সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

দক্ষিণাত্যে শক-সাতবাহন দ্বন্দ্ব | Saka-Satabahana Rivalary

দাক্ষিণাত্যে শক-সাতবাহন দ্বন্দ্ব

ভারতবর্ষের বাণিজ্য সমৃদ্ধ পশ্চিম উপকূল এবং খনিজ সমৃদ্ধ মালবকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ ভারতে একাধিক রাজনৈতিক সংঘর্ষ প্রাচীনকাল থেকে ঘটে এসেছে। এই সংঘর্ষের প্রথম উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত হলো শক-সাতবাহন দ্বন্দ্ব।

শক শাসকেরা ছিল বিদেশি। গ্রীকদের পর এরা ভারতে এসেছিল। ভারত ও আফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে রাজত্বকারী শকদের চারটি শাখা ছিল। একটি শাখা আফগানিস্তানের রাজত্ব করত, দ্বিতীয় শাখা পাঞ্জাবে, তৃতীয় শাখা মথুরায়, চতুর্থ শাখা পশ্চিম ভারতে। পশ্চিম ভারতের শক শাসন দীরঘস্থায়ী হয়েছিল। শক রাজাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন প্রথম রুদ্রদামন (১৩০-১৫০ খ্রীঃ)।

দাক্ষিণাত্যে যারা প্রথম পরাক্রান্ত রাজশক্তি প্রতিষ্ঠা করেছিল তারা হল সাতবাহন। সাতবাহন বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সিমুক। পুরান-এ সাতবাহনদের অন্ধ্রভৃত্য বলা হয়েছে। তাই অনেকেই দাক্ষিণাত্যের পূর্বাংশকে সাতবাহনদের আদি বাসভূমি বলে মনে করেন। কিন্তু আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে সাতবাহনদের উত্থান ঘটেছিল দাক্ষিণাত্যের পশ্চিম দিকে। এখানেই প্রতিষ্ঠান (পৈঠান) এলাকায় তাদের রাজধানী ছিল। গৌতমীপুত্র সাতকর্ণী ছিলেন সাতবাহন বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক (১০৬-১৩০ খ্রীঃ)।

প্রথম সাতকর্ণীর সময় সাতবাহনরা যখন তাদের রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করছিল সেই সময় পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াল ক্ষহরাত বংশীয় শক ক্ষত্রপ নহপান। প্রত্নতাত্বিক তথ্য অনুযায়ী নহপান সাতবাহন রাজ্যের প্রাণকেন্দ্র নাসিক দখল করে নেয়। রোমিলা থাপার মনে করেন যে, আলোচ্য পর্বে পশ্চিম উপকূল একটি প্রতিযোগিতামূলক এলাকায় পরিণত হয়েছিল, যার পিছনে সক্রিয় ছিল ইন্দো রোমান বাণিজ্য এবং এই বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র কল্যাণ ও ব্রোচ এই এলাকায় অবস্থিত ছিল।

গৌতমিপুত্র সাতকর্ণীর সময় অবশ্য সাতবাহনরা তাদের এই বিপদ কাটিয়ে ওঠে। নাসিক এলাকা গৌতমি পুত্র নিজের কব্জায় আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। গৌতমীপুত্র সাতকর্ণীর মাতা গৌতমি বলশ্রী রচিত নাসিক প্রশস্তি থেকে আমরা উক্ত সাফল্যের প্রমাণ পাই। নাসিক প্রশস্তি থেকে জানা যায় যে নহপান গৌতমিপুত্রের হাতে পরাস্ত হন। তাছাড়া যোগলথোম্বি মুদ্রা ভান্ডারে প্রাপ্ত মুদ্রাগুলিও গৌতমিপুত্রের সাফল্যের প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। কারণ এই মুদ্রাগুলি ছিল প্রকৃতপক্ষে নহপানের মুদ্রা। গৌতমিপুত্র উক্ত মুদ্রাগুলির উপর নিজের রাজকীয় ছাপ মেরেছিলেন। নাসিক লেখ থেকে আরো জানা যায় যে তিনি নহপানের জামাতা রিষভদত্তকে পরাজিত করে ওই এলাকার কিছু ভূখণ্ড বৌদ্ধ সংঘের উদ্দেশ্যে দান করেছিলেন।

গৌতমীপুত্রের পরবর্তী শাসক বাশিষ্ঠীপুত্র পুলুমাবি তাঁর ২৪ বছরের রাজত্বকালে দাক্ষিণাত্যের পূর্বাংশের উপর কর্তৃত্ব ধরে রাখতে সক্ষম ছিলেন। কিন্তু কাদর্মক বংশীয়  শক্তিশালী শক শাসক রুদ্রদামনের উত্থানের ফলে সাতবাহনদের সাফল্য ব্যাহত হল। এই শক শাসক উজ্জয়িনী থেকে সাতবাহনদের বিতাড়িত করেছিলেন। গৌতমীপুত্র সাতকর্নির বিজিত বহু এলাকা তিনি দখল করেছিলেন। জুনাগড় প্রশস্তি থেকে জানা যায় রুদ্রদামন দুই-দুইবার দক্ষিনাপথপথি সাতকর্নিকে পরাজিত করেন এবং নিকট সম্পর্কের কারনে তাঁকে ছেড়ে দেন। অনেকেই এই দক্ষিনাপথপথি কে বাশিষ্ঠীপুত্র পুলুমাবি হিসাবে চিহ্নিত করেছেন, কারন তিনি ছিলেন রুদ্রদামনের সমসাময়িক। তবে কাহ্নেরি থেকে প্রাপ্ত একটি শিলালেখ থেকে জানা যায় এই দক্ষিনাপথপথি  ছিলেন বাশিষ্ঠীপুত্র সাতকর্নি। তাঁরই রানী ছিলেন মহাক্ষত্রপ রু (অর্থাৎ রুদ্রদামন) এর কন্যা। এই হিসাবে দক্ষিনাপথপথি  ছিলেন রুদ্রদামনের জামাতা।

রুদ্রদামনের পর শক শক্তি আর সেভাবে আগ্রাসী নীতি প্রয়োগ করতে পারে নি। তবে অন্তত পঞ্চম শতাব্দীর প্রথম দশক পর্যন্ত উজ্জয়িনী থেকে শুরু করে পশ্চিমে গুজরাট ও কাথিয়াবাড় পর্যন্ত কর্তৃত্ব অক্ষুন্ন রাখতে পেরেছিল। অন্যদিকে সাতবাহনরা যজ্ঞশ্রী সাতকর্নি পর্যন্ত পশ্চিম ও উত্তর দাক্ষিণাত্যে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল। 

দীর্ঘ শক-সাতবাহন দ্বন্দ্বের গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করে এই ধারণা জন্মায় যে কয়েকটি বিশেষ এলাকার ওপর এরা ক্ষমতা বজায় রাখতে আগ্রহী ছিল। এমন একটি এলাকা হল পূর্ব ও পশ্চিম মালব। এটি মধ্য ভারত ও দক্ষিণাত্যের মধ্যে অলিন্দের মত বিরাজ করত। পশ্চিম মালব দীর্ঘকাল ধরে বাণিজ্য সমৃদ্ধ গুজরাট উপকূলের পশ্চাৎভূমির ভূমিকা নিয়েছিল। পূর্ব মালবের অপর নাম আকর। টলেমির ভূগোলে এই এলাকা কোসা নামে অভিহিত। এখানে হীরক খনি ছিল।  দ্বিতীয় এলাকা ছিল দাক্ষিণাত্যের পশ্চিম উপকূল সংলগ্ন এলাকা। এখানকার ভৃগুকচ্ছ, সোপারা, কল্যাণ প্রভৃতি বন্দর খ্রিস্টীয় প্রথম ও দ্বিতীয় শতকে রোম ভারত বাণিজ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই অপরান্ত,  গোবর্ধন প্রভৃতি এলাকার ওপর দখল নিয়ে শক এবং সাতবাহন দের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দীর্ঘকাল বজায় ছিল।

The Saka-Satavahana Conflict in the Deccan

The western coast of India, enriched by trade, and Malwa, rich in minerals, have long been centers of political conflict in ancient South India. The first notable instance of this conflict was the Saka-Satavahana struggle.

The Saka rulers were foreigners who came to India after the Greeks. The Sakas, who ruled various regions of India and Afghanistan, had four branches. One branch ruled in Afghanistan, another in Punjab, a third in Mathura, and the fourth in western India, where the Saka rule was particularly long-lasting. Among the Saka kings, the most notable was the first Rudradaman (130-150 CE).

The Satavahanas were the first to establish a powerful royal authority in the Deccan. The founder of the Satavahana dynasty was Simuka. In the Puranas, the Satavahanas are referred to as the "Andhra Bhrityas," leading many to believe that their original homeland was in the eastern Deccan. However, modern research shows that the Satavahanas rose in the western Deccan, with their capital located in Pratishthana (Paithan). Gautamiputra Satakarni was the greatest ruler of the Satavahana dynasty (106-130 CE).

During the reign of the first Satakarni, as the Satavahanas expanded their political dominance, they encountered opposition from the Kshaharata Saka Kshatrapa Nahapana. Archaeological evidence suggests that Nahapana seized Nasik, the heart of the Satavahana kingdom. Historian Romila Thapar notes that the western coast became a highly competitive region during this period due to Indo-Roman trade, with Kalyan and Bharuch being key trade centers.

During Gautamiputra Satakarni’s reign, however, the Satavahanas overcame this threat, regaining control over Nasik. The Nasik inscription, composed by Gautamiputra’s mother Gautami Balashri, provides evidence of this success, recording that Nahapana was defeated by Gautamiputra. Additionally, coins from the Jogelthambi hoard serve as proof of Gautamiputra’s victory. These coins originally belonged to Nahapana but were stamped over with Gautamiputra's royal seal. The Nasik inscription also reveals that Gautamiputra defeated Nahapana’s son-in-law, Rishabhadatta, and donated some lands in the area to Buddhist monasteries.

The next ruler, Vashishtiputra Pulumavi, was able to maintain control over the eastern Deccan for 24 years. However, the rise of the powerful Saka ruler Rudradaman of the Kardamaka dynasty disrupted the Satavahana success. This Saka ruler ousted the Satavahanas from Ujjain and seized many of the territories previously conquered by Gautamiputra. The Junagadh inscription records that Rudradaman defeated the Dakshinapathapati Satakarni twice, sparing him due to family ties. Many identify this Dakshinapathapati as Vashishtiputra Pulumavi, a contemporary of Rudradaman. However, an inscription from Kanheri suggests that this Dakshinapathapati was Vashishtiputra Satakarni, whose queen was Rudradaman’s daughter, making him Rudradaman’s son-in-law.

After Rudradaman, the Saka power ceased its aggressive expansion but maintained authority from Ujjain to western Gujarat and Kathiawad until at least the early fifth century. Meanwhile, the Satavahanas continued to maintain their presence in western and northern Deccan until the reign of Yajna Sri Satakarni.

Analyzing the nature of the prolonged Saka-Satavahana conflict, it becomes evident that they were keen to maintain control over certain key areas. One such region was eastern and western Malwa, which served as a corridor between central India and the Deccan. Western Malwa functioned as the hinterland for the trade-rich coast of Gujarat. Eastern Malwa was also known as Akar, referred to as Kosa in Ptolemy’s geography, where diamond mines were located. Another area of contention was the region along the western coast of the Deccan. Ports like Bharuch, Sopara, and Kalyan were crucial to Roman-Indian trade in the first and second centuries CE. This led to prolonged competition between the Sakas and Satavahanas over control of territories like Aparanta and Govardhana.

Thanks for reading.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আরবদের সিন্ধু অভিযান | কারণ ও তাৎপর্য

আরবদের সিন্ধু অভিযান | কারণ ও তাৎপর্য Please visit our Homepage and subscribe us. Suggested Topics || Ghajnavid Invasion || গজনী আক্রমণ || || মামুদের সোমনাথ মন্দির লুণ্ঠন || Somnath Temple Plunder || || তরাইনের যুদ্ধ ও তার গুরুত্ত্ব || মহম্মদ ঘুরির ভারত আক্রমন ও তার চরিত্র || সপ্তম শতকের প্রথমার্ধে আরবদেশে ইসলামের আবির্ভাব ঘটে। ইসলাম আরবদের নতুন করে জীবনীশক্তির সঞ্চার করে । ইসলাম ক্রমশ: একটি ধর্ম থেকে রাজনৈতিক শক্তি রূপে আত্মপ্রকাশ করে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তারা আরবীয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। ভারতবর্ষের সঙ্গে আরবদের যোগাযোগ দীর্ঘদিনের। বাণিজ্যিক সূত্রে তারা নিয়মিত ভারতের উপকূল গুলিতে, বিশেষ করে মালাবার উপকূলে আসত। ভারতীয় ও চীনা পণ্য 'ধাও' নামক বিশেষ জাহাজে করে নিয়ে তারা ইউরোপের বাজারে বিক্রি করত। 712 খ্রিস্টাব্দে ইরাকের গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এর সেনাপতি ও জামাতা মোহাম্মদ বিন কাসেম সিন্ধু দেশে একটি সফল অভিযান করেন এবং সিন্ধুদেশ আরবীয় মুসলমানদের অধীনে চলে যায়। অভিযানের(প্রত্যক্ষ) কারণ ভারতবর্ষের প্রতি আরবদের দীর্ঘদিনের নজর ছিল। এর আ

মহাফেজখানার শ্রেণীবিভাগ | Category of Archives

মহাফেজখানার শ্রেণীবিভাগ মহাফেজখানা বা লেখ্যাগারগুলি সাধারণ জনতার জন্য নয় মূলত গবেষক, ঐতিহাসিক, আইনবিদ, চিত্র পরিচালক প্রভৃতি পেশার লোকজন তাদের গবেষণার কাজে লেখ্যাগারে নথি পত্র দেখতে পারেন।  লেখ্যাগার পরিচালনা ও সংরক্ষিত নথির ভিত্তিতে লেখ্যাগগুলিকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।   1. সরকারি লেখ্যাগার:- কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে যে লেখ্যাগারগুলি গড়ে ওঠে। সেগুলিকে সরকারি লেখ্যাগার বলা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এরকম সরকার পরিচালিত এক বা একাধিক লেখ্যাগার থাকে। যেমন, আমেরিকার Natonal Archive And records Administration (NARA)। ভারতবর্ষে র কেন্দ্রীয় লেখ্যাগার National Archive of India নামে পরিচিত। বিভিন্ন ঐতিহাসিক, প্রশাসনিক ও আইনগত নথি, মানচিত্র, নক্সা,  পাণ্ডুলিপি প্রভৃতি সংরক্ষিত থাকে। 2. বানিজ্যিক লেখ্যাগার:-  এটি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের লেখ্যাগার বিভিন্ন বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান   মূলত তাদের সংস্থার ঐতিহাসিক এবং বানিজ্যিক নথি সংরক্ষিত রাখে। যেমন, ভারতের প্রথম বানিজ্যিক লেখ্যাগার হলো পুনার Tata Centrel Archive। 3. অলাভজনক লেখ্যাগার:-   কোনো ব্যাক্তিগত বা অলাভজনক

ষোড়শ শতকীয় ইউরোপে মূল্যবিপ্লব | Price Revolution

 ষোড়শ শতকের ইউরোপে মূল্য বিপ্লব   16 শতাব্দীতে ইউরোপীয় অর্থনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো মূল্য বিপ্লব। নিত্যব্যবহার্য পণ্যের মূল্য প্রায় 150 বছর সুস্থির থাকার পর ঊর্ধ্বমুখী হতে আরম্ভ করে, এবং 16 শতাব্দীর শেষে খাদ্যপণ্যের মূল্যের প্রায় সাড়ে পাঁচ গুণ বেড়ে যায়। পশ্চিম ইউরোপের অর্থনীতিতে এমন অভাবনীয় এবং সুদুরপ্রসারী ফলাফলসম্পন্ন ঘটনা মূল্য বিপ্লব নামে পরিচিত। মূল্য বিপ্লবের কতগুলি সাধারণ বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। যথা--    (১) কৃষিজ পণ্যের তুলনায় শিল্পজাত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ছিল কম, এবং খাদ্যশস্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। (২) ভূমি রাজস্ব সহ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক, তোলা ইত্যাদির হার বৃদ্ধি এবং ফটকাবাজির আবির্ভাব। (৩) মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় মজুরির হার খুবই কম ছিল বলে প্রকৃত আয় হ্রাস পেয়েছিল। (৪) ভূমি বিক্রয়যোগ্য পণ্যে পরিণত হওয়া। (৫) গ্রামীণ বুর্জোয়াজি শ্রেণীর আবির্ভাব। ষোড়শ শতকের আগেও প্রাকৃতিক কারণে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল, তবে তা ছিল 2, 3 শতাংশের মতো, যা অস্বাভাবিক মনে হতো না। কিন্তু ষোল শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে যে নিরবিচ্ছিন্ন মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল তা জনজীবনে তীব্রভ