মগধের উত্থান খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ট শতকে ভারতবর্ষে বিশেষ করে উত্তর ভারতে ১৬ টি বৃহৎ জনপদের উত্থান ঘটে এগুলিকে মহাজনপদ বলা হয়। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল কাশী , কোশল, বৎস ও অবন্তী। পূর্ব ভারতে বিহারের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত মগধ তখনও একটি গৌন জনপদ হিসাবে পরিচিত ছিল। মহাজনপদ গুলি পারস্পরিক দ্বন্দ্বে লিপ্ত ছিল এবং মগধ এই দ্বন্দ্বে অন্যান্যদের পরাজিত করে এক বিরাট সাম্রাজ্য স্থাপন করতে সক্ষম হয়। সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হিসাবে মগধের উত্থানের পিছনে ভোগলিক অনুকুল পরিবেশের পাশাপাশি হরযঙ্ক, শৈশুনাগ এবং নন্দ বংশের রাজাদের যোগ্য নেতৃত্ব উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল। নদী ও পাহাড় দিয়ে ঘেরা মগধ ছিল প্রাকৃতিক ভাবে নিরাপদ একটি জায়গা। এর রাজধানী রাজগৃহ ছিল পাঁচটি পাহাড় এবং একটি প্রস্তর প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। গঙ্গা, শোন ও গণ্ডক নদী বিধৌত উর্বর পলিমাটি এই এলাকায় কৃষিজ উদবৃত্ত সৃষ্টি করেছিল। আবার এই নদীগুলির অবস্থান যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজ করে তুলেছিল। এই এলাকায় খনিজ সম্পদের প্রাচুর্য ছিল। লোহা ও তামা এখানে প্রচুর পাওয়া যেত। রামশরন শর্মা ও রোমিলা থাপার মনে করেন, খৃঃ পূঃ সপ্তম শতক নাগাদ এই এলাকার লোহার ...