ম্যারাথনের যুদ্ধ
মধ্যপ্রাচ্যে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হিসেবে পারস্য ক্রমশ আত্মপ্রকাশ করে এবং এশিয়া মাইনরের উপকূলে অবস্থিত গ্রিক উপনিবেশগুলি তারা দখল করে গ্রীসের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে থাকে। গ্রীস উপনিবেশ আইয়োনিয়া ও লিডিয়া সম্রাট দরায়ুস দখল করে নেন এবং সেখানে একজন সম্রাটের অধীনে শাসন পরিচালনার দায়িত্ব দেন। এরপর পারস্য মূল গ্রিসের হ্রেস ও ম্যাসিডন অধিকার করে নেয়। ইতিমধ্যে এথেন্সে স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রধানত স্বৈরাচারী শাসক হিপিয়াস আইয়োনিয়া ও লিবিয়ার রাজধানী সার্দিসে আশ্রয় নেয়। ফলে এথেন্স ও পারস্যের মধ্যে যুদ্ধের বাতাবরণ গড়ে ওঠে।
আইয়োনিয়া অঞ্চলে পারস্যের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হয়। এই বিদ্রোহীদের সহযোগিতা করেন এথেন্স ও ইরিথ্রিয়া। পারসিকরা এই বিদ্রোহ দমন করে। কিন্তু দরায়ুস এথেন্স ও ইরিথ্রিয়াকে সমুচিত শিক্ষা দেবেন বলে ঠিক করে। ইরিথ্রিয়া পারস্যের বিরুদ্ধে তেমন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। পারস্যের সৈন্যরা এই নগররাষ্ট্রোটিকে ধ্বংস করে, কিন্তু এথেন্স রুখে দাড়ায়।
৪৯০ খ্রিষ্টাব্দে সেপ্টেম্বর মাসে ম্যারাথনে গ্রীক-পারসিক চুড়ান্ত যুদ্ধ শুরু হয়। এথেন্সের অবেদনে স্পার্টা সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও সময়মত সহযোগিতা করেননি ধর্মীয় উৎসব চলছিল বলে। শক্তির বিচারে পারসিকদের থেকে গ্রিকরা ছিল অনেক দুর্বল। কিন্তু দেশাত্মবোধের উদ্দীপনা এবং সফল যুদ্ধকৌশলের ব্যবহার এথেন্সেকে জয় এনে দেয়। যদিও এই অপ্রত্যাশিত পরাজয় পারসিকরা মেনে নিতে পারেনি। এরপরেও পারস্য বারবার এথেন্সে আক্রমণ করেছিল। প্রথমে থার্মোপলির যুদ্ধ এবং পরে সালামিসের যুদ্ধে পারস্যের চুড়ান্ত পরাজয় হয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন