Please visit our Homepage and Subscribe us.
Thanks for reading.
Nabarun Chakraborty
UG Student, Sonarpur Mahavidyalaya
গুপ্ত রাজবংশের শেষ শক্তিশালী শাসক ছিলেন স্কন্দগুপ্ত , যার সময় গুপ্ত সাম্রাজ্যের আয়তন অন্তত অবিকৃত ছিল। জুনাগড়, ইন্দোর ও ভিতারি সহ মোট 5টি লেখ এবং কিছু মুদ্রা স্কন্দগুপ্ত সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।
প্রথম কুমার গুপ্তের পুত্র স্কন্দগুপ্ত; তবে তাঁর সিংহাসন আরোহন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে । জুনাগড় লেখতে গুপ্ত সম্রাট হিসাবে কুমারগুপ্তের পুত্র স্কন্দগুপ্তের নাম পাওয়া যায়; অন্যদিকে বিহার লেখতে কুমার গুপ্তের পুত্র ও উত্তরাধিকারী হিসেবে নাম রয়েছে পুরুগুপ্তের। ভিতারি লেখতেও অনুরূপ বিবরণ রয়েছে; কিন্তু সেখানে স্কন্দগুপ্তের নাম নেই। প্রথম কুমারগুপ্তর শাসনের অবসান এবং স্কন্দগুপ্তর শাসনের সূচনা সন তারিখ একই (136 গুপ্তাব্দ )। তাই মনে করা হয় স্কন্দগুপ্তই প্রথম কুমারগুপ্তের পরবর্তী শাসক। বতীন্দ্রনাথ মুখার্জীর মতে, পুরুগুপ্ত স্কন্দগুপ্তের পরবর্তী শাসক; কারণ পুরু গুপ্তের মুদ্রা 144 গ্রেন তৈলরীতির, যা স্কন্দগুপ্ত সূচনা করেছিলেন। অন্যদিকে রমেশচন্দ্র মজুমদার মনে করেন, ভাতৃবিরোধে জয়লাভের মাধ্যমে স্কন্দগুপ্ত সিংহাসন দখল করেন।
অনুমান করা যায় যে, কুমারগুপ্ত শাসনের শেষ পর্বে পুষ্যমিত্রদের উপদ্রব দমন করার সুবাদে স্কন্দগুপ্ত বিশেষ ক্ষমতাবান হয়ে ওঠেন এবং এর ফলে সিংহাসনে বসতে তার তেমন অসুবিধা হয়নি। এই মতের সমর্থন লেখমালায় আছে। স্কন্দ গুপ্তের রাজনৈতিক শত্রু দুটি- ম্লেচ্ছ ( জুনাগড় লেখ ) ও হুন ( ভিতারি লেখ )। ম্লেচ্ছ কারা তা স্পষ্ট করে জানা যায় না। তবে স্কন্দগুপ্ত তাদের মাথা নত করতে বাধ্য করেছিলেন বলে জানা যায়। 'ম্লেচ্ছ' সংস্কৃত শব্দ, যার অর্থ বহিরাগত। ডঃ রায়চৌধুরী এদের হুনদের সাথে এক করেছেন। কিন্তু অধ্যাপক ব্রতীন্দ্রনাথ মুখার্জী এই মতের বিরোধিতা করেছেন।
স্কন্দ গুপ্তের বীরত্বের শ্রেষ্ঠ পরিচয় নিঃসন্দেহে হুনদের বিরুদ্ধে তার সামরিক সাফল্য। মধ্য এশিয়ার এই দুর্ধর্ষ যাযাবর জাতির আক্রমণে যেখানে ইরানের শাসানিয় শাসক এবং পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্য ভেঙে পড়ল; সেখানে স্কন্দগুপ্ত হুনদের পরাজিত করলেন(458 C.E)। তাদের এমন ভাবে পর্যুদস্ত করলেন যে, আগামী 50 বছর তারা ভারতে প্রবেশের সাহস দেখালো না। তাই ঐতিহাসিক রায়চৌধুরী স্কন্দগুপ্তকে 'বীরশ্রেষ্ঠ' বললেন; রমেশচন্দ্র মজুমদার বললেন 'ভারতের রক্ষাকারী'।
স্কন্দগুপ্ত নতুন কোন অঞ্চল সাম্রাজ্যভুক্ত করেননি, কিন্তু যাবতীয় প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সাম্রাজ্যের আয়তন অক্ষত রাখেন। গুজরাট কাথিয়াবাড়; উত্তর প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা; গঙ্গা যমুনা দোয়াব এলাকা; মধ্যপ্রদেশের রেওয়া অঞ্চল তাঁর সাম্রাজ্যভুক্ত ছিল। তিনি যে প্রজার মঙ্গলের জন্যও সচেষ্ট হতেন তার প্রমাণ-- তিনি বিখ্যাত সুদর্শন হ্রদ সংস্কার করেন।
Thanks for reading.
Nabarun Chakraborty
UG Student, Sonarpur Mahavidyalaya
Thank you sir.
উত্তরমুছুন