সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পাঞ্জাবের অর্থনীতিতে গম উৎপাদনের গুরুত্ব | Importance of Wheat in Punjab Economy during Coloneal Period

 পাঞ্জাবের অর্থনীতিতে গম উৎপাদনের গুরুত্ব কৃষির বাণিজ্যিকিকরণ কেবল তুলা ও পাটের মত তন্তু শষ্যের ক্ষেত্রে হয়েছিল এমনটা নয়, ভারতের অন্যতম প্রধান দানাশষ্য গমও ব্রিটিশ বণিকদের রপ্তানির তালিকায় এসেছিল। পাঞ্জাবে গম উৎপাদন ও তাকে ঘিরে ব্যবসা রমরমা ছিল। ১৯ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে গম উৎপাদন এতটাই বৃদ্ধি পায় যে ব্রিটিশ কৃষি বিজ্ঞানীরা পাঞ্জাবকে দেখে ভারতের ভবিষ্যৎ খাদ্য ভান্ডার বলে আখ্যা দেন। ফলে পাঞ্জাব হয়ে ওঠে ভারতের মূল গম উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারী অঞ্চল। উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে পাঞ্জাব ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গম রপ্তানি করতে থাকে। এটা সম্ভব হয়েছিল কারণ সুয়েজ খাল উন্মুক্ত করা হয়েছিল বলে এবং রপ্তানিকর গ্রাস করা হয়েছিল বলে। তবে ইংল্যান্ডই হয়ে উঠেছিল গমের মূল আমদানিকারক দেশ। পাঞ্জাবের গম পাউরুটি তৈরির ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নত মানের ছিল। ব্রিটিশ মালিকানাধীন কেক ও অন্যান্য বেকারি প্রস্তুতকারকরা ভারতের গম কে পছন্দ করত। পাঞ্জাবের গম তার উন্নতমানের জন্য শুধু ইংল্যান্ড নয়, ইউরোপের বাজারে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছিল। পাঞ্জাবে গম উৎপাদন উত্থান-পতনের বিভিন্ন ঘটনার সাক্ষী। ১৮৭৫ ৭৬ সালে গমের উৎপাদন ও রপ্তানি

বাংলায় বাণিজ্যিক কৃষি হিসাবে পাট চাষ | Jute Cultivation as a Cash Crop

 বাংলায় বাণিজ্যিক কৃষি হিসাবে পাট চাষ  অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সর্বপ্রথম নীল, পাট, তুলা এবং তৈলবীজ জাতীয় ভারতীয় কৃষিজ পণ্যাদির যে প্রচুর সম্ভাবনা আছে তা উপলব্ধি করতে পেরেছিল। এই সময়ে ইংল্যান্ডে শিল্পোন্নতির ফলে এবং সেদেশে ভারতীয় শিল্পজাত পণ্যের আমদানির উপর আরোপিত সংরক্ষণমূলক নিয়ন্ত্রণবিধির চাপে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাদের রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য নতুন নতুন কৃষিজ পণ্যের সম্ভাবনার দিকে দৃষ্টি দিতে বাধ্য হয়। এভাবেই শুরু হয় ভারতে কৃষির বাণিজ্যিকিকরণ। ইতিপূর্বে ভারতের চাষিরা যেখানে ধান, গম, জোয়ার, বাজরা, ডাল, তৈলবীজ, মশলা প্রভৃতি খ্যাদ্যপণ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দিত সেখানে এখন অতি দ্রুত গুরুত্ব পেতে থাকে পাট, তুলা, নীল প্রভৃতি বাণিজ্যিক শষ্য, যা মূলত ইংল্যান্ডের শিল্পউৎপাদনের জন্য অপরিহার্য। ১৮৫০ এর দশকে দেশের অভ্যন্তরীণ অঞ্চলসমূহ রেলপথ দ্বারা সংযুক্ত হলে এবং সামুদ্রিক পরিবহনের উন্নতির ফলে ভারী সামগ্রীসমূহ বিদেশে প্রেরণ সহজতর হলে ভারতের কৃষিজ পণ্যের রপ্তানীর আয়তন আরও দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে। ১৮৩৩ এর পর বাণিজ্যিক সংস্থা হিসাবে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে গেল এ

শশাঙ্ক | Shashanka

 শশাঙ্ক  সপ্তম শতকের প্রথমার্ধ বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য পর্ব। এই সময় বাংলায় শশাঙ্ক নামে এক রাজনৈতিক নেতার আবির্ভাব হয়, যার নেতৃত্বে গৌড়কে কেন্দ্র করে বাংলা উত্তর ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হয়। শশাঙ্ক ও তাঁর রাজত্বকাল সম্পর্কে তথ্য প্রদানকারী প্রধান দুটি উপাদান হল হিউয়েন সাং এর বিবরনী এবং বাণভট্টের হর্ষচরিত । এঁরা দুজনেই কনৌজ ও থানেশ্বরের রাজা হর্ষবর্ধনের অনুগ্রহভাজন ছিলেন। তাই এই দুটি উপাদান শশাঙ্ক সম্পর্কে অনেক ক্ষেত্রে পক্ষপাতদুষ্ট মন্তব্য করেছে। এছড়া রয়েছে বৌদ্ধ গ্রন্থ আরযমঞ্জুশ্রীমূলকল্প এবং শশাঙ্কের গঞ্জাম লেখ, মেদিনীপুর লেখ এবং কিছু মুদ্রা।  পরবর্তী গুপ্ত শাসনে পূর্ববঙ্গ স্বাধীন হয়ে গেছিল। কেবল উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গ তাঁদের অধীনে ছিল। কিন্তু নিয়ন্ত্রন শিথিল হয়ে পড়েছিল। এই সময়েই শশাঙ্কের আবির্ভাব হয়। বেশিরভাগ ঐতিহাসিকের ধারণা শশাঙ্ক পরবর্তী গুপ্ত শাসকদের অধীনস্ত বাংলার শাসনকর্তা ছিলেন। পরবর্তী গুপ্ত শাসকদের দুর্বলতার ফলে সাম্রাজ্যে ভাঙ্গন দেখা দিলে শশাঙ্ক গৌড় দেশে নিজেকে স্বাধীন নরপতি রূপে প্রতিষ্ঠা করেন। পন্ডিত রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় দেখ

উপমহাদেশে প্রাচীন প্রস্তর যুগ | Paleolithic Age in the Subcontinent

উপমহাদেশে প্রাচীন প্রস্তর যুগ উপমহাদেশে মানুষের অস্তিত্বের যে প্রমাণ পাওয়া গেছে তা আফ্রিকা মহাদেশ, চীন বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তুলনায় পরবর্তীকালের। পন্ডিতরা অনুমান করেন যে ভারতীয় উপমহাদেশে মানুষের আবির্ভাব ঘটেছিল অভিপ্রয়াণের মাধ্যমে, সম্ভবত আফ্রিকা থেকে। উপমহাদেশে আবিষ্কৃত প্রাচীনতম প্রস্তরায়ুধ গুলি পাওয়া যায় কাশ্মীররের সোয়ান উপত্যকায়, পাকিস্তানের পটোয়ার মালভূমি এবং হিমাচলের শিবালিক পার্বত্য এলাকায়। এগুলি আজ থেকে প্রায় ১৮ থেকে ২০ লক্ষ বছর পুরানো। এই পর্ব পুরাপ্রস্তর যুগ নামে পরিচিত, যা চলেছিল প্রায় ১০ হাজার খ্রিঃ পূঃ অব্দ পর্যন্ত। এই পর্বের মনুষ্য  ছিল সম্ভবত হোমো হাবিলিস বা হোমো ইরেকটাস প্রজাতির। এদের ব্যবহৃত প্রধান হাতিয়ার ছিল হাত কুঠার ও চপার। পুরাতত্ত্বিক পরিভাষায় এগুলিকে কোর টুল বলা হয়, কারণ প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত প্রস্তর খণ্ডের মূল অংশটি এক্ষেত্রে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এগুলি ভারী এবং আকারে বড় হাতিয়ার। পুরাতাত্ত্বিকগণ এই হাত কুঠার গুলিকে আশুলীয় সাংস্কৃতির পর্যায়েভুক্ত হাতিয়ার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এই ধরনের হাত কুঠারের ব্যবহার আরো পাওয়া যায় কর্নাটকের হুঙ্গস