Samoresh Mondal,
UG Student, Sonarpur Mahavidyalaya
UG Student, Sonarpur Mahavidyalaya
মহাবিদ্রোহ (1857 খ্রী:) নৃশংস ভাবে দমন করা হয়। কলকাতায় সৈন জড়ো করে, লর্ড ক্যানিং ব্রিটিশ বাহিনী পাঠিয়ে দেয় দিল্লী মুক্ত করার উদ্দেশ্যে। 20 সেপ্টেম্বর দিল্লী চূড়ান্তভাবে পুনরাধিকার করা হয়। বাহাদুর শাহকে বন্দি করে নির্বাসিত করা হয়। খুব ধীরে ধীরে বারানসী, এলাহাবাদ, কানপুর পুনরাধিগ্রহণ করা হয়। ব্রিটিশরা পল্লী অঞ্চলে চরম সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। অক্টোবরে কলকাতায় নতুন ব্রিটিশ সেনাবাহিনী এসে হাজির হয় । ব্রিটিশ সেনাবাহিনী আস্তে আস্তে গোয়ালিয়র, দোয়াব, লখনৌ ও অযোধ্যার বাকি অংশ রোহিলখন্ড এবং মধ্যভারতের বাকি এলাকা পুনরাধিকার করে নেয়।
বিদ্রোহীদের পরাজয়ের সমকালীন উপনিবেশিক ব্যাখ্যায় ব্রিটিশের সাহসিকতা, শ্রেষ্ঠ জাতি চরিত্র, উচ্চতর নেতৃত্বগুণ ও সমরকুশলতা এবং অন্যদিকে বিদ্রোহীদের শৃঙ্খলা ও ঐক্যের অভাব এর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। আগেকার কিছু ভারতীয় ঐতিহাসিকও এই তত্ত্বে বিশ্বাস করতেন।
আধুনিক ঐতিহাসিকরা অবশ্য বলেছেন, ব্রিটিশরা জিতে গিয়েছিল কারণ সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধারের জন্য অসংখ্য লোক ও প্রচুর সম্পদ তারা বিনিয়োগ করেছিল। অন্যদিকে তীব্র অর্থ সংকটের কারণে সিপাহীদের পরাজয় ঘটে। কৃষকদের সেনাবাহিনীতে গ্রামীণ বিদ্রোহীদের অস্ত্র ছিল পুরানো ধাঁচের। তার উপর তারা প্রশিক্ষিতও ছিলনা । আর তারা যে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হয়েছিল তারা অত্যন্ত উন্নত ধরনের অস্ত্রসজ্জিত ছিল। ছিল গোটা ভারতের প্রভু, কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্রের সমর্থনপুষ্ট এবং কার্যকরী উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধাপ্রাপ্ত ।
আরো একটা কথা এরিক স্টোকসের ভাষায় বলা চলে, সেটা হল সিপাহীদের মধ্য কেন্দ্রাভিমুখী হওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল যে কারণে তারা দিল্লিতে জড়ো হয়। বিদ্রোহ তাই বেশিদূর ছড়াতে পারেনি। বিদ্রোহ অত্যান্ত স্থানীয় চরিত্রের হওয়ায় এক এক করে সেগুলি মোকাবিলা করা সহজ হয়েছিল।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন