সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সংগ্রহশালার শ্রেণীবিভাগ | Types of Museum

 সংগ্রহশালার শ্রেণীবিভাগ 

               বর্তমানে সারা পৃথিবীতে মোটামুটি 55 হাজার মিউজিয়াম আছে এবং ভারতবর্ষের প্রায় কয়েকশো। এমনও বহু মিউজিয়াম আছে যেগুলি নথিভুক্ত নয়। বস্তুর সংগ্রহ, অবস্থান, প্রশাসনিক পরিকাঠামো, দর্শনার্থী প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে মিউজিয়াম গুলিকে বিভিন্ন ভাবে শ্রেণীবিভাজন করা হয়েছে। 
 
Types of Museum
Indian Museum

 সংগৃহীত বস্তুর ওপর ভিত্তি করে   মিউজিয়ামের  শ্রেণীবিভাগ

 (1)আর্ট মিউজিয়াম:- বিভিন্ন ধরনের দৃশ্যকলা, চিত্র এই   মিউজিয়ামের প্রধার সংগ্রহ। যেমন নিউ দিল্লির ন্যাশনাল   গ্যালারি অফ মর্ডান আর্ট (National gallery of modern art).

 (2) আর্ট এন্ড ক্রাফট মিউজিয়াম:- এই মিউজিয়ামের চিত্রের সাথে সাথে ভাস্কর্যও স্থান পায়। যেমন, শান্তিনিকেতনের প্রকৃতি মিউজিয়াম।

(3) প্রত্নতাত্ত্বিক মিউজিয়াম:- এখানে প্রধানত প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তুগুলো সংরক্ষিত হয়। যেমন, সাঁচি মিউজিয়াম। 

(4) ঐতিহাসিক মিউজিয়াম:- বিভিন্ন ঐতিহাসিক বস্তু, নথি সংরক্ষিত হয়। যেমন, মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজী মিউজিয়াম

(5) বায়োগ্রাফিক্যাল মিউজিয়াম:- যে মিউজিয়ামে কোনো ব্যক্তি বা ব্যাক্তি সমষ্টির জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বস্তুগুলো সংরক্ষিত ও প্রদর্শিত হয়, তাকে বাওগ্রফিকাল মিউজিয়াম বলে। যেমন, জোরাসাঁকোর ঠাকুর বাড়ির মিউজিয়াম।
            
(6) নৃতাত্ত্বিক ও জাতিতাত্ত্বিক মিউজিয়াম:- এই ধরনের সংগ্রহশালায় নৃতাত্ত্বিক ও জাতিতাত্ত্বিক বস্তুর চর্চা সংগ্রহ এবং প্রদর্শন হয়। উদাহণস্বরূপ বলা যায়, প্রাচীন জনগোষ্ঠীর ব্যাবহৃত হাতিয়ার ও আসবাব পত্র গুলি সংরক্ষিত হয়। 
 
(7) ভূত্তাত্ত্বিক মিউজিয়াম:-  Indian Museum এর Geological Section.

(8) প্রাণীত্ত্বিক মিউজিয়াম:- বেলগাছিয়ার পশু চিকিৎসা কেন্দ্রের সংগ্রহশালা। 

(9) উদ্ভিদ মিউজিয়াম:- পশ্চিমবঙ্গের Indian Botanical Garden
         
(10) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মিউজিয়াম:- বিড়লা মিউজিয়াম।
  
(11) যুদ্ধ ও রাজনৈতিক মিউজিয়াম:- ভারতের পার্লামেন্ট মিউজিয়াম, কলকাতার পুলিশ মিউজিয়াম।

(12) ডিফেন্স মিউজিয়াম:- কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামের  Estren Commend Museum.
                
                 এছাড়াও আছে অরণ্য সংগ্রহশালা, কৃষি সংগ্রহশালা, ধর্মীয় সংগ্রহশালা, সামুদ্রিক সংগ্রহশালা, মোম সংগ্রহশালা, ডাক সংগ্রহশালা, রেল সংগ্রহশালা প্রভৃতি।
 

প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের ওপর ভিত্তি করে শ্রেণীবিভাজন

 
(1) সরকারি সংগ্রহশালা:-  দিল্লির National Museum.
          
  (2) ট্রাস্টি পরিচালিত সংগ্রহশালা:-  কলকাতার ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম।
          
  (3) সাধারণ বা বানিজ্য সংস্থা পরিচালিত সংগ্রহশালা:- বেলুড় মঠ সংগ্রহশালা।
        
  (4) ব্যাক্তিগত সংগ্রহশালা:- বারুইপুরের সুন্দরবন আঞ্চলিক সংগ্রহশালা।
        
 (5) শিক্ষা সংস্থা পরিচালিত সংগ্রহশালা:- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর আশুতোষ মিউজিয়াম।


Category Division of Museums

Currently, there are approximately 55,000 museums worldwide, with nearly several hundred in the Indian subcontinent alone. Among these, many museums are not officially documented. Museums are categorized in various ways based on the collection, theme, administrative structure, and the type of visitors they cater to.

Categorization Based on Collection


Based on collected items, the classification of museums is as follows:

  1. Art Museum: This museum primarily collects various forms of visual art, paintings, and other art-related artifacts. For example, the National Gallery of Modern Art in New Delhi.


  2. Art and Craft Museum: These museums focus not only on paintings but also on craftsmanship. For instance, the Nature Museum at Shantiniketan.


  3. Archaeological Museum: This type of museum primarily preserves archaeological artifacts. For example, the Sanchi Museum.


  4. Historical Museum: Various historical items and documents are preserved in this type of museum. For instance, the Chhatrapati Shivaji Museum in Mumbai.


(5) Biographical Museum: A museum where items related to the life of an individual or a collective group are preserved and displayed is referred to as a biographical museum. For example, the Jorasanko Thakur Bari Museum.

(6) Cultural and Ethnographic Museum: In this type of collection, discussions, and displays revolve around cultural and ethnographic items. For instance, ancient artifacts and utensils used by ancient communities are preserved, as exemplified by this type of museum.

(7) Geological Museum: The Geological Section of the Indian Museum, Kolkata.

(8) Zoological Museum: The collection at the Belghachia Animal Medical Centre.

(9) Botanical Museum: The Indian Botanical Garden in West Bengal.

(10) Science and Technology Museum: The Birla Museum.

(11) War and Political Museum: Examples include the Parliament Museum in India and the Police Museum in Kolkata.


(12) Defense Museum: The Eastern Command Museum at Fort William in Kolkata.

Additionally, there are other categories of museums, such as the Forest Museum, Agriculture Museum, Religious Museum, Maritime Museum, Wax Museum, Postal Museum, Railway Museum, and many more.

Categorization Based on Administrative Control:

  1. Governmental Museum: The National Museum in Delhi.

  2. Trust-Operated Museum: The Indian Museum in Kolkata.

  3. Public or Commercial Museum: The Belur Math Collection.

  4. Personal Museum: The Sundarbans Regional Collection in Baruipur.

  5. Education Institution-Operated Museum: The Asutosh Museum at the University of Kolkata.


Thanks for reading.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আরবদের সিন্ধু অভিযান | কারণ ও তাৎপর্য

আরবদের সিন্ধু অভিযান | কারণ ও তাৎপর্য Please visit our Homepage and subscribe us. Suggested Topics || Ghajnavid Invasion || গজনী আক্রমণ || || মামুদের সোমনাথ মন্দির লুণ্ঠন || Somnath Temple Plunder || || তরাইনের যুদ্ধ ও তার গুরুত্ত্ব || মহম্মদ ঘুরির ভারত আক্রমন ও তার চরিত্র || সপ্তম শতকের প্রথমার্ধে আরবদেশে ইসলামের আবির্ভাব ঘটে। ইসলাম আরবদের নতুন করে জীবনীশক্তির সঞ্চার করে । ইসলাম ক্রমশ: একটি ধর্ম থেকে রাজনৈতিক শক্তি রূপে আত্মপ্রকাশ করে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তারা আরবীয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। ভারতবর্ষের সঙ্গে আরবদের যোগাযোগ দীর্ঘদিনের। বাণিজ্যিক সূত্রে তারা নিয়মিত ভারতের উপকূল গুলিতে, বিশেষ করে মালাবার উপকূলে আসত। ভারতীয় ও চীনা পণ্য 'ধাও' নামক বিশেষ জাহাজে করে নিয়ে তারা ইউরোপের বাজারে বিক্রি করত। 712 খ্রিস্টাব্দে ইরাকের গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এর সেনাপতি ও জামাতা মোহাম্মদ বিন কাসেম সিন্ধু দেশে একটি সফল অভিযান করেন এবং সিন্ধুদেশ আরবীয় মুসলমানদের অধীনে চলে যায়। অভিযানের(প্রত্যক্ষ) কারণ ভারতবর্ষের প্রতি আরবদের দীর্ঘদিনের নজর ছিল। এর আ

মহাফেজখানার শ্রেণীবিভাগ | Category of Archives

মহাফেজখানার শ্রেণীবিভাগ মহাফেজখানা বা লেখ্যাগারগুলি সাধারণ জনতার জন্য নয় মূলত গবেষক, ঐতিহাসিক, আইনবিদ, চিত্র পরিচালক প্রভৃতি পেশার লোকজন তাদের গবেষণার কাজে লেখ্যাগারে নথি পত্র দেখতে পারেন।  লেখ্যাগার পরিচালনা ও সংরক্ষিত নথির ভিত্তিতে লেখ্যাগগুলিকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।   1. সরকারি লেখ্যাগার:- কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে যে লেখ্যাগারগুলি গড়ে ওঠে। সেগুলিকে সরকারি লেখ্যাগার বলা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এরকম সরকার পরিচালিত এক বা একাধিক লেখ্যাগার থাকে। যেমন, আমেরিকার Natonal Archive And records Administration (NARA)। ভারতবর্ষে র কেন্দ্রীয় লেখ্যাগার National Archive of India নামে পরিচিত। বিভিন্ন ঐতিহাসিক, প্রশাসনিক ও আইনগত নথি, মানচিত্র, নক্সা,  পাণ্ডুলিপি প্রভৃতি সংরক্ষিত থাকে। 2. বানিজ্যিক লেখ্যাগার:-  এটি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের লেখ্যাগার বিভিন্ন বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান   মূলত তাদের সংস্থার ঐতিহাসিক এবং বানিজ্যিক নথি সংরক্ষিত রাখে। যেমন, ভারতের প্রথম বানিজ্যিক লেখ্যাগার হলো পুনার Tata Centrel Archive। 3. অলাভজনক লেখ্যাগার:-   কোনো ব্যাক্তিগত বা অলাভজনক

ষোড়শ শতকীয় ইউরোপে মূল্যবিপ্লব | Price Revolution

 ষোড়শ শতকের ইউরোপে মূল্য বিপ্লব   16 শতাব্দীতে ইউরোপীয় অর্থনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো মূল্য বিপ্লব। নিত্যব্যবহার্য পণ্যের মূল্য প্রায় 150 বছর সুস্থির থাকার পর ঊর্ধ্বমুখী হতে আরম্ভ করে, এবং 16 শতাব্দীর শেষে খাদ্যপণ্যের মূল্যের প্রায় সাড়ে পাঁচ গুণ বেড়ে যায়। পশ্চিম ইউরোপের অর্থনীতিতে এমন অভাবনীয় এবং সুদুরপ্রসারী ফলাফলসম্পন্ন ঘটনা মূল্য বিপ্লব নামে পরিচিত। মূল্য বিপ্লবের কতগুলি সাধারণ বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। যথা--    (১) কৃষিজ পণ্যের তুলনায় শিল্পজাত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ছিল কম, এবং খাদ্যশস্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। (২) ভূমি রাজস্ব সহ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক, তোলা ইত্যাদির হার বৃদ্ধি এবং ফটকাবাজির আবির্ভাব। (৩) মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় মজুরির হার খুবই কম ছিল বলে প্রকৃত আয় হ্রাস পেয়েছিল। (৪) ভূমি বিক্রয়যোগ্য পণ্যে পরিণত হওয়া। (৫) গ্রামীণ বুর্জোয়াজি শ্রেণীর আবির্ভাব। ষোড়শ শতকের আগেও প্রাকৃতিক কারণে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল, তবে তা ছিল 2, 3 শতাংশের মতো, যা অস্বাভাবিক মনে হতো না। কিন্তু ষোল শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে যে নিরবিচ্ছিন্ন মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল তা জনজীবনে তীব্রভ