিপ্লবীরা ক্রমশ উপলব্ধি করেছিল যে, জারতন্ত্রের বিরোধিতা করে সাধারণ মানুষের সমর্থন দরকার। তারা প্রথমে কৃষকদের দিকে ঝুঁকে পড়ে, কিন্তু সেই প্রয়াস ব্যর্থ হয়; কারণ দ্রুত শিল্পায়নের ফলে জীবিকা অর্জনে ব্যর্থ কৃষক শিল্পে শ্রমিক হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার রাস্তা পেয়ে যেত। এই অবস্থায় পপুলিস্ট দলের বিকল্প বিপ্লবী সংগঠন হিসেবে মার্কসবাদী বামপন্থী দল গড়ে ওঠে। এরা বিশ্বাস করত যে কৃষক নয়, শ্রমিকই হবে শ্রেণী সংগ্রামের হাতিয়ার। সমসাময়িক রাশিয়ার বিখ্যাত মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিক নেতা এবং তাঁর সহযোগীগন মনে করতেন, শিল্প বিপ্লবের ফলে প্রথমে ধনতান্ত্রিক বুর্জোয়া বিপ্লব আসবে এবং পরবর্তী পর্যায়ে স্বতঃস্ফূর্ত প্রলেতারিয় বিপ্লব আসবে। এই সময় মার্কসীয় শ্রমিক সংগঠন হিসাবে গড়ে ওঠে League of Struggle যা পরবর্তীকালে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (SDP) জন্ম দিয়েছিল।এদিকে Social Revolutionary Party কৃষক সমাজকে আরো সঙ্ঘবদ্ধ করতে শুরু করেছিল।
রাশিয়াতে ১৮৯১-২ সালের মধ্যে চরম দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। ১৯০৪-৫ সালে রাশিয়া জাপানের হাতে চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়েছিল। লিবারেলরাও প্রশাসনিক সংস্কারের দাবি তুলছিল। ছাত্র ও শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছিল। সরকার নিষ্ঠুর দমননীতি গ্রহণ করেছিল। এর চূড়ান্ত পরিণতি ছিল ১৯০৫ সালের ৯ জানুয়ারি 'রক্তাক্ত রবিবার'। এর প্রতিবাদে রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘবদ্ধ ধর্মঘট পালিত হতে থাকে। এই বিপ্লবী আন্দোলনের পরেই হয়েছিল যুদ্ধ জাহাজ পোটেমকিনের নাবিক বিদ্রোহ। যদিও এই বিদ্রোহ সফল হয়নি এবং বিদ্রোহীরা আত্মসমর্পণ করেছিল।
সেন্ট পিটার্সবার্গের একটি শ্রমিক সোভিয়েতে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং সোশ্যাল রিভলিউশনারি পার্টি যুক্ত হয়েছিল। কিন্তু রাজরোষের শিকারে তারা দু মাসের বেশি কাজ করতে পারেনি। রাজার দমননতির ফলে দেশের অনেক বিপ্লবী নেতা ফিনল্যান্ডে পালিয়ে গেছিলেন এবং দেশের বাইরে থেকে তাত্ত্বিক আলোচনা চালিয়ে যেতে থাকেন। চরম নজরদারির কারণে নেতারা বিপ্লবীদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেননি।
রাশিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্লেখানভের হুবহু মার্কসীয় তত্ত্ব প্রয়োগের নীতিকে লেনিন মেনে নিতে পারেননি। তাঁর মতে, যেহেতু শিল্পায়নের ফলে রাশিয়ায় প্রলেতারিয় শ্রেণীর উদ্ভব ঘটেছে, কিন্তু সুশৃঙ্খল বুর্জোয়া শ্রেণি গড়ে ওঠেনি; তাই প্রথমে বুর্জোয়া বিপ্লব তারপরে শ্রমিক বিপ্লব-- এই অপেক্ষা অনর্থক। প্রলেতারিয় শ্রেণীকে একটি তীব্র আদর্শবাদী ও আদ্যোপান্ত সংগ্রামী নেতৃত্বের দ্বারা বিপ্লবী সংগঠনে পরিণত করতে হবে। লেনিনের মতাদর্শের প্রভাবে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়-- বলশেভিক (সংখ্যাগরিষ্ঠ) ও মেনশেভিক (সংখ্যালঘিষ্ট)। প্রথমটির নেতৃত্বে ছিলেন লেনিন, প্লেখানভ প্রমূখ, অন্যদিকে মেনশেভিকদের নেতৃত্বে ছিলেন মার্টভ। লেনিন চেয়েছিলেন, পার্টির মধ্যে স্বল্প সংখ্যক বিপ্লব নিবেদিতপ্রাণ সক্রিয় ব্যক্তির নেতৃত্ব। অন্যদিকে মেনশেভিকরা সবাইকে পার্টির সদস্যপদ দান করত, যারা পার্টির নেতৃত্বকে মেনে নিত। লেনিন আরও বলেছিলেন কৃষকদের বিপ্লবী সত্তা জমি লাভ করলেই দুর্বল হয়ে পড়বে এবং ক্রমে তা বিনষ্ট হবে। তখন কৃষকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিপ্লবে শামিল করতে হবে, যা বাঞ্ছনীয় নয়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে অবস্থা বিপ্লবের পক্ষে চলে যায়। দেশে খাদ্যাভাব দেখা দেয়, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়। যুদ্ধে রাশিয়ার চরম অবস্থা পরিলক্ষিত হয়। জার স্বয়ং যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত ছিলেন। দেশ শাসনের দায়িত্বভার সামলাচ্ছিলেন সম্রাজ্ঞী ও তাঁর পরামর্শদাতা সাধু রাসপুতিন। এই সংকটের মোকাবিলা ডুমা করতে পারিনি। জনতা এই দুরাবস্থার জন্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্তকে দায়ি করে। পেট্রোগ্রাডে গড়ে ওঠে সোভিয়েত অফ সোলজারস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ডেপুটিস। সম্রাট যুদ্ধ থেকে ফিরে এলেও তিনি আর সিংহাসন পেলেন না; পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন। প্রশাসনের দায়িত্ব পেলেন কেরেনস্কি, যাকে মেনশেভিক ও উদারপন্থীরা সমর্থন করেছিল।
কৃষকদের ভূমিসংস্কারের দাবি, লিবারেলদের বুর্জোয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রয়াস-- কোনটাই এই সরকার পূরণ করতে পারেনি। সোভিয়েতগুলি আবার আন্দোলন শুরু করেছিল। এপ্রিলে জার্মানি সহযোগিতায় লেনিন দেশে ফিরে আসে। ৩ তারিখে পেট্রোগ্রাডের ভাষণে কেরেনস্কি সরকার ও তার সহযোগী মেনশেভিক দল ও বাকুনিনের নৈরাজ্যবাদের সমালোচনা করেন, যা এপ্রিল থিসিস নামে পরিচিত। ১লা মে'র একটি বিরাট শ্রমিক মিছিলে লেনিনের ব্যপক গনসমর্থন প্রমাণিত হয়। তখন কেরেনস্কি সরকার বলশেভিকদের উপর দমন শুরু করে। লিও ট্রটস্কিকে কারারুদ্ধ করা হয়। লেনিন তখন আরো একবার ফিনল্যান্ডে চলে যান এবং সেখান থেকে বিখ্যাত স্টেট এন্ড রেভেলিউশন পুস্তিকাটি প্রকাশ করেন। এই পুস্তিকায় তিনি ডিক্টেটরশিপ অফ প্রোলেতারিয়েত-এর ঘোষণা করেন।
সেপ্টেম্বর মাসের লেনিন আবার পেট্রোগ্রাডে ফিরে এলেন। দেরি না করে অনুগত সহযোগী লিও ট্রটস্কির সহায্য নিয়ে বিপ্লবের ছক কষে ফেললেন। ২৪ ও ২৫ শে অক্টোবর (রাশিয়ান ক্যালেন্ডার অনুশারে নভেম্বর মাস) কেরেনস্কির প্রাসাদ ঘিরে ফেলা হল। পেট্রোগ্রাদের সৈনিকরা এবার কেরেনস্কিকে সমর্থন করল না। শেষ চেষ্টা করে কেরেনস্কি রাশিয়া ত্যাগ করলেন। ২৫শে অক্টোবর লেনিন ঘোষণা করলেন, ক্ষমতা এবার বলসেভিকদের হাতে। সোশ্যাল রিভল্যুশনারি পার্টির নেতাদের বন্দী করা হল। লিবারেল পার্টির সদস্যদের দেশের জনগণের শত্রু বলে চিহ্নিত করা হল। রাশিয়াকে রিপাবলিক বলে ঘোষণা করা হল। এভাবে ধরাধামে প্রথমবার লেনিনের তথা মার্কসের আদর্শ রুশ বিপ্লবের মাধ্যমে বাস্তব রূপ পেল।
Background of the Russian Revolution and the Role of Lenin
The Russian Revolution of 1917 was the most significant event in the world during and after the First World War. Through this revolution, the Bolsheviks under the leadership of Lenin succeeded in establishing socialism in Russia. As a result of the Industrial Revolution, a working class emerged in Russia, which in Marxist philosophy is known as the proletariat. In 1905, there was a massive uprising against Tsarist rule, though it was suppressed. Later, in 1917, a widespread struggle began against Tsarism, which could no longer be contained. To understand the background of the Revolution of 1917, one must begin with the mass movement of 1905. Lenin himself described the Revolution of 1905 as the “dress rehearsal” of the Russian Revolution.
In the mid-1880s, the Industrial Revolution reached Russia and expanded rapidly. The number of factories increased sharply, most of which were owned by foreigners (mainly British and French). As a result, the size of the working class grew and the proletariat emerged. Factories were generally established on the outskirts of cities, where workers lived in overcrowded and unhealthy conditions without basic rights. However, these conditions also helped them to become organized. In 1861, Tsar Alexander II issued the Emancipation Edict and freed the serfs. But due to various defects in the overall system, the lives of the freed serfs, that is, the peasants, became extremely difficult. The proximity between workers and peasants increased because factories were set up near rural settlements on the fringes of cities.
After the failure of the Populist movement in the 1870s and 1880s, Russian revolutionary organizations fell into crisis. Tsarist spies infiltrated revolutionary groups and destroyed them from within. Revolutionaries gradually realized that opposition to Tsarism required mass support. Initially, they turned towards the peasants, but this effort failed because rapid industrialization provided peasants, who were unable to earn a livelihood in agriculture, with opportunities to work as industrial laborers. In this situation, Marxist left-wing parties emerged as an alternative to the Populists. They believed that not peasants but workers would be the main instrument of class struggle. Contemporary Russian Marxist theoreticians and their associates believed that the Industrial Revolution would first lead to a bourgeois capitalist revolution, followed later by a spontaneous proletarian revolution. During this period, the League of Struggle was formed as a Marxist workers’ organization, which later gave birth to the Social Democratic Party (SDP). At the same time, the Social Revolutionary Party began to organize the peasantry more actively.
Russia experienced a severe famine between 1891 and 1892. In 1904–05, Russia was decisively defeated by Japan. Liberals also began to demand administrative reforms. Students and workers launched movements, and the government responded with brutal repression. The climax of this repression was the “Bloody Sunday” of 9 January 1905. In protest, organized strikes spread across different regions of Russia. Following this revolutionary upsurge, the famous mutiny of the sailors on the battleship Potemkin took place. Although the mutiny failed and the rebels surrendered, it had great symbolic importance.
In St. Petersburg, a workers’ Soviet was formed with the participation of the Social Democratic Party and the Social Revolutionary Party. However, due to royal repression, it could not function for more than two months. As a result of Tsarist persecution, many revolutionary leaders fled to Finland and continued theoretical discussions from abroad. Due to strict surveillance, leaders were unable to maintain contact with revolutionaries inside the country.
Lenin could not accept Plekhanov’s policy of applying orthodox Marxist theory mechanically to the Russian situation. According to Lenin, although industrialization had led to the emergence of a proletarian class in Russia, a well-organized bourgeois class had not developed. Therefore, waiting for a bourgeois revolution first and a workers’ revolution later was meaningless. The proletariat had to be transformed into a revolutionary force under the leadership of a highly ideological and thoroughly militant organization. Under the influence of Lenin’s ideas, the Social Democratic Party split into two factions—the Bolsheviks (majority) and the Mensheviks (minority). The Bolsheviks were led by Lenin and Plekhanov, while the Mensheviks were led by Martov. Lenin wanted a party led by a small group of dedicated and active revolutionaries. The Mensheviks, on the other hand, granted party membership to all who accepted party leadership. Lenin also argued that the revolutionary zeal of the peasants would weaken once they obtained land, and would gradually disappear. Forcing peasants into a revolution against their will, he believed, was neither desirable nor sustainable.
With the outbreak of the First World War, conditions turned favorable for revolution. Food shortages appeared, prices rose sharply, and Russia’s military situation deteriorated severely. The Tsar himself went to the front, leaving the administration in the hands of the Empress and her adviser, the mystic Rasputin. The Duma failed to manage this crisis. The people blamed participation in the war for their misery. In Petrograd, the Soviet of Soldiers’ and Workers’ Deputies was formed. Even after returning from the war front, the Tsar could not retain the throne and was forced to abdicate. Administrative responsibility passed to Kerensky, who was supported by the Mensheviks and liberals.
The Kerensky government failed to fulfill the peasants’ demand for land reforms and the liberals’ attempt to establish bourgeois democracy. The Soviets once again began mass agitation. In April, with German assistance, Lenin returned to Russia. On 3 April, in a speech in Petrograd, he sharply criticized the Kerensky government, its Menshevik supporters, and Bakunin’s anarchism. These ideas later came to be known as the April Theses. On 1 May, a massive workers’ procession demonstrated Lenin’s widespread popular support. Alarmed, the Kerensky government began repressing the Bolsheviks. Leon Trotsky was imprisoned. Lenin once again went into hiding in Finland, from where he published his famous pamphlet State and Revolution, in which he proclaimed the doctrine of the “dictatorship of the proletariat.”
In September, Lenin returned to Petrograd. Without delay, with the help of his loyal associate Leon Trotsky, he prepared the plan for revolution. On 24 and 25 October (November according to the Russian calendar), Kerensky’s palace was surrounded. This time, the Petrograd soldiers refused to support Kerensky. Making a final attempt, Kerensky fled Russia. On 25 October, Lenin declared that power had passed into the hands of the Bolsheviks. Leaders of the Social Revolutionary Party were arrested, and members of the liberal parties were branded as enemies of the people. Russia was declared a republic. Thus, for the first time in history, the ideals of Marx, under Lenin’s leadership, found practical realization through the Russian Revolution.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন