Please visit our Homepage and Subscribe us.
মাটির পাত্র ছিল অন্যতম নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য। কুম্ভকারদের অস্তিত্বের প্রমাণ কেবল লেখমালায় নয়, রাজঘাট, অহিছত্র প্রভৃতি প্রত্নক্ষেত্র থেকে মৃৎপাত্র পাওয়া গেছে। আরেকটি অত্যাবশকীয় পন্য নুন উৎপাদনের সাক্ষ্য বহন করছে বাকটক লেখগুলি, যেখানে লবনকর ছাড়ের কথা বলা হয়েছে। সূত্রধর এর প্রয়োজনীয়তা সেযুগে অনস্বীকার্য। তেল উৎপাদনের কথা আছে স্কন্দগুপ্তের সময়ের ইন্দ্রপুর তাম্রশাসনে।প্রাচীন ভারতের অন্যতম শিল্প বস্ত্রশিল্প। অমরকোষে দামি ও মোটা দুধরনের কাপড় তৈরির কথা আছে। রেশম শিল্পীদের গোষ্ঠীর বর্ণনা আছে মান্দাসোর লিপিতে। কাথিয়াবাড়ে নীল উৎপাদকদের উপর নীলের গামলা প্রতি রাজস্ব আদায় করা হতো। 592 খ্রি: একটি লেখতে কাপড় রং করার কারিগর বা ছিম্পক এবং সুরা প্রস্তুতকারক বা কল্লার এর উল্লেখ রয়েছে। রাজদরবারে বা প্রশাসনিক দপ্তরে কায়স্থদের উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ; কারণ ভূমিদানের দলিলপত্র তাদের ছাড়া সম্ভব হত না। আলোচ্য পর্বে বৈদ্য বা চিকিৎসকের গুরুত্ব যে বাড়ছিল, তার প্রমান সুশ্রুতসংহিতা।
Thanks for reading.
অর্থনীতির অন্যতম অঙ্গ কারিগরি উৎপাদন। গুপ্তযুগে কৃষিকাজের পাশাপাশি কারিগরি উৎপাদন অব্যাহত ছিল। সমকালীন সাহিত্য, লেখমলা এবং প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমান থেকে এবিষয়ে জানা যায়।
দিল্লির লৌহস্তম্ভ |
গুপ্ত যুগে কারিগরি শিল্পের তালিকা পাওয়া যাবে অমরসিংহের অমরকোশে। আলোচ্য পর্বে ধাতুর ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছিল এবং এক্ষেত্রে লোহার কারিগর বা কামাররা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। লোহার ব্যবহার ও লৌহ শিল্পের উৎকর্ষতার সবচেয়ে বড় নজির হল দিল্লির কুতুবমিনার এর কাছে অবস্থিত বিখ্যাত লৌহস্তম্ভটি; চতুর্থ-পঞ্চম শতকে তৈরি লৌহস্তম্ভটিতে এখনো পর্যন্ত মরচের চিহ্নমাত্র নেই। বাকাটক লেখতে 'লোহানগর' নামে একটি জায়গার নাম আছে, যেটি কৃষ্ণমোহন শ্রীমালির মতে, কামারদের গ্রাম। তিনি 'কংসকারক' এবং 'সুবর্ণকারক' নামে দুটি গ্রামের নাম দেখিয়েছেন যেগুলি অবশ্যই কাসারি ও সোনার কারিগরদের গ্রাম।
মাটির পাত্র ছিল অন্যতম নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য। কুম্ভকারদের অস্তিত্বের প্রমাণ কেবল লেখমালায় নয়, রাজঘাট, অহিছত্র প্রভৃতি প্রত্নক্ষেত্র থেকে মৃৎপাত্র পাওয়া গেছে। আরেকটি অত্যাবশকীয় পন্য নুন উৎপাদনের সাক্ষ্য বহন করছে বাকটক লেখগুলি, যেখানে লবনকর ছাড়ের কথা বলা হয়েছে। সূত্রধর এর প্রয়োজনীয়তা সেযুগে অনস্বীকার্য। তেল উৎপাদনের কথা আছে স্কন্দগুপ্তের সময়ের ইন্দ্রপুর তাম্রশাসনে।প্রাচীন ভারতের অন্যতম শিল্প বস্ত্রশিল্প। অমরকোষে দামি ও মোটা দুধরনের কাপড় তৈরির কথা আছে। রেশম শিল্পীদের গোষ্ঠীর বর্ণনা আছে মান্দাসোর লিপিতে। কাথিয়াবাড়ে নীল উৎপাদকদের উপর নীলের গামলা প্রতি রাজস্ব আদায় করা হতো। 592 খ্রি: একটি লেখতে কাপড় রং করার কারিগর বা ছিম্পক এবং সুরা প্রস্তুতকারক বা কল্লার এর উল্লেখ রয়েছে। রাজদরবারে বা প্রশাসনিক দপ্তরে কায়স্থদের উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ; কারণ ভূমিদানের দলিলপত্র তাদের ছাড়া সম্ভব হত না। আলোচ্য পর্বে বৈদ্য বা চিকিৎসকের গুরুত্ব যে বাড়ছিল, তার প্রমান সুশ্রুতসংহিতা।
Thanks for reading.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন