সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

উপমহাদেশে নব্যপ্রস্তর যুগ | Neolithic Period in the Indian Subcontinent

উপমহাদেশে নব্যপ্রস্তর যুগ শুধু  ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস এই নয়, সমগ্র মানবজাতির ইতিহাসে নব্য প্রস্তর যুগ এক তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়। উপমহাদেশে নব্য প্রস্তর যুগের সবচেয়ে ভালো নিদর্শন পাওয়া যাবে মেহেরগড়ে। মানব সভ্যতার এই স্তরে হাতিয়ার তৈরীর কৌশল উন্নততর হওয়ার পাশাপাশি সমাজে একাধিক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছিল, যার দিকে নজর রেখে জি. চাইল্ড নব্য প্রস্তর যুগকে বিপ্লব বলে অভিহিত করেছেন।  এই পর্বে মধ্য প্রস্তর যুগের ক্ষুদ্রাশ্মীয় আয়ুধের ব্যবহার অব্যহত ছিল, তবে তার বৈচিত্র্য ক্রমশ বৃদ্ধি পেল। নব প্রস্তর যুগের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো কৃষির উন্মেষ। এশিয়ার জেরিকোতে ৮ হাজার কিংবা ৭ হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রথম কৃষির প্রকাশ দেখা গিয়েছিল। উপমহাদেশেও এর রেশ দেখা গেল।  কৃষির অবিস্কারের ফলে মানুষ খাদ্য সংগ্রাহক থেকে হয়ে গেল খাদ্য উৎপাদক। এই ঘটনা মানুষের জীবনযাত্রায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনল। চাষের জন্য বীজ বোনা থেকে ফসল কাটা পর্যন্ত সমগ্র প্রক্রিয়াটি দীর্ঘদিনের ব্যাপার। তাই মানুষ এবার ক্রমশ স্থায়ী বসতি গড়ে তুলল। কৃষি উৎপাদন সঞ্চয় করে রাখা যায়। শিকার নির্ভর ও পশুপালন নির্ভর জীবনে সামাজিক ধন-সম্ব

ষোড়শ মহাজনপদ | Sixteen Mahajanapadas

ষোড়শ মহাজনপদ  খ্রীঃ পূঃ ষষ্ঠ ও পঞ্চম শতক নাগাদ উত্তর ভারতে ১৬ টি মহাজনপদের আবির্ভাব ঘটে। বৈদিক সাহিত্যে 'জন' শব্দের উল্লেখ রয়েছে। 'জন' বলতে বোঝায় একটি কৌম বোঝাত। 'জন' শব্দ থেকে এসেছে 'জনপদ'। 'জনপদ' কথার অর্থ জন যেখানে পা রেখেছে। অর্থাৎ 'জন'ক্রমশ বিস্তৃত হয়ে যে আকার ধারন করেছে তাকে বলা হয় 'জনপদ'। জনপদ কেবল ভৌগলিক সংজ্ঞা নয়, তা অবশ্যই জনবসতি অধ্যুষ্যিত হতে হবে। জনপদ রাষ্ট্রের অন্যতম উপাদান। অর্থাৎ জনপদ বলতে কোনো রাজশক্তির শাসনাধীন জনবসতিসম্পন্ন এলাকা বোঝাবে। জনপদের আকার যখন আরও বড় হয়েছে তখন তাকে বলা হয়েছে 'মহাজনপদ'। সমকালীন ভারতে এরকম ১৬ টি মহাজনপদের অস্থিত্বের কথা জানা যায়। বৌদ্ধ গ্রন্থ   অঙ্গুত্তরনিকায়   অনুসারে এই ষোলটি জনপদ নিম্নরূপ।   কাশীঃ বর্তমান উত্তর প্রদেশের বারানসী ও সন্নিহিত এলাকায় অবস্থিত ছিল। এর রাজধানী বারানসী। কোশলঃ উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌ, গোন্ডা, ফৈজাবাদ, বেহারাইচ এলাকায় নিয়ে অবস্থিত ছিল। এর রাজধানী ছিল শ্রাবস্তী। অঙ্গঃ বিহারের পূর্ব দিকে বর্তমানে ভাগলপুরের কাছে অবস্থিত ছিল। এর রাজধানী ছিল চম্পা।  মগধঃ দক্