সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মগধের উত্থান | Rise of Magadha

 মগধের উত্থান 

খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ট শতকে ভারতবর্ষে বিশেষ করে উত্তর ভারতে ১৬ টি বৃহৎ জনপদের উত্থান ঘটে এগুলিকে মহাজনপদ বলা হয়। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল কাশী , কোশল, বৎস ও অবন্তী। পূর্ব ভারতে বিহারের  দক্ষিণ দিকে অবস্থিত মগধ তখনও একটি গৌন জনপদ হিসাবে পরিচিত ছিল। মহাজনপদ গুলি পারস্পরিক দ্বন্দ্বে লিপ্ত ছিল এবং মগধ এই দ্বন্দ্বে অন্যান্যদের পরাজিত করে এক বিরাট সাম্রাজ্য স্থাপন করতে সক্ষম হয়। সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হিসাবে মগধের উত্থানের পিছনে ভোগলিক অনুকুল পরিবেশের পাশাপাশি হরযঙ্ক, শৈশুনাগ এবং নন্দ বংশের রাজাদের যোগ্য নেতৃত্ব উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল।

নদী ও পাহাড় দিয়ে ঘেরা মগধ ছিল প্রাকৃতিক ভাবে নিরাপদ একটি জায়গা। এর রাজধানী রাজগৃহ ছিল পাঁচটি পাহাড় এবং একটি প্রস্তর প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। গঙ্গা, শোন ও গণ্ডক নদী বিধৌত উর্বর পলিমাটি এই এলাকায় কৃষিজ উদবৃত্ত সৃষ্টি করেছিল। আবার এই নদীগুলির অবস্থান যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজ করে তুলেছিল। এই এলাকায় খনিজ সম্পদের প্রাচুর্য ছিল। লোহা ও তামা এখানে প্রচুর পাওয়া যেত। রামশরন শর্মা ও রোমিলা থাপার মনে করেন, খৃঃ পূঃ সপ্তম শতক নাগাদ এই এলাকার লোহার খনি গুলি থেকে লোহা উত্তোলন শুরু হয়েছিল। গভীর বনাঞ্চল পরিষ্কার করতে, কিংবা কৃষির বিকাশের ক্ষেত্রে কিংবা যুদ্ধাস্ত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে লোহার উপযোগীতা ছিল অপরিসীম। তিনটি নদীপথ মগধের হাতে থাকায় বাণিজ্য পরিবহনের কোনো অসুবিধা হত না। তাছাড়া মগধের হাতে ছিল যথেষ্ট রণহস্তী, যুদ্ধে যার গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। সমসাময়িক ব্রাহ্মন্যবাদী কড়াকড়ি মগধে ছিল না। তাই মগধের সিংহাসন কেবল ক্ষত্রিয়দের জন্য পড়ে থাকত না। যোগ্য ব্যক্তি সে যে বংশেরই হোক না কেন সিংহাসন দখল করতেন। এদের যোগ্য তত্ত্বাবধান ছাড়া কখনই মগধের উত্থান সম্ভব হত না। 

ঋক বেদে মগধের উল্লেখ নেই। পরবর্তী বৈদিক সাহিত্যে মগধের উল্লেখ আছে কিন্তু সেখানে মগধকে হেয় করা হয়েছে। বৈদিক সংস্কৃতিক পরিমন্ডলের বাইরে অবস্থিত হওয়ার জন্যই সম্ভবত এই ধরনের মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে। জাতকের গল্প থেকে জানা যায় মগধ একসময় অঙ্গের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু মগধের সিংহাসনে বিম্বিসারের আরোহণের পর থেকে অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন ঘটতে থাকে। বিম্বিসার গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক  ছিলেন। তিনি গৌতম বুদ্ধের ভক্তও ছিলেন। রাজনীতি ও কূটনীতির যৌথ প্রয়াস ঘটিয়ে তিনি মগদের শক্তি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি কোশল, মদ্র ও বৃজির এর সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। বৃজির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কের দরুন মগধের উত্তর সীমান্ত সুরক্ষিত হয়েছিল। এর উপর তিনি যৌতুক হিসেবে কাশি গ্রাম লাভ করেছিলেন। এভাবে প্রথম মগধের সীমান্ত বিস্তৃত হল। এরপর তিনি পূর্ব দিকের প্রতিবেশী রাজ্য অঙ্গের বিরুদ্ধে সফল অভিযান করেন এবং অঙ্গ মগধের এলাকাভুক্ত হয়। অঙ্গ জয়ের মধ্য দিয়ে মগধ সাম্রাজ্যবাদের সূচনা হয়।

বিম্বিসারের পরবর্তী শাসক ছিলেন অজাত শত্রু। বৌদ্ধশাস্ত্র মতে অজাত শত্রু তার পিতা বিম্বিসারকে হত্যা করে সিংহাসন দখল করেছিলেন। বিম্বিসারের মৃত্যুশোকে তার স্ত্রী কোশলাদেবী মারা যান। কোশল-রাজ প্রসেনজিৎ এর প্রতিক্রিয়ায় কাশি গ্রাম ফিরিয়ে নেন, যেটি যৌতুক হিসাবে বিম্বিসারকে দেওয়া হয়েছিল। ফলে অজাতশত্রু ও প্রসেনজিতের মধ্যে এক দীর্ঘ লড়াই এর সূত্রপাত হয়। শেষ পর্যন্ত আরেকটি বৈবাহিক মৈত্রীর মাধ্যমে শান্তি স্থাপিত হয়। কাশি গ্রাম মগধের হাতেই থেকে যায়। কিছুদিন পর প্রসেনজিতের পুত্র বিদ্রোহী হয়ে ওঠে এবং প্রসেনজিৎ মগধের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। যদিও যাত্রাপথে তাঁর মৃত্যু হয়। জানা যায় যে, যোগ্য উত্তরাধিকারের অভাবে কোশল ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অজাত শত্রু কোশল রাজ্য দখল করে নেন।

অজাতশত্রুর আগ্রাসী নীতির অন্যতম দিক ছিল বৃজির সঙ্গে সংঘাত। মহাযান মতে বলা হয়েছে বৃজিকে সম্পূর্ণ উৎখাত করতে অজাত শত্রু প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। কেন পিতার এই মিত্র রাজ্যের প্রতি এত শত্রুতা তার কারণ নির্ণয় করা কঠিন। জৈন সাক্ষ্যে বলা হয়েছে, বিম্বিসার তার লিচ্ছবি পত্নী চেল্লনার দুই সন্তানকে একটি বিখ্যাত হাতি ও কন্ঠহার উপহার দিয়ে যান। অজাতশত্রু এগুলির ওপর অধিকার দাবি করলে বৃজির সঙ্গে সংঘাত বাঁধে। অনেক পরবর্তীকালে রচিত বুদ্ধঘোষের সুমঙ্গলবিলাসিনী গ্রন্থে অনেকটা বিশ্বাসযোগ্য তথ্য দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যে, গঙ্গার উপর কোনো একটি বন্দরের কাছে দুর্মূল্য রত্ন ও সুগন্ধি দ্রব্যের একটি খনি ছিল, যার ওপর মগধ ও ব্রিজির যুগ্ম অধিকার ছিল। এর উপর কর্তৃত্বের প্রশ্নে বৃজিদের সাথে অজাতশত্রুর সঙ্গে বৃজির বিরোধ ঘটে।

যে কারণে যুদ্ধ বাঁধুক না কেন বৃজিকে বসে আনতে দীর্ঘ ১৬ বছর লেগে গিয়েছিল। স্বয়ং বুদ্ধও এই যুদ্ধের ব্যাপারে মন্তব্য করেছিলেন। এর থেকেই বোঝা যায় যুদ্ধটি কতটা তাৎপর্যপূর্ণ। মহাপরিনির্বাণ সূত্রে বলা হয়েছে, বুদ্ধ বলেছিলেন লিচ্ছবি সহ বৃজিরা যদি তাদের ঐক্য অটুট রাখে এবং চিরাচরিত রীতিগুলি পালন করে তাহলে মগধ তাদের পর্যদুস্ত করতে পারবেনা। এর থেকে বোঝা যায় বুদ্ধের সহানুভূতি ও নৈতিক সমর্থন অরাজতান্ত্রিক বৃজির দিকেই ছিল।

জৈন গ্রন্থে বলা হয়েছে অজাত শত্রুর হাতে নয়টি লিচ্ছবি, নয়টি মল্ল এবং কাশি কৌশলের আঠারোটি অর্থাৎ মোট ৩৬ টি গণ রাজ্য পর্যদুস্থ হয়েছিল। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে গণরাজ্যগুলির সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলার এ এক বিশিষ্ট নজির। যাই হোক, গণরাজ্যগুলি মগধের আগ্রাসী নীতির কাছে পরাজয় শিকার করতে বাধ্য হয় এবং এর পেছনে বুদ্ধির বাণী সঠিক প্রমাণিত হয়। অজাত শত্রু কূটনীতি ও ভেদনীতির যৌথ প্রয়োগের মাধ্যমে বৃজি ও লিচ্ছবিদের ঐক্যে ভাঙ্গন ধরান। এই কাজে তাঁর প্রধান সহায়ক ছিলেন দুই নিপুণ প্রশাসক সুনিধ ও বসসাকর। জৈন মতে, মহাশিলাকণ্ঠগ ও রথমুসল নামে দুই অভিনব অস্ত্রের প্রয়োগ করে অজাত শত্রু শেষ পর্যন্ত সামরিক বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন।

বৃজির পরাজয় প্রসঙ্গে কোশাম্বির মতামত প্রনিধানযোগ্য। তাঁর মতে, সুশৃংখল বহুসংখ্যক সৈনিকের অস্তিত্বই ছিল দীর্ঘদিন লড়াই টিকিয়ে রাখার প্রাথমিক শর্ত। একটি বিশাল সেনাবাহিনী পোষন করতে ও সক্রিয় রাখতে গেলে যে বিপুল পরিমাণ কৃষিজ উদ্বৃত্তের দরকার, তা রাজস্ব ব্যবস্থার মাধ্যমে আহরণ করতে গেলে জটিল প্রশাসনিক ব্যবস্থা চাই। এই ব্যবস্থা গণরাজ্যগুলির চেয়ে রাজতান্ত্রিক কাঠামোতে পাওয়া সুলভ ছিল। 

এদিকে বৎস ও অবন্তীর মধ্যে যে শক্তি পরীক্ষা চলছিল তার পাল্লা শেষ পর্যন্ত ঝুঁকে পড়ল অবন্তীর দিকে। গাঙ্গেয় উপত্যকার পূর্বাংশে মগধের ক্ষমতা অপ্রতিহত হয়ে উঠল। মধ্যপ্রদেশের পশ্চিম অংশে অবন্তিই তখন মগধের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী। অজাত শত্রু অবন্তির বিরুদ্ধে রাজধানীকে সুরক্ষিত করেছিলেন কিন্তু অবন্তি-মগধ সংঘাত রাজা অজাত শত্রুর আমলে ঘটেনি। 

অজাত শত্রুর উত্তরসূরিদের আমলে সম্ভবত মগধের শক্তি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। অজাত শত্রুর পুত্র উদাইন তাঁর রাজধানী রাজগীর থেকে পাটলিপুত্র স্থানান্তরিত করেন। ফলে পাটলিপুত্রের গুরুত্ব বৃদ্ধি পায় এবং যা পরবর্তী হাজার বছর ধরে অব্যাহত ছিল।

উদাইনের উত্তরাধিকারীদের নাম পুরাণে ও  সিংহলি বিবরণে আছে। কিন্তু এদের শাসনকাল সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য খুবই কম। হর্যঙ্কদের  পর মগধের সিংহাসনে বসেন শিশুনাগ। তাঁর নামে শৈশুনাগ বংশ। শিশুনাগের আমলে শেষ পর্যন্ত অবন্তীর পরাজয় ঘটলো। ১৬ টি মহাজনপদের মধ্যে মগধই প্রধান শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল। পরবর্তী শৈশুনাগ রাজাদের মধ্যে ছিলেন কালাশোক, কাকবর্ণ প্রমূখ। কিন্তু এদের শাসন সম্পর্কে বিশদ কিছু জানা যায় না।

শিশুনাগদের ক্ষমতাচ্যুত করে নন্দরা রাজা হন। প্রথম নন্দ রাজা মহাপদ্মনন্দ। সম্ভবত তার নিম্নবংশে জন্ম। পুরান মতে তিনি সকল ক্ষত্রিয় শাসকদের উচ্ছেদ করে একরাট হয়েছিলেন। তাঁর হাতে পরাজয় ঘটে পঞ্চাল, কাশি, হৈহয়, কলিঙ্গ, অস্মক, কুরু, মৈথিল, শূরসেন প্রভৃতি শক্তির। এই তালিকার সত্যতা যাচাই করার উপায় নেই। এগুলির অনেকগুলি মহাপদ্মের অনেক আগেই মগধের আয়ত্তাধীন ছিল। সম্ভবত এরা বিদ্রোহ করেছিল। মহাপদ্ম সেগুলি দমন করেছিলেন। অবশ্য নন্দ শাসন যে কলিঙ্গ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছিল তার উল্লেখ খারবেলের হস্তিগুম্ফা  লিপিতে আছে। নন্দদের নবম তথা শেষ শাসক ধননন্দ (গ্রীক মতে আগ্রাম্মেস)। গ্রিক বিবরণে তার সাম্রাজ্যের শক্তি ও বিশাল সেনাবাহিনীর কথা আছে।

এইভাবে অনুকুল প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং যোগ্য নেতৃত্বের তত্ত্বাবধানে প্রথম সর্বভারতীয় শক্তি হিসাবে মগধের উত্থান সম্ভব হয়। 

Rise of Magadha

During the first millennium BCE in the Indian subcontinent, particularly in North India, several Janapadas (territories) emerged. These Janapadas engaged in political competition, often absorbing one another to evolve into Mahajanapadas (major territories). In the 6th century BCE, there was a rise of 16 Mahajanapadas in North India. Among these, Magadha, located in present-day South Bihar, was initially a minor Mahajanapada. However, Magadha eventually became the center, establishing an empire across the Indian subcontinent.

Magadha was naturally protected by rivers and mountains, making it a secure area. Its capital, Rajagriha, was enclosed by five hills. The fertile land created by the Ganges, Shon, and Gandak rivers facilitated agricultural prosperity in the region. Moreover, the strategic location of these rivers eased transportation. The region was also rich in mineral resources, particularly iron and copper, which were utilized for various purposes such as clearing forests, agricultural development, or crafting weapons. The presence of three river routes ensured smooth trade transportation for Magadha, while its military prowess was significant for warfare. Contemporary Brahmanical ideologies did not prevail in Magadha. Therefore, the throne of Magadha was not limited to the Kshatriyas alone. Competent individuals, regardless of their lineage, would ascend to the throne. Without their capable governance, the rise of Magadha would never have been possible

Rig Vedic texts did not mention Magadha. Later Vedic literature does mention Magadha but often in a derogatory manner, possibly due to its location outside the cultural sphere of the Vedic civilization. Historical accounts suggest that Magadha was initially part of Anga. However, Magadha's rise to prominence began after the ascension of Bimbisara, a contemporary of Gautama Buddha. Bimbisara was a follower of Buddha and effectively expanded Magadha's power through political and diplomatic means. He established marital alliances with Kosala, Malla, and Vajji, securing the northern borders of Magadha. Additionally, he gained control over the Anga region through successful campaigns, marking the beginning of the Magadhan Empire.

Bimbisara was succeeded by his son Ajatashatru, who is said to have usurped the throne by assassinating his father, Bimbisara. Ajatashatru's wife, Kosala Devi, also died in the aftermath of Bimbisara's death. In retaliation, Kosala king Prasenajit reclaimed the Kashi village, which had been given to Bimbisara as a marital alliance. This led to a prolonged conflict between Prasenajit and Ajatashatru. Eventually, peace was restored through another marital alliance, and Kashi remained under Magadha's control. However, Prasenajit's son, a rebel, rose against him, leading Prasenajit to flee from Magadha's intentions. Although he died during his escape. It is known that due to the lack of a worthy heir, Kosala gradually weakened, allowing Ajatashatru to eventually annex the Kosala kingdom.

One of Ajatashatru's aggressive policies was to antagonize Vajji. According to Mahayana tradition, Ajatashatru vowed to completely uproot Vajji. It is difficult to determine the exact reason for his animosity towards this friendly kingdom. Jain sources suggest that Bimbisara, Ajatashatru's father, had given an elephant and a jeweled necklace to two sons of Chellana, a Licchavi princess, as a gift. When Ajatashatru claimed ownership of these gifts, it led to a conflict. The Mahaparinirvana Sutra mentions that Buddha himself commented on this war, indicating its significance. It is understood that the war lasted for a long 16 years due to various reasons. Buddha's compassion and moral support leaned towards the non-monarchical Vajji.

According to Jain texts, Ajatashatru's aggression extended to nine Licchavi, nine Mallas, and eighteen Kasis and Kosalas, totaling 36 republican states. The collective resistance of these republics against imperial powers presents a distinct perspective. Despite this, the republics were forced to succumb to Ajatashatru's aggressive policy, and Buddha's advice proved to be correct. Ajatashatru's strategy of breaking the unity between Vajji and Licchavi through a combination of political intrigue and military might was successful. Two skilled administrators, Sunidha and Vassakara, aided him in this endeavor. According to Jain tradition, they used innovative weapons named Mahashilakantaka and Rathamusala, leading to Ajatashatru's military victory until the end.

Commenting on Briji's defeat, Kosambi said that maintaining the presence of a large number of well-trained soldiers was the primary condition for sustaining a prolonged struggle. Establishing and keeping up a vast military force required a significant amount of agricultural surplus, which in turn necessitated complex administrative arrangements to be acquired through revenue management. This administrative setup was easier to achieve in monarchies compared to republics.

Meanwhile, the power struggle between Avanti and Magadha had tilted heavily in favor of Avanti. Magadha's influence remained unchallenged in the eastern part of the Gangetic plains. In the western part of Madhya Pradesh, Avanti emerged as the sole adversary of Magadha. Although Magadha had secured the capital against Avanti, the conflict between Avanti and Magadha didn't materialize under the reign of King Ajatashatru.

Magadha's power remained unchallenged under the rule of the successors of Ajatashatru. The son of the Ajatashatru, Udayin, relocated the capital from Rajgir to Pataliputra. Consequently, Pataliputra gained significance, which remained uninterrupted for the next thousand years.

The successors of Udayin are mentioned in the Puranas and Lankan chronicles. However, reliable information about their reigns is scarce. After the Haranyaka dynasty, Shishunaga ascended the throne in Magadha. He belonged to the Shishunaga dynasty. Under his rule, Avanti faced defeat until the eventual downfall of Avanti. Among the 16 Mahajanapadas, Magadha emerged as the dominant power. Later rulers among the Shishunagas included Kalashoka and Kakavarna, but detailed information about their reigns is unavailable.

The Nanda dynasty succeeded the Shishunagas with Mahapadma Nanda as the first Nanda king. According to tradition, he was from a lower caste family and was able to destroy all the Kshatriya rulers and unify them under one rule. He defeated states like Panchala, Kashi, Haihaya, Kalinga, Asmaka, Kuru, Mithila, and Shurasena. The authenticity of this list cannot be verified. Many of these territories were under the control of Magadha before Mahapadma. It is possible that they rebelled and Mahapadma subdued them. Mahapadma suppressed these revolts. However, the Nanda rule's extent, including Kalinga, is mentioned in the Hathigumpha inscription.

In this way, under favorable natural conditions and competent leadership, Magadha's rise as the first pan-Indian power became possible

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আরবদের সিন্ধু অভিযান | কারণ ও তাৎপর্য

আরবদের সিন্ধু অভিযান | কারণ ও তাৎপর্য Please visit our Homepage and subscribe us. Suggested Topics || Ghajnavid Invasion || গজনী আক্রমণ || || মামুদের সোমনাথ মন্দির লুণ্ঠন || Somnath Temple Plunder || || তরাইনের যুদ্ধ ও তার গুরুত্ত্ব || মহম্মদ ঘুরির ভারত আক্রমন ও তার চরিত্র || সপ্তম শতকের প্রথমার্ধে আরবদেশে ইসলামের আবির্ভাব ঘটে। ইসলাম আরবদের নতুন করে জীবনীশক্তির সঞ্চার করে । ইসলাম ক্রমশ: একটি ধর্ম থেকে রাজনৈতিক শক্তি রূপে আত্মপ্রকাশ করে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তারা আরবীয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। ভারতবর্ষের সঙ্গে আরবদের যোগাযোগ দীর্ঘদিনের। বাণিজ্যিক সূত্রে তারা নিয়মিত ভারতের উপকূল গুলিতে, বিশেষ করে মালাবার উপকূলে আসত। ভারতীয় ও চীনা পণ্য 'ধাও' নামক বিশেষ জাহাজে করে নিয়ে তারা ইউরোপের বাজারে বিক্রি করত। 712 খ্রিস্টাব্দে ইরাকের গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এর সেনাপতি ও জামাতা মোহাম্মদ বিন কাসেম সিন্ধু দেশে একটি সফল অভিযান করেন এবং সিন্ধুদেশ আরবীয় মুসলমানদের অধীনে চলে যায়। অভিযানের(প্রত্যক্ষ) কারণ ভারতবর্ষের প্রতি আরবদের দীর্ঘদিনের নজর ছিল। এর আ...

মহাফেজখানার শ্রেণীবিভাগ | Category of Archives

মহাফেজখানার শ্রেণীবিভাগ মহাফেজখানা বা লেখ্যাগারগুলি সাধারণ জনতার জন্য নয় মূলত গবেষক, ঐতিহাসিক, আইনবিদ, চিত্র পরিচালক প্রভৃতি পেশার লোকজন তাদের গবেষণার কাজে লেখ্যাগারে নথি পত্র দেখতে পারেন।  লেখ্যাগার পরিচালনা ও সংরক্ষিত নথির ভিত্তিতে লেখ্যাগগুলিকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।   1. সরকারি লেখ্যাগার:- কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে যে লেখ্যাগারগুলি গড়ে ওঠে। সেগুলিকে সরকারি লেখ্যাগার বলা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এরকম সরকার পরিচালিত এক বা একাধিক লেখ্যাগার থাকে। যেমন, আমেরিকার Natonal Archive And records Administration (NARA)। ভারতবর্ষে র কেন্দ্রীয় লেখ্যাগার National Archive of India নামে পরিচিত। বিভিন্ন ঐতিহাসিক, প্রশাসনিক ও আইনগত নথি, মানচিত্র, নক্সা,  পাণ্ডুলিপি প্রভৃতি সংরক্ষিত থাকে। 2. বানিজ্যিক লেখ্যাগার:-  এটি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের লেখ্যাগার বিভিন্ন বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান   মূলত তাদের সংস্থার ঐতিহাসিক এবং বানিজ্যিক নথি সংরক্ষিত রাখে। যেমন, ভারতের প্রথম বানিজ্যিক লেখ্যাগার হলো পুনার Tata Centrel Archive। 3. অলাভজনক লেখ্যাগ...

ষোড়শ শতকীয় ইউরোপে মূল্যবিপ্লব | Price Revolution

 ষোড়শ শতকের ইউরোপে মূল্য বিপ্লব   16 শতাব্দীতে ইউরোপীয় অর্থনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো মূল্য বিপ্লব। নিত্যব্যবহার্য পণ্যের মূল্য প্রায় 150 বছর সুস্থির থাকার পর ঊর্ধ্বমুখী হতে আরম্ভ করে, এবং 16 শতাব্দীর শেষে খাদ্যপণ্যের মূল্যের প্রায় সাড়ে পাঁচ গুণ বেড়ে যায়। পশ্চিম ইউরোপের অর্থনীতিতে এমন অভাবনীয় এবং সুদুরপ্রসারী ফলাফলসম্পন্ন ঘটনা মূল্য বিপ্লব নামে পরিচিত। মূল্য বিপ্লবের কতগুলি সাধারণ বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। যথা--    (১) কৃষিজ পণ্যের তুলনায় শিল্পজাত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ছিল কম, এবং খাদ্যশস্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। (২) ভূমি রাজস্ব সহ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক, তোলা ইত্যাদির হার বৃদ্ধি এবং ফটকাবাজির আবির্ভাব। (৩) মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় মজুরির হার খুবই কম ছিল বলে প্রকৃত আয় হ্রাস পেয়েছিল। (৪) ভূমি বিক্রয়যোগ্য পণ্যে পরিণত হওয়া। (৫) গ্রামীণ বুর্জোয়াজি শ্রেণীর আবির্ভাব। ষোড়শ শতকের আগেও প্রাকৃতিক কারণে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল, তবে তা ছিল 2, 3 শতাংশের মতো, যা অস্বাভাবিক মনে হতো না। কিন্তু ষোল শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে যে নিরবিচ্ছিন্ন মূল্যবৃদ্ধি হ...