সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মুঘল চিত্রকলায় জাহাঙ্গিরের অবদান | Mughal Miniature Paintings in Jahangir's Time

মুঘল চিত্রকলায় জাহাঙ্গিরের অবদান মুঘল চিত্রকলাকে বলা হয় ইন্দো-পারসিক চিত্রকলা। হুমায়নের হাত ধরে প্রথম এই ইন্দো-পারসিক চিত্রকলার সূচনা হয় এবং আকবরের রাজত্বকালে তা বিকশিত হয়। কিন্তু জাহাঙ্গিরের রাজত্বকাল ছিল মুঘল চিত্রকলার স্বর্ণযুগ। জাহাঙ্গির ছিলেন অসম্ভব প্রকৃতিপ্রেমিক। নিসর্গ প্রকৃতির টানে তিনি ১৯ বার কাশ্মীর গিয়েছিলেন। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় অঙ্কিত চিত্রকলায় তাই প্রাকৃতিক দৃশ্য সবথেকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। তবে পশুপাখির চিত্র, বিশিষ্ঠ ব্যক্তির অবয়ব বা রাজনৈতিক ঘটনাবলী একেবারে বাদ যায় নি।  জাহাঙ্গিরের দরবারের প্রধান শিল্পী ছিলেন হিরাটের আগা রিজা। ইনি প্রখ্যাত চিত্রকর আবু-ই-হাসানের পুত্র। তাঁর দরবারের অন্যান্য চিত্রকরদের মধ্যে ছিলেন ফারুক বেগ, আব্দুস সামাদ, মহম্মদ নাদির, মহম্মদ মুরাদ, উস্তাদ মনসুর, মনোহর, বিষণ দাস, গোবর্ধন, আবুল হাসান, বিচিত্র প্রমুখ। এদের মধ্যে উস্তাদ মনসুরের কথা উল্লেখ করতেই হয়। ইনি পশুপাখির একেবারে জীবন্ত চিত্র এঁকে দিতে পারতেন। তাঁর আঁকা সাইবেরিয়ান সারস একটি বিস্ময়কর সৃষ্টি। কলকাতা মিউজিয়ামে এটি সংরক্ষিত আছে। রঙের ব্যবহারে সিদ্ধহস্ত ছিলেন আবুল হাসান। প্রতিকৃতি অঙ্কনে বিপ

মধ্য যুগে ইউরোপে গিল্ড

গিল্ড হল কারিগর ও ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠান। মধ্যযুগের ইউরোপের অর্থনীতিতে গিল্ডের ভূমিকা ছিল বিশেষ উল্লেখযোগ্য। কারিগরদের গিল্ডকে বলা হয় ক্রাফট গিল্ড ও ব্যবসায়ীদের ট্রেড গিল্ড বলে। শুধু অর্থনীতি নয় রাজনীতি এবং সাধারণ নাগরিক জীবনে গিল্ড গুলি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়েছিল। দ্বাদশ শতাব্দী থেকে ইউরোপে শিল্প উৎপাদনের ক্ষেত্রে অবাধ ও অসম প্রতিযোগিতার বিরোধী মনোভাব গড়ে উঠেছিল। পণ্যের চাহিদা ও যোগানের মধ্যে একটি সামঞ্জস্য থাকা উচিত, উৎপাদনে নিযুক্ত কারিগরদের জীবীকার নিরাপত্তার প্রয়োজন এবং নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের উপায় থাকা দরকার। এইসব চাহিদা থেকেই ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে গিল্ড গড়ে উঠেছিল। পণ্যমূল্য ন্যায্য রাখা ও তার মান ঠিক রাখার শর্তে নিজ নিজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে গিল্ড গুলি একচেটিয়া অধিকার দাবি করত।  গিল্ডের সংগঠন ছিল খুবই সুসংহত। গিল্ডের সদস্য ছিল মোট তিন প্রকার মালিক-শ্রমিক ও শিক্ষানবিশ। শিক্ষানবিশ পর্ব শেষ হবার পর প্রত্যেকেই শ্রমিক পদে উন্নীত হত। কর্তব্যের অবহেলা করলে শিক্ষানবিশদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার বিধান ছিল। মালিক ও শ্রমিক গিল্ডের পরিচা