সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস চর্চায় বিদেশি সাহিত্য | Foreign Accounts in the Reconstruction of Early Indian History

বিদেশী সাহিত্য সুপ্রাচীন কাল থেকে ভারতে বহু বিদেশী পর্যটকের আগমন হয়েছে। গ্রীস, রোম, চিন এবং আরব থেকে অনেকেই এদেশে এসেছেন এবং তাদের ভারত ভ্রমনের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করেছেন। অনেকে আবার এদেশে না এসেই তাদের রচনায় ভারতের প্রসঙ্গ এনেছেন। এই সমস্ত বিদেশী লেখকদের লেখা গ্রন্তগুলি প্রাচীন ভারতের ইতিহাস চর্চায় দেশীয় উপাদানের পাশাপাশি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।  ১  গ্রীক ও রোমক বিবিরণ  ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস তাঁর ইস্তোরিয়া গ্রন্থে সর্বপ্রথম ইন্ডিয়া   শব্দটি ব্যবহার করেন বলে অনেকে মনে করেন। ভারতের উত্তর-পশ্চিম দিকে অখামিনিশীয় শাসকদের শাসনের কথা আমরা নিয়ারকাস, এরিস্টবুলাস প্রমুখের বিবরণ থেকে জানতে পারি। গ্রীক লেখকদের মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য মেগাস্থিনিস। তাঁর গ্রন্থ ইন্ডিকা   হারিয়ে গেলেও তাঁর পরবর্তীকালের লেখক ডায়োডোরাস, স্ট্র্যাবো, এরিয়ান, জাস্টিন প্রমুখের লেখায় ইন্ডিকা উদ্ধৃত হয়েছে।  এই সমস্ত রচনা মৌর্য যুগের বিশেষ করে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের শাসনকালে ইতিহাসের বহু তথ্যের উৎস। কোনো এক অজ্ঞাতনামা গ্রীক লেখকের রচিত পেরিপ্লাস অব দ্যা এরিথ্রিয়ান সী   বানিজ্যের ইতিহাস বিশেষ করে রোম-ভারত বাণিজ্যের ইতিহাস রচনায় অপরি

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস পুনর্নির্মাণে ধর্মনিরপেক্ষ সাহিত্য | Non-Religious Literature in Reconstructing the Ancient Indian History

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস পুনর্নির্মাণে ধর্মনিরপেক্ষ সাহিত্য ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য ধর্মের সঙ্গে গাঁথা হলেও ধর্ম নিরপেক্ষ বহু সাহিত্য সেকালে রচিত হয়েছিল। এগুলি ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে খুবই উল্লেখযোগ্য উপাদান। ধর্মনিরপেক্ষ সাহিত্য গুলির মধ্যে প্রথমে অর্থশাস্ত্রের কথা বলতে হয়। রাজ্য শাসন ও আর্থিক ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করাই অর্থশাস্ত্রের মূল উপজীব্য। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র থেকে মৌর্য রাজত্বকালের বিশেষ করে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের শাসনকাল এর ইতিহাসের বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। যদিও এগুলি সবই উপদেশমূলক। তাই বাস্তবে কতটা তা মানা হতো তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য কামন্দকের নীতিসার এবং নীতিবাক্যমৃত কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রেরই সংক্ষিপ্তসার। কোনও বিখ্যাত শাসক সম্পর্কে তার সভাকবি কর্তৃক প্রশস্তি মূলক জীবনী রচনা প্রচলন প্রাচীনকালে শুরু হয়েছিল। যেমন হর্ষবর্ধনের সভাকবি বানভট্ট লিখেছিলেন হর্ষচরিত। চালুক্য রাজা ষষ্ঠ বিক্রমাদিত্যর সভ্যাকবি রচনা করেছিলেন বিক্রমাঙ্কদেবচরিত। রামপালের সভাকবি সন্ধ্যাকর নন্দী দ্বর্থক ভাষায় রচনা করেন রামচরিত, যেখানে একই সাথে ভগবান রামচন্দ্র এবং পাল রাজা রামপালের জীব

মিউজিয়াম ও আর্কাইভস এর সংজ্ঞা | Defination: Museum & Archives

মিউজিয়ামের সংজ্ঞা                      মিউজিয়ামের বাংলা অর্থ সংগ‍্রহশালা বা সংগ্রাহালয়। তবে অনেক সময় একে জাদুঘরও বলা হয়। ইংরেজিতে Museum কথাটি প্রথম ব‍্যাবহার হয়ে ছিল সপ্তদশ শতকে। ইংরেজিতে মিউজিয়াম কথাটি ল‍্যাটিন কথা থেকে এলেও এর মূল উৎস‍ গ্রিক শব্দ মউজিয়ন(Mouseion)। এর অর্থ মিউজ দেবতার মন্দির। বিভিন্ন অভিধানে মিউজিয়ামের অর্থ বিভিন্ন। অক্সফোর্ড লিভিং ডিকশনারী (Oxford Living Dictionary) অনুসারে মিউজিয়াম হল এমন একটি গৃহ যেখানে ঐতিহাসিক, বৈজ্ঞানিক, শৈল্পিক অথবা সাংস্কৃতিক গুরুত্বপূর্ণ বস্তু সংরক্ষণ বা প্রদর্শন করা হয়। আর্তজাতিক মিউজিয়াম সংস্থা  [International Council of Museums ( ICOM)] মিউজিয়ামের সংজ্ঞা নির্ধারণে বারংবার মত পরিবর্তন করেছে। 1946 সালে আইকমের মিউজিয়াম এর প্রথম সংখ্যাটি হল-- " মিউজিয়াম অর্থে বোঝায় বোটানিক্যাল গার্ডেন, চিড়িয়াখানা সমেত শৈল্পিক, প্রযুক্তিগত, বৈজ্ঞানিক, ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তু যা সাধারণের জন্য উন্মুক্ত। কিন্তু যেসব গ্রন্থাগারের স্থায়ী প্রদর্শনেই সেগুলি মিউজিয়াম সংজ্ঞা বহির্ভূত।"  2007 সালে ভিয়েনার সাধারণ সভায় যে সংজ্ঞা নির্ধারিত হয়েছিল সে