সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ওল্ড কিংডমঃ রাজতন্ত্রের প্রকৃতি | Nature of Old Kingdom in Ancient Egypt

 ওল্ড কিংডমঃ রাজতন্ত্রের প্রকৃতি

মিশরে তৃতীয় রাজবংশ থেকে ষষ্ঠ রাজবংশ পর্যন্ত ( খ্রিস্টপূর্ব ২৯৮০ থেকে ২৪৭৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত) শাসন কালকে old kingdom বলা হয়। এই সময়কালকে পিরামিডের যুগও বলে। বিভিন্ন ভাবধারা বিষয়ে সহিষ্ণু হলেও মিশরীয়দের জাত্যাভিমান ছিল প্রবল। তাই বিদেশীদের তারা কখনো ভাল চোখে দেখত না। এশিয়াবাসীদের সম্পর্কে তাদের অবজ্ঞার কথা জানা যায়। মিশরীয়রা তাদের ভাষায় যে শব্দটি পৃথিবী অর্থে ব্যবহার করত তার অর্থ মিশর ভূমি। আর মিশরের যিনি অধিপতি হতেন তিনি মানুষ নন, তিনি দেবতা। মিশরের রাজাদেরকে ফ্যারাও বলা হত। ফ্যারাও কথাটির অর্থ বড় বাড়ি । সূর্য দেবতা 'রে' তার কন্যা মিশরকে পুত্র ফ্যারাও এর হাতে সঁপে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ মিশর ভূমির সঙ্গে ফ্যারাও বিবাহবন্ধনে জড়িত। ফ্যারাও যতদিন জীবিত ততদিন তিনি সাক্ষাৎ হোরাস। তিনি মারা গেলে অসিরিস। স্বামীর কর্তব্য তাঁর স্ত্রীকে যত্ন করা; আবার স্ত্রীর প্রতি স্বামীর প্রভুত্ব বৈধ। এভাবেই ফ্যারাও যেমন মিশর ভূমির উপরে সম্পূর্ণ প্রভুত্ব করবে তেমনি তার যত্নও নেবেন। তিনি প্রজাপালক; প্রজাকে বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবেন। অর্থাৎ মিশরের রাজা যেমন দেবতার প্রতিনিধি তেমন রাষ্ট্রেরও প্রতিভূ।

রাজার নিঃসঙ্গ জীবন মোটেই সুখকর ছিল না। সাধারণ মানুষ তাঁর সমকক্ষ ছিলেন না বলে রক্তমাংসের মানব কন্যাকে তিনি বিয়ে করতে পারতেন না। এজন্যই প্রাচীন মিশরের রাজবংশে ভাই-বোন বা পিতা-কন্যার মধ্যে বিবাহ হত। দিবারাত্রি প্রতিটি দণ্ড রাজার নির্দিষ্ট কর্মের জন্য নির্ধারিত ছিল। এমনকি তার বিশ্রামের জন্যও আলাদা সময় নির্দিষ্ট থাকতো।

প্রাচীন মিশরে একটি জটিল আমলাতন্ত্র গড়ে উঠেছিল, যার ওপর কর্মভার ন্যস্ত ছিল। old kingdom- এর অনেক আগে থেকেই এর প্রচলন ছিল। থাক কাটা পিরামিডের স্থপতি ইমহোটেপ ছিলেন একজন উজির। তিনি একাধারে মন্ত্রী, প্রধান বিচারক এবং রাজকোষের প্রধান অধ্যক্ষ। প্রধানমন্ত্রীকে 'ট্যাটি' বলা হত। তিনি সাধারনত রাজপরিবাদের সদস্য হতেন। সাম্রাজ্যের যুগ প্রধান অমাত্য নিয়োগের জন্য ফ্যারাও-এর আদেশ বাণী পাওয়া যায়। রাজকর্মচারী বা কেরানীর পদ লাভ করা মিশরীয় তরুনদের একটি সাধনা হয়ে উঠেছিল। রাজার এই পরিষদদের রাজসমাধির পাশে কবরস্থ করা হত। তারা ছিলেন রাজার জীবন-মরনের সাথী। ফ্যারাও-এর ক্ষমতা যখন কমে গেল এই বড় বড় রাজকর্মচারীরা নিজেদের পছন্দমতো স্থানে সমাধিস্তূপ নির্মাণ করেছিলেন।

মিশরে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাও হয়েছিল। প্রতিটি প্রদেশকে 'নোম' বলা হত। নোমে'র শাসনকর্তাদের 'নোমার্ক' বলা হত। প্রতিটি নোমের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মচারী ছিলেন 'আদজ-মের' পদাধিকারি। ইনি সেচ দপ্তর দেখাশোনার কাজ করতেন। ইনি এতটাই শক্তিশালী হয়ে যান যে ইনিই কার্যত প্রদেশের শাসন চালাতে থাকেন। তাঁর নেতৃত্বেই প্রদেশগুলিতে সম্পত্তি গননা (একধরনের সেন্সাস) হত এবং বিচারের দায়িত্বও তিনি পালন করতেন। আদজ-মের এর পরবর্তী স্তরে ছিলেন অসংখ্য  লিপিকার বা অক্ষরজীবি, যাদের হায়ারোগ্লিফিক লিপির উপর দক্ষতা থাকত এবং তাঁরা দপ্তরি লেখালিখির কাজ করতেন। 

রাজতন্ত্র প্রতিষ্টার আগে থেকেই সম্ভবত মিশরের গ্রামে গ্রামে আঞ্চলিক শাসন ব্যবস্থা ছিল। প্রাচীন রাজতন্ত্র সেই ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলেন নি বরং তাকে রাজতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছিল। প্রতিটি গ্রামে গ্রামপরিষদ ছিল। এগুলিকে বলা গত 'সেহ' বা 'যাযাত'। গ্রাম পরিষদের সদস্যদের বলা হত 'সারু'। পরিষদের সদস্যরা সম্ভবত গ্রামের সম্ভ্রান্ত ও প্রভাবশালী পরিবার থেকে আসতেন। এরা লেখাপড়া জানতেন এবং এদের গ্রামে মান্য করা হত। 

মিশরে রাজতন্ত্রের যুগে কর আদায় সম্পর্কে কিছু তথ্য পাওয়া যায়। কর আদায়ের সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা না থাকলে এত জাঁকজমকপূর্ণ শাসন, এত নির্মাণ, এত কর্মচারী- এসব সম্ভব হত না। একটি চিত্রে দেখানো হয়েছে, দুই সারি কেরানি বসে আছে তাদের হাতে প্যাপিরাস কাগজে লেখা ট্যাক্সের তালিকা আর কলম, সামনে ডেস্ক। তিনজন গ্রাম্য আদায়কারী কর্মচারীকে পাকড়াও করে আনা হয়েছে তাদের কাছে। কারণ কর আদায়ে তারা গাফিলতি করেছে। এবং ছবিটির একটি শিরোনামও দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কার কাছে কত টাকা পাওনা তার দস্তুরমতো তালিকা প্রস্তুত করা হত এবং কর সংগ্রহ করে রসিদ দেওয়ার পাকাপোক্ত ব্যবস্থায় ছিল। 

মিশরীয় নথিপত্রে কৃষকদের বোঝাতে 'মেরতু' শব্দের ব্যবহার হয়েছে। কৃষকের প্রদেয় কর 'মেজেদ' নামে পরিচিত। মেজেদ কর সংগ্রহ করা হত উতপাদিত শস্যের ভাগ আদায় করে। নগদ করের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। তাছাড়া কৃষকদের 'কাৎ' নামক এক প্রকার বেগার দিতে হত। পিরামিড নির্মাণের মত রাজকীয় নির্মাণকাজে অথবা সেচ ব্যবস্থার বিভিন্ন কাজে কৃষকদের বেগার দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। শিল্পী ও কারগরেরাও করের আওতাভূক্ত ছিলেন। তাঁদের মন্দির, রাজপ্রাসাদ বা ধনী ব্যক্তিদের কারখানায় বেগার দিয়ে তাঁদের রাষ্ট্রের প্রাপ্য আদায় করতে হত। বণিকদের ব্যপারে বিশেষ কিছু জানা যায় না। তবে বাণিজ্য রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ছিল। 

রাষ্ট্রীয় আদায় সংরক্ষন এবং বিতরণের সুবন্দোবস্ত ছিল। রাজতন্ত্রের আগে মিশরের দুই ভাগে দুটি ট্রেজারি ছিল; একটি দক্ষিণ মিশরে এবং আরেকটি উত্তর মিশরে। দক্ষিণ মিশরের ট্রেজারিকে বলা হত স্বেতগৃহ এবং উত্তর মিশরের ট্রেজারিকে বলা হত লোহিত গৃহ। মিশর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পর একটি কেন্দ্রীয় কোষাগার নির্মিত হয়, যার নাম দ্বৈত স্বেতগৃহ। এই দ্বৈত স্বেতগৃহের অধীনে অনেকগুলি শস্যভাণ্ডার ছিল। এই শস্যভান্ডারগুলিতে আদায়কৃত শস্য মুজত হত এবং এখান থেকেই বিতরনের ব্যবস্থা হত। প্রতিটি প্রদেশের (নোম) গবাদি পশু ও ভুসম্পত্তির জরিপেরও ব্যবস্থা ছিল এবং এর দায়ত্ব থাকত আদজ-মের নামক প্রাদেশিক পদাধিকারীর উপর। 

Political Nature of Old Kingdom

In Egypt, the period from the Third Dynasty to the Sixth Dynasty (circa 2980 to 2475 BCE) is called the Old Kingdom. This era is also known as the Age of the Pyramids. Despite tolerating various ideologies, the Egyptians had a strong sense of nationalism. Consequently, they never viewed foreigners favorably and were known to disdain Asians. The Egyptians used a word in their language that meant "Prithvi" to refer to Egypt. The ruler of Egypt was not considered a mere mortal but a deity. The kings of Egypt were called Pharaohs. The word "Pharaoh" means "Great House." The sun god 'Ra' had entrusted his daughter, Egypt, to the hands of his son, the Pharaoh. This means that the Pharaoh was metaphorically married to the land of Egypt. As long as the Pharaoh was alive, he was the living Horus. Upon his death, he became Osiris. A husband’s duty was to care for his wife, and his authority over her was legitimate. Similarly, the Pharaoh would have complete dominion over the land of Egypt while also taking care of it. He was the shepherd of the people, protecting them from dangers. Thus, the king of Egypt was both a representative of the gods and the state.

The king’s solitary life was far from pleasant. As ordinary people were not his equals, he could not marry a mortal woman. This is why marriages between siblings or between father and daughter were common in the royal family of ancient Egypt. Every moment of the king's day and night was scheduled for specific tasks, including designated times for rest.

A complex bureaucracy had developed in ancient Egypt, responsible for governance. This system had been in place long before the Old Kingdom. The architect of the Step Pyramid, Imhotep, was a vizier, serving as a minister, chief justice, and head of the royal treasury. The prime minister was called the 'Tjati,' usually a member of the royal family. During the empire era, it was common for the Pharaoh to issue orders for appointing major officials. Attaining a position as a royal official or scribe became a pursuit for young Egyptians. These officials were often buried next to the royal tombs, signifying their role as companions in life and death. When the Pharaoh's power waned, these high-ranking officials built their own tombs in places of their choosing.

Local administration was also established in Egypt. Each province was called a 'nome,' and the governors of the nomes were known as 'nomarchs.' An important official in each nome was the 'Adj-mer,' who oversaw the irrigation department. This official became so powerful that he effectively ran the province. Under his leadership, property censuses were conducted, and he also performed judicial duties. The next tier included numerous scribes proficient in hieroglyphics, who handled bureaucratic writing tasks.

Before the establishment of the monarchy, local governance probably existed in villages across Egypt. The ancient monarchy did not dismantle this system but incorporated it into the royal administration. Each village had a council called 'Seh' or 'Yajat,' and council members were referred to as 'Saru.' These members likely came from prominent and influential families, were literate, and respected in their villages.

Information about tax collection during the monarchical era in Egypt is available. Without a well-defined system of tax collection, such a grand administration, extensive construction, and a large number of officials would not have been possible. One illustration shows two rows of scribes holding papyrus documents listing taxes and pens, with a desk in front of them. Three village tax collectors are being brought to them, having failed in their duties. This image has a caption, indicating that detailed lists of owed taxes were prepared, and receipts were issued for collected taxes.

In Egyptian records, the term 'Mertu' was used to refer to farmers. The tax paid by farmers was known as 'Mejed,' collected as a share of their produce. There was no system of cash taxes. Additionally, farmers had to provide a form of corvée labor called 'Kat.' They were required to work on royal construction projects like pyramid building or various irrigation works. Artisans and craftsmen were also subject to taxes, fulfilling their obligations through corvée labor in temples, royal palaces, or workshops of wealthy individuals. Little is known about merchants, but trade was state-controlled.

There was a well-organized system for the collection and distribution of state revenue. Before the monarchy, Egypt had two treasuries: one in the south and one in the north. The southern treasury was called the White House, and the northern treasury was called the Red House. After the unification of Egypt, a central treasury named the Dual White House was established, which oversaw several granaries. These granaries stored collected produce and managed distribution. Each province (nome) had arrangements for surveying livestock and land, a responsibility of the provincial official known as 'Adj-mer.'

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আরবদের সিন্ধু অভিযান | কারণ ও তাৎপর্য

আরবদের সিন্ধু অভিযান | কারণ ও তাৎপর্য Please visit our Homepage and subscribe us. Suggested Topics || Ghajnavid Invasion || গজনী আক্রমণ || || মামুদের সোমনাথ মন্দির লুণ্ঠন || Somnath Temple Plunder || || তরাইনের যুদ্ধ ও তার গুরুত্ত্ব || মহম্মদ ঘুরির ভারত আক্রমন ও তার চরিত্র || সপ্তম শতকের প্রথমার্ধে আরবদেশে ইসলামের আবির্ভাব ঘটে। ইসলাম আরবদের নতুন করে জীবনীশক্তির সঞ্চার করে । ইসলাম ক্রমশ: একটি ধর্ম থেকে রাজনৈতিক শক্তি রূপে আত্মপ্রকাশ করে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তারা আরবীয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। ভারতবর্ষের সঙ্গে আরবদের যোগাযোগ দীর্ঘদিনের। বাণিজ্যিক সূত্রে তারা নিয়মিত ভারতের উপকূল গুলিতে, বিশেষ করে মালাবার উপকূলে আসত। ভারতীয় ও চীনা পণ্য 'ধাও' নামক বিশেষ জাহাজে করে নিয়ে তারা ইউরোপের বাজারে বিক্রি করত। 712 খ্রিস্টাব্দে ইরাকের গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এর সেনাপতি ও জামাতা মোহাম্মদ বিন কাসেম সিন্ধু দেশে একটি সফল অভিযান করেন এবং সিন্ধুদেশ আরবীয় মুসলমানদের অধীনে চলে যায়। অভিযানের(প্রত্যক্ষ) কারণ ভারতবর্ষের প্রতি আরবদের দীর্ঘদিনের নজর ছিল। এর আ

ষোড়শ শতকীয় ইউরোপে মূল্যবিপ্লব | Price Revolution

 ষোড়শ শতকের ইউরোপে মূল্য বিপ্লব   16 শতাব্দীতে ইউরোপীয় অর্থনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো মূল্য বিপ্লব। নিত্যব্যবহার্য পণ্যের মূল্য প্রায় 150 বছর সুস্থির থাকার পর ঊর্ধ্বমুখী হতে আরম্ভ করে, এবং 16 শতাব্দীর শেষে খাদ্যপণ্যের মূল্যের প্রায় সাড়ে পাঁচ গুণ বেড়ে যায়। পশ্চিম ইউরোপের অর্থনীতিতে এমন অভাবনীয় এবং সুদুরপ্রসারী ফলাফলসম্পন্ন ঘটনা মূল্য বিপ্লব নামে পরিচিত। মূল্য বিপ্লবের কতগুলি সাধারণ বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। যথা--    (১) কৃষিজ পণ্যের তুলনায় শিল্পজাত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ছিল কম, এবং খাদ্যশস্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। (২) ভূমি রাজস্ব সহ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক, তোলা ইত্যাদির হার বৃদ্ধি এবং ফটকাবাজির আবির্ভাব। (৩) মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় মজুরির হার খুবই কম ছিল বলে প্রকৃত আয় হ্রাস পেয়েছিল। (৪) ভূমি বিক্রয়যোগ্য পণ্যে পরিণত হওয়া। (৫) গ্রামীণ বুর্জোয়াজি শ্রেণীর আবির্ভাব। ষোড়শ শতকের আগেও প্রাকৃতিক কারণে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল, তবে তা ছিল 2, 3 শতাংশের মতো, যা অস্বাভাবিক মনে হতো না। কিন্তু ষোল শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে যে নিরবিচ্ছিন্ন মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল তা জনজীবনে তীব্রভ

মহাফেজখানার শ্রেণীবিভাগ | Category of Archives

মহাফেজখানার শ্রেণীবিভাগ মহাফেজখানা বা লেখ্যাগারগুলি সাধারণ জনতার জন্য নয় মূলত গবেষক, ঐতিহাসিক, আইনবিদ, চিত্র পরিচালক প্রভৃতি পেশার লোকজন তাদের গবেষণার কাজে লেখ্যাগারে নথি পত্র দেখতে পারেন।  লেখ্যাগার পরিচালনা ও সংরক্ষিত নথির ভিত্তিতে লেখ্যাগগুলিকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।   1. সরকারি লেখ্যাগার:- কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে যে লেখ্যাগারগুলি গড়ে ওঠে। সেগুলিকে সরকারি লেখ্যাগার বলা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এরকম সরকার পরিচালিত এক বা একাধিক লেখ্যাগার থাকে। যেমন, আমেরিকার Natonal Archive And records Administration (NARA)। ভারতবর্ষে র কেন্দ্রীয় লেখ্যাগার National Archive of India নামে পরিচিত। বিভিন্ন ঐতিহাসিক, প্রশাসনিক ও আইনগত নথি, মানচিত্র, নক্সা,  পাণ্ডুলিপি প্রভৃতি সংরক্ষিত থাকে। 2. বানিজ্যিক লেখ্যাগার:-  এটি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের লেখ্যাগার বিভিন্ন বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান   মূলত তাদের সংস্থার ঐতিহাসিক এবং বানিজ্যিক নথি সংরক্ষিত রাখে। যেমন, ভারতের প্রথম বানিজ্যিক লেখ্যাগার হলো পুনার Tata Centrel Archive। 3. অলাভজনক লেখ্যাগার:-   কোনো ব্যাক্তিগত বা অলাভজনক