ইউরোপে ধর্মসংস্কার আন্দোলনে ইরাসমাসের অবদান
মার্টিন লুথারের পূর্বসূরি ছিলেন ডেসিডেরিয়াম ইরাসমাস। মানবতাবাদের অন্যতম প্রবক্তা ছিলেন ইরাসমাস। উনি ষোড়শ শতকের প্রথমার্ধে চার্চের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে মুখ খোলেন। তবে তিনি চার্চের ভিতর থেকে তার শুদ্ধিকরণের চেষ্টা করেছিলেন। পোপের বিষয়াসক্তির প্রতি তীব্র সমালোচনা করেন। উপবাস, পবিত্র স্মৃতিচিহ্ন এর পূজা, পাপমুক্তি পত্র বিক্রয়, ধর্মদ্রোহীদের জীবন্ত দগ্ধ করা বা সন্ত পূজার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেন। ln Pricse of Fally নামক শীর্ষক গ্রন্থে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের মাধ্যমে চার্চের অনাচার ও দুর্নীতির উপর আঘাত হানেন।
ইরাসমাস বিশ্বাস করতেন একমাত্র শিক্ষার বিস্তারই পারে ধর্মের প্রতিষ্ঠা করতে, এবং সমাজের পুন:র্জীবন ঘটাতে। তাই শিক্ষার বিস্তারে তিনি সচেষ্ট হন। কিন্তু তার ত্রুটি এই ছিল যে তিনি সাধারণ মানুষের বিশ্বাসকে বিপর্যস্ত করতে চাননি। নিজেকে তিনি চার্চের এক বিশ্বস্ত সন্তান বলে মনে করলেও, পোপের কর্তৃত্ব ও বাইবেলের অপব্যাখ্যার বিরুদ্ধে তার কর্তৃত্ব কম নয়। পরোক্ষভাবে তিনি ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলেন এবং সেই প্রেক্ষাপটে লুথারের আবির্ভাব হয়
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন