সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

১৮৯৮ এর সংস্কার | Hundred days' Reform

১৮৯৮ এর সংস্কার | Hundred days' Reform ১৮৯৮ সালে চীনে মাঞ্চু শাসক গুয়াংশুর রাজত্বকালে যে শাসনতান্ত্রিক সংস্কার সাধিত হয় তা শত দিবসের সংস্কার নামে পরিচিত। উনিশ শতকের নব্বইয়ের দশকে চীনে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল তা এক সংস্কারকামী জনমত গঠন করেছিল। যদিও এই জনমত ছিল বুর্জোয়া জনমত। নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কাং ইউ ওয়েই। জনমতের চাপে পড়ে সম্রাট গুয়াংশি সংস্কার সাধন করলেও পরবর্তীকালে রক্ষণশীলদের চাপে তা ব্যর্থ হয় এবং সম্রাটের পদচ্যুতি হয়। মাত্র ১০০ দিন স্থায়ী এই সংস্কার শত দিবসের সংস্কার নামে পরিচিত। উনিশ শতকের শেষ দশকে চীনে বেশ কিছু দেশীয় শিল্প গড়ে উঠেছিল। ফলে চীনে একটি শিল্পপতি বুর্জোয়া শ্রেণীর উত্থান ঘটছিল। অন্যদিকে আবার শিল্পাশ্রয়ী সর্বহারার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিল। ইতিমধ্যে ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে জাপানের হাতে চীনের শোচনীয় পরাজয় এবং মর্যাদাহানি চীনের শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে নতুন ভাবনা চিন্তার উদয় ঘটিয়েছিল। এই সব দেশপ্রেমিকদের অধিকাংশই ছিলেন ছাত্র, বিশেষ করে যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিলেন সান ইয়াৎ সেন, যিনি মাঞ্চুদের ক্ষমতাচ্যুত করার একট

লেখ‍্যাগারের কার্যাবলী

 নথি সংগ‍্রহ থেকে প্রদর্শন ও প্রকাশনা পযন্ত  লেখ‍্যাগারের কার্যাবলী  লেখাগারের কার্যাবলিকে আমরা পাঁচটি ধারাবাহিক পদক্ষেপে আমরা ভাগ করতে পারিঃ  1. সংগ‍্রহ  লেখ‍্যাগারের প্রাথমিক  কাজ হল ঐতিহাসিক  নথি বা দলিল সংগ্রহ করা। বিভিন্ন  দপ্তর থেকে প্রধানত নথিগুলি সংগৃহীত হয়। স্ব ইচ্ছায় কোনো ব‍্যক্তি বা সংস্থা যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ নথি লেখ‍্যাগারকে দেয় তাহলে তা একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে সংগৃহীত হয়। বেসরকারি  লেখ‍্যাগারে বা শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানের লেখ‍্যাগারেও একই ভাবে ঐতিহাসিক নথি সংগৃহীত হয়।  2. নথি লিপিবদ্ধকরণ নথি সংগ্রহের পর সেগুলিকে তালিকা ভুক্ত করতে হয়। কারণ এর ফলে নথির সঠিক  হিসাব থাকে এবং পরবর্তীকালে তা খুঁজে পেতে সুবিধা হয়। নথি বা দলিল লিপিবদ্ধ করার সময়  কতকগুলি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হয়, যেমন - ১▪ নথি সংগ্রহ সংক্রান্ত বিষয়--  সংগ‍্রাহকের নাম ও ঠিকানা, সংগ্রাহকের তারিখ, স্থান লিপিবদ্ধ করণের নম্বর ও লিপিবদ্ধকারকের নাম।  ২▪ নথির বিবরণ সংক্রান্ত--  নথির নাম, কোন পদার্থের উপর লেখা, দৈঘ‍্য, প্রস্থ ও পাতার সংখ‍্যা ৩▪ সংগ্রহ সংক্রান্ত বিষয়--  নথির বাহ্যিক অবস্থা কেমন, যদি খারাপ হয় তাহলে  কতটা

কোম্পানির শাসনে ভারতে পুলিশ ব্যবস্থার বিকাশ | Indian Police under the Company Rule

কোম্পানির শাসনে ভারতে পুলিশ ব্যবস্থার বিকাশ  ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অন্যতম স্তম্ভ ছিল পুলিশ বিভাগ। পুলিশের প্রাথমিক কাজ ছিল ইংরেজ অধিকৃত অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা তথা ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা যে কোন ধরনের প্রতিবাদ আন্দোলনকে প্রতিহত করা। প্রাথমিক ব্যবস্থা ও হেস্টিংস-এর সংস্কার ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানির অধিকার পায়। তখন মুঘল পুলিশ ব্যবস্থা ফৌজদারদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। প্রতিটি সরকার বা জেলা তাদের অধীনে থাকত। কোতোয়ালরা থাকতেন শহরগুলি দেখভালের দায়িত্বে। গ্রামের চৌকিদারদের নিয়ন্ত্রণ করতেন জমিদাররা। মুর্শিদাবাদের নায়েব নাজিম রেজা খাঁর তদারকিতে এই পুরনো ব্যবস্থাই বেশ কিছুদিন কোম্পানি চালিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ১৭৭০ এর দুর্ভিক্ষের পর আইনশৃঙ্খলাজনিত অবনতির প্রেক্ষাপটে কোম্পানি সরকার পুলিশ বিভাগীয় প্রশাসনকে ইউরোপীয় তদারকির অধীনে আনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। ইতি মধ্যে দ্বৈত শাসনের অবসান হয়। ১৭৮১ পর্যন্ত এই পুরানো ফৌজদারী ব্যবস্থায়ই চলেছিল। ওয়ারেন হেস্টিংস তাতে সামান্য কিছু সংস্কার এনেছিলেন। তিনি ফৌজদারদের সরিয়ে তাদের জায়গায় ইং