Pravat Bhushan Bandyopadhyay,
Lecturer, Sonarpur Mahavidyalaya
Lecturer, Sonarpur Mahavidyalaya
অষ্টাদশ শতকে আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে বাংলার উত্থান
অষ্টাদশ শতকে ভারতবর্ষে মুঘল শক্তি দুর্বল হয়ে পড়লে ভারতবর্ষে একাধিক আঞ্চলিক শক্তির উত্থান ঘটে। এগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল বাংলা। সুবা বাংলার রাজস্ব ব্যবস্থা কে গতিশীল করার উদ্দেশ্যে মুর্শিদকুলি খানকে প্রথম বাংলার দেওয়ান নিযুক্ত করেছিলেন ওরঙ্গজেব। তার মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে 1717 খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদকুলি খান বাংলার শাসক এ পরিণত হয়েছিলেন। তিনি বাংলার দেওয়ান ও নিজামের দায়িত্ব একসাথে সামলাতেন। যদিও মুঘল কর্তৃত্বকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে অস্বীকার করতেন না। মুর্শিদকুলি সুবা বাংলার কার্যকরী ও সফল রাজস্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। মুঘল সাম্রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলের বিশৃংখলার সময়ে ও, বাংলাদেশের রাজস্ব মুঘল রাজকোষে জমা পড়তো। রাজস্ব আদায়ের ব্যাপারে মুর্শিদকুলি ছোটখাটো জমিদারদের তুলনায় বড় জমিদারদের উপর বেশি ভরসা করতেন। 1727 খ্রিস্টাব্দে তার মৃত্যুর সময় 15 টি বড় মাপের জমিদার সুবা বাংলার অর্ধেক রাজস্ব আদায়ের দায়িত্বে ছিল। মুর্শিদকুলির সময় বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিরতা ও কৃষিজ পণ্য উৎপাদন বেড়েছিল। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের ও উন্নতি ঘটে।
মুর্শিদকুলির পরে সুজাউদ্দিন বাংলা উড়িষ্যার ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তিনিও মুঘল দরবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলতেন। সুজাউদ্দিনের পর সরফরাজ বাংলার নজিম নিযুক্ত হন। কিন্তু সেনাধ্যক্ষ আলীবর্দী খান সরফরাজ কে সরিয়ে নিজে ক্ষমতা দখল করেন। আলিবর্দির সময় থেকেই সুবা বাংলার সঙ্গে মুঘলদের সম্পর্ক কার্যত ছিন্ন হয়ে যায়। বাংলা থেকে দিল্লির নিয়মিত প্রাপ্য পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে মুঘল কর্তৃত্ব কে আনুষ্ঠানিকভাবে অস্বীকার করা না হলেও, বাস্তব ক্ষেত্রে বাংলা বিহার উড়িষ্যার সমস্ত রকম কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ মুক্ত একটি স্ব-শাসিত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল।
1717 সালে মোঘল সম্রাট ফারুখশিয়ার ফরমানে ব্রিটিশদের টাঁকশাল ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন। মুর্শিদকুলী বাংলায় মালজমিনি প্রথা প্রচলন করেন।
উত্তরমুছুনসরফরাজ অবধি মুর্শিদকুলী বংশ শাসন করে তারপর আলিবর্দী রাজত্ব শুরু হয়।
মুর্শিদকুলী দাক্ষিণাত্যের কোনো এক ব্রাহ্মণ পরিবারে লালিত পালিত হয়েছিলেন।
উত্তরমুছুনআলিবর্দীর পিতামহ ছিলেন সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সৎ ভাই। তাঁর পিতা আজম শাহের কাছে কাজ করতেন। তাঁরা ছিলেন দুই ভাই এবং ছোট সন্তান।
প্রথম জীবনে আলিবর্দীর নাম ছিল মীর্জা আহমেদ আলি। আলিবর্দীর আমলে বঙ্গদেশে মারাঠা আক্রমণ হয়েছিল। তিনি শেষ বয়সে অনেক মানসিক আঘাত পেয়েছিলেন।তাঁর সুযোগ্য উত্তরাধিকারী ছিলেন সিরাজউদদৌলা।
অষ্টাদশ শতকে ভারতে কটি আঞ্চলিক শক্তির উত্থান হয়েছিল?
উত্তরমুছুন