Please visit our Homepage and Subscribe us.
Thanks for reading.
বাংলাকে কেন্দ্র করে শক্তিশালী সাম্রাজ্য স্থাপনের যে স্বপ্ন শশাঙ্ক দেখেছিলেন তা বাস্তবায়িত হয়েছিল পাল রাজাদের শাসন কালে। পালবংশের দুজন শ্রেষ্ঠ শাসক ধর্মপাল ও দেবপাল। দেবপাল (৮১০-৪৭ খ্রি:) ছিলেন ধর্মপালের পুত্র এবং উত্তরাধিকারী। পিতার মৃত্যুর পর তিনি সিংহাসনে বসেন এবং তাঁর রাজত্বকালে পাল সাম্রাজ্যের সীমা বহুদূর প্রসারিত হয়। পরমেশ্বর, পরমভট্টারক ও মহারাজাধিরাজ প্রভৃতি প্রচলিত সম্রাটসুলভ উপাধি তিনি গ্রহণ করতেন।
নারায়ণ পালের বাদাল প্রশস্তি থেকে জানা যায় যে, মন্ত্রী দর্ভপানির কূটনীতির সাহায্যে দেবপাল হিমালয় থেকে বিন্ধ্য পর্বত এবং পূর্ব সাগর থেকে পশ্চিম সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ভূখণ্ডের শাসকদের কর প্রদানে বাধ্য করেছিলেন। আবার মন্ত্রী কেদার মিশ্রের বুদ্ধিবলে হুন, উৎকল, দ্রাবিড়, গুর্জর প্রতিহারদের দর্প ক্ষুন্ন করে সমুদ্র মেখলা রাজ্যটি ভোগ করেছিলেন। তাঁর হস্তিবাহিনী বিন্ধ্যারন্যে গিয়েছিল এবং অশ্বারোহী বাহিনী কম্বোজ। পর্যন্ত গিয়েছিল। মুঙ্গের লেখ থেকে জানা যায়, দেবপাল এক 'দ্রাবিড়নাথ'কে পরাজিত করেছিলেন। অনেকেই মনে করেন এই দ্রাবিড়নাথ হলেন রাষ্ট্রকূট রাজা অমোঘবর্ষ। কিন্তু রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতে, দেবপাল রাষ্ট্রকুটদের নয়, পাণ্ড্য রাজা শ্রীমার শ্রীবল্লভকে পরাজিত করেছিলেন।
দ্বিপাক্ষিক দ্বন্দ্বে দেবপালের জড়িয়ে পড়ার ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ। দুর্বল প্রতিহার রাজা রামভদ্রকে তিনি পরাজিত করেছিলেন। অতঃপর প্রথম ভোজের সময় প্রতিহাররা আবার শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং পাল- প্রতিহার দ্বন্দ্ব আবার শুরু হয়। গোয়ালিয়র লিপিতে এই দ্বন্দ্বে ভোজের জয় লাভের কথা আছে। তবে বেশিরভাগ ঐতিহাসিক মনে করেন এই যুদ্ধে প্রথমদিকে ভোজ জয়ী হলেও পরিশেষে দেবপালেরই জয় হয়।
দেবপালের খ্যাতি কেবল স্বদেশে সীমাবদ্ধ ছিলনা, বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছিল। সুমাত্রার অধিপতি শৈলেন্দ্র বংশীয় রাজা বালপুত্রদেবের অনুরোধে দেবপাল নালন্দায় বিহার নির্মাণের জন্য ৫টি গ্রাম দান করেছিলেন। দেবপালের অনুরোধে জালালাবাদের আফগান বৌদ্ধচার্য বীরদেব নালন্ডার আচার্য নিযুক্ত হয়েছিলেন। তার রাজ্যে এসেছিলেন আরব পর্যটক সুলেমান। তিনি পাল রাজ্যকে 'রূহমা' বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর রচনায় পাল রাজাদের বিরাট সৈন্যবাহিনীর কথা আছে।Thanks for reading.
Thank you sir
উত্তরমুছুন