সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Magic | জাদু বিদ্যা

  Magic | জাদু বিদ্যা 

আদিম মানব জাতির কাছে জাদু ছিল ধর্মীয় বিশ্বাসের অঙ্গ। প্রাকৃতিক বা অপ্রাকৃতিক ঘটনাবলীকে অলৌকিক উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করার নামই হল Magic বা যাদুবিদ্যা। Magic দুই প্রকার- White magic ও Black magic । অর্থহানি, স্বাস্থ্যহানি, শাস্তিভোগ, বিচ্ছেদ-বিড়ম্বনা প্রভৃতি অমঙ্গলের জন্য দায়ী করা হত অপদেবতা, শয়তান, ভুত-প্রেত ইত্যাদিকে। এদের প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ যাদুবিদ্যার আশ্রয় নিত। কারোর মঙ্গলের জন্য যাদুবিদ্যার আশ্রয় নেয়া হলে তাকে White magic বা সাদা জাদু বলা হত। বশীকরণ প্রভৃতি ক্ষতিকারক কাজের উদ্দেশ্যে যে জাদু করা হতো তাকে কালা জাদু বা Black magic বলা হত। White  magic সমাজে বৈধ ছিল। কিন্তু Black magic অবৈধ হওয়ায় গোপনে তা সম্পাদন করতে হত।




Magic এর অংশ তিনটি- মন্ত্র,  মন্ত্রপূতঃ বস্তু ও মন্ত্রাচার। মন্ত্রপূত বস্তু হিসেবে যার ওপর জাদু করা হবে তার চুল, নখ, গায়ের ময়লা, বিভিন্ন জীবজন্তুর দেহাংশ গাছ গাছড়া ও বিভিন্ন বস্তুর প্রয়োজন হয়। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায় ও উপকরণ ব্যবহার করে যাদুবিদরা মানুষের সমস্যা সমাধান করতেন। কালা জাদু চর্চায় অপরিহার্য ছিল শিং; কারণ শিংকে শয়তানের প্রতীক মনে করা হত। জাদুবিদ্যা যারা করতেন তাদের বলা হত ম্যাজি।

যাদুবিদ্যা চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ছিল গ্রীক ও রোমানদের অবদান। জাদু বিদ্যার দেবী ছিলেন হেকেটি। গ্রীকরা যাদুবিদ্যার জন্য সৃষ্টি করেছিল বিশেষ বর্ণমালা। ইহুদিদের মধ্যে যাদুবিদ্যার ব্যাপক প্রচলন ছিল। কিং সলোমন এমনই একজন বিখ্যাত জাদুবিদ । যোহান রোজা সে যুগের বিখ্যাত জাদুকর ছিলেন। তার একটি আংটি ছিল, যাতে তিনি প্রেতাত্মাকে আটকে রেখেছিলেন বলে মনে করা হতো। তার মৃত্যুর পর তার আংটিটি হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

'ভুডু' ছিল এক ধরনের কালা জাদু। 'ভুডু' কথার অর্থ আত্মা। এই যাদুবিদ্যায় কবরের লাশ জ্যান্ত করে গোলামের মতো খাটানো যায়। ভুডুবিদ্যা চর্চার উৎপত্তি হাইতিতে এবং এর ব্যাপক প্রচলন আছে আফ্রিকাতে। শামানকে কেউ বলেন কবিরাজ, কেউ বলেন জাদুকর মনে করা হত যে, এরা মৃত ব্যক্তির আত্মার কাছ থেকে জ্ঞান সংগ্রহ করতে পারেন এবং ইচ্ছা করলে এরা নাকি নশ্বর দেহ ত্যাগ করে স্বর্গ বা নরকে স্বচ্ছন্দে ঘুরে বেড়াতে পারে। এদের আদি বাস ছিল সাইবেরিয়া। সোভিয়েত শাসনের অত্যাচারে এরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। 

Magic in Medieval Europe

To early humans, magic was an integral part of religious belief. The practice of controlling natural or supernatural events through extraordinary means was called Magic. Magic was of two types: White Magic and Black Magic. Misfortunes such as financial loss, illness, punishment, separation, and similar troubles were attributed to malevolent forces like evil spirits, demons, or ghosts. To escape their influence, people sought refuge in magic. If magic was practiced for someone’s benefit, it was called White Magic. Harmful purposes, such as subjugation and causing harm, were achieved through Black Magic. While White Magic was socially acceptable, Black Magic was illegal and thus had to be performed secretly.

Magic had three components: Mantras (spells), magically empowered objects, and rituals. For magically empowered objects, items belonging to the target—such as hair, nails, dirt from their body, animal parts, plants, or other materials—were required. Using natural methods and elements, magicians solved people’s problems. In Black Magic, horns were essential because they were considered symbols of the devil. Those who practiced magic were called Magis.

The Greeks and Romans contributed significantly to the practice of magic. The goddess of magic was Hecate. The Greeks even created a special alphabet for magical practices. Among the Jews, magic was widely practiced. King Solomon was a famous magician. Another well-known magician was Johann Faust, who was believed to have trapped spirits in a magical ring. After his death, this ring was destroyed in public by smashing it with a hammer.

Voodoo was a form of Black Magic. The word "Voodoo" means spirit. This magic was believed to revive corpses to work as slaves. The practice of Voodoo originated in Haiti and became widespread in Africa.

The Shamans were also significant figures in magic. Some called them healers, while others considered them magicians. It was believed that they could gain knowledge from the spirits of the dead and could leave their mortal bodies to wander freely in heaven or hell. Their original homeland was Siberia, but they fled due to persecution under Soviet rule.

Thus, magic, deeply rooted in ancient beliefs, served as a tool for explaining and influencing the mysteries of life through supernatural means.


Thanks for reading.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আরবদের সিন্ধু অভিযান | কারণ ও তাৎপর্য

আরবদের সিন্ধু অভিযান | কারণ ও তাৎপর্য Please visit our Homepage and subscribe us. Suggested Topics || Ghajnavid Invasion || গজনী আক্রমণ || || মামুদের সোমনাথ মন্দির লুণ্ঠন || Somnath Temple Plunder || || তরাইনের যুদ্ধ ও তার গুরুত্ত্ব || মহম্মদ ঘুরির ভারত আক্রমন ও তার চরিত্র || সপ্তম শতকের প্রথমার্ধে আরবদেশে ইসলামের আবির্ভাব ঘটে। ইসলাম আরবদের নতুন করে জীবনীশক্তির সঞ্চার করে । ইসলাম ক্রমশ: একটি ধর্ম থেকে রাজনৈতিক শক্তি রূপে আত্মপ্রকাশ করে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তারা আরবীয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। ভারতবর্ষের সঙ্গে আরবদের যোগাযোগ দীর্ঘদিনের। বাণিজ্যিক সূত্রে তারা নিয়মিত ভারতের উপকূল গুলিতে, বিশেষ করে মালাবার উপকূলে আসত। ভারতীয় ও চীনা পণ্য 'ধাও' নামক বিশেষ জাহাজে করে নিয়ে তারা ইউরোপের বাজারে বিক্রি করত। 712 খ্রিস্টাব্দে ইরাকের গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এর সেনাপতি ও জামাতা মোহাম্মদ বিন কাসেম সিন্ধু দেশে একটি সফল অভিযান করেন এবং সিন্ধুদেশ আরবীয় মুসলমানদের অধীনে চলে যায়। অভিযানের(প্রত্যক্ষ) কারণ ভারতবর্ষের প্রতি আরবদের দীর্ঘদিনের নজর ছিল। এর আ...

মহাফেজখানার শ্রেণীবিভাগ | Category of Archives

মহাফেজখানার শ্রেণীবিভাগ মহাফেজখানা বা লেখ্যাগারগুলি সাধারণ জনতার জন্য নয় মূলত গবেষক, ঐতিহাসিক, আইনবিদ, চিত্র পরিচালক প্রভৃতি পেশার লোকজন তাদের গবেষণার কাজে লেখ্যাগারে নথি পত্র দেখতে পারেন।  লেখ্যাগার পরিচালনা ও সংরক্ষিত নথির ভিত্তিতে লেখ্যাগগুলিকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।   1. সরকারি লেখ্যাগার:- কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে যে লেখ্যাগারগুলি গড়ে ওঠে। সেগুলিকে সরকারি লেখ্যাগার বলা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এরকম সরকার পরিচালিত এক বা একাধিক লেখ্যাগার থাকে। যেমন, আমেরিকার Natonal Archive And records Administration (NARA)। ভারতবর্ষে র কেন্দ্রীয় লেখ্যাগার National Archive of India নামে পরিচিত। বিভিন্ন ঐতিহাসিক, প্রশাসনিক ও আইনগত নথি, মানচিত্র, নক্সা,  পাণ্ডুলিপি প্রভৃতি সংরক্ষিত থাকে। 2. বানিজ্যিক লেখ্যাগার:-  এটি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের লেখ্যাগার বিভিন্ন বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান   মূলত তাদের সংস্থার ঐতিহাসিক এবং বানিজ্যিক নথি সংরক্ষিত রাখে। যেমন, ভারতের প্রথম বানিজ্যিক লেখ্যাগার হলো পুনার Tata Centrel Archive। 3. অলাভজনক লেখ্যাগ...

ষোড়শ শতকীয় ইউরোপে মূল্যবিপ্লব | Price Revolution

 ষোড়শ শতকের ইউরোপে মূল্য বিপ্লব   16 শতাব্দীতে ইউরোপীয় অর্থনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো মূল্য বিপ্লব। নিত্যব্যবহার্য পণ্যের মূল্য প্রায় 150 বছর সুস্থির থাকার পর ঊর্ধ্বমুখী হতে আরম্ভ করে, এবং 16 শতাব্দীর শেষে খাদ্যপণ্যের মূল্যের প্রায় সাড়ে পাঁচ গুণ বেড়ে যায়। পশ্চিম ইউরোপের অর্থনীতিতে এমন অভাবনীয় এবং সুদুরপ্রসারী ফলাফলসম্পন্ন ঘটনা মূল্য বিপ্লব নামে পরিচিত। মূল্য বিপ্লবের কতগুলি সাধারণ বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। যথা--    (১) কৃষিজ পণ্যের তুলনায় শিল্পজাত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ছিল কম, এবং খাদ্যশস্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। (২) ভূমি রাজস্ব সহ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক, তোলা ইত্যাদির হার বৃদ্ধি এবং ফটকাবাজির আবির্ভাব। (৩) মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় মজুরির হার খুবই কম ছিল বলে প্রকৃত আয় হ্রাস পেয়েছিল। (৪) ভূমি বিক্রয়যোগ্য পণ্যে পরিণত হওয়া। (৫) গ্রামীণ বুর্জোয়াজি শ্রেণীর আবির্ভাব। ষোড়শ শতকের আগেও প্রাকৃতিক কারণে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল, তবে তা ছিল 2, 3 শতাংশের মতো, যা অস্বাভাবিক মনে হতো না। কিন্তু ষোল শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে যে নিরবিচ্ছিন্ন মূল্যবৃদ্ধি হ...