মে ফোর্থ আন্দোলন | May 4th Movement প্রেক্ষাপট 1911 সালে চীনে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেলেও শান্তি-শৃঙ্খলা অগ্রগতির কোন চিহ্ন ছিল না। উপরন্তু জঙ্গী শাসনে দেশে এক অদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, যাকে চীনের ইতিহাসে অন্ধকারতম যুগ বলা যেতে পারে। কিন্তু এই অরাজকতার সুযোগে চীনে এক নতুন শক্তি গড়ে উঠেছিল, যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ৪ঠা মে আন্দোলন রূপে প্রকাশিত হয়েছিল। এই আন্দোলনের প্রধান চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ছিল পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত যুব সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ এবং চিরাচরিত কনফুসীয় ঐতিহ্যের উপর আক্রমণ। বিদেশী শক্তির হাতে দীর্ঘদিন ধরে চীনের লাঞ্ছনার প্রতিক্রিয়ায় যে জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ঘটেছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের নগ্ন সাম্রাজ্যবাদী ব্যবহার আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছিল। জাপান শানটুং প্রদেশ দখল করে চীনের কাছে ২১ দফা দাবি পেশ করেছিল, যা ইউয়ান শি কাই সরকার অধিকাংশই স্বীকার করে নিয়েছিল। জাতির এই অপমানের প্রতিবাদে বহু চিনা ছাত্র যারা জাপানে পাঠরত ছিলেন দেশে ফেরত আসে এবং বহু চীনা ব্যবসায়ী জাপানি পণ্য বয়কটের আন্দোলন গড়ে তোলেন। জাপানি সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সমগ্র চীনে যখন প্রবল জাতী...