শের শাহের শাসন সংস্কার পানিপথ (১৫২৬) ও ঘর্ঘরার যুদ্ধে (১৫২৯) বাবর আফগানদের পরাজিত করে মুঘল সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করলেও আফগানরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। পূর্ব ভারতের আফগানরা তাদের নতুন নেতা শের খাঁ-র নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। এই শের খাঁ-ই বাবর এর উত্তরসূরী হুমায়ূনকে পর্যদুস্ত করে মুঘলদের ভারত ত্যাগে বাধ্য করেছিলেন। দিল্লি আগ্রা দখল করে তিনি নিজেকে 'শাহ' বা শাসক বলে ঘোষণা করেন (১৫৩৯)। সাম্রাজ্য স্থাপনের পাশাপাশি শের শাহ তার পাঁচ বছরের রাজত্বকালে (১৫৩৯-৪৪) দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। ভারতবর্ষে তিনি শাসনব্যবস্থার ক্ষেত্রে যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলি এনেছিলেন সেগুলি দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিল এবং মোঘলরাও তাকে অনুসরণ করেছিল। শের খাঁ তথা ফরিদের পিতার সসারামের জাগির ছিল। কিন্তু সৎমা ও সৎ ভাইয়ের চক্রান্তে তাকে সসারাম ছাড়তে হয়। তারপর সামান্য চাকরিজীবী হিসেবে দক্ষিণ বিহারের শাসক বিহার খাঁ লোহানীর অধীনে তার কর্মজীবন শুরু হয়েছিল। পরবর্তীকালে তিনি প্রভুর বিরাগভাজন হয়ে মুঘলদের অধীনেও চাকরি করেছিলেন। তিনি বাবরকে চান্দেরি দুর্গ দখলে ...