অষ্টাদশ শতকের শেষভাগের ফরাসি বিপ্লব ছিল আধুনিক সভ্যতার বৃহত্তম পথের বাক। এই বিপ্লবে জন্ম নিয়েছিল ইউরোপে জাতীয়তাবাদী এবং সর্বভৌম রাষ্ট্র গঠনের ধারা, জাতিগুলির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার, ব্যক্তি স্বাধীনতার আদর্শ আর স্বৈরাচারী প্রশাসনকে সংবিধানের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি।
অধ্যাপক লেফেভর বলেছেন ফরাসি বিপ্লবের প্রকৃত কারণ ফ্রান্সের এবং পশ্চিম ইউরোপের ইতিহাসের অনেক গভীরে নিহিত আছে। প্রাক বিপ্লব ফ্রান্সের সামাজিক স্তরবিন্যাস অসাম্য এবং সামন্ততান্ত্রিক কাঠামো দীর্ঘদিন ধরে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে অসন্তোষ পুঞ্জিভূত করেছিল। যার অন্যতম ফলশ্রুতি ছিল ১৭৮৯ এর বিপ্লব।
ঐতিহাসিকরা মোটামুটি ভাবে একমত যে পুরাতন তন্ত্রের ফ্রান্সে তিনটি এস্টেট বা গোষ্ঠী ছিল যাজক, সম্ভ্রান্ত এবং সাধারণ মানুষ।
প্রথম এস্টেট বা যাজকগণ ছিলেন বিশেষ সম্মানিত এবং সুবিধাভোগী শ্রেণী, যাজকগণ ছিলেন চার্চের প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত। তারা প্রশাসনকে কর দিতেন না উপরন্ত জনগণের কাছ থেকে ধর্ম কর আদায় করত এবং রাজাকে দিতেন স্বেচ্ছা অনুদান। এদের জন্য পৃথক বিচার ব্যবস্থা ছিল। শিক্ষা ব্যবস্থা, দারিদ্রদের সাহায্য ব্যবস্থা তাদের হাতে ছিল। এছাড়াও জন্ম মৃত্যুর হিসাব রক্ষা, জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি ইত্যাদির দায়িত্ব পালন করতেন। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য ক্যাথলিক চার্চই ছিল একমাত্র শিক্ষিত ধর্ম প্রতিষ্ঠান, অন্য কোন খ্রিস্টান গোষ্ঠী নয়। চার্চের অধীনে ছিল প্রচুর ভূসম্পত্তি (মোট জমির প্রায় ⅒ অংশ) ছিল । ফলে অনেক বিশব এবং পদস্থ কর্মচারীরা গ্রামীণ অঞ্চলে সামন্ত প্রভুরূপে বসবাস করতেন এবং সামন্ত কর আদায় করতেন। চার্চ রাজার অভিষেককে স্বীকৃতি দিত, তাদের ক্ষমতার একটি দিক।
যাজকদের নিজেদের মধ্যে বিরাট পার্থক্য ছিল যেমন উচ্চ যাজক, বিশপ, এ্যবট আর ক্যানশ পদাধীকারীরা ছিলেন সামন্ত শ্রেণীর অংশ। এরা বিলাস বাসনের মধ্যে থাকতেন ধর্মীয় কাজকর্ম নিয়ে মাথা ঘামাতেন না। আর দরিদ্র গ্রামীণ যাজক এবং চার্চের অধিকাংশ কর্মচারী ছিলেন "সাধারণ গোষ্ঠী" বা তৃতীয় এস্টেট ধর্মী। এরাই ধর্মীয় কার্যকর্ম পরিচালনা করতেন। উচ্চ শ্রেণীর যাজকরা নিম্ন শ্রেণীর যাজকদের অবজ্ঞার চোখে দেখতো। অন্যদিকে উচ্চ যাজকদের বিলাসবহুল জীবন দেখে নিম্ন শ্রেণীর যাজকরা ঈর্ষা কাতর হতেন। নিম্ন যাজক রাই বিদ্রোহী হয়ে তৃতীয় শ্রেণীর সাথে হাত মিলিয়ে স্টেটস জেনারেল জাতীয় সভায় পরিণত করেছিল।
উচ্চযাজক ও অভিজাতরা ছিল ফ্রান্সের সুবিধাভোগী। এরা ফ্রান্সের জনসংখ্যার মাত্র ২%। সম্ভ্রান্তরা রাজক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বি হতে পারে এই ভেবে বুবরো রাজাগণ সম্ভ্রান্তদের উপর প্রশাসনিক দায়-দায়িত্ব দিতেন না। তবে তারা সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা গুলি পরিপূর্ণভাবেই ভোগ করে চলত। যেমন অনেক কর যা সাধারন মানুষকে দিতে হতো, তা তাদের দিতে হতো না। সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সর্বোচ্চ পদগুলি তারা বংশানুক্রমিক ভাবে ভোগ করতো। মোট চাষযোগ্য জমির ষাট শতাংশ তাদের অধীনে ছিল। স্ব, স্ব জমিদারিতে বিচারের অধিকার, গ্রাম অঞ্চলে রক্ষণাবেক্ষণ, বিচার করা এইসব ব্যাপারে তাদের একক কর্তৃত্ব ছিল। এরা অনেক কর থেকে রেহাই পেলেও কৃষকদের উপর কর ধার্য করতেন। কৃষক শ্রমেরও ভাগীদার হতেন।
সম্ভ্রান্তদের মধ্যে দরবারী অভিজাত রা ভার্সাই প্রাসাদ নগরে বাস করত এরা ছিল রাজকীয় অনুগ্রহপুষ্ট এবং যথেষ্ট ধনী। এরা বিলাস বহুলতার মধ্যে দিন কাটাতো। অষ্টাদশ শতকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এদের আয় তেমন বাড়েনি, বিলাসিতা অক্ষুন্ন রাখতে তারা কখনো ঋণের পথে হাঁটতো, বেশি করে কর আদায়ের চেষ্টা করতো।
অন্যদিকে গ্রামীণ অভিজাতরা ক্রমশ শ্রীহীন হয়ে পড়েছিল এবং সম্পন্ন কৃষকদের পর্যায়ে নেমে এসেছিল। সম্ভ্রান্তদের ব্যবসা-বাণিজ্য বা অন্য কোন পেশায় যাওয়া ছিল সম্মানহানি কর। সাধারণে পরিণত হওয়ার নামান্তরে তারা গ্রামীণ অভিজাতরা তাদের স্বার্থ পূরণে সামন্ততন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার জন্য বেশি তৎপর দেখাতো। প্রসঙ্গত শহুরে অভিজাতরা এদের অবঞ্জার চোখে দেখতো। এই দুই শ্রেণীর পাশে পাশে ১৮ শতকের একটি নতুন অভিজাত সম্পূর্ণ গোষ্ঠী দেখা দিয়েছিল যারা পোষাকী অভিজাত নামে পরিচিত। এরা বুর্জোয়া শ্রেণী থেকে উঠে এসেছিল। বিগত দুই শতকে বুবরো রাজারা অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণ বুর্জোয়া বা মধ্যবিত্তদের বেশ কিছু উচ্চ পথ বিক্রি করেছিলেন। এই নতুন অভিজাত শ্রেণীর উত্তরোত্তর প্রভাব বৃদ্ধি। জন্ম কৌলীন্য অভিজাতদের ঈর্ষার কারণ হয়। পোষাকী অভিজাতরা সামাজিক মর্যাদা পেতনা বলে তারা ক্ষুদ্ধ ছিল।
প্রকৃতপক্ষে অভিজাত সম্প্রদায় অষ্টাদশ শতকে অর্থের জন্য যথেষ্ট ব্যস্ত হয়ে উঠেছিল। এরা রাজার অনুগ্রহ লাভ, ধনবান বুর্জোয়ার সঙ্গে বিবাহ সম্পর্ক স্থাপন কেউবা শিল্পে পুঁজিবিনিয়োগ করেছেন। গ্রামীণ অভিজাতরা অর্থের বিনিময়ে সাথে যুক্ত হন। নীল রক্তের অভিজাতরা সুবিধা ও অধিকার গুলি রক্ষা করতে তৎপর হয়েছিলেন। কারণ পোষাকী অভিজাত রাজতন্ত্র এবং বুদ্ধি বিভাসিত দর্শন এবং তৃতীয় এস্টেট এদের ক্ষমতা কে খর্ব করতে চাইছিল।
অভিজাতদের চাপে পড়েই রাজা ষোড়শ লুই এই জন্মগত অভিজাতদের প্রশাসনিক পদগুলিতে বহাল রাখার নীতি গ্রহণ করেন। পোশাকি অভিজাত সৃষ্টি বন্ধ করেন। ফলে দেখা যায় বিপ্লব পূর্ব যুগ অভিজাতদের পুনরুদ্ধারের যুগ। তারা রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছিল। সামন্তগন সব রকম সংস্কারের বিরোধিতা করেছিলেন এবং প্রশাসনের সর্বস্তরে নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে সচেষ্ট হয়েছিলেন।
প্রাক বিপ্লব ফ্রান্সে ২½ কোটি মানুষের মধ্যে ২.৪ কোটি তৃতীয় এস্টেটের অন্তর্ভুক্ত। এই অন্তর্গত ছিল চারটি শ্রেণী বুর্জোয়া, কৃষক, শ্রমিক ও সাফুল্যো।
তৃতীয় এস্টেট বুর্জোয়ারা ছিলেন অগ্রগণ্য। লেফেভর বলেছেন বুর্জোয়া শ্রেণী ছিল ফ্রান্সের সবচেয়ে সংযত এবং শিক্ষিত অংশ। বুর্জোয়া গোষ্ঠী ছিল বিভিন্ন উপজীবিকা আশ্রয় করা একটি মিশ্র চরিত্রের জনসমষ্টি। বুর্জোয়া শ্রেণীর অন্যতম ভাগ ছিল উচ্চ বুর্জোয়া বা বিত্তবান বুর্জোয়া, এরা সংখ্যায় অল্প। এদের মধ্য থেকেই সৃষ্টি হতো পোষাকি অভিজাত শ্রেণী। যতদিন বুবরো রাজতন্ত্র এদের ঋণের সুদ দিতে পেরেছিল ততদিন তারা রাজতন্ত্রকে সমর্থন করেছে, তারপরেই উঠেছে ঝড়।
মধ্য বুর্জোয়াদের মধ্যে ছিলেন আইনজীবী, চিকিৎসক শিক্ষক, সাংবাদিক, অভিনেতা ও বুদ্ধিজীবীরা। এছাড়াও মাঝারি দোকানদার, কর্মশালার মালিক স্বাধীন কারিগর এই শ্রেণীর অন্তর্গত। এই শ্রেণীকে বিত্তবান বুর্জোয়ারা অবজ্ঞা চোখে দেখতো। নিম্ন বুর্জোয়া শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ছিল ছোট কারিগর, দোকানদার প্রভৃতি। এদের উচ্চ বুর্জোয়াদের মত সম্পত্তি বা মধ্য বুর্জোয়াদের মত শিক্ষা ও বুদ্ধি ছিল না এরা উচ্চ বুর্জোয়া দের প্রতি বিরক্ত ছিলেন আবার শ্রমজীবীকেও তাচ্ছিল্য করত।
শিক্ষিত সংস্কৃতিবান বুর্জোয়াদের বিত্তবান বুর্জোয়াদের থেকে পৃথক অবস্থান বৈপ্লবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। উচ্চ -বু্র্জোয়ারা শহরের প্রাসাদে বাস করত অন্যদিকে মধ্য বুর্জোয়ারা একতলা, দোতলা বাড়ির তলে বাস করত। যে বাড়ির নিচের তলায় নিম্নস্তরের মানুষগুণ ঘেষাঘেষি ভাবে বাস করত। এই পাতি বুর্জোয়াদের সাথে সাধারণ মানুষের যোগাযোগের ফলে জনসাধারণের মধ্যে বিপ্লবী ভাবধারা দাঁড়িয়ে পড়া সম্ভব হয়েছিল।
প্রথমদিকে বুর্জোয়ারা অভিজাতদের সাথে এক হয়ে রাজতন্ত্রের বিরোধিতা করলেও পরে তারা শ্রেণীচেতনা সম্পর্কে সজাগ হয়। এবং কৃষকদের বিপ্লবে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা রাজতন্ত্র ও সামন্ততন্ত্রদের বিশেষ অধিকারের বিরোধিতা করে এবং পরিবর্তনশীল সমাজের দাবি করেন। যেখানে জন্মসূত্র ব্যতিরেকে সমস্ত মানুষ অংশ নেবে।
ফ্রান্সের জনসংখ্যার অধিকাংশ ছিল কৃষক এরা অভিজাত এবং উচ্চ বুর্জোয়াদের কাছে তাচ্ছিল্যের পাত্র ছিল। এদের কাজ ছিল উৎপাদন করা ও কর দেওয়া মাত্র। কৃষি ব্যবস্থায় তখনও সামন্ততান্ত্রিক কাঠামো ছিল। কৃষকদের ৫% ছিল ভূমি কর। কৃষকদের মধ্যে সম্পন্ন কৃষক অবশ্যই ছিল তবে সব ভুমিবান কৃষকেরা সম্পন্ন ছিলেন না। কারণ অনেকেরই খুব কম জমি ছিল।
কৃষকদের ৫০ শতাংশ ছিল বর্গাকার কৃষক যারা চার্চ বা সামন্ত প্রভুর জমিতে পরিশ্রমিক হিসেবে উৎপন্ন ফসলের ৫০ শতাংশ পাওয়ার আশায় চাষ করতো। জমিতে বিনিয়োগ করত তবে উৎপাদন ব্যাহত হলে এরা ঋণের জালে আটকে পড়তো। কৃষকদের ২৫ শতাংশ ছিল কৃষি মজুর কোন কারণে চাষের ক্ষতি হলে তারা শহরে গিয়ে জীবনধারণের চেষ্টা করত।
ফ্রান্সের কৃষি ব্যবস্থা ভালো ছিল না। সবসময় ভাল ফসল হতো না। কৃষি ছিল প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে জমিগুলির খন্ডিকরন চলেছিল বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সে অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, বন্যা, পঙ্গপালের আক্রমণ প্রভুতি কারনে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয়।
কৃষকদের সমস্যার আরও বড় কারণ ছিল অসম কর ব্যবস্থা। অভিজাত ও যাজকরা রাষ্ট্রকে কোন কর দিত না। যাবতীয় করের বোঝা কৃষকদের বহন করতে হতো। ভূমিকর, ধর্ম কর, সামন্ত কর জমিদারের মাছ ধরার অধিকার, জমিদারদের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য কর, সামন্ত প্রভুর কারখানায় গম পেষাই কর, কৃষকদের জীবনকে দুর্বিসহ করে তোলে। বিপ্লবের প্রাক্কালে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির যুগে সমান্তরা কৃষকদের উপর নতুন করে কর বসাতে থাকে। পতিত পশুচারণ ভূমি, চাষের আওতায় আনলে কৃষকদের মধ্যে বিক্ষোভ বাড়ে। বুবরো রাজারা এ সময় কৃষকের সমস্যাগুলির কোন সমাধান করতে পারিনি।
অষ্টাদশ শতকে ফ্রান্সে শ্রমিক বলতে প্রধানত কুঠির ও হস্তশিল্প নিযুক্ত শ্রমিকদের বোঝাত। তখন ফ্রান্সে যন্ত্র শিল্পের সূচনা হলেও তার গতি ছিল মন্থর। আর যন্ত্রশিল্পে নিযুক্ত শ্রমিকদের মধ্যে ঐক্যবোধ ও সংগঠন তখনও গড়ে ওঠেনি অর্থাৎ প্রকৃত শ্রমিক শ্রেণী গড়ে ওঠেনি।
শহরে দরিদ্র মানুষদের বলা হয়েছে সাফুল্যো। অষ্টাদশ শতকে ফ্রান্সে নগরায়নের প্রয়োজনে বিভিন্ন কাজের প্রয়োজন হয়েছিল নানা-কর্ম উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশেষত গ্রাম থেকে বহু লোক শহরে এসে দিনমজুর, ভিস্তী, মুটে, মালি প্রভৃতি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত। এরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করত। এদের কোন শিক্ষা ছিল না, কোন সামাজিক মর্যাদা ও ছিল না।
১৭৭৩ থেকে ১৭৮৯ এর মধ্যে ফ্রান্সে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য ৬০ শতাংশ বেড়েছিল কিন্তু এদের মজুরি বেড়েছিল মাত্র বাইশ শতাংশ। অর্থাৎ অবস্থা এত খারাপ ছিল যে এদের দৈনিক মজুরি ৭৫ % একদিনের বাজারে খরচ হয়ে যেত। স্বাভাবিকভাবে বিক্ষুদ্ধ এই সাফুল্যো শ্রেণী বিপ্লবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এরা খাদ্য দাঙ্গা করে প্রতিবাদ চালাতো। বাস্তিলের পতনে ভার্সাই এর ভূখা মিছিল এদের অগ্রনি ভূমিকা ছিল। এরা মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও কর্মসংস্থানের দাবি করেছিল।
সুতরাং প্রাক বিপ্লব ফ্রান্সে সমাজের সর্বস্তরে বিভাজন এবং নিম্ন শ্রেণীর বিরুদ্ধে উচ্চ শ্রেণীর বিক্ষোভ ক্রমশ ধুমায়িত হচ্ছিল। এবং এই ক্ষোভ ও শ্রেণীচেতনা বিপ্লবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন