সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মেইজি পুনঃপ্রতিষ্ঠা | Meiji Restoration

মেইজি (১৮৬৮) পুনপ্রতিষ্ঠার পেছনে রাজনৈতিক বিন্যাস টোকুগওয়া শোগুনের যুগে ইয়েডো ছিল জাপানের শাসনকেন্দ্র। শোগুন রাজধানী ইয়েডোতে বসে দেশ শাসন করতেন। আর সম্রাট থাকতেন কিয়োটো শহরে। কিয়াটোতে একটি শোগুন বিরোধী গোষ্ঠী তৈরি হয়। এরা শোগুনতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে সম্রাটকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার জন্য যে আন্দোলন করে তার পরিণতিতে জাপানের মেইজি পুনঃপ্রতিষ্ঠা।  মার্কিন ও অন্যান্য পশ্চিমী দেশগুলির যখন জাপানের আবরণ উন্মোচনের জন্য চাপ দিচ্ছিল তখন শোগুনরা পশ্চিমীদের পক্ষে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু শোগুন বিরোধী গোষ্ঠী স্লোগান তোলে 'সম্রাটকে সমর্থন করো ও বিদেশিদের বিতাড়িত কর'। এই পরিস্থিতিতে নাওসুকে নামে এক শোগুনকে শোগুন সরকারের প্রধান পরামর্শদাতা নিযুক্ত করা হয়। তিনি সম্রাট এবং শক্তিশালী ভাইসরয়দের বাধা উপেক্ষা করে আমেরিকার সাথে 'হ্যারিস চুক্তি' স্বাক্ষর করেন এবং শোগুন বিরোধী চক্র ভেঙে ফেলার জন্য কতগুলি পদক্ষেপ নিতে থাকেন। নওসুকে -এর কঠোর পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে আন্দোলন জোরদার হয়। চারটি গোষ্ঠী - সাৎসুমা, চোসু, হিজেন ও তোসা এ বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা নেয়। শোগুন এবং বিদেশি উভয়ের বিরোধিতা ব

জাপানে সংবিধানের জন্য গণআন্দোলন | Mass Movement before Meiji Constitution

 ১৮৬৮-১৮৮৯ খ্রীঃ পর্যন্ত জাপানি সংবিধানের জন্য গণআন্দোলন মেইজি কর্তৃপক্ষের অন্যতম উল্লেখযোগ্য অবদান ১৮৮৯ খ্রীঃ জাপানের জন্য একটি নতুন সংবিধান রচনা, যা সাধারণত মেইজি সংবিধান নামে পরিচিত। শোগুন্তন্ত্রের অবসানের পর মেইজি নেতারা সংসদীয় ধাঁচের একটি সংবিধান রচনার আবশ্যকতা অনুভব করেন এবং সেজন্য আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনের দুটি পর্ব  ছিল। প্রথমটি ১৮৭৩-৮১ খ্রি. এবং দ্বিতীয়টি ১৮৮২-৮৯ খ্রি.। ঐতিহাসিক ভিনাক বলেছেন, এই সংবিধানের বীজ নিহত ছিল ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দের Charter Oath ( সনদভুক্ত শপথপত্র ) এর মধ্যে, যেখানে ঘোষণা করা হয়েছিল দেশের সমস্যাবলী প্রকাশ্যে বিচার-বিবেচনা করার জন্য একটি পরিষদ গঠিত হবে। কিন্তু এই ঘোষণাকে সম্রাট কর্তৃক জনপ্রতিনিধিমূলক সংসদীয় সংবিধান দানের প্রতিশ্রুতি হিসেবে গ্রহণ করা হয় এবং প্রতিশ্রুতি যাতে কার্যে রূপায়িত হয় তার জন্য আন্দোলন শুরু হয়। অন্যদিকে রক্ষণশীল নেতৃবৃন্দ জনগণের হাতে শাসনক্ষমতা দানের বিরোধী ছিলেন। প্রকৃত আন্দোলনের সূত্রপাত করেন চোষু সামুরাই 'কিডো', যিনি উদার মনোভাব সম্পন্ন ছিলেন এবং যুরোপ ভ্রমনের অভিজ্ঞতাও তার ছিল। তার বক্তব্য ছিল জনমতকে অগ্রাহ্য করে

মেইজি সংবিধান | Meiji Constitution

 মেইজি সংবিধান জাপানে মেইজি শাসনের অন্যতম উল্লেখযোগ্য অবদান দেশের জন্য একটি নতুন সংবিধান তৈরী। মেইজি পুনস্থাপনের পর থেকে জাপানে যে নতুন রাজনৈতিক বাতাবরনের সৃষ্টি হয়েছিল তাতে 'স্বাধীনতা ও জনগনের অধিকার সংক্রান্ত আন্দোলন' প্রবল আকার ধারন করেছিল। ব্যপক গণ আন্দোলনের চাপে মেইজি সরকার  একটি নতুন সংবিধান প্রবর্তনে রাজি হয়। ইটো হিরোবুমি -র উপর সংবিধান রচনার দায়িত্ব ন্যস্ত হয়। ইটো ইউরোপে চলে যান অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য। ইউরোপ থেকে ফিরে নতুন সংবিধান প্রবর্তনের উদ্দেশ্যে কয়েকটি প্রাথমিক পদক্ষেপ গ্রহন  করেছিলেন। ১৮৮৪ খ্রি ৫টি স্তরবিশিষ্ট একটি নতুন অভিজাত শ্রেণী তৈরি করা হয় এবং সিদ্ধান্ত হয় এই শ্রেণীর প্রতিনিধিদের নিয়ে ভবিষ্যতে ব্যবস্থাপক সভা গঠিত হবে। ১৮৮৪ খ্রি নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয় যার প্রধান হন ইটো। ১৮৮৮ তে প্রিভি কাউন্সিল তৈরি করা হয় এবং এরও সভাপতি হন ইটো। ১৮৮৯ খ্রি ফেব্রুয়ারি মাসে মেইজি সম্রাট আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন সংবিধান প্রবর্তন করেন। বস্তুত এই সংবিধানের একমাত্র উদ্দেশ্য যাবতীয় কর্তৃত্ব শাসকশ্রেণীর হাতে বজায় রাখা। নতুন সংবিধানে সম্রাটকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত করা

মুঘল যুগে কৃষি প্রযুক্তি | Technology in Mughal Agriculture

মুঘল যুগে কৃষি প্রযুক্তি বর্তমানের মতো মুঘল আমলেও ভারত ছিল কৃষিনির্ভর দেশ। ৭৫ শতাংশের বেশি মানুষের কৃষির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক ছিল। মুঘল যুগে কৃষির সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সেচব্যবস্থা ও  প্রযুক্তি বিজ্ঞানের অবদান অনস্বীকার্য।  আবুল ফজল , মানুচি,  সুজন রাই ভান্ডারী প্রমুখের রচনা থেকে সেই যুগে প্রচলিত কৃষি প্রযুক্তি সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়। ভারতীয় লাঙ্গল ইউরোপীয়দের কাছে অজানা ছিল। ফ্রায়ার লিখেছেন অধিকাংশ ক্ষেত্রে লাঙলে লোহার বদলে কাঠের ফলা ব্যবহার করা হত, কারণ লোহা ছিল দুর্লভ এবং মাটি ছিল নরম। তবে ইরফান হাবিবের মতে তা একমাত্র উপকূলবর্তী অঞ্চলেই সম্ভব ছিল, কারণ দেশের অভ্যন্তরে শক্ত মাটিতে লোহা অপরিহার্য ছিল।তিনি আরও দেখিয়েছেন, সে সময়ে ভারতে লোহার দর ১৯৯৪ এর দরের তিন গুণের বেশি ছিল না। বীজ রুয়ে চাষ ভারতের পুরনো রীতি। তুহফাত- ই- পাঞ্জাব গ্রন্থে বলা হয়েছে, মাটি ৮ মাস ধরে চষে ইক্ষু চাষের উপযোগী করতে হত। একে আথমাস বলা হত। নোল টেনে মাটি সমান করতে সোহাগা প্রযুক্তির ব্যবহার হত। দুটি বলদের কাঁধের জোয়াল থেকে দুটি দড়ি এসে একটি তক্তার দু'পাশে যুক্ত হত। হালিক এই তক্তায় দাঁড়িয়ে বলদ তাড়ালে ম