সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

লুথার ও রাজ শক্তির সম্পর্ক | Luthar and the State

 লুথার ও রাজ শক্তির  সম্পর্ক মাটিন লুথারের নেতৃত্বে জার্মানিতে ধর্মসংস্কার আন্দোলনের সূচনা হয়। কিন্তু তিনি ধর্মের বৈপ্লবিক  পরিভাষা গ্রহণ  করেননি। তিনি চেয়েছিলেন প্রচলিত রোমান ক্যাথলিক চার্চের ধর্মীয় অনুশাসনের পরিবর্তে একটি বিকল্প অনুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে। তাই এনাব্যাপটিস্টদের নৈরাজ্যবাদী অনুশাসন বিরোধী অবস্থানে লুথার বিচলিত ও সংকিত হন। এই প্রেক্ষাপটে আঞ্চলিক রাজশক্তির সঙ্গে লুথারের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। লুথার মনে করেতেন রাজশক্তির সমর্থন ছাড়া প্রতিবাদী ধর্মকে একটি বিকল্প ধর্মীয় সংগঠন হিসেবে সুরক্ষিত করা সম্ভব নয়। লুথার যেখানে রাজশক্তির স্তুতি করেছেন তাতে নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্রের উত্থানের পথ প্রশস্ত হয়েছিল। লুথারের রাষ্ট্রতত্ত্বের ভিত্তি রয়েছে তার মানব চরিত্র সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ধারণার মধ্যে। তিনি মনে করতেন যে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়া মানুষের স্বাভাবিক  প্রবৃত্তি, মানুষের মনের ভিতরের  শয়তানের কারখানাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে দরকার রাষ্ট্রীয় আইন। রাষ্ট্রীয় অনুশাসন ছাড়া মানব জীবন সুরক্ষিত নয়। এই উদ্দেশ্যেই ঈশ্বর  রাজশক্তিকে সৃষ্টি করেছেন। তাই রাজশক্তিকে প্রতিরোধ করা একপ্রকারের পাপ

কেলভিনবাদ | John Kelvin

কেলভিনবাদ লুথারের সংস্কার আন্দোলনের সময় যে মতবাদ প্রচার করেছিলেন তার প্রকৃতি ছিল অনেকটাই রক্ষণশীল, কিন্তু ষোড়শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে ইংল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্সে radical সংস্কার আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। যেখানে অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে সক্রিয় প্রতিরোধের অধিকার অনুমোদিত হয়েছিল। আর এই সংস্কার আন্দোলনের একটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র ছিলেন জন কেলভিন।কেলভিন প্রথমদিকে লুথারের মত প্রতিরোধী তত্ত্বে বিশ্বাসী থাকলেও পরবর্তীকালে কেলভিনের কিছু radical অনুগামী অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে ব্যক্তিগত ও দলবদ্ধভাবে প্রতিরোধের অধিকার দিয়েছিল।    কেলভিনের শিক্ষা ও তত্ত্ব হলো প্রটেস্টানবাদের  সবচেয়ে বর্ণময় ধারা। ধর্ম- সংস্কার আন্দোলনের পরবর্তী দুই শতাব্দীতে তার প্রভাব স্থায়ী হয়েছিল। লুথারবাদের পথ অনুসরণ করেও কেলভিনবাদ বিভিন্ন দেশে পৃথক পৃথক রুপ নিয়েছিল। লুথারবাদ যেখানে সামাজিক চরিত্রে রক্ষণশীল রাজনৈতিক কর্তৃত্বের প্রতি আস্থাশীল ছিল, কেলভিনবাদ সেখানে সক্রিয় পরিবর্তনপন্থী হয়ে উঠেছিল। কেলভিনবাদই প্রটেস্ট্যান্ট আন্দোলনকে একটি সিস্টেমের  রূপ দিয়েছিলেন। 1537 খ্রিস

CC-5 (CU-HONS) এক ক্লিকেই সব উত্তর | Early Medieval India, 750-1206

 CC-5 (CU-HONS)-  Early Medieval India, 750-1206 ১. ইতিহাস রচনা ও ঐতিহাসিক বিতর্ক  ক) আদি মধ্য যুগের ইতিহাসের উপাদান হিসাবে সাহিত্যিক উপাদানের গুরুত্ত্ব  খ) আদি মধ্য যুগের ইতিহাসের উপাদান হিসাবে  প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের গুরুত্ত্ব  গ) আদিমধ্য যুগে সামন্ততন্ত্র বিতর্ক ঘ) রাজপুত দের উত্থান সংক্রান্ত বিতর্ক ঙ) আদিমধ্য যুগে রাষ্ট্রের চরিত্র ২. রাজনৈতিক ইতিহাস ক) ধর্মপালের রাজনৈতিক অবদান খ) দেবপালের রাজনৈতিক অবদান গ) কৈবর্ত বিদ্রোহ   ঘ) ত্রিশক্তি সংঘর্ষ ঙ) চোলদের সামুদ্রিক কার্যকলাপ চ) চোলদের স্থানীয় স্বশাসন  ছ) আরবদের সিন্ধু অভিযান ও তার তাৎপর্য জ) সুলতান মামুদের অভিযান ঝ) মহম্মদ ঘরির অভিযান ঞ) মামুদ ও ঘোরির অভিযানের মধ্যে পার্থক্য ট) সোমনাথ মন্দির লুন্ঠন ঠ) বক্তিয়ার খলজীর বঙ্গদেশ বিজয়   ৩. কৃষি কাঠামো ও সামাজিক পরিবর্তন  ক) কৃষির সম্প্রসারণ খ) ভূমি সম্পর্ক- ভুস্বামী ও কৃষক গ) জাতি ব্যাবস্থার সম্প্রসারণ ও অস্পৃশ্যদের অবস্থান ঘ) উপজাতি সম্প্রদায়ের কৃষি ব্যাবস্থায় অনুপ্রবেশ এবং বর্ণ ব্যাবস্থায় তাদের অবস্থান ৪. ব্যবসা বানিজ্য ক) অভ্যন্তরীণ বানিজ্য খ) সমুদ্র বানিজ্য গ) মুদ্রা- বিনিময়ের মাধ্যম

উগ্রবাদী ধর্ম সংস্কার আন্দোলন| Radical Reformation | Anabaptists Movement

উগ্রবাদী ধর্মসংস্কার আন্দোলন/ এনাব্যাপটিস্ট আন্দোলন লুথারের মৃত্যুর পর তার অনুগামীদের মধ্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল এই নিয়ে যে, আচার-অনুষ্ঠান ছাড়া ধর্মপালন সম্ভব কি না। লুথারের অনুগামীদের একটি অংশ লুথারবাদের সীমানাকে অতিক্রম করে অনেক বেশি বৈপ্লবিক চরিত্র লাভ করেছিল। এরা ব্যাপ্টিজমসহ সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান গুলির বিরোধিতা করেছিল। এই গোষ্ঠী অ্যানাব্যাপটিস্ট নামে পরিচিত। এরা উগ্রবাদী ধর্মসংস্কারপন্থী। প্রোটেস্ট্যান্ট ও ক্যাথলিক উভয় গোষ্ঠীকেই এরা দুর্নীতিগ্রস্ত মনে করত। এরা শৈশবেই ব্যাপ্টিজম বা খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করার বিরুদ্ধে ছিলেন। এরা মনে করতেন খ্রিস্টান ধর্ম হল স্বেচ্ছাপ্রণোদিত এক মিলনস্থল যেখানে কেবল প্রাপ্ত বয়স্কদেরই দীক্ষিত করা যায়। জার্মানিতে খোদ লুথারের শহর উনটেনবার্গে কার্লস্টাড্ নামে এক প্রটেস্টান্ট এর নেতৃত্বে অ্যানাব্যাপটিস্ট আন্দোলনের সূচনা হয়। উইটেনবর্গের এই সংস্কার আন্দোলন একটি গনঅভ্যুত্থান এবং ধর্মীয় দাঙ্গায় পরিণত হয়। জিকাউ এর তাঁতিরা অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করে। আন্দোলনকারীরা লুথার প্রদর্শিত সৎধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন এবং তা প্রতিষ্ঠা করার জন্য সব রকম বাধা অতিক্রম করতে প্র

ষোড়শ শতকীয় ইউরোপে মূল্যবিপ্লব | Price Revolution

 ষোড়শ শতকের ইউরোপে মূল্য বিপ্লব   16 শতাব্দীতে ইউরোপীয় অর্থনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো মূল্য বিপ্লব। নিত্যব্যবহার্য পণ্যের মূল্য প্রায় 150 বছর সুস্থির থাকার পর ঊর্ধ্বমুখী হতে আরম্ভ করে, এবং 16 শতাব্দীর শেষে খাদ্যপণ্যের মূল্যের প্রায় সাড়ে পাঁচ গুণ বেড়ে যায়। পশ্চিম ইউরোপের অর্থনীতিতে এমন অভাবনীয় এবং সুদুরপ্রসারী ফলাফলসম্পন্ন ঘটনা মূল্য বিপ্লব নামে পরিচিত। মূল্য বিপ্লবের কতগুলি সাধারণ বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। যথা--    (১) কৃষিজ পণ্যের তুলনায় শিল্পজাত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ছিল কম, এবং খাদ্যশস্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। (২) ভূমি রাজস্ব সহ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক, তোলা ইত্যাদির হার বৃদ্ধি এবং ফটকাবাজির আবির্ভাব। (৩) মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় মজুরির হার খুবই কম ছিল বলে প্রকৃত আয় হ্রাস পেয়েছিল। (৪) ভূমি বিক্রয়যোগ্য পণ্যে পরিণত হওয়া। (৫) গ্রামীণ বুর্জোয়াজি শ্রেণীর আবির্ভাব। ষোড়শ শতকের আগেও প্রাকৃতিক কারণে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল, তবে তা ছিল 2, 3 শতাংশের মতো, যা অস্বাভাবিক মনে হতো না। কিন্তু ষোল শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে যে নিরবিচ্ছিন্ন মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল তা জনজীবনে তীব্রভ