সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

প্রাচীন রাজতন্ত্র: মিশরের অর্থনীতি | Ancient Egypt: Economy


প্রাচীন রাজতন্ত্র: মিশরের অর্থনীতি


তাম্র প্রস্তর যুগে যেসমস্ত নদীকেন্দ্রিক সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল মিশরীয় সভ্যতা তার মধ্যে অন্যতম । নীল নদের তীরে এই সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। নীলনদ আবিসিনিয়ার পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয় উত্তর দিকে ৪ হাজার মাইল পথ প্রবাহিত হয়ে ভূমধ্যসাগরে পড়েছে। হেরোডোটাস মিশরকে নীলনদের দান বলেছেন। পিরামিডের যুগে মিশরে যে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছিল, তার মূলে ছিল উদ্বৃত্ত কৃষি উৎপাদন। এবং তার উপর নির্ভর করেই শিল্প-বাণিজ্য, রাষ্ট্রশাসন প্রভৃতি গড়ে উঠেছিল

মিশরের কৃষি ছিল নীলনদের ওপর নির্ভরশীল। বছরের নির্দিষ্ট সময় নীলনদের বন্যায় উপকূল প্লাবিত হয়ে মিশরের মরুভূমিকে চাষযোগ্য জমিতে পরিণত করেছে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নীলনদে জলের উচ্চতা বেড়ে বন্যা হয়। অক্টোবর থেকে জলতল নামতে থাকে এবং সেই সময় চাষ হয়। জানুয়ারি মাসের পরে বন্যা আসার আগে পর্যন্ত সেখানে জল সেচের মাধ্যমে চাষ করতে হয়। এইভাবে কৃষিচক্রের ভিত্তিতে মিশরে তিনটি ঋতুর উদ্ভব হয়েছেঃ আখেত বা বন্যাঋতু, পেরেত বা বীজ বপনের ঋতু, সেমু/চেমু বা ফসল সংগ্রহ করার ঋতু। কোনো কারণে বন্যার জলের হেরফের হলে (সর্বনিম্ন ৬ ফুট) চাষ বাধাপ্রাপ্ত হতো।

মিশরীয় কৃষি অর্থনীতিতে জলসেচের ব্যাপক গুরুত্ব ছিল। রাজপুরুষদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ছিল জলসেচ ব্যবস্থার তদারকি করা। কারণ আদজ মেরকথার অর্থ খাল খননকারী এবং এই নামের পদাধিকারীরা নিঃসন্দেহে সেচ ব্যবস্থার তদারকি করতেন। পরবর্তীকালে এই নামেই প্রাদেশিক শাসক দের অভিহিত করা হয়েছিল। একটি ছবি থেকে জানা যায় গরু দিয়ে হাল এর ব্যবহার তাদের জানা ছিল।

হেরোডোটাস এর লেখা থেকে কৃষকদের কৃষিজের এক সহজ পদ্ধতির বিবরণ পাওয়া যায়, তিনি বলেছেন যে, লাঙ্গল বা মই দিয়ে মাটি ভাঙার দরকার হতো না। নদীর জলেই মাটি তৈরি হয়ে যেত। তার পরে কৃষকেরা বীজ ছড়িয়ে মাঠে শুয়োর ছেড়ে দিত। পায়ে মাড়িয়ে শুকর বোনার কাজ শেষ করে দিত। আর পোষা বানরেরা গাছ থেকে ফল কেটে এনে দিত। হেরোডোটাসের এই উক্তিকে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। অন্য একটি বিবরণ থেকে জানা যায় কৃষকদের অবস্থা খুব একটা ভাল ছিলনা।

জমির উপর কৃষকের মালিকানা ছিলনা। জমি ছিল ফ্যারাওয়ের সম্পত্তি। প্রজাকে তাই খাজনা হিসেবে উৎপন্ন ফসলের ১০ থেকে ২০ ভাগ দিতে হত। ফ্যারাওয়ের অধীনে জোতদার থাকত। একজন জোতদারের ১৫০০ গরু ছিল। এর থেকেই বোঝা যায় তার জমি কত বড় ছিল। কৃষক খাজনা দিতে না পারলে তাকে, এমনকি তার পরিবারকে শাস্তি দেওয়া হতো। যুদ্ধে পরাজিতদের দাস বানিয়ে তাদেরকে দিয়ে চাষ করানোর কথাও জানা যায় । একটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে দুই সারি কেরানী বসে আছে তাদের হাতে প্যাপিরাস কাগজে লেখা ট্যাক্স এর তালিকা আর কলম। সুতরাং ট্যাক্স সংগ্রহ করে রসিদ দেওয়ার পাকাপাকি ব্যবস্থাও ছিল।

মিশরীয়রা পশু সম্পদের ব্যবহার জানত। চাষের কাজে হাল চালনার জন্য গরুর ব্যবহার ছিল ।একটি তথ্য থেকে জানা যায় এক জোতদারের ১৫০০ টি গরু ছিল। আরেকটি চিত্রে দেখা যায় গোশালায় দুধ দোহন করা হচ্ছে। সুতরাং সমাজে পশুপালনের যথেষ্ট গুরুত্ত্ব ছিল।

পশুপালন ছাড়াও বিভিন্ন কারিগরি বৃত্তির সঙ্গে মিশরীয়দের পরিচয় ছিল। পিরামিডের সমাধিগর্ভে জহুরী ও মনিকারদের নির্মিত অলংকার ও স্বর্ণপাত্রে নমুনা পাওয়া গেছে, যে গুলির সৌন্দর্য আজকেরের শিল্পকেও হার মানায়। একটি প্রাচীন মন্দিরগাত্রে অঙ্কিত চিত্র থেকে জানা যায়, মনিকাররা কিভাবে অলংকার নির্মাণ করতেন। সোনা ছাড়াও তামার শিল্পের অগ্রগতি ঘটেছিল। নানাপ্রকার অস্ত্র ও যন্ত্রপাতি তামা দিয়ে তৈরি হতো। কাঠ কাটার জন্য তারা তামার করাত বানিয়েছিল এবং পিরামিডের পাথরগুলি পাহাড় থেকে কেটে আনা হতো তামার অস্ত্র দিয়েই। সে যুগের লোহার আবিষ্কার হয়নি। তবে পরবর্তীকালে ব্রোঞ্জের ব্যবহার শুরু হয়েছিল।

পিরামিডের যুগে কুমোরের চাকার সাহায্যে মাটির পাত্র বানিয়ে তাকে চুল্লিতে পড়ানো হত এবং দরকারে চকচকে পালিশ করা হত। মৃৎশিল্পের আর একটি অঙ্গ হল ইট নির্মাণ। পিরামিড প্রথমদিকে পাথরের ওপর পাথর গেঁথে তৈরি হতো। পরবর্তীকালে ইটের ব্যবহার শুরু হলে সেগুলি পিরামিড নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছিল।

প্রাচীন রাজতন্ত্রের যুগে মিশর একটি বাণিজ্যিক শক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য চলত মুলত নীলনদের জলপথ ধরে। একই সাথে এশিয়া ও আফ্রিকার অন্যান্য দেশের সাথে মিশরের বৈদেশিক বাণিজ্য চলত। উত্তর-পশ্চিম ব-দ্বীপ অঞ্চলে সাইস এবং বুটো দুটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ছিল। এই বন্দরগুলি দিয়ে কাঠ, তেল, মদ, খনিজ দ্রব্য, মৃতপাত্র ইত্যাদির বাণিজ্য চলত। মিশরের প্রধান রপ্তানী দ্রব্য ছিল পাথর ও মৃৎপাত্র, সোনার পাত্র, প্যাপাইরাস, লিনেন, শস্য ও শুকোমাছ। এই পণ্যগুলি স্থলপথে এবং ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগর হয়ে লেবানান, আরব, সাহারা সংলগ্ন আফ্রিকা এবং ঈজিয়ান সাগর সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছে যেত। লেবানানের সেডার কাঠ, আবলুস কাঠ, হাতির দাঁত, বাদাখশানের ল্যাপিস ল্যাজুলি, ইথিওপিয়ার অবসিডিয়ান পাথর, সিরিয়া এবং প্যালেস্টাইন থেকে গবাদি পশু ও তামা এবং মূল্যবান খনিজ, পূর্ব আফ্রিকার সোমালিয়া থেকে সুগন্ধী, ইজিয়ান থেকে তেল এবং নুবিয়া থেকে সোনা আমদানি করা হত। সামুদ্রিক ও নৌবাণিজ্যের প্রধান বাহন ছিল জাহাজ। ৩০০০ খ্রিঃ পূঃ নাগাদ তারা জাহাজ আবিস্কার করেছিল। তক্তার সাথে তক্তা জুড়ে জাহাজ তৈরি হত। জানা যায় যে বাণিজ্যিক স্বার্থে ফ্যারাও নারমের ফিনিশিয়াতে একটি উপনিবেশ স্থাপন করেছিলেন। সুতরাং মিশরীয় বাণিজ্যিক উদ্যোগ ছিল পুরোপুরি রাষ্ট্রীয়।

The Old Kingdom: Egyptian Economy

Among the river-centric civilizations that developed during the Chalcolithic Age, Egyptian civilization stands out prominently. This civilization flourished along the banks of the Nile River. The Nile originates from the mountains of Abyssinia, flowing northward for 4,000 miles before emptying into the Mediterranean Sea. Herodotus called Egypt the "gift of the Nile." The remarkable advancements in Egypt during the Pyramid Age were fundamentally rooted in surplus agricultural production, which in turn supported industries, trade, and governance.

Egyptian agriculture was heavily reliant on the Nile. At specific times of the year, the Nile’s floods would inundate the coasts, transforming Egypt's desert into arable land. From June to September, the Nile’s water level would rise, causing floods. The water level would then start to recede in October, making it the prime time for farming. After January, until the next flood season, irrigation was necessary for farming. This agricultural cycle led to the emergence of three distinct seasons in Egypt: Akhet (the flood season), Peret (the sowing season), and Chemu (the harvesting season). Any significant deviation in flood levels (minimum 6 feet) would disrupt agriculture.

Irrigation was of immense importance in the Egyptian agricultural economy. One of the main responsibilities of royal officials was overseeing the irrigation systems. The term "Adj Mer" means canal digger, and those holding this title were undoubtedly responsible for supervising the irrigation systems. Later, provincial governors were also referred to by this title. It is known from an image that they were familiar with the use of ox-drawn plows.

Herodotus provides a description of a simple agricultural method used by the farmers. He mentioned that there was no need to break the soil with plows or harrows; the river water would prepare the soil. The farmers would then scatter seeds and release pigs into the fields. The pigs would trample the seeds into the soil, completing the sowing process, while domesticated monkeys would bring down fruits from the trees. However, Herodotus’s account seems somewhat implausible. Another description suggests that the farmers’ conditions were not very favorable.

Farmers did not own the land; it belonged to the Pharaoh. Therefore, tenants had to pay a tax of 10 to 20 percent of their produce. Under the Pharaoh, there were large landholders. One such landholder reportedly had 1,500 cattle, indicating the vastness of his land. If a farmer could not pay the tax, he and even his family would be punished. It is also known that prisoners of war were enslaved and made to work the fields. An image depicts rows of scribes with papyrus papers listing tax details and pens, indicating a well-established system for tax collection and receipts.

The Egyptians knew how to utilize livestock. Oxen were used for plowing. One record mentions a landholder owning 1,500 cattle. Another depiction shows milk being extracted from cows in a cowshed, indicating the significance of animal husbandry in society.

Besides livestock rearing, the Egyptians were familiar with various crafts. In the tombs of the pyramids, jewelry and gold vessels crafted by jewelers and artisans have been found, which surpass the beauty of today’s craftsmanship. A depiction on an ancient temple wall shows how artisans made jewelry. Apart from gold, copper craftsmanship also advanced. Various weapons and tools were made of copper. Copper saws were used for cutting wood, and the stones for the pyramids were quarried using copper tools. Iron was not discovered in that era, but later, the use of bronze began.

During the Pyramid Age, potters made clay vessels using the potter's wheel, which were then fired in kilns and polished as needed. Another aspect of pottery was brickmaking. Initially, pyramids were constructed by stacking stones. Later, bricks were used in pyramid construction.

In the era of the ancient monarchy, Egypt emerged as a commercial power. Domestic trade primarily occurred via the Nile River. Egypt also engaged in foreign trade with Asia and other African countries. Two important ports in the northwestern delta region were Saïs and Buto. These ports facilitated the trade of wood, oil, wine, minerals, pottery, etc. Egypt's main exports included stone and pottery, gold vessels, papyrus, linen, grains, and dried fish. These goods were transported overland and via the Mediterranean and Red Seas to Lebanon, Arabia, Saharan Africa, and the Aegean region. Imports included cedar wood from Lebanon, ebony, ivory, lapis lazuli from Badakhshan, obsidian from Ethiopia, cattle and copper from Syria and Palestine, perfumes from East Africa, oil from the Aegean, and gold from Nubia. Ships were the primary means of maritime and river trade. By around 3000 BCE, Egyptians had invented ships, constructed by joining planks together. It is known that Pharaoh Narmer established a colony in Phoenicia for commercial purposes. Thus, Egyptian commercial endeavors were entirely state-driven.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আরবদের সিন্ধু অভিযান | কারণ ও তাৎপর্য

আরবদের সিন্ধু অভিযান | কারণ ও তাৎপর্য Please visit our Homepage and subscribe us. Suggested Topics || Ghajnavid Invasion || গজনী আক্রমণ || || মামুদের সোমনাথ মন্দির লুণ্ঠন || Somnath Temple Plunder || || তরাইনের যুদ্ধ ও তার গুরুত্ত্ব || মহম্মদ ঘুরির ভারত আক্রমন ও তার চরিত্র || সপ্তম শতকের প্রথমার্ধে আরবদেশে ইসলামের আবির্ভাব ঘটে। ইসলাম আরবদের নতুন করে জীবনীশক্তির সঞ্চার করে । ইসলাম ক্রমশ: একটি ধর্ম থেকে রাজনৈতিক শক্তি রূপে আত্মপ্রকাশ করে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তারা আরবীয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। ভারতবর্ষের সঙ্গে আরবদের যোগাযোগ দীর্ঘদিনের। বাণিজ্যিক সূত্রে তারা নিয়মিত ভারতের উপকূল গুলিতে, বিশেষ করে মালাবার উপকূলে আসত। ভারতীয় ও চীনা পণ্য 'ধাও' নামক বিশেষ জাহাজে করে নিয়ে তারা ইউরোপের বাজারে বিক্রি করত। 712 খ্রিস্টাব্দে ইরাকের গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এর সেনাপতি ও জামাতা মোহাম্মদ বিন কাসেম সিন্ধু দেশে একটি সফল অভিযান করেন এবং সিন্ধুদেশ আরবীয় মুসলমানদের অধীনে চলে যায়। অভিযানের(প্রত্যক্ষ) কারণ ভারতবর্ষের প্রতি আরবদের দীর্ঘদিনের নজর ছিল। এর আ

ষোড়শ শতকীয় ইউরোপে মূল্যবিপ্লব | Price Revolution

 ষোড়শ শতকের ইউরোপে মূল্য বিপ্লব   16 শতাব্দীতে ইউরোপীয় অর্থনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো মূল্য বিপ্লব। নিত্যব্যবহার্য পণ্যের মূল্য প্রায় 150 বছর সুস্থির থাকার পর ঊর্ধ্বমুখী হতে আরম্ভ করে, এবং 16 শতাব্দীর শেষে খাদ্যপণ্যের মূল্যের প্রায় সাড়ে পাঁচ গুণ বেড়ে যায়। পশ্চিম ইউরোপের অর্থনীতিতে এমন অভাবনীয় এবং সুদুরপ্রসারী ফলাফলসম্পন্ন ঘটনা মূল্য বিপ্লব নামে পরিচিত। মূল্য বিপ্লবের কতগুলি সাধারণ বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। যথা--    (১) কৃষিজ পণ্যের তুলনায় শিল্পজাত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ছিল কম, এবং খাদ্যশস্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। (২) ভূমি রাজস্ব সহ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক, তোলা ইত্যাদির হার বৃদ্ধি এবং ফটকাবাজির আবির্ভাব। (৩) মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় মজুরির হার খুবই কম ছিল বলে প্রকৃত আয় হ্রাস পেয়েছিল। (৪) ভূমি বিক্রয়যোগ্য পণ্যে পরিণত হওয়া। (৫) গ্রামীণ বুর্জোয়াজি শ্রেণীর আবির্ভাব। ষোড়শ শতকের আগেও প্রাকৃতিক কারণে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল, তবে তা ছিল 2, 3 শতাংশের মতো, যা অস্বাভাবিক মনে হতো না। কিন্তু ষোল শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে যে নিরবিচ্ছিন্ন মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল তা জনজীবনে তীব্রভ

মহাফেজখানার শ্রেণীবিভাগ | Category of Archives

মহাফেজখানার শ্রেণীবিভাগ মহাফেজখানা বা লেখ্যাগারগুলি সাধারণ জনতার জন্য নয় মূলত গবেষক, ঐতিহাসিক, আইনবিদ, চিত্র পরিচালক প্রভৃতি পেশার লোকজন তাদের গবেষণার কাজে লেখ্যাগারে নথি পত্র দেখতে পারেন।  লেখ্যাগার পরিচালনা ও সংরক্ষিত নথির ভিত্তিতে লেখ্যাগগুলিকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।   1. সরকারি লেখ্যাগার:- কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে যে লেখ্যাগারগুলি গড়ে ওঠে। সেগুলিকে সরকারি লেখ্যাগার বলা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এরকম সরকার পরিচালিত এক বা একাধিক লেখ্যাগার থাকে। যেমন, আমেরিকার Natonal Archive And records Administration (NARA)। ভারতবর্ষে র কেন্দ্রীয় লেখ্যাগার National Archive of India নামে পরিচিত। বিভিন্ন ঐতিহাসিক, প্রশাসনিক ও আইনগত নথি, মানচিত্র, নক্সা,  পাণ্ডুলিপি প্রভৃতি সংরক্ষিত থাকে। 2. বানিজ্যিক লেখ্যাগার:-  এটি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের লেখ্যাগার বিভিন্ন বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান   মূলত তাদের সংস্থার ঐতিহাসিক এবং বানিজ্যিক নথি সংরক্ষিত রাখে। যেমন, ভারতের প্রথম বানিজ্যিক লেখ্যাগার হলো পুনার Tata Centrel Archive। 3. অলাভজনক লেখ্যাগার:-   কোনো ব্যাক্তিগত বা অলাভজনক