সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মধ্য পুরাপ্রস্তর যুগ | Middle Paleolithic Age | Mousterian Culture

মধ্য পুরাপ্রস্তর যুগ নিম্নপুরা প্রস্তর যুগের পরবর্তী স্তর মধ্য পুরা প্রস্তর যুগ নামে পরিচিত। মধ্য পুরা প্রস্তর যুগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃতির নাম হল মৌস্টেরিয়ান সংস্কৃতি। ফ্রান্সের লা মুস্তের এলাকায় প্রথম মধ্য পুরাপ্রস্তর যুগের সাক্ষ্য পাওয়া গেছে বলে এই সংস্কৃতি মৌস্টেরিয়ান সংস্কৃতি নামে পরিচিত। মৌস্টেরিয়ান সংস্কৃতির সূচনা আজ থেকে প্রায় এক লক্ষ আটাশ হাজার বছর আগে। ভূতাত্বিক প্লেইস্টোসিন পর্বে পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ কমতে থাকে এবং একের পর এক তুষার যুগের আবির্ভাব হয়। দুটি তুষার যুগের মাঝে অপেক্ষাকৃত উষ্ণতর একটি পর্ব থাকে। এরকম শেষ তুষার যুগের আগের যে উষ্ণতর পর্ব সেই পর্বেই মৌস্টেরিয়ান সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছিল। Remain of Neanderthal Skull মৌস্টেরিয়ান সংস্কৃতির শ্রষ্ঠা হল নিয়েন্ডার্থাল মানব। নিয়েন্ডার্থাল মানব পশু শিকারে পারদর্শী ছিল। তাদের স্বীকার করা পশুগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল বাইসন, ঘোড়া, লাল হরিণ এবং বলগা হরিণ। মাছ এবং সামুদ্রিক প্রাণীই তাদের খাদ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। অপেক্ষাকৃত উষ্ণতর আবহাওয়ার জন্য বহু সমুদ্র উপকূল জলস্রোত এবং নদী তৈরি হয়েছিল এবং সেখান থেকেই তারা মা

নিম্ন পুরা প্রস্তর যুগের জীবন চিত্র | Lower Paleolithic Age

নিম্ন পুরাপ্রস্তর যুগ মানব সভ্যতার একেবারে প্রাচীনতম পর্ব প্রস্তর যুগ নামে পরিচিত। এই পর্বে মানুষ প্রথম আয়ুধ নির্মাণ ও তার ব্যবহার আয়ত্ব করে এবং এই আয়ুধগুলির অধিকাংশ ছিল প্রস্তর নির্মিত। তাই এই পর্ব প্রস্তর যুগ নামে পরিচিত। আয়ুধ নির্মাণ সংস্কৃতি ও আর্থ সামাজিক বিকাশের উপর ভিত্তি করে প্রস্তর যুগকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে- পুরা প্রস্তর, মধ্য প্রস্তর এবং নব্য প্রস্তর যুগ। ওই একই ভাবে আবার পুরাপ্রস্তর যুগকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে- নিম্ন পুরাপ্রস্তর, মধ্য পুরা প্রস্তর ও উচ্চ পুরা প্রস্তর যুগ। প্রস্তর তথা নিম্ন পুরা প্রস্তর যুগের সূচনা আজ থেকে আনুমানিক ২.৫ মিলিয়ান বছর আগে।  Australopithecus Robustus -রা প্রথম হাতিয়ার ব্যবহার করলেও হাতিয়ার নির্মাণের ধারাবাহিকতা দেখা যায় অপেক্ষাকৃত উন্নত প্রজাতি হোমো হ্যাবিলিসের হাত ধরে। নিকোলাস টথ দেখিয়েছেন আয়ুধ নির্মাণের জন্য কেবল দুই হাতের ব্যবহার নয়, গভীর মানসিক সংযোগ এবং কল্পনাশক্তির প্রয়োজন হয়, যা সম্ভব হয়েছিল Homo Habilis দের অপেক্ষাকৃত বৃহৎ মগজের (৮০০ সি. সি.) জন্য। প্রথম দিকের হাতিয়ার গুলি ছিল প্রযুক্তির একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের। ধিরে ধিরে সেগ