Please visit our Homepage and Subscribe us.
Thanks for reading..
Ziauddin Barani | জিয়াউদ্দিন বারানী
সুলতানি যুগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লেখক হলেন জিয়াউদ্দিন বারানী। তাঁর রচিত তারিখ ই ফিরোজশাহী প্রথম শ্রেণীর ঐতিহাসিক গ্রন্থ হিসাবে বিবেচিত। মিনহাজ উদ্দিন দিল্লির সুলতানি আমলের ইতিহাস রচনার যেখানে শেষ করেছিলেন, বারনি সেখান থেকে লেখা শুরু করেছিলেন। জিয়াউদ্দিন বারানী বলবনের রাজত্বকালের প্রথম বছর থেকে শুরু করে ফিরোজ তুঘলকের রাজত্বকাল এর প্রথম ছয় বৎসর পর্যন্ত ধারাবাহিক ইতিহাস রচনা করেছেন। গ্রন্থটিতে 1359 সালে লেখা শেষ হয়েছিল। গ্রন্থটি খলজি শাসনকাল মুহাম্মদ বিন তুঘলক এবং ফিরোজ তুঘলকের রাজত্বকালের গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
জিয়াউদ্দিন বারানী ছিলেন অভিজাত ও উচ্চ শিক্ষিত, তিনি ঐতিহাসিক এর দায়িত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন ছিলেন। তিনি শাসন বিভাগের উচ্চপদে আসীন থাকার কারণে সেই সময়কার যে সমস্ত শাসনতান্ত্রিক তথ্য দিয়েছেন তা নির্ভুল। তার গ্রন্থে রাজস্ব ব্যবস্থার বিবরণ যথাযথ, তবে তাঁর গ্রন্থের প্রধান ত্রুটি সাল তারিখের অপ্রতুলতা। অনেক ক্ষেত্রেই তিনি সময়ানুক্রম এড়িয়ে গেছেন ।
জিয়াউদ্দিন বারানী লেখা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হল ফতোয়া ই জাহান্দারী। জিয়াউদ্দিন বারানী ধর্মকে ইতিহাস দর্শনে অস্বীকার করতে পারেননি ও সুলতানের বিরুদ্ধে কলম ধরতে পারেননি। কিন্তু তিনি সুলতানি যুগের ইতিহাস চর্চার নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন। ঐতিহাসিক এর দায়িত্ব সম্পর্কে পূর্ণ সচেতন থাকলেও ভয়ে যে অনেক তথ্য গোপন করতে বাধ্য হয়েছেন তা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। সত্যকে গোপন করা যে ঐতিহাসিক এর ধর্ম নয় তাও তিনি বলেছেন। তবে তিনি মোহাম্মদ তুঘলকের রাজত্বকাল এর পূর্ণ বিবরণ দিলেও, মোহাম্মদ তুঘলক এর মতন জিয়াউদ্দিন বারানী যুগধর্ম কে অতিক্রম করতে পারেননি।
Thank you sir.
উত্তরমুছুন